চ্যাল্যাঞ্জঃ মিঃ এমাজউদ্দিন

লিখেছেন লিখেছেন তরবারী ২০ জুলাই, ২০১৬, ০৮:১১:৩৪ রাত

রাজনৈতিক কিছু আলাপচারিতায় আমিও এক কাঁপ চা নিয়ে বসলাম।না ঠিক তা না,তবে কিছু একটা মন্তব্য না করে থাকতে পারছি না তাই একটু ঢু মারতে আসলাম।

মিঃ এমাজউদ্দিন আর মিঃ জাফরুল্লাহ।

আলোচিত ব্যাক্তিবর্গ।২০১৫ সালের ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এর নির্বাচনে সম্ভবত ভোট দিতে পারেন নাই,তখন উনি খেদ ঝেড়েছিলেন,সরকার উপহাস করেছিল।উপহাসের পাত্র হবে সাবেক উপচার্য! তা মেনে নেয়া যায় না,তাই নসিহত দেয়ার ট্যাবলেট গিললেন।

একটা গল্প মনে পড়লো,আমার সাথের এক ভদ্র লোক নিজে নামাজ এর ব্যাপারে ব্যাপক সচেতন (তবে সুরা কিরাত সব ভুল,আহকাম আরকান ও ভুল,অন্যদিকে সময় দিলেও এটা শিখাতে অনেকবার ট্রাই করেছি,কিন্তু উনি শিখেবন না),অন্যদেরকেও নামাজের জন্য বলতো,কিন্তু নিজের ছেলেটাকে কখনো নামাজের জন্য বলতোও না,তিরস্কার ও করতো না,এমনকি নিজের বউ ও ফ্যশন করে চলতো,ঢিঙ্গি মেয়েগুলোও আরও সরস।তাদেরকে নামাজ পর্দা তো দুরে থাক,গেঞ্জি প্যান্ট না পড়তেও বলতো না কিন্তু নিজে ঠিকই সময় হলেই ভো দৌড়!

এমন অবস্থা হয়েছে ইনাদের,আওয়ামী ভাষায় কথা বলাতে বিএনপির কেউ যেহেতু বাদ নেই(খালেদা জিয়া ছাড়া) উনারা এই প্রতিযোগিতায় কেন পিছিয়ে পড়বেন!

নেত্রীকে ঘর থেকে বের করে দেয় আর ছাত্রদলের ছেলেরা চুড়ি পড়ে থাকে,আপনারাও কুমীরের কান্না দেখিয়ে আড়ালে পার্টিতে মত্ত থাকেন তখন নসিহত কোথায় থাকে?

হাজার হাজার জামাত শিবির যখন রাস্তায় ঘুমায়,ক্রসফায়ারে বিধ্বস্ত হয় তখন আপনাদের বিবেকবোধ কোথায় থাকে?

রামু,সুন্দরবন,খাল বিল নদী নালা যখন ভারত নিয়ে যায় তখন আপনার দেশপ্রেম কোথায় থাকে?

জামাত এবং তার কর্মীরা বিশ্বাস করে তাদের নেতারা নির্দোষ এবং ১০০ পার্সেন্ট নির্দোষ এবং এর প্রমাণ জামাতের নেতারাই সম্ভবত তাদের কর্ম আর জীবন দিয়ে প্রমাণ করে গেছেন,যদিও আপনাদের মত ভাঁড় আর দালালদের বোঝার কথা না।

আপনার আজকের উপলব্ধি আর বিএনপির অবস্থান যদি জামাতের প্রতি এই হয় তবে আপনাদের লজ্জা করা উচিত,আপনাদেরকেই প্রথমে গং স্নান করে শুদ্ধ হয়ে আসা উচিত।

কারণ জোটের প্রধান তো জামাত না,আপনারাই প্রধান আর আপনারা কেন গু তে পা দিলেন?গু তে পা দিয়ে গু এর সব চেটে খেয়ে এখন বলেন গু দুরে যা।আরে বলদ কথিত গু তো এমনি নাপাক,পাক হতে হলে আপনাদের হতে হবে।আপনাদের নিজেদের শুদ্ধি দরকার,সেখানে নসিহত না করে আপনারা অন্যকে নিয়ে ব্যাস্ত!

নাকে ক্ষত দিয়ে বরং জাতির সামনে আপনারা হাতজোড় করে ক্ষমা চেয়ে বলেন যে "সৎ কোন মন্ত্রী বা দল আমাদের দরকার নেই,আমরা তাদের ব্যাবহার করেছি,আমরা গু খেয়েছি,এখন বমি করে মাফ চাই"-পারবেন বুকে হিম্মত নিয়ে এই কথাগুলো বলতে ?

দল হিসেবে আপনারা গট ৭ বছর যে বেইমানি গুলো করেছেন,২০১৪ এর আগে আঁতাত করেছিলেন,আঁতাত করে জনগণের বিশ্বাসের সাথে প্রতিনিয়ত যে খেলা গুলো খেলছেন তার ব্যাপারে নসিহত না করেন উপলব্ধি আছে তো?

দেশে রজনয় কি করেছেন বা করবেন সে তো পরে,নেতার জন্য একটা টকা খেতেও যে দলের নেতাকর্মীরা ইচ্ছুক না,তারা দেশের জন্য কি করবে সেই উপলব্ধিটুকু করতে পারেন?

এবার আসি অন্য কথায়!

কোথায় জোট! কার জোট!

২০০৯ সালের পর থেকে আন্দোলন মিছিলে শিবির এর রক্ত ঝরতে ঝরতে সমাবেশ আর রাজপথগুলো টিকে ছিল,আপনাদের অবস্থান কোথায় ছিল?

যেদিন থেকে তারা আপনাদের খেল বুঝতে পারলো আর একটু সরে দাঁড়ালো তখন থেকে কোন মাঠে আপনারা আছেন?

সেই তাদেরকে আপনি নসিহত করেন সাইড নিতে?

সাইড তো নিবেন আপনার মত ভাদা গুলো,যারা নেত্রীর সরলতার সুযোগ নিয়ে দল ও দেশকে ধ্বংস করেছেন।

জামাত কি আপানদের কাছে জোটভিত্তিক কিছু চেয়েছে বা আপনারা দিয়েছেন?বরং আপনাদেরকেই দেখেছি জামাতের পানে পথ চেয়ে বসে থাকতে আর আপনারাই বুলি বুলান?

মৃত্যু আর ত্যাগের মিছিলে যখন রক্তের সাগর তখন কোথায় আছে বা ছিল এই জোট?

জামাত কি করবে না করবে সেই আশা বাদ রেখে হিম্মত থাকলে আজকেই ঘোষণা দেন যে আমরা জামাতের সাথে নেই,জোট বলতে কিছু নেই।

দেশ যখন রসাতলে তখন আপনাদের মত উপদেষ্টা খেয়ে খেয়ে কত মোটা তাজা,আর তারা নাকি নীতিবাক্য বানাচ্ছেন?

বিষয়: বিবিধ

১১৬১ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

375028
২০ জুলাই ২০১৬ রাত ০৯:৪৫
কুয়েত থেকে লিখেছেন : জামাত কি করবে সেই আশা বাদ রেখে হিম্মত থাকলে আজকেই ঘোষণা দেন যে আমরা জামাতের সাথে নেই,জোট বলতে কিছু নেই অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ
২১ জুলাই ২০১৬ রাত ০৩:১৫
311057
তরবারী লিখেছেন : সব সমস্যা একটাই,কেউ নিষিদ্ধ ও করবে না,ছাড়বেও না।খেয়ে দেয়ে শেষ ক্রে পরে ছুড়ে ফেলবে ---- তাহলে কে স্বার্থপর !
375029
২০ জুলাই ২০১৬ রাত ১০:২৭
হতভাগা লিখেছেন : বিএনপি এবং তার প্রতিষ্ঠাতা জামায়াতের জন্য যা কিছু করেছে এবং এর জন্য তাদের যে সাফার করতে হয়েছে সেটার ঋণ জামায়াত নিজের চামড়া , মাংশ , হাড় গোড় দিয়েও শোধ করতে পারবে না ।

বিএনপি ছেড়ে দিলে মনে করেন আওয়ামী লীগ জামায়াতকে লুফে নেবে ? লুফে নিলে তো জামায়াতের জন্যই ভাল হবার কথা । এত ট্রাইবুনাল কাহিনী আর সহ্য করতে হত না । প্রতিদিন যে জামায়াত কর্মী পাইকারি হারে গ্রেফতার হচ্ছে সেটা আর হত না ।

জামায়াত কেন ঘোষণা দিয়ে আপনাদের মতে হাতে চুরি পড়া বিএনপির কাছ থেকে বের হয়ে আসছে না - যদি এতই হেডম থাকে যে দেশের মানুষ এখন নাকি জামায়াতের দিকে ঝুঁকে গেছে ।

জামায়াত নিজেরাও জানে ও বুঝে যে বিএনপি থেকে বের হওয়া মাত্রই তাদেরকে সাধারণ মানুষ একেবারে চিঁড়ে ফেলবে । মুক্তিযোদ্ধাদের দলের সাথে আছে বলে মানুষ এখনও জামায়াতকে সেরকমভাবে ধরছেই না ।

জানেন তো - পিপিলিকার পাখা গজায় মরিবার তরে ।

আপনাদের সময় চলে এসেছে ।
২১ জুলাই ২০১৬ রাত ০৩:১৪
311056
তরবারী লিখেছেন : পিপীলিকার আছেই কি আর হারাবেই কি?যাদের কিছু নাই তাদের হারানোর ভয়!
বিএনপির উচিত জামাত কে লাঠি মেরে বের করে দেয়া ---- এই প্রত্যাশায় এই লিখা ভাই।

২১ জুলাই ২০১৬ সকাল ০৮:১৩
311063
হতভাগা লিখেছেন : এটা অনেক আগেই করা উচিত ছিল , ২০০১ এ যখন জোটে নেয় । কারণ আগের টার্মেই জামায়াত তাদের আসল চেহেরা দেখিয়ে দিয়েছিল ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File