যে কারণে আ’লীগ এগিয়ে, জামায়াতে ইসলামী পিছিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে।

লিখেছেন লিখেছেন সায়িদ মাহমুদ ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০১:০৯:৩৬ দুপুর

আ’লীগ যে ইন্টালেকটুয়্যেলিটি দিয়ে সবাইকে ছাড়িয়ে সাফলতা অর্জন করেছে, তাহলো নিজেদের নেতা কর্মিদের নিরাপদে রেখে, অস্ত্রধারী পুলিশ ও বিজিবিকে বিরূধীদল জামায়াত বিএনপি ও দেশবাসিকে শত্রুরূপে একে অপরের মুখোমুখি দাড় করিয়ে দিয়েছে।বিশেষ করে জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপির সর্মথক গোষ্টিকে, যার কারণে অধিকার আদায়ের মিছিলে গিয়ে শয়ে শয়ে জামায়াত ইসলামীর ডেডিকেটেড র্কমী সমর্থক গোষ্টি, পুলিশ বিজিবি ও র‌্যাবের গুলিতে খুন হচ্ছে, অন্যদিকে এইসব খুনের কারণে ডেডিকেটেড সাহসি কর্মিকমছে, ভিতু র্কমীরা সাহস হারিয়ে আন্দোলন থেকে মানষিক ভাবে ছিটকে পড়ছে। ফলে আ’লীগের বিরূদ্ধে দূর্বার আন্দোলনের জনশক্তি ক্ষয় ও দূর্বল হচ্ছে, অন্যদিকে আওয়ামিলীগ নেতা র্কমীরা মহাধুম ধামে নিরাপদে থেকে তাদের ট্রেডিশন চাদাঁবাজী, টেন্ডার বাজী, গলাবাজী, সংখ্যালগুদের বাড়ী ঘরে হমলা করে জামায়াতের উপর দোষ চাপানো, সহ অসংখ্য গুপ্ত হত্যা চালিয়ে যাচ্ছে নিরাপদে, তাদের এই এক্টিভিটিজের জন্য দায়ি জামায়াতে ইসলামির বোকামী ও বাধা না দিয়ে মেনে নেয়ার প্রবণতা। যা সামান্য প্রতিরোধ জামায়াতে ইসলামী গড়ে তুলেছে তাও রাষ্ট্রিয় বাহিনী, স্থাপনা সহ সাধারাণ মানুষদের সম্পদের উপর, যা মোটেও সমর্থন দেয়ার নয়, আ’লীগ ও এটাই চাচ্ছিল যেটিতে জামায়াত শিবির ক্ষেপে গিয়ে আ’লীগের পরিবর্তে চোখের সামনে যা পড়েই তাই টার্গেট করেন হিতেহীত জ্ঞান শুন্যর মতো ক্ষোভ প্রশমিত করবে। এখানেই জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক আন্দোলনের বোকামীটা ফুটে উঠে। এই দেশ এই রাষ্ট্রীয় বাহিনী, স্থাপনা, সম্পদ সব আমাদের এই বাংলাদেশের। কাল যদি ক্ষমতার পরিবর্তন হয় তাহলে এই একি বাহিনী সরকার ও সরকার দলীয় কর্মীদের হুকুমে আ’মীদের উপর একই হত্যা, নির্যাতনযজ্ঞ স্ব-উৎসাহে চালাবে। কারণ তারা সবসময়ই ক্ষমতাসীনদের হুকুমের গোলাম। সুতারাং এই সব ব্রুটালীটি, এক্সট্রিমিজম বন্ধকরতে হলে যেখান হতে এইসব ডিসিশন মেক হয় সেই উৎসতে খেয়াল করতে হবে, সেই উৎস প্রপারলি চিহ্নিত করে কার্যকর ফানিশমেন্ট দিতে হবে। তাবে তা ডালাও ভাবে নয়, চিহ্নিত ব্যক্তিও গোষ্টিদের কে এই ফনিশমেন্ট দিতে হবে, নইলে তারা কৃত অপরাধের কোন বাধা না পাওয়াতে আগের ব্রেুটালিটির চেয়ে দ্ধিগুণ উৎসাহে এই সব নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালাতে থাকবে। যখন অসহযোগ চুড়ান্ত আন্দোলনের কথা উঠে তখন আমাদের মধ্যে কিছু ভাই আছেন যারা নিজেদেরকে অর্দূদশী ভাবেন, এবং তা জাহীর করার জন্য, মিশরের ইখওয়ান, তুরষ্কের এরোদগানের জাষ্টিস ডেবলেপমেন্ট পার্টি, তিউনেসিয়ার আননাহাদ, ও আলজেরীয়ার গণ-ইসলামিষ্ট হত্যার উদাহারাণ টেনে এনে জামায়াতে ইসলামীকে দূর্বার চুড়ান্ত প্রতিরোধ এড়িয়ে একরকম গণ আত্তহুতী দিয়ে যাওয়ার উৎসাহ প্রধান করেন। অতচ্ তারা এটা বুঝতে চানানা যে মিশর, তুরষ্ক, তিউনিসের পূর্ববর্তি সরকার গুলো ৫০/৬০ বছর পর্যন্ত দীর্ঘ সময় নিয়ে তাদের রাষ্ট্রিয় প্রশাসনকে সাজিয়ে ছিলেন যে-সব প্রশাসন, আর্মি, পুলিশ ও গণমাধ্যাম ১০০% ইসলামিক পলিটিক্স এগেইনষ্ট ছিল। ইসলামিষ্ট ইগেইনষ্ট বা বিরূধী ছিলেন তাই সেখানে ইসলামিষ্টদের প্রতিরোধ সমূহ মাথা তুলে দাড়াতে পারেনি, যেখানেই দাড়াতে চেয়েছিলেন সেখানেই সেই আলজেরীয়ার মতান্তর অনুযায়ী ২০০০০০ দুইলক্ষ মুসলমানের উপর রাজনৈতিক হত্যাকান্ড চালানো হয়েছিল, সেদেশের মুসলমান নামধারী সেকুলার সরকার কর্তৃক। কিন্তু বাংলাদেশের পরিস্থিতি তাদের থেকে সম্পর্ণ ভিন্ন এই দেশের প্রশাসনে যথ নিয়োগ/বিয়োগ হয়েছে সেই ১৯৪৭ সালের পর থেকে আজ-অবদি সেই সব নিয়োগ গুলোতে যে ১০০% দলিয় নিয়োগ হয়েছে সে-কথা চরম বিরূধীও বলতে পারবেনা, র্দূনীতি, স্ব-জন প্রীতি, বেশি-কম সব আমলেই হয়েছে। তারপরও আশার কথা হচ্ছে আমাদের সকল সরকারী-বেসরকারী প্রশাসন গুলোতে সব দলরেই কম-বেশি সমর্থক কর্মী বাহিনী আছে, যেটি তিউনিশ, মিশর(ইখওয়ানের নিজস্বপ্রতিষ্টান ব্যাথীত), আলজেরীয়ায় ছিলনা। আমাদের দেশে যেটি নেই একজন সাহসী নেতার যে ডাক দিবে এই জুলুম, অবিচার, ও প্রকাশ্য হত্যাযজ্ঞ থেকে মুক্তিদেয়ার জন্য চিৎকার করে ডাক দিবে “ টু ডে ইউ আর মাষ্ট-বি ডু অর ডাই/Do or Die ( আজকে থেকে আমরা মারব নইলে মরব ) তবুও আমরা আমাদের অধিকার আদায় করবো, কারণ আমাদের নেতারা আমাদের শিখিয়েছেন বিড়ালের মতো একশ বছর বেছে থাকার চেয়ে সিংহের মতো একদিন বেছে থাকই শ্রেয়। তবে দেশের এই পরিস্থিতিতে আমারা প্রকাশ্য মারতে না পারলেও গোপনে...........(?).. । এদেশের আনসার, বিডিপি থেকে শুরু করে সেনাবাহীনি পর্যন্ত প্রত্যেকটি ডির্পাটমেন্টে উল্লেখযোগ্য অফিসার না থাকলেও আমাদের অসংখ্য সৈনিক ভাই আছে যারা বিএনপি, জামায়াতকে সর্মথন করেন মনেপ্রাণে। সুতারাং যেসব অযু্ক্তিক ধমন পীড়ন রাষ্ট্রিয় বাহিনীর দ্ধারা বিরূধীদলের উপর চালাচ্ছে তা চুড়ান্ত লড়াইয়ের সময় ঢালাও ভাবে চালানো সম্ভব নয় কোন এভিডেন্স বিহীন। যে সুবিধাটি অন্যান্যদেশ মিশর তউনিশ, তুরুষ্ক সহ আলজেরিয়ায় ছিলনা। সুতরাং আন্দোলনের নামে এভাবে অস্ত্র সজ্জিত পুলিশ বিজিবির গুলি খেয়ে মরার চেয়ে, আমাদের প্রতিটি ভায়ের মৃত্যুর বদলা সরূপ, পুলিশ বিজিবি বাদদিয়ে তিনজন তিনজন ইফেক্টিভ আওয়ামী লিডার, ও পোষ্য সাংবাদীক জাহান্নামে পাঠানোর ব্যাবস্থা করতে হবে। তাইলেই এ দেশে সত্যিকারের আইনের শাসন ও ভারস্যাম্য পূর্ণ সমাজ দৃঢ় হবে।

[জামায়াতে ইসলামীর বয়স এখন ৬০ অথবা কমবেশি কাছাকাছি। এতো লম্বা সময়ে তাদের আজকের এই অবস্থান বেশী অর্জন বলে তাদের নেতানেতৃরা কর্মিদের শুনিয়ে স্বাদ- আহ্লাদ করেন। যেটি মরতে মরতেও আশার বানি শুনানির মতো, রাজনৈতিক দূরর্দশীতা থাকলে সফল হওয়ার জন্য ১০ বছরই এনাফ টাইম, আমিতো বেশি বললাম বেশিদূর যেথে হবেনা এই উপমোহাদেশেই ভারতের “আম-আদমি“ পকিস্থানের তেহরিকে ইনসাফ বা পিটিআই পার্টি, তাদের প্রতিষ্টার প্রথম বছরের মধ্যেই স্বদেশের তৃতীয় বৃহত্তম রাজনৈতক দল হিসেবে নির্বচিত হয়েছেন। আ’লীগেরও ১৭/২০ বছরের বেশী লাগেনী রাজনৈতিক সফলতা পাওয়ার জন্য। সেখানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পার করছেন দীর্ঘ ৬০ বছরেরও বেশি সময়। অতচ এই দীর্ঘসময় ধরে তারা মানুষকে নীতি আর্দশের কথা বলেছেন, শিখিয়েছেন ইন্টেলেকট্যুয়েলিটি এতো কোয়ালিটির পরও আজকে তাদের যে রাজনৈতিক দারিদ্রতা, কি টিভি, পেপার, বুদ্ধিজীবী, সুশিল সমাজ সহ সমাজের পরিচিত নেতা নেতৃ পযন্ত সর্বত্রই তাদের রাজনৈতিক দারিদ্রতা ছাড়া আমাদের চোষে সচ্ছলতা ধরাপড়েনা, যা দেখি তা হলো গণসমর্থন, কিন্তু যোগ্য সাহসি ও অনসন্ধিৎসু নোত ছাড় গণসমর্থন অর্থহীন, তারা গণ সমর্থন তৈরিকরতে পরলেও গণ নেতা তৈরী করতে পারেননি (সাঈদী, শাহাজাহান, গোলাম আজমের মতো কয়েকজন ছাড়া) এত সব কিছু আমারা আম-জনতাদের ভাবায়, সাধারাণ সমর্থকদের ভাবায় এবং নোটিস করায় কিন্তু নেতা নেতৃদের ভাবায়না নোটিশ করেনা এটা কেমন করে হয় নিশ্চয় তারাও ভাবেন । কিন্তু ভাবার মতো ভাবেননা এই একুশ শতকের মতো করে ভাবেননা তারা ভাবেন ৬০ এর দশককে কেন্দ্র করে লিখা মাওলান মওদুদীর (রাঃ) এর পরানো বই পুস্তকের মতো করে। কিন্তু আমাদের নেতৃবৃ্ন্দদের মনেরাখতে হবে ১৯৬০ থেকে এখন ২০১৩ সাল বিশাল ও র্দীঘ ৫৩ বছরের পথ, এই সময়ে একটি প্রজন্ম বিনাশ হয়ে নতুন আরো কয়েকটি প্রজন্ম সৃষ্টি হয়েছে। সমগ্র বিশ্বব্যাবস্থায়ও ঘঠছে আমূল অকল্পনিয় পরিবর্তন। এই দীর্ঘ সময়ে ফকির আমির হয়েছেন, মানুষ গ্রহ থেকে মহাগ্রহান্তরে ভ্রমণ করছেন কিন্তু আমরা সেই পুরানো নীতি ও কৌশল গুলো থেকে নিজেদের উত্তরণ ঘঠাতে পারিনি, [তার মানে আমি বলছিনা যে মাওদুদী সাহেবের বই গুলো অনুসরণ করা যাবেনা] সুতারাং এখন সময় এসেছে তড়িৎ সিদ্ধান্ত নেওয়ার যেভাবে চলছে সেভাবেই চলবো নাকি সময়ের সাথে পরিবর্তন করে সামনে এগিয়ে যাবো? সেই এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণায়ই আমাদের কখনো কমতি ছিলনা সেই রাসূল (সাঃ) এর যুগ থেকে হুভাইব (রাঃ) থেকে শুরে করে শহীদ কাদের মোল্লার খুন আমাদের সর্বশেষ প্রেরণা।

বিষয়: বিবিধ

২৩০০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File