কুরআনের বাণী যাতে মানুষের কাছে পৌছাতে না পারে সে জন্যই সাঈদীর উপর নির্যাতন

লিখেছেন লিখেছেন সুন্দরের আহবান ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০১:২৪:২৭ দুপুর



আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী কোটি জনতার আত্মার পরম আত্মীয়, অগণন মানুষের হৃদয় উজার করা ভালবাসায় শিক্ত, জননন্দিত জননেতা, আল কুরআনের প্রচারক আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মুফাসসিরে কুরআন আল্লামা দেলাওয়ার হেসাইন সাঈদী জালিম কারাগারে চরম জুলুম নির্যাতন সহ্য করছেন পাঁচ বছর যাবৎ। শতাব্দীর সবচেয়ে ঘৃণ্য মিথ্যা অভিযোগে তাকে আটক করে তার উপর চালানো হয়েছে চরম জুলুম নির্যাতন। তাকে প্রথমে দেয়া হয়েছে মৃত্যুদন্ড। পরবর্তীতে দেয়া হয়েছে আমৃত্যু কারাবাস। মৃত্যুদন্ড এবং আমৃত্যু কারাদন্ড ভাষার মারপ্যাচ ব্যতীত কিছুই নয়। মূলত তাকে মৃত্যুদন্ড দিলেও যতদিন তাকে কারাগারে থাকতে হবে আর আমৃত্যু কারাদন্ড দিলেও একই সময় পর্যন্ত তাকে কারাগারে থাকতে হবে। আজ যারা ক্ষমতায় তারা একটি ভিশন এবং মিশন নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। তাদের ষড়যন্ত্রের যাত্রা শুরু ২০০৬ সালে লগি বৈঠার তান্ডবের মাধ্যমে। এ তান্ডবের মাধ্যমে তারা গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা বিনস্ট করে মঈন-ফখরের সরকারকে ক্ষমতায় আনে। মঈন-ফখর সরকার তথাকথিত দুর্নীতি নিরোধ অভিযানের নামে যখন রাজনৈতিক দলের নেতা, ব্যবসায়ী, শিল্পপতিদের পাইকারী গ্রেফতার শুরু করে তখন ওপারের দাদাবাবুদের পোষ্য তথাকথিত চেতনার ধারকরা যুদ্ধাপরাধ বিচারের দাবী জানাতে থাকে। আর তারা যুদ্ধাপরাধী হিসেবে যাদের চিহ্নিত করে তারা সবাই জামায়াতের নেতা। মনে হয় যেন ৭১ সালে জামায়াতে ইসলামী-ই ছিল সবচেয়ে শক্তিশালী রাজনৈতিক দল। কিন্তু বাস্তবতা পূরো ভিন্ন। ৭১ সালে ক্ষমতায় ছিল আইউব-ইয়াহিয়া, সরকারের সমর্থক হিসেবে যে দলটি তখন সবচেয়ে শক্তিশালী ছিল তার নাম মুসলিম লীগ, ইসলামী দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় দল ছিল নেজামে ইসলাম পার্টি এবং ওলামায়ে ইসলাম। জামায়াতে ইসলামী ছিল তখন ক্ষুদ্র রাজনৈতিক শক্তি। সময়ের ব্যবধানে জামায়াতে ইসলামী আজ বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক শক্তি হওয়ায়- ইসলাম প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে চিরতরে নস্যাৎ করার জন্য-ই মূলত রাম-বাম এবং ইসলাম বিরোধী শক্তি যুদ্ধাপরাধ ইস্যুকে সামনে নিয়ে আসে। মঈন-ফখরের সাথে গোপন আতাতের করে ডিজিটাল ক্যুর মাধ্যমে ক্ষমতাসীন হয় আওয়ামীলীগ। সেই ধারাবহিকতা এখনো চলছে। আওয়ামীলীগের মিশন এবং ভিশন হচ্ছে বাংলাদেশ থেকে ইসলাম ও ইসলামী রাজনীতি চিরতরে নির্মূল করা। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে তারা প্রথমে জামায়াত নেতৃবৃন্দ এবং জামায়াতে ইসলামীকে নিশ্চিহ্ন করার অংশ হিসেবে এ কাজগুলো করছে। আ্ওয়ামী সরকারের পরিচালিত ট্রাইব্যুনাল প্রথমে আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে ফাসির আদেশ দেয় আপিল আদালত সে রায়কে একটু ভাষার মারপ্যাচের মাধ্যমে সমাপ্তি ঘোষণা করে। ফাসি অথবা আমৃত্যু কারাদন্ড। কথা একই। মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী আর তাফসীর মাহফিলে বক্তব্য রাখতে পারবেন না। আল্লাহর দীনের দায়ী হিসেবে তিনি আর কুরআনের বাণী প্রচার করতে পারবেন না। কোটি মানুষ আর তার মূখে কুরআনের আহ্বান শুনতে পাবে না। এটাই আওয়ামীলীগের লক্ষ্য।

বিষয়: বিবিধ

১৫৮৬ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

266305
১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:১০
পাতা বাহার লিখেছেন : তার মানে হলো- দেলোয়ার মারা গেলে, আর কেউ কোরাণ প্রচারের থাকবে না, তাই তো?

বরং, দেলু রাজাকারদের মত মোল্লারা মারা গেলে, কোরাণের বাণী প্রচার বৃদ্ধি পাবে। আর দেলু রাজাকারদের মত মোল্লারা বেঁচে থাকলে, কোরাণের বাণী প্রচারে বাধা গ্রস্ত হবে।
০১ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ১২:৪৯
214436
সুন্দরের আহবান লিখেছেন : পাতা বাহার নামক আজব প্রাণীকে জানতে উচ্ছে করে জীবনে কতজনকে ইসলামের দাওয়াত দিয়েছেন? বরং দাউদ হায়দার, রাজীব হায়দার আর লতিফ সিদ্দীকী মার্কা কুলাঙ্গাররাই তো আপনার আদর্শ, তাই নয় কি?
১৫ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ০৩:৩৭
218627
পাতা বাহার লিখেছেন : ইসলামের দাওয়াত দেওয়া হয় অমুসলিমকে। এখন অপনি বলুন যে, আপনি কতজন অমুসলিমকে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দিয়েছেন?

বরং আপনারা বা সাইদীরা, মুসলিমদেরকে রগকাটা ও হত্যা করেছেন।
266316
১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:২৯
266332
১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:১৯
সালমা লিখেছেন :

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File