দাউদ হায়দার থেকে রাজিব হায়দার অতপর লতিফ সিদ্দিকী

লিখেছেন লিখেছেন সুন্দরের আহবান ০১ অক্টোবর, ২০১৪, ১২:৪৫:৪২ দুপুর



বাংলাদেশ পৃথিবীর দ্বিতীয় মুসলিম দেশ। এ দেশের শতকরা নব্বই ভাগ মানুষ মুসলমান। বাকীরা অন্যান্য ধর্মালম্বী। হাতে গোনা দুচারজন ধর্মহীন, কিছু ধর্মহীন অতি সেক্যুলারও আছে। তবে তাদেও সংখ্যা নিতান্তই নগন্য। দুর্ভাগ্যের বিষয় এ সব নগন্য ধর্মহীন অতি সেক্যুলাররা মিডিয়ায় এবং সিভিল সোসাইটি নাম আজব সোসাইটিতে বেশ ভাল সমাদর পায়। পৃথীবির একমাত্র দেশ বাংলাদেশ যে দেশে ইসলাম ও ইসলামী বিধি বিধান নিয়ে মুসলিম নামধারীরাই সবচেয়ে বেশী অবমাননাকর কথা বলে। আমেরিকায় যারা কোন ধর্ম মতের বিশ্বাসী নয় তাদের ক্লাব আছে। সে ক্লাবে তারা বিভিন্ন সভা,সেমিনার, সিম্পোজিয়ামে মিলিত হয়। কিন্তু এ ক্লাবের সদস্যরা কখনো কোন ধর্মমতকে আক্রমণ করে কোন বক্তব্য দেয় না, অথবা তারা এমন কোন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে না, যা সরাসরি কোন ধর্মমতকে আঘাত করে। কিন্তু বাংলাদেশ হচ্ছে সবচেয়ে ব্যতিক্রম, এখানে কিছু উদ্ভট প্রাণী আছে যারা ইসলাম ও মুসলিম জাতিসত্বাকে আক্রমণ করে জাতে ওঠার চেষ্টা করে। এ চেস্টা ইতিপূর্বে আরো অনেকে করেছে। শেখ মুজিবুর রহমানের দোর্দন্ড প্রতাপের শাসন চলাকালে যখন সকল প্রকার ধর্মীয় রাজনীতি, ধর্মীয় সংস্থা, ক্লাব, সমিতি গঠন করা নিষিদ্ধ ছিল, সেই সময়ে দাউদ হায়দার রাসুলুল্লাহ সা. কে নিয়ে ব্যঙ্গ কবিতা লিখে বাংলাদেশে টিকে থাকতে পারেনি। জনতার রুদ্ররোষে তৎকালীন সরকার তাকে বিদেশে পাঠিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছিল। ১৯৯২ সালে তসলিমা নাসরিনের ভাগ্যে একই পরিণতি জুটেছিল। অবশ্য চল্লিশ বছর পরে দাউদ হায়দারের অনুসারী রাজীব হায়দার আল্লাহ, রাসুল, কুরআন ও ইসলামকে অপমান করে শেখ হাসিনা সরকার কর্তৃক জাতীয় বীরের মর্যাদা পেয়েছে। দেশের অধিকাংশ মানুষ আওয়ামীলীগেকে ইসলাম বিরোধী দল হিসেবেই বিবেচনা করে। পৃথিবীর অধিকাংশ আলেমের মতে ধর্ম নিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা। অবশ্য বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও মানুষের মূল্যবোধের কারণে আওয়ামীলীগের নেতারা হজ্জ পালন, ওমরা পালন, ঈদ উদযাপন, ইফতার মাহফিল এর মতো প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু তারা ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাস্ট্রের সকল স্তরে ইসলামী বিধি বিধান মানতে রাজী নন। বরং ইসলামী রাজনীতি নিষিদ্ধ করা ও ইসলামী রাজনীতি নির্মূল করা তাদের অন্যতম লক্ষ্য। আওয়ামী রাজনীতির সাথে যারা জড়িত তারা সরাসরি ইসলামী বিধি বিধানের বিরোধীতা না করলেও ধর্মদ্রোহী ও ইসলাম বিদ্ধেশীরা সব সময় আওয়ামীলীগের কাছ থেকে আনুকুল্য পেয়ে আসছে। কমিউনিস্ট দর্শনের মূল থিওরীই হচ্ছে- ধর্ম ও ¯্রষ্টাকে অস্বীকার করতে হবে। এ কারণেই কমিউনিস্টরা বাংলাদেশে শিকড় গাড়তে পারে নি। ক্ষণ ভঙ্গুর ও দ্বিধিাবিভক্ত কমিউনিস্টরা এখন আওয়ামী নৌকার যাত্রী। সারা জীবন ইসলামী আদর্শের বিরোধীতা করে রাশেদ খান মেনন আর ইনুরা যখন হজ্জে গিয়ে জনগণের সমর্থন পাবার চেস্টা করছে তখন শেখ হাসিনার সফর সঙ্গী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী শুধু হজ নিয়েই অশোভন আচরণ করেনি। এই কুলাঙ্গার রাসুলে কারীম সা.কে বলেছে ডাকাতের বংশধর। ইতিপূর্বে এমন জঘণ্য স্পর্ধা আর কেউ দেখায়নি। দাউদ হায়ার থকে রাজীব হায়দার মাঝখানে তসলিমা নাসরিন, দালাল মিডিয়া আর মুক্তমতের নামে ঘাপটি মেরে থাকা অমি রহমান পিয়াল, অজয় বর্মা, আরো অনেকে-এভবে মাঝে মাঝে ডানা ঝাপটানোর চেস্টা করে। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকেল এদের সংখ্যা দিনে দিনে বাড়বে বৈ কমবে না। জনমতের তীব্র রোষে সরকার তাকে মন্ত্রী পরিষদ থেকে অব্যহতি দেয়ার চিন্তা করছে। কিন্তু তাকে অব্যহতি দেয়াই কি যথেস্ট? দেশের জনগণ মনে করে শেখ হাসিনার সফর সঙ্গী যে অন্যায় করেছে ক্ষমতার মসনদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগই আসল সমাধান।

বিষয়: বিবিধ

১৭৪২ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

270504
০১ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ০২:১১
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকেল এদের সংখ্যা দিনে দিনে বাড়বে বৈ কমবে না।
এটাই সত্য। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাকশালীদের কাছ থেকে জাতি মুক্তি চায়।
০১ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৮:০০
214530
সুন্দরের আহবান লিখেছেন : yes
270546
০১ অক্টোবর ২০১৪ বিকাল ০৪:৩৪
ফেরারী মন লিখেছেন : এদেরকে রুখতে ইসলামী দলগুলোর ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই।
০১ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৮:০২
214531
সুন্দরের আহবান লিখেছেন : কিন্তু, কোন একজন পীর সাহেবের মুরীদরা বলেন (সবচেয়ে বড় ইসলামী দলকে)অমুকরা ইসলামী দল নয়, তাদের সাথে কোন ঐক্য নয়।
০১ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৮:০৬
214532
সুন্দরের আহবান লিখেছেন : ঐক্যের ব্যাপারে একমত
০১ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৮:০৬
214533
সুন্দরের আহবান লিখেছেন : ঐক্যের ব্যাপারে একমত

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File