কেঊ খায় বিরিয়ানী কেউ খায় পিটানি

লিখেছেন লিখেছেন গোলাপ ১১ জুলাই, ২০১৩, ০১:৫৫:০১ দুপুর

অধিকার আদায়ের আন্দোলনে বাংলাদেশের আমজনতা সন সময়ই সচ্চার। বাংলাদেশের ইতিহাস হল অধিকার আদায়ের। ১৯৫২ এর ভাষার দাবী, ৬৯ এ গণ অভ্যুত্থান আর ৭১ এ মুক্তিযুদ্ধা এগুলো আমাদের অস্তিত্ব আদায়ের আন্দোলন। আর এই সব গুলো দাবী ছিল সকলের স্বাধীনতা ভাবে বেঁচে থাকার দাবী যেখানে ধর্ম, বর্ণ গোত্ত্র সবাই মিলে স্বেচ্ছায় অংশ গ্রহণ করেছিল।

আর স্বাধীনতার পর ৮৯ এ শৈরাচর পতনের আন্দোলন ছিল সকলের প্রানের দাবী। কিন্তু তাঁর পর আমার সোনার বাংলাদেশের সব গুলো দাবী ছিল হয় রাজনৈতিক না হয় কোন দলের অধিকার নিয়ে।

১৯৯১ সালে গণতান্ত্রিক সরকার আসার পর থেকে আমাদের দেশের ট্রেইন গেছে লাইন চ্যুত হয়ে। যার ফল এখন বাঙ্গালিরা ভোগ করছে। এখন বাঙ্গালিরা রা কোনটা তাঁর অধিকার, কোনটা তার দাবী, কোনটা তাঁর নিজের টিকে ত্থাকার অস্তিত্ব সেটাই বোঝে না। কারণ নিজের স্বার্থ হাছিল করার জন্য এখন এতো বেশি ততপর যে জাতির স্বার্থ কোন টা সেটাই ভুলে গেছে।

যাই হোক বাংলাদেশের মত এতো কোটা সিস্টেম কোন দেশে নাই। যে দেশে হাজার হাজার লোক বেকার সে দেশে কোটায় বন্ধি হয়ে আর হাজার হাজার বেকার অন্ধকারে হাবুডুবু খাচ্ছে। ৩০% মুক্তিযোদ্ধা কোটা। এটা কি আজব দেশরে ভাই। হারিকেন জ্বালিয়ে খুজলেও যেখানে মেধাবী মুক্তিযোদ্ধা খুজে পাওয়া যায় না, সেখানে ৩০% ওদের জন্য। কেন, দেশের কি আর মেধাবী ছাত্র নাই? আর এই কথা বললে পিটানি। বাংলাদেশে বিসিএস ছাড়াও সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা, নারী, জেলা, প্রতিবন্ধী ইত্যাদি নানাধরণের ভিত্তিতে সংরক্ষণমূলক কোটা প্রচলিত আছে, যার পরিমাণ সব মিলিয়ে ৫৫ শতাংশের মতো।

অথচ প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রশাসনবিষয়ক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বিবিসি বাংলাকে এ কথা জানিয়েছেন। তিনি কোটা প্রথাকে সমর্থন করে বলেন, “আমরা কোটা করার পরও মহিলারা পিছিয়ে আছেন। আমি তো মনে করি মহিলাদের জন্য কোটা আরো বৃদ্ধি করা উচিত। আর পার্বত্য অঞ্চলে যারা আছেন গারো, মারমা, ত্রিপুরা অন্যান্য যারা আছেন এদেরকেও তো উঠিয়ে আনতে হবে। এটাতো অনেকদিন ধরেই চলে আসছে। অন্যান্য দেশেও আছে। সবই যদি মেধার ভিত্তিতে হয় তাহলে পিছিয়ে যারা, অবহেলিত যারা আছেন তারাতো কোনদিনই আসতে পারবেন না।”

দেশের সরকারি সব প্রতিষ্ঠানের উপর থেকে শুরু করে নীচ পর্যন্ত এই কোটার জালে আবদ্ধে হয়ে আদক্ষ আর আযোগ্য লোকের নিয়োগের ভরে গেছে যা আত্মীয়করণ, ঘুষ আর দুর্নীতি করার প্রয়াস কে দিন দিন উৎসাহিত করে চলেছে। আজ মেধাবীরা জেগে উঠেছে শাহবাগে কিন্তু সরকার পুলিশ দিয়ে তাদের পেটাচ্ছে। যে ছেলেটা সারা বছর কত কষ্ঠ করে, টিউশন করে, মাথার ঘাম পায়ে ফেলে লেখা পড়া শেষ করল, চোখে স্বপ্ন একটা ভালো চাকরি করবে, বাবা-মা, ভাই বোনের মুখে হাসি ফুটাবে সেই ছেলেটা আজ কোটার মুখে আটকে গেছে। সরকার শাহবাগের তাদের নামধারী, বামধারী লোকের আন্দলোনে পুলিশ পাহারে দিয়ে, বিরিয়ানি সরবরাহ করে মাসের পর মাস রাস্তা আটকে জনগণের অসুবিধায় ফেলে আন্দোলনের সুযোগ করে দিল। আর এখন মেধাবীরা তাদের ন্যায্য অধিকারের দাবী করলে জনগণের দুর্ভোগের কথা বলে পেটাচ্ছে। হায়রে নিয়তি আর কত কাঁদাবে এই ভাবে।

শাহবাগে আন্দোলন করল ফাঁসি ফাঁসি চাই বলে,

দেওয়া হল বিরিয়ানি;

এখন অধিকার আদায়ের দাবীতে কথা বললে;

খেতে হয় পিটানী।

বিষয়: রাজনীতি

১৬১৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File