নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় ইসলাম

লিখেছেন লিখেছেন শাহীন কবির ০২ আগস্ট, ২০১৫, ০২:১৭:৩৪ রাত

২য় পর্ব

৩) নারী শান্তির আশ্রয়ঃ

সন্তান অসুস্থ্ হলে বা কোন অসুবিধায় পতিত হলে ছুটে আসে মায়ের কোলে।নিমিশেই যেনো দূর হয়ে যায় সব দূঃখ, সব পীড়া। স্বামী সারা দিবসের ক্লান্তি শেষে ফিরে আসে বাড়ীতে। শত অবসন্নতা দূর করতে পাশে এসে দাঁড়ায় স্ত্রী। তাই ইসলামে নারীকে শান্তির আশ্রয় বলে ঘোষনা করা হয়েছে,- আর তাঁর নিদর্শন সমূহের মধ্যে একটি নিদর্শন হচ্ছে তিনি তোমাদের জন্যে তোমাদের মধ্য হতে তোমাদের স্ত্রীদের সৃষ্টি করেছেন। যেনো তোমরা তার কাছে মানসিক শান্তি লাভ করতে পারো। আর তিনি তোমাদের মাঝে ভালোবাসা ও আন্তরিকতা সৃষ্টি করেছেন। সূরা রুম আয়াত- ২১।

৪) উত্তম স্বাক্ষীঃ

ইসলাম নারী জাতিকে উত্তম স্বাক্ষীর মর্যাদা দিয়েছেন। একজন পুরুষকে দেখে মানুষ সমাজের বহিরাঙ্গনে। সমাজে তার মূল্যায়ন হয় বাহিরর আচার আচরণ দেখে। কিন্তু তার স্ত্রী দেখে তাকে সব চেয়ে কাছ হতে। সুতরাং একজন লোক ভালো কি মন্দ তা তার স্ত্রীই জানে সবচেয়ে অধিক। তাই প্রকৃত পক্ষে ঐ ব্যক্তিই উত্তম বলে বিবেচিত হবে যাকে তার সৎ স্ত্রী উত্তম বলে স্বাক্ষ্য দিবে। এব্যাপারে রাসূল (সাঃ) বলেন- তোমাদের মাঝে সেই ব্যক্তি সব চেয়ে উত্তম, যে তার পরিবার পরিজনের নিকট উত্তম। তিরমিজি।

চলবে

বিষয়: বিবিধ

১৩৩১ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

333100
০২ আগস্ট ২০১৫ সকাল ০৯:০৮
হতভাগা লিখেছেন : ৩. ইসলামে স্ত্রীর কাছে গেলে শান্তি পাবার কথা বলা হলেও বাস্তবতা ভিন্ন ।

আপনি যদি তাকে স্যাটিসফাই করার মত খরচ না করতে পারেন , তার কথা মত উঠ বস না করতে পারেন, তার অপছন্দের লোকদের পছন্দ করেন - তাহলে সে আপনার সংসারটাকে অশান্তির আগুনে জ্বালিয়ে ছাড়বে ।

এটা দুনিয়ার চিরাচায়িত নিয়ম যে :

বউ-শাশুড়ি কখনই মিল হয় না , যেমন মিল হয় না তেলে ও জলে ।


৪. সন্তানের কাছে আল্লাহর পরে সবচেয়ে প্রিয় হচ্ছে তার মা ।

কিন্তু মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা দেখালে বউয়ের মন পাওয়া যায় না - এটা ধ্রুব সত্য।

মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত

তোমাদের মাঝে সেই ব্যক্তি সব চেয়ে উত্তম, যে তার পরিবার পরিজনের নিকট উত্তম।


০ এখানে পরিবার পরিজন বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে ? আমি তো শুনেছি ''তোমাদের মাঝে সেই ব্যক্তি সব চেয়ে উত্তম, যে তার স্ত্রীর নিকট উত্তম।''

বর্তমান সমাজে যে কেউ বলবে যে,

মায়ের কাছে ভাল হওয়া বউয়ের কাছে ভাল হওয়ার ব্যস্তানুপাতিক



নবী রাসূলদের ঘটনা শুনলে কিছুটা আঁচ করা যায় যে :

তারা আল্লাহর বানী প্রচারের জন্য বিভিন্নভাবে কাফেরদের কর্তৃক নিগৃহীত হলেও মা-বউয়ের দ্বন্দ্বে পড়ে ছেলে/স্বামীর যে দফারফা হয় সেটা হতে মুক্ত ছিলেন । মানসিকভাবে এটা কতটা পেইনফুল - এটা আল্লাহ তায়ালা সবচেয়ে ভাল জানেন (আল্লাহ সর্বজ্ঞানী)বলেই হয়ত তার পয়গম্বরদের এই মহা ঝামেলা হতে মুক্ত রেখেছিলেন ।

(আল্লাহ আমায় ক্ষমা করুন , উনিই ভাল জানেন সবকিছু)
০২ আগস্ট ২০১৫ সকাল ১১:৫৭
275310
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..

ইসলামের মানদন্ডে ভালো স্ত্রী নিঃসন্দেহে শান্তির আকর!
দুনিয়াটা গোল্লায় গেলেও ইসলামের মানদন্ডের কোন হেরফের হবার নয়- কেউ তা মেনে চলুক বা না চলুক!


বউ-শাশুড়ি কখনই মিল হয় না , যেমন মিল হয় না তেলে ও জলে। - একথা যে সঠিক নয় তা বুঝতে সুলতানা পারভীন আপা "সত্যলিখন" এর উদাহরণই যথেষ্ট!
০২ আগস্ট ২০১৫ দুপুর ০১:৪১
275324
হতভাগা লিখেছেন : সত্য লিখনের টা যদি সত্য হয়ে থাকে তাহলে সেটা ব্যতিক্রম । ব্যতিক্রম উদাহরণ হয় না কখনও বরং সেটা এক্সিস্টিং সত্যটাকে আরও মজবুত করে ।
333143
০২ আগস্ট ২০১৫ দুপুর ১২:৫৬
অপি বাইদান লিখেছেন : [মালিকের মুয়াত্তা হাদিস ২.২৩.৯০]
ইয়াহিয়া—মালিক—নাফি থেকে । মালিককে জিজ্ঞাসা করা হল, ‘এমন এক ব্যাক্তি যার কয়েকজন স্ত্রী এবং কিছু সংখ্যক দাসি রয়েছে, সে কি গোছলের পুর্বে একসঙ্গে সবার সাথে যৌন সম্পর্ক করতে পারবে ?’ তিনি উত্তর দিলেন, ‘গোছলের পুর্বে কোন ব্যাক্তি তার অধিকৃত দুই দাসির সঙ্গে যৌনকৃয়ায় অংশ নিলে তাতে দোষের কিছু নেই । কিন্তু যেদিন এক স্ত্রীর সাথে যৌন মিলনের দিন থাকবে সেদিন অন্য স্ত্রীর সাথে সহবাস করা যাবে না । তবে এক ক্রীতদাসির সাথে যৌন মিলন সম্পন্ন করে অন্য এক দাসির সাথে সহবাস আপত্তিকর নয়, যদিও সে ব্যাক্তি যুনুব (সঙ্গমের পর দেহে বীর্য লেগে থাকার অবস্থা)

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File