ভাঙচুরকারীদের পিএসসির অধীনে চাকরি হবে না: প্রধানমন্ত্রী

লিখেছেন লিখেছেন গোলাপ ১৯ জুলাই, ২০১৩, ১২:১২:১২ রাত

Click this link

গ্রামের কিছু ঝগড়াটে মহিলা আছে যারা স্বাভাবিক কথা গুলোও ঝগড়ার সুরে বলে এবং তারা খুব একরোখা, একগুয়ে আর আগ্রাসী ধরণের হয়। যারা অন্যের পায়ে পা দিয়ে ঝগড়া লাগাতে খুব ভালোবাসে। এই সব মহিলাদের সবচেয়ে বড় একটা স্বভাব কি জানের এরা নিজেকে কোন দিনই দোষীভাবে না, সব সময় মনে করে এরা তারা নির্দোষ, অন্য লোক তার সাথে ঝগড়া করতে আচ্ছে।

আমাদের বর্তমান হাল-নাগাত প্রধানমন্ত্রী ঠিক ঐ ধরণের একজন মহিলা যার প্রতিটা কথাই একরোখা আর একগুয়ে।

বাংলাদেশের মানুষ এখনো পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান করে, স্বরণ করে এবং তাদের আদর্শকে লালন-পালন করে। মুক্তিযোদ্ধাদের কাউকে কেউই কোন দিন আসম্মান করিনি আর করবেও না। বিশ্বের কোন দেশেরই এমন ভাবে রাষ্টীয় মর্যাদা আর সম্মান কোন মুক্তিযোদ্ধাদের দেওয়া হয়নি যা বাঙ্গালি জাতি দিয়েছে।

স্বাধীনতার পর ৪৩ বছর পার হল, দেশের অরথনৈতিক অবস্তা লাজুক, বেকার সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করছে দিন দিন, কর্মসংস্থানের অভাব, চাকরির ক্ষেত্র বাড়ছে না। এই পরিস্থিতিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা এটা কোন বিবেচনায়? আমি আমার হল(ঢাবি) এ দেখেছি আমার বন্ধু দের মধ্যে ২ বা ৩ জন ছিল মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আমার হলে ১০০০ বা ১২০০ জন মত ছাত্র আছে। আপনি জরিপ করে দেখেন ৫০ জন ছাত্রও খুজে পাবেন না মুক্তিযোদ্ধার সন্তান।

“যারা ভাঙচুর করে, তারা কিসের মেধাবী? মুক্তিযুদ্ধের অবদানকে যারা খাটো করে দেখতে চায়, তাদের চাকরি পাওয়া অধিকার নেই।“ হায়রে কপাল একটা দেশের প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে এমন কথা। উনি প্রধানমন্ত্রী না জাতির সাথে ঝগড়া করতে ক্ষমতায় বসেছেন?

যারা আন্দোলন করেছে আর করছে তারা অধিকাংশই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। সুতরাং প্রধানমন্ত্রীর এই কথায় কি ঢাবির ছাত্রদের কে ছোট করা হল না? প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার প্রশ্ন আপনার ছাত্রলীগই কি একমাত্র মেধাবী যে আপনি অন্য কোন ছাত্রদের কে মেধাবী বলে স্বীকার করছেন না?

তাদের অধিকার নিয়ে তারা কথা বলছে আর আপনি তাদের কে ভাঙচুর, নৈরাজ সৃষ্টিকারী বলে তাদের কে চাকরী থেকে বঞ্চিত করছেন বা করবেন।

“মেধাবী ছাত্ররা গাড়ি পোড়ায় না। উচ্ছৃঙ্খল হতে পারে না। এরা কি চাকরি পাওয়ার যোগ্য? চাকরিতেও তারা এ রকম উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করবে।“ না, এরা কি চাকরি পাওয়ার যোগ্য না। আর যোগ্য না বলেই তো তারা আন্দোলন করছে কারণ তাদের কোন কোটাই নেই। না আছে তাদের মুক্তিযোদ্ধা কোটা না আছে ছাত্রলীগ কোটা। সুতরাং তারা তো চাকরির যোগ্যই না।

আপনি একটা দেশের অভিভাবক, মেধাবী ছাত্ররা আন্দোলন করছে তাদের অধিকার নিয়ে আর আপনি তাদের কে এমন শ্রেণীতে বিভক্ত করলেন যেন তারা অপরাধী, তারা দেশের জন্য হুমকি তারা চাকরিতেও উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করবে।

আমার একটা প্রশ্ন আপনি কি শুধু ছাত্র লীগের প্রধানমন্ত্রী? না আপামর সব ছাত্রের প্রধানমন্ত্রী? না শুধু মুক্তিযোদ্ধা দের প্রধানমন্ত্রী?

বিষয়: বিবিধ

১৫৩০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File