সমাজে প্রচলিত হাদীসের নামে কিছু জাল হাদীস!

লিখেছেন লিখেছেন একজন বীর ০২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৭:৫৩:৫২ সন্ধ্যা

আমাদের সমাজে হাদীসের নামে কিছু বানোয়াট জাল হাদীস প্রচলিত আছে। যা আমরা সবাই হাদীস বলে জানি। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে এগুলো কোন হাদীস নয়। এগুলো বিভিন্ন ভাবে আমাদের বিভিন্ন হাদীস গ্রন্থে প্রবেশ করেছে। পরবর্তী কালে মুহাদ্দিস এবং হাদীস বিশারদগন বিভিন্ন গবেষনার মাধ্যমে এগুলোকে জ্বাল হাদীস হিসেবে চিনহিত করেছেন।

হাদীসের নামে প্রচলিত কিছু জ্বাল হাদীসঃ-

১। মুমিন হৃদয় আল্লাহর আরশ।

২। আল্লাহ সর্বপ্রথম আমার নূর সৃষ্টি করেছেন।

৩। আদম যখন পানি ও মাটির মধ্যে ছিলেন তখন আমি নবী ছিলাম।

৪। আমি জ্ঞানের শহর এবং আলী তার দরজা।

৫। আমার সাহাবীগণ নক্ষত্র তুল্য, তাদের যে কাউকে অনুসরণ করলেই তোমরা সুপথ প্রাপ্ত হবে।

৬। আমার উম্মতের ইখতিলাফ (মতবিরোধ) রহমত স্ব্রুপ।

৭। ওলীগণের কেরামত সত্য।

৮। সবচেয়ে কঠিন জিহাদ প্রবৃত্তির বিরোদ্ধে জিহাদ।

১০। মূরখের ইবাদতের চেয়ে আলিমের ঘুম উত্তম।

১১। চীন দেশে হলেও জ্ঞানের অন্বেশন কর।

১২। দেশপ্রেম ঈমানের অংগ।

১৩। নামাজ মুমিনের মিরাজস্বরুপ।

১৪। খাদ্য গ্রহন কারীকে সালাম দেয়া যাবেনা।

১৫। দুনিয়া হল আখেরাতের শশ্যক্ষেত্র।

এ কথাগুলোকে আমরা হাদীস বলে জানি কিন্তু এগুলো হাদীস নয়। এরকম অংখ্য জ্বাল হাদীস আমাদের মাঝে প্রচলিত আছে। এখানে মাত্র কয়েকটি উল্লেখ করা হয়েছে।

[তথ্যসূত্রঃ হাদীসের নামে জালিয়াতি।]

বিষয়: বিবিধ

২০৯৭ বার পঠিত, ২৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

260859
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:০১
কাহাফ লিখেছেন : নবী সাঃ এর নামে বানোয়াট কথা হল জাল হাদিস। সনদে দূর্বল কে যয়িফ হাদিস বলে। উল্লেখিত সব গুলো জাল হাদিস নয়।৫ নং তো নয়ই.........।
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৯
205044
প্রেসিডেন্ট লিখেছেন : ৫ নং হাদীসটি সুস্পষ্ট জাল ও বানোয়াট। তবে এটি আমাদের দেশে অত্যন্ত প্রচলিত একটি হাদীস।
হাদীসটি আমাদের মধ্যে এত প্রসিদ্ধ যে, সাধারণ একজন মুসলিম স্বভাবতই চিন্তা করেন যে, হাদীসটি বুখারী, মুসলিমসহ সিহাহ সিত্তা ও সকল হাদীসগ্রন্থেই সংকলিত। অথচ প্রকৃত বিষয় হলো, সিহাহ সিত্তাহ তো দূরের কথা অন্য কোনো প্রসিদ্ধ হাদীস গ্রন্থে এ হাদীসটি নেই। যয়ীফ ও জালিয়াত রাবীগণের জীবনীগ্রন্থে, কয়েকটি ফিকহ গ্রন্থে ও অপ্রসিদ্ধ দুই একটি হাদীসের গ্রন্থে এই বাক্যটি এবং এ অর্থের একাধিক বাক্য একাধিক সনদে বর্ণিত হয়েছে। প্রত্যেক সনদেরই একাধিক রাবী জালিয়াত হিসেবে প্রসিদ্ধ অথবা অত্যন্ত দুর্বল ও মিথ্যা বলায় অভিযুক্ত। এজন্য আবূ বাকর বাযযার আহমদ ইবনু আমর(২৯২ হি), ইবনু হাযম জাহিরী আলী ইবনু আহমদ(৪৫৬ হি), যাহাবী মুহাম্মাদ ইবনু আহমদ(৭৪৮ হি) ও অন্যান্য মুহাদ্দিস এই হাদীসটিকে জাল ও ভিত্তিহীন বলে গণ্য করেছেন। (আবদ ইবনু হুমাইদ, আল মুসনাদ, পৃ. ২৫০; ইবনু হাযম, আল ইহকাম ৬/২৪৪; যাহাবী, মীযানুল ইতিদাল ২/১৪১-১৪২; সাখাবী, আল মাকাসিদ, পৃ. ৪৯-৫০)।
260863
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:০৮
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন : ৫। আমার সাহাবীগণ নক্ষত্র তুল্য, তাদের যে কাউকে অনুসরণ করলেই তোমরা সুপথ প্রাপ্ত হবে।

৬। আমার উম্মতের ইখতিলাফ (মতবিরোধ) রহমত স্ব্রুপ।

এদুটোর ক্ষেত্রে কোনভাবেই আপনার সাথে সহমত হতে পারছি না, কিভাবে আপনি দাবী করেন এ দুটি হাদীস জাল?
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১০:১৮
204782
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন : একটু লক্ষ্য করুন-
হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-আমার সাহাবাগণ এমন তারকাতুল্য, যা পথ প্রদর্শন করে, সুতরাং তোমরা যার বক্তব্যকেই গ্রহণ কর তোমরা হেদায়েত পেয়ে যাবে। {মুসনাদে আব্দ বিন হুমাইদ, হাদীস নং-৭৮৩, মুসনাদুশ শিহাব, হাদীস নং-১৩৪৬, জামেউল আহাদীস, হাদীস নং-২৪৩৫৫}

উক্ত হাদীস সম্পর্কে কয়েকজন বিখ্যাত মুহাদ্দিসের বক্তব্য-
১-মুহাম্মদ বিন আহমাদ বিন সালেম আস সাফারিনী রহঃ বলেন-এর অনেক শাওয়াহেদ রয়েছে যা বর্ণনাটিকে শক্তিশালী করেছে। {শরহু কিতাবিস শিহাব-৫৮২}
২-ইবনে হাজার আসকালানী রহঃ বলেন-এ হাদীসের অনেক শাওয়াহেদ রয়েছে। {আল আমালিউল মুতলাকা-৬০}
৩-ইমাম বায়হাকী রহঃ বলেন-এর সনদটি শক্তিশালী নয়। {আল ই’তিকাদ-৩৭১}
৪-আল্লামা বুসিরী রহঃ বলেন-এর সনদ দুর্বল। {ইতখাফুল খাইরাহ-৭/৩৩৬}
দুইজন তো এটিকে শাওয়াহেদ (দলীলযোগ্য) বলে মত দিলেন। তার মধ্যে একজন আবার হাদীস শাস্ত্রের দিকপাল ইবনে হাজার আসকালানী (রহ); তাহলে আবার জাল হলো কিভাবে!!!

০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:৫০
205047
প্রেসিডেন্ট লিখেছেন : ৫ নং হাদীসটি সুস্পষ্ট জাল।

হাদীসটি আমাদের মধ্যে এত প্রসিদ্ধ যে, সাধারণ একজন মুসলিম স্বভাবতই চিন্তা করেন যে, হাদীসটি বুখারী, মুসলিমসহ সিহাহ সিত্তা ও সকল হাদীসগ্রন্থেই সংকলিত। অথচ প্রকৃত বিষয় হলো, সিহাহ সিত্তাহ তো দূরের কথা অন্য কোনো প্রসিদ্ধ হাদীস গ্রন্থে এ হাদীসটি নেই। যয়ীফ ও জালিয়াত রাবীগণের জীবনীগ্রন্থে, কয়েকটি ফিকহ গ্রন্থে ও অপ্রসিদ্ধ দুই একটি হাদীসের গ্রন্থে এই বাক্যটি এবং এ অর্থের একাধিক বাক্য একাধিক সনদে বর্ণিত হয়েছে। প্রত্যেক সনদেরই একাধিক রাবী জালিয়াত হিসেবে প্রসিদ্ধ অথবা অত্যন্ত দুর্বল ও মিথ্যা বলায় অভিযুক্ত। এজন্য আবূ বাকর বাযযার আহমদ ইবনু আমর(২৯২ হি), ইবনু হাযম জাহিরী আলী ইবনু আহমদ(৪৫৬ হি), যাহাবী মুহাম্মাদ ইবনু আহমদ(৭৪৮ হি) ও অন্যান্য মুহাদ্দিস এই হাদীসটিকে জাল ও ভিত্তিহীন বলে গণ্য করেছেন। (আবদ ইবনু হুমাইদ, আল মুসনাদ, পৃ. ২৫০; ইবনু হাযম, আল ইহকাম ৬/২৪৪; যাহাবী, মীযানুল ইতিদাল ২/১৪১-১৪২; সাখাবী, আল মাকাসিদ, পৃ. ৪৯-৫০)।
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:৫১
205048
প্রেসিডেন্ট লিখেছেন : ৬ নং একটি অতি প্রচলিত ও প্রসিদ্ধ কিন্তু জাল হাদীসঃ “আমার উম্মতের ইখতিলাফ(মতভেদ) রহমত বা করুণা স্বরূপ।”্
্ কখনো কখনো বলা হয়ঃ “আলেমদের এখতেলাফ বা মতবিরোধ রহমত।” এবং কেউ বলেন, “আমার সাহাবীগণের এখতেলাফ রহমত।”
মুহাদ্দিসগণ ঘোষণা করছেন যে, এই বাক্যটি রহমত হিসেবে সমাজে বহুমুখে প্রচলিত হলেও কোনো হাদীসের গ্রন্থে এই হাদীসটি সনদসহ পাওয়া যায় না। কোনো সহীহ, যয়ীফ এমনকি জাল সনদেও তা বর্ণিত হয় নি। সনদবিহীনভাবে অনেকেই বিভিন্ন গ্রন্থে এই বাক্যটি হাদীস হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আল্লামা সুবকী বলেছেনঃ “মুহাদ্দিসগণের নিকট এটি হাদীস বলে পরিচিত নয়। আমি এই হাদীসের কোনো সনদই পাই নি, সহীহ, যয়ীফ বা বানোয়াট কোনো রকম সনদই এই হাদীসের নেই।”(মোল্লা কারী, আল আসরার, ৫১পৃ.; সুয়ূতী, আল-জামি আস সগীর ১/১৩, আলবানী, যায়ীফাহ ১/১৪১)।
ইখতিলাফ বা মতভেদ মূলত নিন্দনীয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা অনুমোদিত বা প্রশংসিতও হতে পারে। আমরা ইখতিলাফের প্রশংসায় বা নিন্দায় অনেক কিছুই বলতে পারি। কিন্তু কোনো অবস্থাতেই রাসূলুল্লাহ(সা) এর নামে এই কথাটি বলতে পারি না, কারণ তা সনদবিহীন ভিত্তিহীন কথা।
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:১৫
205054
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন : ভাই, মাত্রই উল্লেখিত বইয়ে এই কথাগুলো দেখলাম, যা আপনি হুবহু নামিয়ে দিয়েছেন (হাদীসের নামে জালিয়াতী, অধ্যায়:২.৫.১২, পৃ:১৫১) । যাক, আমার কাজটা সহজ করে দিলেন।
ওখানে বলা হয়েছে "সিহাহ সিত্তাহ তো দূরের কথা অন্য কোনো প্রসিদ্ধ হাদীস গ্রন্থে এ হাদীসটি নেই"। উক্ত হাদীসটি পাওয়া গেছে মুসনাদে আব্দ বিন হুমাইদ, মুসনাদুশ শিহাব, জামেউল আহাদীস গ্রন্থে। এর মধ্যে জামেউল আহাদীস ও মুসনাদুশ শিহাব এ গ্রন্থ দুটি চেনে না এমন কোন হাদীসের ছাত্র আমার জানা মতে নেই। তথাপি ইমাম বায়হাকীর (রহ.)"আল মাদখাল" এবং আবু নসর আস সাজযীর (রহ.) "আল ইবানাহ" গ্রন্থ দুটিতেও হাদীসটি উল্লেখ আছে, এ গ্রন্থদুটো ঐরূপ প্রসিদ্ধ না হলেও একেবারেই কি অপরিচিত!!?? হাদীসের শুদ্ধতার জন্য কি জরুরী যে হাদীসটা অবশ্যই মাশহূর কোন কিতাবে উল্লেখ থাকতেই হবে? কোন উসূলে এটা আছে?

তবে হ্যাঁ, পরিচিতর দিক থেকে উসূলে হাদীসের পরিভাষায় এটিকে গঈরে মাশহুৃর বলা হয়। গঈরে মাশহুর হাদীসের ২টি শ্রেনী হতে পারে, ১. আযীয, ২. গরীব। উক্ত হাদীসটি আযীয শ্রেণীভূক্ত। সুতরাং, এক মু'তাবের কারণে হাদীসটিকে একেবারে জাল বলা সম্ভব নয়, কারণ শায বা জালের মু'তাবে থাকে না।
সর্বোপরী, আমাদের আজকের জামানায় এসে অনেক হাদীসই কেমন করে যানি জাল, শায, যঈফ হয়ে যায় এবং প্রবক্তা মুহাক্কিক বা মুহাদ্দিসগন রাবীদের মাযহুল বলে বসেন। অথচ পরে সেই তথাকথিত মাযহুলের ১৪ পুরুষ পর্যন্ত খবর বের হয়ে যায়। তাই এখানে অবশ্যই ইবনে হাজার আসকালানীর (রহ.) কথাই সর্বাধিক প্রণিধান যোগ্য-"এ হাদীসের অনেক শাওয়াহেদ রয়েছে।" {আল আমালিউল মুতলাকা-৬০} এবং যে হাদীসের একাধিক শাওয়াহেদ থাকে, সেই হাদীস যঈফ বা দূর্বল হলেও এই শাওয়াহেদের কারণে দলীলযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়, যতক্ষন না বিপরীত হুকুম বোধক আরো শক্তিশালী কোন হাদীস আসে।
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:১৭
205055
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন : ৬নং হাদীসটি সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত কিছু পড়তে পারিনী, তাই কোন মন্তব্য না করাই সমিচীণ মনে করছি। নিজে চাক্ষুস না পড়ে আরেক জনের কথার উপর নির্ভর করে হাদীস নিয়ে মন্তব্য করা নিতান্তই আহামকের মতো কাজ হবে।
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:০৫
205085
প্রেসিডেন্ট লিখেছেন : আপনার আলোচনা হতেও প্রতীয়মাণ হয়, হাদীসটি জাল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কিন্তু দুর্বল যুক্তি দিয়ে সেটি নাকচ করার চেষ্টা।

যাহাবী, সুয়ূতী, মোল্লা আলী কারী, সাখাবী প্রমুখ বিশ্বখ্যাত মুহাদ্দিসরা যখন জাল বলেন তখন সেটি নিয়ে আমাদের বিতর্ক না করাই উচিত। জাল হাদীসকে প্রচলন করার জন্য দলিলও তৈরি করেছে জালিয়াতরা। সুতরাং দলিল থাকলে সেটা জাল নয়- এটি বলার সুযোগ নেই।
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:১৪
205088
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন : আমার আলোচনা থেকে আপনি কিভাবে বুঝলেন হাদীসটি জাল? আমার আলোচনা আমি শেষ করেছি যে কথায় সেটি হলো, "যে হাদীসের একাধিক শাওয়াহেদ থাকে, সেই হাদীস যঈফ বা দূর্বল হলেও এই শাওয়াহেদের কারণে দলীলযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়, যতক্ষন না বিপরীত হুকুম বোধক আরো শক্তিশালী কোন হাদীস আসে। "
এবং আমি দেখিয়েছি উক্ত হাদীসের একাধিক শাওয়াহেদ আছে। আমি বলেছি হাদীসটি গরীব এবং দূর্বল। কিন্তু হাদীস বটে।
এখানে জাল পেলেন কই একটু বুঝিয়ে বলবেন?
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:১৭
205089
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন : "জাল হাদীসকে প্রচলন করার জন্য দলিলও তৈরি করেছে জালিয়াতরা।"
যে হাদীসগ্রন্থগুলি থেকে দলীল দেওয়া হয়েছে, তথাপি যেখানে ইবনে হাজার আসকালানী, ইবনে আহমাদ সাফরানীর (রহ.) মতো মুহাদ্দিসের পজেটিভ মন্তব্যের পরেও উপরোক্ত মন্তব্যের যে কি ভিত্তি হতে পারে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:৩৭
205093
প্রেসিডেন্ট লিখেছেন : আল্লামা ইবনু হাজার আসকালানী হাদীসটি সহীহ বা যয়ীফ বলেন নি। শাওয়াহেদ আছে বলে মন্তব্য করেছেন। আপনি এবার খোলামনে চিন্তা করুন-সঠিক জবাব পাবেন। আমার মন্তব্যটি জালিয়াতদের লক্ষ্য করে সাধারণভাবে। আমি আপনাকে প্রচুর উদাহরণ দিতে পারবো-বানোয়াট কথার ভিত্তি মজবুত করার জন্য দলিল তৈরি করেছে জালিয়াতরা। সনদ থাকলেই সেটি জাল নয়-এটি বলার সুযোগ নেই।

আমাদের দেশেই ‘মিলাদ ও কিয়াম’ নামক িএকটি বইতে মোস্তফা হামিদী নামক একজন মুহাদ্দিস আলেম নিজের মনগড়া একটি বক্তব্যকে হাদীস হিসাবে উল্লেখ করে বিশ্বাসযোগ্য করার জন্য রেফারেন্স দিয়েছেন সহীহ বুখারীর। সচেতন হতে হবে, চোখকান খোলা রাখতে হবে ব্রাদার।
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:৪৯
205104
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন : আপনার বাকী কথাগুলোর উপর পরে আসি, প্রথমে দয়া করে একটু বলবেন যে উসূলে হাদীসের অনুসারে শাওয়াহেদ হাদীসের হুকুম কি?

হয়তো লক্ষ্য করেছেন যে, ৬নং হাদীসটি সম্পর্কে আমি কি বলেছি, আশা করি এতেই বোঝা যাবে আমি কিভাবে যাচাই বাছাই করি।
260878
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:৩৬
আজিম বিন মামুন লিখেছেন : আপনিইযে কৌশলে সহীহ কে জাল বানানোর চেষ্টা করছেন না।সে বিষয়ে কি করে নিশ্চিত হই।এখানে উল্লেখিত সবই জাল নয়।এসব ব্যাপারে ভাল না জানলে সাধারণের চুপ থাকাই উত্তম।এটা উলামাদের কাজ।
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:০০
204733
কাহাফ লিখেছেন : ৫নংটা তো সহিহ ইবনে মাযাহ এর হাদিস,কিভাবে তা জাল হতে পারে...? ব্লগারের মতলব ভালো মনে হচ্ছে না।
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১০:০৩
204774
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন : @আজিম বিন মামুন
সহমত।
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:০৩
205051
প্রেসিডেন্ট লিখেছেন : পোস্টদাতার পক্ষ হতেঃ

৫ নং হাদীসটি সুস্পষ্ট জাল।

হাদীসটি আমাদের মধ্যে এত প্রসিদ্ধ যে, সাধারণ একজন মুসলিম স্বভাবতই চিন্তা করেন যে, হাদীসটি বুখারী, মুসলিমসহ সিহাহ সিত্তা ও সকল হাদীসগ্রন্থেই সংকলিত। অথচ প্রকৃত বিষয় হলো, সিহাহ সিত্তাহ তো দূরের কথা অন্য কোনো প্রসিদ্ধ হাদীস গ্রন্থে এ হাদীসটি নেই। যয়ীফ ও জালিয়াত রাবীগণের জীবনীগ্রন্থে, কয়েকটি ফিকহ গ্রন্থে ও অপ্রসিদ্ধ দুই একটি হাদীসের গ্রন্থে এই বাক্যটি এবং এ অর্থের একাধিক বাক্য একাধিক সনদে বর্ণিত হয়েছে। প্রত্যেক সনদেরই একাধিক রাবী জালিয়াত হিসেবে প্রসিদ্ধ অথবা অত্যন্ত দুর্বল ও মিথ্যা বলায় অভিযুক্ত। এজন্য আবূ বাকর বাযযার আহমদ ইবনু আমর(২৯২ হি), ইবনু হাযম জাহিরী আলী ইবনু আহমদ(৪৫৬ হি), যাহাবী মুহাম্মাদ ইবনু আহমদ(৭৪৮ হি) ও অন্যান্য মুহাদ্দিস এই হাদীসটিকে জাল ও ভিত্তিহীন বলে গণ্য করেছেন। (আবদ ইবনু হুমাইদ, আল মুসনাদ, পৃ. ২৫০; ইবনু হাযম, আল ইহকাম ৬/২৪৪; যাহাবী, মীযানুল ইতিদাল ২/১৪১-১৪২; সাখাবী, আল মাকাসিদ, পৃ. ৪৯-৫০)।
৬ নং একটি অতি প্রচলিত ও প্রসিদ্ধ কিন্তু জাল হাদীসঃ “আমার উম্মতের ইখতিলাফ(মতভেদ) রহমত বা করুণা স্বরূপ।”্
্ কখনো কখনো বলা হয়ঃ “আলেমদের এখতেলাফ বা মতবিরোধ রহমত।” এবং কেউ বলেন, “আমার সাহাবীগণের এখতেলাফ রহমত।”
মুহাদ্দিসগণ ঘোষণা করছেন যে, এই বাক্যটি রহমত হিসেবে সমাজে বহুমুখে প্রচলিত হলেও কোনো হাদীসের গ্রন্থে এই হাদীসটি সনদসহ পাওয়া যায় না। কোনো সহীহ, যয়ীফ এমনকি জাল সনদেও তা বর্ণিত হয় নি। সনদবিহীনভাবে অনেকেই বিভিন্ন গ্রন্থে এই বাক্যটি হাদীস হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আল্লামা সুবকী বলেছেনঃ “মুহাদ্দিসগণের নিকট এটি হাদীস বলে পরিচিত নয়। আমি এই হাদীসের কোনো সনদই পাই নি, সহীহ, যয়ীফ বা বানোয়াট কোনো রকম সনদই এই হাদীসের নেই।”(মোল্লা কারী, আল আসরার, ৫১পৃ.; সুয়ূতী, আল-জামি আস সগীর ১/১৩, আলবানী, যায়ীফাহ ১/১৪১)।
ইখতিলাফ বা মতভেদ মূলত নিন্দনীয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা অনুমোদিত বা প্রশংসিতও হতে পারে। আমরা ইখতিলাফের প্রশংসায় বা নিন্দায় অনেক কিছুই বলতে পারি। কিন্তু কোনো অবস্থাতেই রাসূলুল্লাহ(সা) এর নামে এই কথাটি বলতে পারি না, কারণ তা সনদবিহীন ভিত্তিহীন কথা।
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:০৪
205052
প্রেসিডেন্ট লিখেছেন : আশ্চর্য্যের বিষয় হলো, সাহাবীগণের মর্যাদা প্রমাণের জন্য আমরা এই ধরনের অনির্ভরযোগ্য হাদীসের উপর নির্ভর করি, অথচ কুরআনে অনেক স্থানে সুস্পষ্টভাবে তাঁদের মর্যাদা বর্ণনা করা হয়েছে। তাঁদের মর্যাদার বিষয়ে অনেক সহীহ হাদীস প্রসিদ্ধ হাদীসের গ্রন্থসমূহে সংকলিত রয়েছে।
(আরো দ্রষ্টব্যঃ হাদীসের নামে জালিয়াতি ও প্রচলিত জাল হাদীসঃ ড. আনম আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর)।
260937
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১০:০২
সজল আহমেদ লিখেছেন : সবার আগে জানতে চাচ্ছি আপনার মাযহাব সম্পর্কে ,আপনি কোন মাযহাবের ?
এবং ঐ লেখক কোন মাযহাবের ?
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:০৬
205053
প্রেসিডেন্ট লিখেছেন : উক্ত লেখক একজন প্রখ্যাত কওমী আলেম ও হানাফী মাযহাবের অনুসারী। পরবর্তীতে অবশ্য উনি মদীনা বিশ্ববিদ্যালয় হতে ডক্টরেট করেছেন। বর্তমানে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর।

এ হাদীসগুলি সব কটি জাল। কিন্তু আমাদের সমাজে এত বেশি প্রচলিত হয়ে গিয়েছে যে, আলেমরা হাদীস গ্রন্থ খুলে যাচাই করার প্রয়োজন ও মনে করেন না। যে দুটি নিয়ে আপত্তি েএসেছে সে দুটির দলিল দিয়েছি উপরে। বাকিগুলিও জাল।
260959
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১০:২৪
মু. মিজানুর রহমান মিজান (এম. আর. এম.) লিখেছেন : এখানে কয়েকটি হাদীস আছে যা হয়তো আপনার দৃষ্টিতেই জাল। আর যদি না হয় তবে দলিল বের করুন।
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:৫৩
205049
প্রেসিডেন্ট লিখেছেন : এ হাদীসগুলি সব কটি জাল। কিন্তু আমাদের সমাজে এত বেশি প্রচলিত হয়ে গিয়েছে যে, আলেমরা হাদীস গ্রন্থ খুলে যাচাই করার প্রয়োজন ও মনে করেন না। যে দুটি নিয়ে আপত্তি েএসেছে সে দুটির দলিল দিয়েছি উপরে। বাকিগুলিও জাল।
260980
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১০:৪৪
বুড়া মিয়া লিখেছেন : পোষ্ট এবং মন্তব্যের মাধ্যমে বেশ কিছু জিনিস জানলাম, লেখককে ধন্যবাদ।
261010
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১২:৩৩
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : এই হাদিস গুলির সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা ডঃ আবদুল্লাহ জাহাঙ্গির রচিত "হাদিসের নামে জালিয়াতি" বইটিতে পাবেন। বইটি আসসুন্নাহ পাবলিকেশন্স থেকে প্রকাশিত। লেখক রিয়াদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট প্রাপ্ত একজন মুহাদ্দিস এবং ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়ার অধ্যাপক। তিনি ওই গ্রন্থটিতে যেীক্তিক পদ্ধতিতে বিচার করে সমাজে হাদিস হিসেবে প্রচলিত কিছু জইফ ও মাউজু বা জাল হাদিস এর বিস্তারিত বিবরন দিয়েছেন।
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:৪১
205042
প্রেসিডেন্ট লিখেছেন : রাইট, অসাধারণ একটি বই। হাদীস সংকলনের ইতিহাস হতে বিস্তারিত খুঁটিনাটি ও মুহাদ্দিসদের গবেষণালব্ধ ফলাফল সবিস্তারে বর্ণিত হয়েছে।
261186
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:০১
একজন বীর লিখেছেন : সর্বপ্রথম ক্ষমা চেয়ে নিচ্চি মোবাইলে কমেন্টের জবাব দিতে পারছিনা বলে। এখানে যে হাদীস গুলোর উল্লেখ করা হয়েছে এগুলো লেখকের নিজস্ব মতামত নয়। এগুলো হাদীস বিশারদদের গবেষনা লব্ধ ফলাফল। আর লেখক যে বই থেকে এগুলো উল্লেখ করেছেন সে বইয়ের রেফারেন্স দেয়া আছে।

মন্তব্যের জন্য সবাইকে অসং্খ্য ধন্যবাদ!
261197
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:৫৬
প্রেসিডেন্ট লিখেছেন : আপনার আলোচিত সব কটি হাদীসই জাল। তবে তথ্য ও রেফারেন্স নির্ভর হওয়া উচিত এ সংক্রান্ত আলোচনা।
১০
261210
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:৩৭
সজল আহমেদ লিখেছেন : চিন্তায় ফেলে দিলেন !

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File