জামায়াত নেতাদের হত্যা এবং ইসলাম বিরোধীদের চরিত্র

লিখেছেন লিখেছেন মোস্তাফিজুর রহমান ০৬ নভেম্বর, ২০১৪, ১১:৫৬:০২ সকাল

কোন জাতি এক ব্যক্তিকে নবী বলে জানার ও মেনে নেয়ার পরও তাকে হত্যা করেছে, আপাতঃ দৃষ্টিতে এটা একটা বিস্ময়কর ব্যাপার বলে মনে হয়। কিন্তু দুনিয়ার বিকৃত জাতিদের রীতিনীতি, কাজ-কারবার এমনি বিস্ময়করই হয়ে থাকে। যে ব্যক্তি তাদের অন্যায় ও পাপ কাজের সমালোচনা করে এবং তাদের অবৈধ কাজে বাধা দেয়, এমন কোন ব্যক্তিকে তারা নিজেদের মধ্যে বরদাশ্‌ত করতে পারে না। নবী হলেও এই ধরনের লোকেরা হামেশা অসৎ, দুশ্চরিত্র ও পাপাচারী জাতিদের হাতে কারাযন্ত্রণা ও মৃত্যুদণ্ড ভোগ করে এসেছেন। তালমুদে লিখিত হয়েছেঃ বখতে নসর বায়তুল মাক্‌দিস জয় করে সুলাইমানী হাইকেলে প্রবেশ করলেন এবং সেখানে ঘুরে ফিরে দেখতে লাগলেন। যে স্থানে কুরবানী করা হয় সে স্থানের ঠিক সামনে দেয়ালে এক জায়গায় তিনি একটি তীরের নিশানী দেখলেন।তিনি ইহুদীদেরকে জিজ্ঞেস করলেন, এটা কিসের নিশানী ৷ ইহুদীরা জবাব দিল, '' এখানে আমরা যাকারিয়া নবীকে হত্যা করেছিলাম। তিনি আমাদের অসৎকাজের জন্য তিরস্কার করতেন। অবশেষে তার তিরস্কারে অতিষ্ঠ হয়ে আমরা তাকে হত্যা করেছি। '' বাইবেলে ইয়ারমিয়াহ নবী সম্পর্কে বলা হয়েছেঃ বনী ইসরাইলদের অসৎকর্মসীমা ছাড়িয়ে যাওয়ার পর হযরত ইয়ারমিয়াহ তাদের এই মর্মে সতর্ক করে দিলেন যে, এসব বদ কাজের প্রতিফল হিসেবে আল্লাহ অন্য জাতিদের হাতে তোমাদের ধ্বংস করে দেবেন। এর জবাবে তার বিরুদ্ধে দোষারোপ করলোঃ '' এই ব্যক্তি 'কালদানী' জাতির সাথে হাত মিলিয়েছে, তাদের সাথে যোগসাজশ করেছে। এই ব্যক্তি জাতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।'' এই অভিযোগে তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হলো। এমনকি হযরত ঈসা আলাইহিস সালামের শূলে চড়াবার ঘটনার মাত্র দুই আড়াই বছর পূর্বে হযরত ইয়াহ্‌ইয়ার (আ) ব্যাপারটি ঘটে গিয়েছিল। ইহুদীরা সাধারণভাবে তাকে নবী বলে জানতো। অন্তত তাকে জাতির সবচাইতে সৎলোক হিসেবে মানতো। কিন্তু যখন তিনি হিরোডিয়াসের (ইহুদী রাষ্ট্র প্রধান) দরবারের অন্যায় ও অসৎকাজের সমালোচনা করলেন তখন আর তাকে বরদাশত করা হলো না। প্রথমে তাকে কারারুদ্ধ করা হলো তারপর রাষ্ট্র প্রধানের প্রেমিকার দাবী অনুযায়ী তার গর্দান উড়িয়ে দেয়া হলো।



ইসলামী বিরোধীতে শক্তিগুলোর চরিত্র এমনই হয়। নবী রাসুলদের সাথে ইসলাম বিরোধীদের ব্যবহার ছিল এমন। আর জামায়াত নেতারাতো নবী বা রাসুল নন। আ'লীগ সরকার কর্তৃক যদি জামায়াত নেতাদের যদি হত্যা করা হয় তাহলে এটা অস্বাভাবিক কিছু হবেনা। মৃত্যু একদিন আসবেই। ওই সময়টা নির্ধারিত এবং নির্দিষ্ট। একটুও আগ-পর হবেনা। সুতরাং মন মরা হওয়া বা ভেঙ্গে পড়ার কিছুই নেই। আর মনমরা হওয়া বা ভেঙ্গেপড়া মুমিনের লক্ষণ নয়।

বিষয়: বিবিধ

১৩১৯ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

281753
০৬ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৮
তোমার হৃদয় জুড়ে আমি লিখেছেন : ইসলাম ও দ্বীনকে বিজয়ী করতে যদি ফাঁসির মঞ্চেও যেতে হয় তবে যাওয়া উচিত। কার‌ণ এরকম শহীদি মৃত্যু সবার কপালে নাও জুটতে পারে।
282564
০৯ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ০১:৫১
মোস্তাফিজুর রহমান লিখেছেন : ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File