মাফিয়া চক্রের হাতে বাংলাদেশ : আর কতদিন ?

লিখেছেন লিখেছেন তিমির মুস্তাফা ০৯ আগস্ট, ২০১৮, ০৯:২৪:৪০ সকাল





হাঁড়ীর ভাত একটা দুটো টিপলেই নাকি বুঝা যায় বাকী ভাত গুলোর অবস্থা। তিনটে কাহিনী শুনা যাক প্রবাসির মুখে! না, কাহিনী নয়, সব গুলোই বাস্তব সত্য ঘটনা! এতেই খোলাসা হয়ে যাবে কি ঘটছে বাংলাদেশে! গত ২০১৫- থেকে ২০১৭’র মধ্যে এই ঘটনাগুলো ঘটেছে!

কাহিনী -১;

ভাই, দেশে কবে আসলেন?

মধ্য বয়সী লোক, গালে ক’দিনের না কামানো খোঁচা খোঁচা দাড়ি। হতাশাগ্রস্থ, বিষাদময় কণ্ঠস্বর ভেসে এলো যেন অনেক দূর থেকে।

ব্যাস্ত বাজারের এক কোনায় দাঁড়িয়ে কথা বলছি দু’ তিনজন পরিচিত লোকের সাথে; ঘুরে তাকালাম। চেনা মুখ, তবে এক যুগেরর অদক্ষতা, বলি- এইতো কয়দিন। পলেস্তারা পড়েছে স্মৃতির গায়ে। ক’বছর পিছিয়ে গিয়ে স্মৃতি হাতড়াতে থাকি। নামটা মনে পড়ছে না, পাশের গ্রামের লোক। স্মৃতি অসহযোগীতা করে, হাসি মুখে আড়াল করি তা! কেমন আ

ছেন? প্রশ্ন দিয়ে প্রশ্ন আড়াল করি – ইহুদি কায়দায়।

কথা বলে চলেন তিনি। জমি বিক্রি করতে চান। আমার কি ইচ্ছা আছে জমিটা কেনার? কেন জমি বিক্রি করতে হবে? ছেলেটার চাকুরীর জন্য। লেখাপড়া কদ্দুর ছেলের? খুব একটা না। স্থানীয় প্রাইমারী স্কুলে পিয়ন পদের জন্য দরখাস্ত করেছে। এর সাথে জমি বিক্রির সম্পর্ক কি? পাঁচ লাখ টাকা দিতে হবে, চাকুরি হলে।– পাঁচ লাখ ? পিয়ন পদে! সত্যি! প্রাইমারী স্কুলে পিয়ন পদ আছে নাকি? আর সে পদে পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ?সত্যি অবাক হলাম। জমি বিক্রি না করে কি করব, আর তো কোন উপায় নেই। ছেলেটার একটা গতি হবে, সরকারী প্রতিষ্ঠান। পাকা কথা হয়েছে। তাই? কার সাথে কথা হয়েছে?

স্থানীয় যুবলীগের একজনের নাম বলেন তিনি, স্কুলে পড়ার সময়ে চিনতাম। এখন কোন এক কলেজে কেরানির কাজ করে, সাথে এই দালালী। তো, সে কিভাবে আপনার ছেলেকে চাকুরী দেবে? সে তো স্কুল বা শিক্ষা বিভাগের কেউ না, হতবাক হয়ে জিজ্ঞেস করি।

দেশ দুনিয়ার হালচাল সম্বন্ধে আমার অজ্ঞতা তাকে হতাশ করে। না ভাই, সে তো দিবেনা, এ টাকার অংশ মন্ত্রীর পকেটে পর্যন্ত যাবে, সাথে নিয়োগের সাথে জড়িত সকল ধাপের লোকজন। স্থানীয় এক প্রভাবশালী প্রতিমন্ত্রীর নাম শুনে অবাক হই, পত্র পত্রিকায় তার নাম আসে মাঝে মধ্যেই। সে এই নিয়োগ বানিজ্যের মধ্যে আছে নাকি? সে ই তো মাথা ! থানার পাশের পুরো মার্কেটটাই কিনে ফেলেছে সে- এসব ইনকাম থেকে!

সবাই জানে এ খবর?

অবশ্যই জানে। আপনারা দেশে থাকেন না, তাই জানেন না!

কাহিনী-২

’৮০র দশকে, তৎকালীন সরকারের নিরক্ষরতা দূরীকরনের অংশ হিসেবে, এস এস সি পরীক্ষার্থীদের, একজন নিরক্ষরকে নাম স্বাক্ষর করানো শিখাতে হত। আমিও সে উদ্যোগে হাত লাগিয়েছিলাম। আমাদের বাসায় কাজ করত এক যুবক, তাকে কদিন তালিম দিয়ে, অক্ষর জ্ঞান দিয়ে, পরীক্ষার জন্য স্কুলে হাজির করেছিলাম। সে নাম স্বাক্ষর করে প্রমান করেছিল আমার কৃতিত্ব। পদ্মায় বহু জল গড়িয়ে গেছে তারপর।

দেশে গেছি- শুনলাম, স্থানীয় মসজিদের ইমাম সাহেবকে। যাচ্ছেতাই ভাষায় গালাগাল করেছে কে একজন। স্থানীয় এবতেদায়ী মাদ্রাসার প্রিন্সিপ্যালও তিনি।এমন একজন সম্মানিত ব্যাক্তিকে কে গালাগাল করবে? মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি ! কেন? কারন প্রিন্সিপ্যাল সাহেব সে সভাপতির কথামত (এ সভাপতির সাথে আর্থিক চুক্তিতে এসেছে এ লোক, কিন্তু প্রিন্সিপ্যাল তা জানে না) অযোগ্য এক লোককে কেরানির চাকুরি দিতে রাজী হয়নি। কে এই সভাপতি? জানতে আগ্রহী হই! আমার সেই ছাত্র! আকাশ থেকে পড়লাম! এই প্রায়-নিরক্ষর একটা লোক, একটা মাদ্রাসা (হাই স্কুল সম মানের)কমিটির সভাপতি হয় কি করে? সে আওয়ামী লীগের একনিষ্ট কর্মী। এমন নিয়োগ বানিজ্যে তারা দু’পয়সা কামাবে-এটাই যেন স্বাভাবিক। সোসাইটিও তা সহজ ভাবেই নিয়েছে।

কাহিনী-৩

স্থানীয় হাই স্কুলে বেড়াতে গেলাম। নিজেও দু বছর পড়েছি এখানে, সেই পুরাতন শিক্ষকবৃন্দ না থাকলেও -আত্মার টান বলে একটা কথা আছে। নূতন শিক্ষকদের সাথে পরিচয় হল। প্রধান শিক্ষক পূর্ব পরিচিত, তার বড় ভাই আমার গৃহ শিক্ষক ছিল এক সময় ।

আসসালামু আলায়কুম ভাই, কবে এলেন !

আরে – সাব্বির, কেমন আছ! হ্যান্ডশেক করতে করতে জিজ্ঞেস করি।

তা কেমন যাচ্ছে তোমার দিনকাল?

আর বলবেন না ভাই, এদেশে শিক্ষার কোন মর্যাদা নেই।

কেন বলছ সে কথা? জিপিএ ৫ এর ছড়াছড়ি এখন।শিক্ষার হার বেড়েছে!

‘সেটাই সমস্যা! মেধার মূল্যায়ন সঠিক হলে তাতো হওয়ার কথা না! বহু বছরের ফলাফল স্টাডি করেন, বেশির ভাগ হবে সেকেন্ড ডিভিশান, এরপর থার্ড, সব চাইতে কম হবে ফাস্ট ডিভিশন।

ঠিকই বলেছে সে; নরমাল কার্ভ সব সময়ে ঘণ্টাকৃতির! মাঝখানটা ফুলে উঠে- প্রান্তের দিকটা সংক্ষিপ্ত। দুনিইয়াতে মধ্যমদের সংখ্যা বেশী! একটা সমাজেও তাই, খুব ভাল মানুষ যেমন বেশী না, খুব খারাপ মানুষের সংখ্যাও বেশী না; তবে খারাপরা সংঘবদ্ধ থাকার কারনে এদের প্রভাব সবচাইতে বেশী।

ছাত্র সংখ্যা বেড়েছে, চোখে পড়ে। শিক্ষক কয়জন এখন? জিজ্ঞেস করি। সেটাও সমস্যা। স্কুল বোর্ডের সভাপতি যা বলবে সেভাবে নিয়োগ দিতে হবে, নাহলে স্কুলের শিক্ষকদের বেতনের সরকারী অংশ বন্ধ হয়ে যাবে। হতাশা ঝরে তার কন্ঠে!

তাই? এর সাথে সরকারের কি সংযোগ?

ইউনিয়নের সভাপতি- হচ্ছে লোকাল আওয়ামীল লীগের সভাপতি! তাদের সাথে উপজেলা /জেলা শিক্ষা অফিস, উপজেলা নির্বাহী অফিস-প্রতিমন্ত্রী- মন্ত্রী সবাই, এমনকি প্রধান মন্ত্রীও তাদের সাথে। স্কুলের শিক্ষক নিয়োগে সভাপতির ইচ্ছাই বাস্তবায়িত হয়। আবেদনকারীর শিক্ষাগত যোগ্যতা বা মেধা নয়, সভাপতিকে ‘সন্তুষ্ট করেছে যে, সেই নিয়োগ পাবে।

কে সে সভাপতি? সে একজনের নাম বলে। অশিক্ষিত এক যুবক, সে পরিবার অত্র এলাকার আওয়ামীলীগের অন্ধ সমর্থক, প্রাইমারী স্কুলের পরে আর লেখাপড়া হয়নি, মোটর বাইক নিয়ে ‘পার্টির কাজ’ করে বেড়ায়। এতো অশিক্ষিত ছেলে! অবাক করল আমাকে! হাইস্কুলেও?

‘শিক্ষিত লোক ছিল না? এই সব লোকজন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হচ্ছে কিভাবে?

কাষ্ট হাসি হাসে সে! সাড়া দেশেরই একই অবস্থা ভাই। আপনি দেশে থাকল বুঝতেন!

মানুষ প্রতিবাদ করে না? অবাক হয়ে জানতে চাই!

তারা ম্যানেজ করে ফেলে। একটু সুবিধা পেয়ে প্রতিবাদীরাও সেদিকে ঝুকে পরে, আর যারা তা করে না, থানা পুলিশ জেল এগুলো দেশের নয়, রাজনীতিকদের অস্ত্র। ।প্রতিপক্ষকে শায়েস্তা করতে তা ব্যাবহৃত হচ্ছে। দুষ্ট মানুষদের হাতে ক্ষমতা, সুবিচার না থাকায় ‘অপরাধীরাই জেঁকে বসেছে। সারা দেশ জুড়ে সকল প্রতিষ্ঠানের ঘাড়ে সিন্দবাদের ভুতের মত সওয়ার হয়ে আছে রাজনৈতিক লেজুড়গুলো, ‘দেশ সেবা করছে! তিক্ততা চাপা পরে না তার কন্ঠস্বরে! বুদ্ধিমান, সৎ, সাহসী, কর্মঠ একটা যুবক হিসেবে তাকে চিনি আমি। এ প্রতিষ্ঠানটিকে সুন্দর দিক নির্দেশনা ও নেতৃত্ব দিয়ে এগিয়ে নেবার সকল যোগ্যতা আছে তার। অথচ আওয়ামীলীগের এই ‘ক্র্যাপ’ তাকে হজম করতে হচ্ছে! আরও খারাপ! করতে হচ্ছে গনতন্ত্রের নামে! দূর্নীতি পরায়ণ দলনেতা/নেত্রীদের ক্ষমতায় টিকে থাকার জাল –অক্টোপাসের বিস্তৃত টেনট্যাকল – ঘিরে ফেলেছে সারা দেশ! কে যেন বলেছিল, তৃতীয় বিশ্বের গনতন্ত্র আর সংঘবদ্ধ অপরাধীদের বাহিনী- মাফিয়া চক্র –এদের মধ্যে পার্থক্য অতি সামান্যই! নির্বাচন নামের প্রহসন দিয়ে ক্ষমতায় আসে একদল, আরেক দল নির্বাচনের ধার ধারে না, এটুকুই।

আমাদের আলোচনা শুনছিল কয়জন শিক্ষক। আমার কন্ঠে অসন্তোষ চাপা থাকেনি, শয়তানের জাল এর বিরুদ্ধে! শ্রোতাদের একজন সময়মত আমার বিরুদ্ধে তথ্য যুগিয়েছে তাদের দলের লোকজনের কাছে। দুদিনের মধ্যেই ‘প্রতিক্রিয়া জানতে পারলাম, আমাকে চ্যালেঞ্জ করা হচ্ছে মাঠে নামার জন্য! অনেক শুভানুধ্যায়ীই আমাকে সতর্ক করল।

তারা খুব ভায়োলেন্ট! সাবধানে থাকবেন !

‘মাঠ ছেড়েছি অনেক আগে, এক সময় খেলতে হত না, মাঠে আছি জানলেই প্রতিপক্ষরা মাঠের আশেপাশে আসত না। রক্ত গরম হয়ে উঠলেও, এড়িয়ে গেলাম। তাদের রুটি রুজির উপরে আঘাত? তারা সহ্য করবে না। বিশেষ করে আইন পুলিশ লোকবল রাস্তার বদমাইশ সবাই তাদের পক্ষে যখন! মাফিয়া চক্র এভাবেই কাজ করে, সংঘবদ্ধ হয়ে!

দেশ ছাড়ার সময় এসেছে, বাবা মায়ের সান্নিধ্যে এসেছি, ঝামেলায় জড়ানোর সময় নেই! যে দেশে সুবিচার নেই, আইন আদালত পুলিশও অপরাধীদের দখলে, সেখানে নীরবতা বাঞ্ছনীয়। ক’দিন কাটিয়ে দেশ ছাড়লাম। তিক্ততা পিছু ছাড়ল না যদিও!এই আমার জন্মভূমি!

--

দেশটা চলছে জোটভূক্ত সিণ্ডিকেট এর অধীনে, দীর্ঘদিন ধরেই। ক্ষমতাসীন রাজনীতিকরা সবচাইতে উপরের স্তরে, এরপর তাদের ডান হাত, বাম হাত- পাতি নেতা, উপনেতা- বুড়োলীগ যুব লীগ কিশোর লীগ শিশু লীগ নেট ওয়ার্ক।এদের মাঝখানেও আরও সুবিধাভোগী গ্রুপ রয়েছে, এরাও দুধের মাছির মত ‘ক্ষমতাবলয়’কে ঘিরে ভনভন করে। তারা হল সমাজের নিম্নস্তরের ‘কানেকশন। ছোটখাট ব্যাবসা বানিজ্য-চাঁদাবাজি, স্কুল কলেজ মাদ্রাসা- এর শিক্ষক পিয়ন দফতরি নিয়োগ, হাট বাজারের তোলা ট্যাক্স কালেকশন –যে কোন সামাজিক অপকর্ম- এমন কোন এলাকা নেই যা থেকে তারা ফায়দা উঠায় না। ধাপে ধাপে এই ‘ট্যাক্স মন্ত্রীর পকেট পর্যন্ত পৌঁছে। অবশ্য আইন শৃঙ্খলার প্রথম ধাপ হিসেবে থানা পুলিশ বড় একটা বখড়া পায়, এদেরও ধাপে ধাপে ভাগ চলে যায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পর্যন্ত। কোন মন্ত্রণালয়ই বাদ নেই! গত নির্বাচনে ৪% লোকের ভোটে নির্বাচিত হয়েছে এই সরকার। ক্ষমতা দখলে রাখার কৌশল তারা আয়ত্ত করেছে ভাল মত। বিরোধীদল এর অস্তিত্ব নেই এখন, তাদের জেল জুলম আর পুলিশি কৌশলে নিস্তদ্ধ করে ফেলেছে। এখন শুধু হাড্ডির দখল আর ভাগাভাগি নিয়ে নিজেদের দলের মধ্যেই গৃহযুদ্ধ হয়, এছাড়া সব কিছু ‘মসৃণ, স্থিতিশীল। দূর্নীতির সকল বিভাগে ডিস্টিংশন পেয়েছে বাংলাদেশ- বহু বছর ধরেই। স্থিতিশীল দূর্নীতি। পত্র পত্রিকাও এদের বিরুদ্ধে লেখে না, ওপেন সিক্রেট হিসেবে সবাই জানে এ কাহিনী, কেউ কিছু বলেনা। কেউ প্রতিবাদ করলে প্রথমতঃ তাকে পুলিশ দিয়ে স্তব্ধ করা হবে। তা না হলে, তাকে সরকার বিরোধী- তারপর স্বাধীনতা বিরোধী এমনকি রাষ্ট্র বিরোধী হিসেবে প্রমান করতে চাপাবাজরা একযোগে ‘আক্রমণ করবে। শুধু আইনগত বা সামাজিক ভাবে বা রাষ্ট্রীয় হেনস্থা করেই থামবে না, শারীরিক নির্যাতন এমনকি গুম খুন করাও হতে পারে, এবং তার বিচারও হবেনা! মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে এই সংঘবদ্ধ মাফিয়ার বিরুদ্ধে। চাপা অসন্তোষ ফেনিয়ে উঠছে সমাজের সর্বস্তরে। একটানা মুক্তিযুদ্ধের ধুঁয়া গেয়ে আর শেখ মুজিব আর বংগবন্ধুর নাম কীর্তন করে কতদিন চলে। ‘৭১এ নায়ক, ’৭৫ এ খল নায়ক হয়ে গিয়েছিল। সেই খলনায়ক আবার দুই যুগের মধ্যেই প্রায় ‘পূজার আসনে উঠে গেছে, আক্ষরিক অর্থে পূজা করছে অনেকে, তার বা তার পরিবার বা দলের কোন অপকর্ম আর উচ্চারিত হওয়ার সুযোগ নেই, ফেরেশতার পর্যায়ে উঠিয়ে ফেলা হয়েছে তাঁকে, তিনি কোন ভুল করতে পারেন না! মানুষ মাত্রই ভুল হয়, তিনি তো মানুষ নন, মহা মানব! এভাবেই চলছিল!

কিন্তু একটানা শুনতে শুনতে ভাল গানও বিরক্তিকর মনে হয়, একটানা খেলে বিরিয়ানিতেও মানুষের অরুচি হয় , আর এতো বাঙালি! এখন মানুষ আর প্রভাবিত হচ্ছে না সেই পুরনো গানে। মানুষকে গাঁজার ধোঁয়ায় মোহাবিষ্ট করে খুব বেশীদিন রাখা যায়না, ড্রাগের প্রভাবও এক সময় কেটে যেতে শুরু করে। আওয়ামীলীগের গাঁজার প্রভাব ফিকে হতে শুরু করেছে! মানুষ সচেতন হতে শুরু করেছে। কোটার নামে দলীয় প্রভাব বিস্তারের কৌশল মানুষ দেরিতে হলেও বুঝতে সক্ষম হয়েছে।

কোটা বিরোধী আন্দোলন এবং দুজন ছাত্র ছাত্রীর অপমৃত্যু সে অসন্তোষকেই উস্কে দিয়েছে। এরপর সবাই থেমে যাবে বুঝলে ভুল করবে মাফিয়ারা! শুধু সময়ের ব্যাপার- যে কোন ইস্যুতেই আবার বিক্ষভে ফেটে পড়বে মানুষ, শুধু একটা স্ফুলিঙ্গের অপেক্ষা!



বিষয়: বিবিধ

১২৪৫ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

385746
০৯ আগস্ট ২০১৮ দুপুর ০২:৫২
রক্তলাল লিখেছেন : ভাই কোনো রকম বেনজিরের মত দুই একজনের খপ্পর থেকে আন্দোলনকে বের করে আনতে পারলেই সব ইদুর পালাবে
১৭ আগস্ট ২০১৮ সকাল ০৭:৪১
317917
তিমির মুস্তাফা লিখেছেন : ধন্যবাদ।
385766
১৪ আগস্ট ২০১৮ সকাল ০৬:৫৪
শেখের পোলা লিখেছেন : ধন্যবাদ। আপনার সাথে আমিও শতভাগ একমত। আমিও দেড় বছর দেশে কাটিয়ে এলাম। সবই দেখেছি কিন্তু ঐ জেল জুলুমের ভয়ে বুড়ো বয়সে জ্বি হজুর জ্বি হুজুর করতে হয়েছে।
১৭ আগস্ট ২০১৮ সকাল ০৭:৪১
317918
তিমির মুস্তাফা লিখেছেন : ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File