"-১২-ই ডিসেম্বর সারাদিন। মায়ানমারের পতাকা এবং অংসান সুচির ফটো/কুশপুত্তলিকায় আগুন দিন।

লিখেছেন লিখেছেন নূর আল আমিন ১১ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০৬:১৫ রাত



"আপনাদের সফলতার কিছু অংশ।

আপনাদের হুংকারের কিছু চিত্র। আপনারা ১২-ডিসেম্বর আবারো সফল হউন।

১/ ২০১৩- সময়টা পবিত্র রমজান মাস। আমরা যখন ইফতারী সাহরীতে ব্যাস্ত। তখন ফিলিস্তিনা পিত্রা-পুত্র/ স্ত্রী-কন্যার লাশ দাফনে ব্যাস্ত। তখন বিশ্ব মিডিয়াও ছিলো চুপ! শুধু অনলাইনের মাধ্যমে বিশ্বে তুলে ধরেছেন আপনারা।/

"শুধু তাই না। দুস্থ্য ফিলিস্তিনীর জন্য টাকা পাঠিয়ে ক্ষুদার্থ মুসলিমদের মুখে আহার তুলে দিছেন অনলাইনের মাধ্যমে।//

২/ সময়টা ২০১৪।- টেকনাফ সীমান্তে বার্মিজ সীমান্তরক্ষী বাহিনী ৩-জন বিজিবিকে তুলে নিয়ে যায় ২-জন বিজিবি ভাগ্যক্রমে পালিয়ে আসে। দুর্ভাগ্যক্রমে আটক হয় আব্দুর রাজ্জাক। আব্দুর রাজ্জাককে ডাষ্টবিনের পাশে মুরগী চোরের মতো বেধে উল্লাস ছবি তোলে বার্মিজ সীমান্ত রক্ষীদের সিক্রেট গ্রুপে উল্লাস করে বার্মিজ সীমান্ত রক্ষীরা। বার্মিজ সীমান্ত রক্ষীদের সাথে উল্লাসে তাল মিলায় এদেশে বসবাস করা বার্মিজ সেটেলার উপজাতি খাপ্পারা (চাকমারা)। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অস্বীকার করেছিল কেউ আটক হয়নাই। খাপ্পাদের গ্রুপে ঢুকে কৌশল করে আব্দুর রাজ্জাকের সে ছবিটা এনে ফেসবুকে ছড়ায় কমরেড ভাই। সেই ছবি ফেসবুকের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন আপনারা।

"আপনাদের সে ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার ২দিন পর ছবিটা স্থান পায় আন্তর্জাতিক মিডিয়ায়। ৩দিনের মাথায় মুক্তি পায় বিজিবি নায়েক আব্দুর রাজ্জাক। এখানেও ভেসে উঠে আপনাদের সফলতা।

৩/ সময়টা ২০১৫-। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাহাড়ে অস্ত্র উদ্ধার অভিজান চালায় সেনাবাহিনী। পাহাড়ি উপজাতি বার্মিজ সেটেলার সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সাথে ২দিন যুদ্ধ করে স্বরণকালের সবচেয়ে বেশী ভারি ভারি অস্ত্র উদ্ধার করে সেনাবাহিনী। পার্বত্য চট্টগ্রামের সে অস্ত্র উদ্ধার যুদ্ধে নিহত হয় ২-বার্মিজ উপজাতি চাকমা সন্ত্রাসী। যখন সেনাবাহিনীর এমন সাফল্যে দেশের বিভিন্ন মহলে সেনাবাহিনীর ভূয়সী প্রশংসা চলছে। তখনই "র" ও খাপ্পাদের এদেশীয় এজেন্ট "প্রথমালু" দেশভাগের এক আবেগীয় গল্প ফাদে। "প্রথামালুর সেই শিরোনাম ছিলো"

"সেনাবাহিনীর গুলীতে দুইজন পাহাড়ি আদিবাসী নিহত" " এখন কোথায় যাবে কমলা চাকমা"

"বিশ্বমহলে যখন প্রথমালু বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করতে চাইছিলো। ঠিক তখনই আপনারা জেগেছেন। পুড়িয়ে দিয়েছিলেন প্রথামালুর হাজার হাজার কপি। প্রতিবাদের মুখে প্রথমালু ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয়েছিল। আপনাদের প্রতিবাদের কারণে প্রথামালু-দিল্লিষ্টার হারিয়েছিল ৯০-লাখ টাকার বিজ্ঞাপন। দেশের বিভিন্ন নামীদামী প্রতিষ্ঠান প্রথমালুতে বিজ্ঞাপন দেওয়া বন্ধ করে। এখানেও আপনাদের সফলতা।

"৪/ সময়টা ২০১৬- বইমেলায় রাসুল সাঃকে কটাক্ষ করে নোংরা বই লিখে সামসুজ্জুহা নামের এক বেয়াদব। সে বই প্রকাশ করে ব-দ্বীপ প্রকাশনী নামে এক বেয়াদব প্রকাশনী। শেষ পর্যন্ত ব-দ্বীপ প্রকাশনীও বন্ধ হয়। গ্রেফতার হয় লেখক প্রকাশ নামের কুলাঙ্গারগুলো। সেটা একমাত্র সম্ভব হয়েছে শুধু আপনাদের অনলাইনের প্রতিবাদের জন্য।

৫/-এইতো রমজান মাসে ঢাকার গুলশানের হামলায় বিশিষ্ট ইসলামী স্কলার ডঃ জাকির নায়েককে জড়িয়ে ভিত্তিহীন রিপোর্টের কারণে আপনারা ডেইলিষ্টার-প্রথমালু পুড়িয়ে আবারো ওদের বাঁশ দিয়েছিলেন। আপনাদের ছড়িয়ে দেওয়া দিল্লিষ্টার পুড়ানোর ছবি স্থান পেয়েছিল তুরস্কের জনপ্রিয় পত্রিকা। তুরস্ক টাইমস/ মিলি গ্যাজেটে/

-৬/ এইতো পহেলা বৈশাখে লুত আঃ কওমের অভিশপ্ত সমকামীদের উত্তসুরীরা বলেছিল প্রকাশ্যে র‍্যালি করে সমকামীতার প্রসার ঘটাবে। আপনারা অনলাইনে হুংকার ছেড়ে বলেছিলেন:-বেচে থাকতে তোদের সফল হতে দেবোনা। সমকামীরা গ্রেফতার হয়েছিলো। আপনারা সফল হয়েছিলেন। দেখিয়ে দিয়েছিলেন বিশ্বকে।

৭/- এইতো এই আগস্টে ঢাকার গেণ্ডারিয়ায় অর্ধনির্মিত মসজিদের ঢুকে নামাজী মুসল্লীদেরকে মারধর করে বের করে দেয় উগ্র হিন্দুদের পা-চাটা গোলাম পুলিশরা।মসজিদ নির্মাণে বাধায় দিয়ে রুল জারি করে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের হিন্দু সন্ত্রাসীরা।

"অনলাইনে হুংকার ছেড়েছিলেন আপনারা। প্রতিবাদে প্রতিবাদে ফেটে উঠেছিলেন দলমত নির্বিশেষে। সে মসজিদের জুম্মার ডাকে সমবেত হয়েছিলেন সবাই। অবশেষে আপনারাই জিতলেন। মসজিদ নির্মাণ সম্ভব হয়েছে এই অনলাইনের মধ্যে আপনাদের প্রতিবাদের কারণে।

"৮/ গত ২মাসেরও বেশী সময় ধরে মায়ানমারে চলছে মুসলিম গণহত্যা। মুসলিম তরুণীদের ধর্ষণ করে পৈশাচিকভাবে খুন করা হচ্ছে। আগুনে পুড়ানো হচ্ছে শিশুদের। সব দেখেও শান্তির দেবী ভংচং সুচি একদম চুপ। নাফ নদী ভাসতেছে রক্তে।

"আসুন আবারো হুংকার ছাড়ি। আসছে ১২ ডিসেম্বর মায়ানমারের পতাকার সাথে ভং চং সুচির ছবি/কুশপুত্তলিকা পুড়িয়ে ছড়িয়ে দেই অনলাইনের আনাচে কানাচে। বিশ্ব মিডিয়ায় তুলে ধরি সুচির প্রতি মনে জমানো ঘৃণার ক্ষুদ্র বিবরণ। দেখিয়ে দেই বিশ্বকে অনলাইনে। আপনারা আবারো হুংকার ছাড়ুন।

"আসছে ১২-ই- ডিসেম্বর সারাদিন মায়ানমারের পতাকা ও সুচির ফটো/কুশপুত্তলিকায় আগুন দিন

বিষয়: আন্তর্জাতিক

১৯৫৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File