সোনারগাঁও ভ্রমন -১

লিখেছেন লিখেছেন বিদ্যালো১ ২১ অক্টোবর, ২০১৩, ০৩:০৪:৫৪ দুপুর

ঘুরতে ভাল লাগে, ভালবাসি। তাই সুযোগ পেলেই ঘুরে আসতে ভুল করিনা। এর দুইটা কারন আছে – একটা নুতন জায়গা সম্পর্কে জানা ও বেড়ানো যায়। আমার ক্ষেত্রে পরেরটারই প্রভাব বেশি। এইতো কদিন আগে সোনারগাঁও (http://en.wikipedia.org/wiki/Sonargaon) বেরিয়ে আসলাম।

পিতৃভূমি কুমিল্লাতে হলেও জন্ম ও বেড়ে উঠা চট্রগ্রাম এ। তাই চট্টগ্রামের আশেপাশে বেড়ানো ও কিঞ্চিৎ জানাশুনা হলেও অন্যান্য বিভাগে তেমন বেড়ানো হয়নি। ঢাকার লালবাগ, সাভার এ যাওয়া হলেও বাংলার প্রাচীন রাজধানী সোনারগাঁও যাওয়া হয়নি। কিন্তু আমরা ঢাকার বাইরের অধিবাসীদের সরকার ও বিভিন্ন ব্যাংক মাঝে মাঝেই ঢাকা বেড়ানোর ( আদো বেড়ানো বলা যায় কিনা সন্দেহ; আমরা গিয়ে কাজ সেরে ফিরে আসতে পারলেই যেন বাঁচি।) সুযোগ করে দেয়। এমনই একটা সুযোগ কিছুদিন আগে এসেছিল। দিন তারিখ আগে থেকেই ঠিক থাকায় এবং অনেক বন্ধুরা ও বড় ছোট অনেক ভাই ঢাকা যেতে হওয়ায় সুযোগটা কাজে লাগানোর চেষ্টা ছিল।

মোটামুটি একটা পরিকল্পনা করেই ঢাকার উদ্দেশে্য যাত্রা শুরু করি। কাজ শেষ করেই সাথে সাথে সকলকে ( যারা যেতে আগ্রহী) যাত্রাবাড়ী আসতে বলা আছে। আমি যেখানে ছিলাম, শেখান থেকে বের হতে একটু সময় লাগলেও প্রাথমিক গন্তব্য যাত্রাবাড়ীর উদ্দেশে্য যাত্রা শুরু করি। কে যাবে, কে যাবেনা জানার জন্য বাসএ বসে বসে কল করা শুরু করলাম। আশার চেয়ে হতাশাই বেশি গ্রাস করলো। সকলের যেতে না পারার মাঝে ইমনের যাওয়া কিছুটা আশার সঞ্চার করেছে। যাওয়ার মধ্যে আর ছিল সেলিম, যে শুধু যাওয়ার জন্যই দুইদিন ঢাকা অবস্থান করেছে। মিরপুর থেকে যাত্রাবাড়ী যেতে অনেক সময় (১.৫ ঘণ্টার মত) লেগেছে। ঢাকা শহরে শুক্রবারেও জ্যাম থেকে রেহাই পাইনি। একসময় মনেহয়েছিল জুমার নামাজ পাব না। যাত্রাবাড়ীতে পৌঁছেছি নামাজের অল্প আগে। নামাজ পরেই সেলিম কে কল করলাম। সে এখনও বাসা থেকে বের হয়নি শুনে খুব রাগ হলেও নিজেকে সামলে নিয়ে ইমনকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করলাম। ইমন আমার আগেই পৌছেছিল। সোনারগাঁর বাস কই থেকে ছাড়ে খোঁজ খবর নিয়ে রাখতে বলেছিলাম। কাউন্টারের খোঁজ করে ইমনকে খুঁজে বের করতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি। যাত্রাবাড়ী কাঁচা বাজারের আড়তের সামনে কিছু ছোট ছোট অস্থায়ী কউন্টারে ওকে পেলাম। ওকে নিয়ে দুপুরের খাবার খেতে গেলাম। কিন্তু ও আগেই পেট শান্তি করে ফেলায় আমি আমারটা শান্ত করায় নিয়োজিত হলাম। খেতে খেতে সেলিমকে মনে মনে ধন্যবাদ দিলাম। সে দেরি না করলে হয়ত খাওয়ার সুযোগ পেতামনা। খাওয়া শেষে আবার তার জন্য অপেক্ষা। ভাবছিলাম জায়গাটা অনেক দূর, তারাতারি যেতে না পারলে কিছুই দেখতে পারবনা। তাই কিছুক্ষন পর পর এ তাকে কল করে অবস্থান জেনে নিচ্ছিলাম, আর মানুশের কাছ থেকে জেনে নিচ্ছিলাম ঐ অবস্থান থেকে আসতে কতক্ষন লাগবে? অপেক্ষার অবসান হল তিনটা বাজে। অপেক্ষার প্রহর আরও দীর্ঘ হতে পারত যদিনা সেলিম যাত্রাবাড়ীর জ্যাম থেকে ডিফেঞ্চের হাঁটা না দিত। আমাদেরকে খুঁজে বের করতেও সে কিছুটা সময় নিয়েছে। যাইহোক, "Late is better than never" মনে করে নিজেকে সান্ত্বনা দিলাম। কিছুক্ষন বাসের জন্য অপেক্ষা করে সেলিমের পরামর্শে CNG যাবে কিনা জানতে চাইলাম। যেতে চাইলো, আর খুব বেশিদূরনা মনে হওয়াই উঠে বসলাম মূল গন্তব্যের উদ্দেশে।

বিষয়: বিবিধ

১৬৫১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File