বাঁধার পাহাড় পেরিয়ে মহান সাফল্যের পথে তৃপ্ত হৃদয় বিবেকের তাড়নায় কিছু উত্তরের খোঁজে

লিখেছেন লিখেছেন হাবীব ২৭ মে, ২০১৩, ১২:৩৮:৫৪ রাত

"পরম করুণাময় ও অসীম দায়ালু আল্লাহ্‌র নামে শুরু । কসম যুগের, নিশ্চয় মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত; কিন্তু তারা নয়, যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে এবং পরস্পরকে তাকীদ করে সত্যের এবং তাকীদ করে সবরের ।" (সূরা আছর)

অর্থাৎ পৃথিবীতে মৃত্যুর পরবর্তী সময় সফলকাম কেবল তারাই যারা আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে ও সেই অনুযায়ী কাজ করে এবং শুধু তাই নয় বরং নিজে ভাল হওয়ার সাথে সাথে তারা সাধ্য মত অন্যকেও সত্যের ও সবরের আহবান জানায় । তাদের জীবনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে আল্লাহ্‌প্রদত্ত ও রাসুল (সঃ) প্রদর্শিত বিধান অনুযায়ী মানুষের জীবনের পুনর্বিন্যাস সাধন করে আল্লাহ্‌র সন্তোষ অর্জন ।

এজন্য স্বস্থান থেকে সাধ্য মত কাজ করা একান্ত আবশ্যক । তাই একজন ছাত্র হিসেবে নিজের ঈমান কে পূর্ণতা দিতে অবশ্যই নিজের বিশ্বাস ও সৎ কর্মের সাথে সাথে অন্যকে ইসলামের দাওয়াত দেয়া; ইসলামী জীবন বিধান প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সংঘবদ্ধ করা; সেজন্য ইসলামী জ্ঞান অর্জন ও প্রদান এবং আদর্শ চরিত্রবানরূপে গড়ে তুলতে কার্যকরী ব্যবস্থা করা; ইসলামী মূল্যবোধের ভিত্তিতে শিক্ষাব্যবস্থার পরিবর্তন সাধনের এবং ছাত্রসমাজের প্রকৃত সমস্যা সামাধানের সংগ্রামে নেতৃত্ব প্রদান করা; ইসলামী সমাজ বিনির্মাণে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানোর কোন বিকল্প নেই ।

সে ব্যক্তি যথার্থ নেককার বা সালেহ যে ভেতরে ও বাইরে সমান এবং নিয়ত ও ইচ্ছায় এবং কথায় ও কর্মে সমান সত্য হয় । আর যারা আল্লাহ্‌র দেয়া বিধান নিজে সর্বাত্নাক পালন করার চেষ্টায় মগ্ন এবং সে পথে কাজ করতে গিয়ে নিহত হন । তারা পবিত্র কোরআনের ভাষায় - "আল্লাহ ক্রয় করে নিয়েছেন মুসলমানদের থেকে তাদের জান ও মাল এই মূল্যে যে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত । তারা যুদ্ধ করে আল্লাহ্‌র রাহে; অতঃপর মারে ও মরে । তাওরাত, ইঞ্জিল ও কোরআনে তিনি এ সত্য প্রতিশ্রুতিতে অবিচল । আর আল্লাহ্‌র চেয়ে প্রতিশ্রুতি রক্ষায় কে অধিক ? সুতরাং তোমরা আনন্দিত হও সে লেন-দেনের উপর, যা তোমরা করছ তাঁর সাথে । আর এ হল মহান সাফল্য ।" (সূরা আত-তাওবা, আয়াতঃ ১১১)

শহীদগণের উদ্দেশ্যে পবিত্র কোরআনের আর এক জায়গায় বলা হয়েছে - " হে মুমিনগণ ! তোমরা ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর । নিশ্চিতই আল্লাহ্‌ধৈর্যশীলদের সাথে রয়েছেন । আর যারা আল্লাহ্‌র রাস্তায় নিহত হয়, তাদের মৃত বল না । বরং তারা জীবিত, কিন্তু তোমরা তা বুঝ না । এবং অবশ্যই আমি তোমাদের কে পরীক্ষা করব কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, মাল ও জানের ক্ষতি ও ফল-ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে । তবে সুসংবাদ দাও সবরকারীদের - যখন তারা বিপদে পতিত হয়, তখন বলে, নিশ্চয় আমারা সবাই আল্লাহ্‌র জন্য এবং আমরা সবাই তাঁরই সান্নিধ্যে ফিরে যাবো । তারা সে সমস্ত লোক, যাদের প্রতি আল্লাহ্‌র অফুরন্ত অনুগ্রহ ও রহমত রয়েছে এবং এসব লোকই হেদায়াত প্রাপ্ত ।" (সূরা আল বাকারা, আয়াতঃ ১৫৩-১৫৭)

কাফেরদের সাথে যুদ্ধ ও জেহাদের আদেশ অবতীর্ণ না হলে কোন সময়ই কোন ধর্মের নিরাপত্তা থাকত না । পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে - " যুদ্ধের অনুমতি দেয়া হল তাদেরকে যাদের সাথে কাফেররা যুদ্ধ করে; কারণ তাদের প্রতি অত্যাচার করা হয়েছে । আল্লাহ্‌তাদের সাহায্য করতে অবশ্যই সক্ষম । যাদেরকে তাদের ঘর-বাড়ী থেকে অন্যায়ভাবে বহিস্কার করা হয়েছে শুধু এই অপরাধে যে তারা বলে আমাদের পালনকর্তা আল্লাহ্‌।" (সূরা হজ্জ, আয়াতঃ ৩৯, ৪০)

মূল কথায় আসার আগে অনুরোধ করব যারা পড়ছেন উপরের আলোচনাটুকু বুঝার চেষ্টা করুণ যাতে পরবর্তী কথা গুলো বুঝতে সুবিধা হয় । যা হোক যে বিষয়টি কে কেন্দ্র করে লিখছি । গত ৮ ফেব্রুয়ারী ২০১২, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এ. এফ. রহমান হলে আমি আমার কক্ষে পড়ছিলাম । হঠাৎ শোরগোল । বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ও ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে । বিকালে হল তাগের নির্দেশ এলো । শহরে বাসায় আসলাম । খবর পেলাম সংঘর্ষে শহীদ হয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির এর দুই ভাই মাসউদ বিন হাবিব (চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের সোহরাওয়ার্দী হল শাখার সেক্রেটারি, ইংরেজি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র, বাড়িঃ হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলার সমিপুর গ্রামে) এবং মুজাহিদুল ইসলাম (চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র, শহীদ আবদুর রব হলের আবাসিক ছাত্র, শিবিরের সাথি, বাড়িঃ মিরসরাই উপজেলার ৯ নম্বর মিরসরাই সদর ইউনিয়নের পূর্ব কিছমত জাফরাবাদ গ্রামে) । তাঁরা দুজনই গোল্ডেন জি পি এ -৫ অর্জনকারী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো ছাত্রের মধ্যে প্রথম সারীর ছাত্র ছিলেন ।

যা ঘটেছিল - দুপুর ১২টার দিকে কলা অনুষদ ভবনের ইসলামের ইতিহাস বিভাগে শিবিরকর্মীদের সাথে ছাত্রলীগ কর্মীদের কথা কাটাকাটি হয় । বিপুলসংখ্যক বহিরাগতসহ ছাত্রলীগ কর্মী মুহূর্তেই এ খবর ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে দিয়ে ছাত্রশিবিরের কলা অনুষদ সভাপতি আবুল কালাম আজাদ ও আনোয়ার হোসেন নামে অপর এক শিবির নেতাকে গুরুতর আহত করে বিজ্ঞান অনুষদের পাশে পুকুর ধারে ফেলে রাখে । ঘটনার আকস্মিকতায় শিবিরকর্মীরা তাদের উদ্ধার করতে বাঁধা পায় । সংঘর্ষ ছড়িয়ে পরে ক্যাম্পাস জুড়ে । এ সময় শিবিরকর্মীরা প্রতিরোধ গড়ে তুললে ছাত্রলীগ ১ নম্বর গেটে অবস্থান নেয় ।

সংঘর্ষের একপর্যায়ে সামনে ছাত্রলীগ এবং পেছনে পুলিশের আক্রমণের ফলে ছাত্রশিবিরের কর্মীরা শাহজালাল হলের পাশে পাহাড়ে উঠে যান । ছাত্রলীগ কর্মীরা পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের সামনেই বেপরোয়া গুলি চালাতে থাকে । সংঘর্ষ চলাকালে নিহত মুজাহিদকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে ছাত্রলীগ ক্যাডার পীযূষ কান্তি বর্মণ ( উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী) । আর নির্দেশ দিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সিনিয়র সহসভাপতি আবুল মনসুর শিকদার (ছাত্রত্ব চলে গেছে অনেক আগে অর্থাৎ বহিরাগত) । এ সময় ছাত্রলীগের কর্মীরা শিবিরের দুই নেতাকে ঘিরে ফেলে পেটাতে থাকে । ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খত বিক্ষত করে তাঁদের মাথা ও শরীর । সে সময় গুলির শব্দ শোনা যায় । বারবার বিশ্ববিদ্যালয় ও পুলিশ প্রশাসনের সহায়তা চাইলেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি । এমনকি তারা গুরুতর আহত দুই শিবির নেতাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসেনি । পরে সংঘর্ষ একটু থেমে এলে পাহাড়ের ওপর থেকে আহত দুজনকে উদ্ধার করে পুলিশ । হাসপাতালে নেওয়ার পথে আহত মুজাহিদ মারা যান । আর মাসউদকে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন । ছাত্রশিবিরের ৩০ জনের উপর নেতাকর্মী গুরতর আহত এবং প্রায় অর্ধ শতাধিক গ্রেফতার হয়, অন্য দিকে ছাত্রলীগের ৫ জন কে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে ।

আজও ঘুমাতে পারিনা । চোখ বন্ধ করলেই সে দিনের ভয়াবহ দৃশ গুলো । আহা ! কি নির্মমতা ! লিখছি তাঁদের নিয়ে । ক্ষোভ প্রকাশের অন্য কোন ভাষা নেই আমার । খুঁজতে শুরু করলাম তাঁদের প্রত্যাহিক জিবনের চিন্তা ও কর্মের খবর । শহীদগণ তো একই চিন্তা ও কর্মের অধিকারী । শহীদ মোজাহিদুল ইসলাম সম্পর্কে বিশেষ কোন তথ্য না পেলেও শহীদ মাসউদ বিন হাবিব এর ফেসবুক (http://www.facebook.com/ Masud Bin Habib) প্রোফাইল এবং ওয়াল থেকে প্রাপ্ত তথ্য গুলো বিশ্লেষণ না করলেই নয় ।

তিনি ২০১২ বছরটি শুরু করেছিলেন গত বছরের ভুল গুলোর জন্য আল্লাহ্‌র কাছে ক্ষমা চেয়ে । আর দোয়া করেছিলেন - "নতুন বছরটিকে আমাদের জন্য পুণ্য কুড়াবার বছর হিসেবে কবুল কর । হে প্রভু নতুন বছরে নিজেকে যেন জান্নাতের জন্য প্রস্তুত করতে পারি । আমিন" (http://www.facebook.com/ Masud Bin Habib - December 31, 2011 at 9:05 pm)

তিনি সকলকে আহবান করেন - "আপনার নিজের জিনিস কি আপনি আপনার নিজের দোকান থেকে কিনবেন ? অবশ্যই কিনবেন না । অথচ আল্লাহ্‌তায়ালা আপনার জীবনকে শ্রেষ্ঠ বিনিময় জান্নাত এর বিনিময়ে কিনতে চান । যদিও জীবন তাঁরই দেয়া । আসুন নিকৃষ্ট দুনিয়ার জিবনের বিনিময়ে উৎকৃষ্ট জান্নাত লাভ করার চেষ্টা করি ।" (http://www.facebook.com/ Masud Bin Habib - November 24, 2011 at 21:16 am)

তাঁর জীবনের লক্ষ্য এবং মনের আকুতি ছিল - "হে আল্লাহ্‌তুমি আমাদের সকল গুনাহ, ত্রুটি বিচ্যুতি মাফ করে দিয়ে তোমার প্রিয় বান্দাদের মাঝে অন্তর্ভুক্ত কর । আমাদের কে তোমার পথে লড়াই করে গাজী হওয়ার তাওফিক দাও । আর মরণ লেখা থাকলে তা যেন হয় শহীদী মরণ । আমাদের উপহার দাও তোমার দিদার ও জান্নাত ।" (http://www.facebook.com/ Masud Bin Habib - November 16, 2011 at 10:05 am)

আশ্চর্যের বিষয় কি জানেন - সন্তান শহীদী মৃত্যুর জন্য দোয়া করছে আর বাবা সেখানে অনেকের সাথে দোয়া কবুলের জন্য কমেন্ট করলেন " আমিন " । আরো অবাক হই ! সন্তানের শহীদী মৃত্যুর খবর পেয়ে বাবা হাবিবুর রহমান বলছেন - "আলহামদুলিল্লাহ । নিশ্চয় আমারা সবাই আল্লাহ্‌র জন্য এবং আমরা সবাই তাঁরই সান্নিধ্যে ফিরে যাবো । হে আল্লাহ্‌আমাকে সাহায্য করুণ ।" (http://www.facebook.com/ Habibur Rahman, February 8, 2012) হ্যা, এতো পবিত্র কোরআনের সূরা আল বাকারার ১৫৩-১৫৭ নং আয়াতেরই প্রতিধ্বনি । কি চমৎকার । পরম আনন্দের । মহান সাফল্য । একই ভাবে শহীদ মুজাহিদুল ইসলামের বাবা ও মা দুজনেই আল্লাহ্‌র কাছে বিচার ও সাহায্য চাইলেন । সন্তানের মৃত্যুতে যখন কেউ আহাজারি না করে বরং আল্লাহ্‌র প্রসংসাকীর্তন করেন আল্লাহ্‌তায়ালা তখন ফেরেশতাদের আদেশ দেন, "আমার এ বান্দার জন্য বেহেশতে একটি প্রাসাদ তৈরি কর এবং তার নাম দাও বায়তুল হামদ (প্রসংসার ঘর) ।" (তিরমিজি)

শহীদ মাসউদ বিন হাবিব এর প্রিয় কথা ছিল - লা ইলাহা ইল্লাললাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ্‌। নিজেকে পরিচয় দিতেন এই বলে- আমি একজন মুসলিম, এটা আমার প্রথম ও শেষ পরিচয় । ভালবাসতেন প্রিয় স্বদেশকে, বিজয় দিবসের প্রত্যাশায় লিখেছেন একটি দুর্নীতিমুক্ত, আদর্শ, শৃঙ্খলমুক্ত রাষ্ট্রের চিন্তা গুলো । দোয়া করতেন - "হে আল্লাহ্‌আমাদের এই বিজয় পতাকাকে আজীবন সমুন্নত রাখুন ।" (http://www.facebook.com/ Masud Bin Habib - December 15, 2011) "হে প্রভু তুমি ক্ষমা কর এই জাতিকে । রক্ষা কর আমার দেশকে ।" (http://www.facebook.com/ Masud Bin Habib - December 28, 2011) দেশে যে সমস্ত অন্যায় ও অশ্লীল কার্যক্রম চলছে সেগুলোর বিরুদ্ধে তাঁদের কণ্ঠ ছিল সোচ্চার । তাইতো লিখেছিলেন - "আল্লাহ্‌দুনিয়ার বিচারকদের পরীক্ষা করছেন । তারা দুনিয়াতে ক্ষমতা পেয়ে তাঁর কতটুকু ন্যায় বিচার করতে পারে । আল্লাহ্‌আহকামুল হাকিম ।" (http://www.facebook.com/ Masud Bin Habib - October 4, 2011 at 4:59 pm)

দেশের বিরুদ্ধে বিদেশিদের ষড়যন্ত্র, ভারতের বৈষম্য নীতি, দেশের অভ্যন্তরে সমস্যা গুলো যেমন - ক্রমাগত মানবাধিকার লঙ্ঘন; দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি; পুলিশি নির্যাতন; মানুষের নীতি, নৈতিকতা, বিবেক‌, ঈমানে এর অবক্ষয় ইত্যাদি নিয়ে সব সময় চিন্তিত থাকতেন তাঁরা । বলতেন - "বাংলার আকশে আজ জুলুম মেঘের ঘনঘটা, এই মেঘ কেটে গিয়ে শান্তির সূর্য এক দিন হাসবেই ইনশাআল্লাহ্‌।" (http://www.facebook.com/ Masud Bin Habib - July 7, 2011 at 7:45 pm) চিন্তিত থাকতেন বিশ্বের ঘটনা প্রবাহ নিয়ে । যেখানে মানবতা লুণ্ঠিত, এক দিকে ক্ষুধা ও মানুষের আহাজারি, অন্য দিকে বিত্তের দম্ভ । তাইতো দোয়া করতেন - "হে আল্লাহ্‌তুমি সর্ব শক্তিমান । তুমি আমাদের সাহায্য কর । বাতিলের মোকাবেলায় তুমি আমাদের হয়ে যাও । তোমার মোকাবেলায় বাতিলের সকল ষড়যন্ত্র ম্লান ।" (http://www.facebook.com/ Masud Bin Habib - November 15, 2011 at 7:37 pm) তাঁরা মনে প্রানে নিজে ও অন্য কে নিয়ে দেশ গঠনের চিন্তায় মগ্ন ছিলেন । কামনা করতেন সুন্দর, সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশ । পরাশুনার পরিবেশটা যেন সব সময় টিকে থাকে এই নিয়ে কতই না প্রচেষ্টা ছিল তাঁদের । দোয়া করতেন - "হে মালিক, হে আল্লাহ্‌, তুমি আমাদের ভাইদের হেফাজত কর ।" (http://www.facebook.com/ Masud Bin Habib - October 26, 2011 at 7:37 am)

তাঁদের চরিত্র ছিল অনুসরনীয় । ভালবাসতেন নিজের আত্নিয়, স্বজন, ছোট্ট পুতুলের মত ভাগ্নি নাবিলাকে । মায়ের সাথে প্রিয় মুহূর্ত গুলো কাটাতে কতই না পছন্দ করতেন । যেমনটি লিখেছিলেন - "কু ঝিক ঝিক কু ঝিক ঝিক, ট্রেন ছুটে চলছে । যতই সামনে যাচ্ছে ততই যেন বাড়ি কাছে ছুটে আসছে । নাড়ির টানে ছুটে চলছি ।" (ঈদে বাড়ি যাওয়া নিয়ে http://www.facebook.com/ Masud Bin Habib - September 2, 2011, at 11:11 am ) শ্রদ্ধা করতেন নারীদের । বলতেন - "মাঝে মাঝে মনে হয় কতই না ভাল হত, যদি আমাদের দেশর মসজিদ গুলতে সারাদিন মুয়াজ্জিন আযান দিতেন । তাহলে আমাদের মা বোনেরা আর মাথা থেকে কাপড় ফেলতেন না ।" ( http://www.facebook.com/ Masud Bin Habib - August 13, 2011 at 9:33 pm) কি সুদূর প্রসারী চিন্তা । একমাত্র পর্দায়ই পারে নারীদের কে সম্মানিত করতে, সামাজিক অস্থিরতা দুর করতে ।

জানেন ! আমার শহরে বাসা আছে কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের হল আমার সব থেকে প্রিয় থাকার জায়গা । কেন ? নিচিন্তে ঘুমাতে পারেন । কোন ভয় নেই । সেখানে এক দল মহিমান্বিত যুবক আছেন । যারা রাত জেগে পড়ালেখা করেন, সিজদায় নত হয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন, বলতে থাকেন "নিশ্চয় আমার নামাজ, আমার কোরবানি, আমার জীবন, আমার মরণ শুধু মাত্র আল্লাহ্‌র জন্য" (আল কোরআন) । সন্ধান করেন মহান রাতের । আশ্চর্যের বিষয় ! নির্ভুল ভাবে ঠিক সময় মত সামান্য ঘুমের পর আবার জেগে উঠেন তারা । ডাকতে থাকেন - সালাত, সালাত, সালাত..................... বলে । নামাজের আহবান । কি তৃপ্ত হৃদয় । মাসুউদ বিন হাবিব স্মরণ করিয়ে দেন - "রাত কি কেটে যাবে ঘুমের আলসে ? তুমি কি জানবেনা তোমার নিজেকে ? প্রভুকে সিজদায় নত হও - অশ্রু ছাড়, আল্লাহ্‌র স্মরণে হৃদয় গাঢ় ।" (http://www.facebook.com/ Masud Bin Habib - August 8, 2011 at 3:28 am) প্রতিটি দিন শুরু করেন সুমিষ্ট কণ্ঠে আদর মাখা বিনয়ী স্বরে - আসসালামু আলাইকুম বলে । হাসি মাখা মুখ । নেই কোন বিরক্তির ছোঁয়া । তাঁরা তো আল্লাহ্‌র সান্নিধ্যে চলে যাবে, তা তাঁদের কর্মেই ফুটে উঠত । তাঁদের কণ্ঠে ধ্বনিত হত - "কে আছ বন্ধু, মুক্তি চাও ? আল - কুরআন তোমাকে ডাকছে । এস মুক্তির পথে, এস জান্নাতের পথে । জেগে উঠ মুসলিম, আজ সময় এসেছে জেগে উঠার । বিপ্লব, কুরআনের বিপ্লব । আজ ভেঙ্গে দাও জালিমের প্রাসাদ, বজ্র কণ্ঠে আওয়াজ তোল - দ্বীন ইসলাম জিন্দাবাদ, তাগুতেরা নিপাত যাক ।" (http://www.facebook.com/ Masud Bin Habib - July 17, 2011 at 9:15 pm)

তাঁরা ছিলেন প্রতিবাদে মুখরিত তাজা প্রান । তাই তো তাঁদের কণ্ঠে ধ্বনিত হয় - "ঈমান দিপ্ত দাস্তানরা কোথায় ? ছুটে এস আর একটি আকাবার শপথ নিতে । ইসলাম আজ অবহেলিত, লাঞ্চিত, পদদলিত । আমার দেশের কিছু মুসলিম নামধারী শয়তান আজ অপমানিত করছে ইসলামকে । ছুটে এস, ---- শিক্ষা দাও এদের । তাওহিদী জনতা আছে তোমাদের সাথে ।" (http://www.facebook.com/ Masud Bin Habib - December 29, 2011 at 9:43 pm) তাঁরা খেলতে, লিখতে, পড়তে এবং মানবতার পক্ষে কথা বলতে পছন্দ করতেন । দক্ষ ছিলেন বাংলা, ইংরেজি, আরবি ভাষায় ।

এখন যদি প্রশ্ন করি মানবতাবাদী বিবেকবান মানুষদের, প্রশ্ন করি যারা মানুষ পরিচয়ে পরিচিত - নিচের কোন বিষয়গুলো বা কোন পক্ষটি আপনাদের কাছে ভাল বা উত্তম বলে মনে করেন ?

প্রথমত, যারা মদ, গাজার নেশায় মত্ত; যারা পড়াশুনার পরিবর্তে ক্লাস বর্জন, আড্ডা, জুয়া, নগ্ন প্রেম, অশ্লীলতা, ধর্ষণ, খুন ইত্যাদি নিয়ে ব্যাস্ত; যারা রাত জেগে অশ্লীলতায় মগ্ন; ব্যাস্ত থাকে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ফ্রিতে খাওয়া, কথায় কথায় ছোট বড় সবাইকে তুই করে বলা, আতঙ্ক ছড়াতে; যারা মা বোনদের অশ্লীল ভাষায় কটূক্তি করে; যারা ভালোর থেকে মন্দেই খুশি ইত্যাদি ।

অন্য দিকে, যারা পড়ালেখায় ব্যাস্ত থাকে; শালীন আচরণ করে; সকলে তাদের থেকে নিরাপদ; দিনে স্কুল, কলেজ, বিশব্বিদ্যালয়ে পড়াশুনার পাশাপাশি অন্য কে সাহায্য করে, কল্যাণের পথে আহবান করে; যারা দেখা হলে বলে আসসালামু আলাইকুম; যাদের কাছে মা বোনেরা নিরাপদ, সম্মানিত; যারা মদ, জুয়া, গাজা, অশ্লীলতা, নগ্ন প্রেম, ক্লাস ফাঁকি, নেশা, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ফ্রিতে খাওয়া ইত্যাদি সকল অন্যায় ও অনৈতিক কাজ থেকে মুক্ত; যারা রাতে পড়ালেখার পাশাপাশি সিজদায় অবনত - হাজির হয় আল্লাহ্‌র দরবারে নিজের, সমাজের, রাষ্ট্রের কল্যাণ কামনায়; যারা সকল অপবিত্রতা অশ্লীল কথা বার্তা থেকে মুক্ত; যাদের কণ্ঠ বিনয়ের; যারা কাউকে বিরক্ত করেনা; যারা দিনে পাঁচ বার পরিচ্ছন্ন হৃদয় ও শরীরে কাধে কাধ মিলিয়ে ঐক্য প্রকাশ করে; যারা ব্যক্তি গত ভোগবাদিতার উর্ধে দেশ গঠনের উদ্দেশ্যে নিজকে গঠন করতে ব্যস্ত; যাদের সকল কাজের উদ্দেশ্য আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টি ।

প্রশ্ন ! কোন পক্ষটি উত্তম, দেশপ্রেমিক, আদর্শবান, অনুসরনীয় ? নিশ্চয়ই সাক্ষী মহান রব, আল্লাহ্‌তায়ালা, প্রকৃত সত্য সন্ধানী মানব হৃদয় ভালোর পক্ষে, সত্য ও সুন্দরের পক্ষে । তবুও কোথাও যেন পিছুটান, বিরোধীরা যেন আবু লাহাবের মত দম্ভ ও ক্ষমতার লোভে মত্ত ।

তাহলে কে দিবে শহীদ মাসঊদ বিন হাবিব এর বাবার প্রশ্নের উত্তর - "মাসঊদ আব্বু কেমন আছ ? ফেব্রুয়ারি ১২ তে বাড়ি আসবে কি ?" (http://www.facebook.com/ Habibur Rahman - February 2, 2012, at 4:01 pm) শহীদের ডায়রিটা কি যে বেদনার - ভাবতেই জলে চোখ ভিজে যায় - কোন দোষে হায়েনারা কেড়ে নেয় তাজা প্রান পাশবিক উল্লাসে ?

সকলের চিন্তা, চেতনা, ও অবস্থার প্রেক্ষিতে আমি প্রশ্ন করছি - প্রশ্ন গুলর উত্তর নিজের মনকে জানান । সঠিক উত্তর দিতে না পারলে মনে রাখবেন ! যারা আপনাদের শ্রদ্ধা করে বা অনুসরনের যোগ্য মনে করে, তারা আপনাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে । উত্তর দিতে পারবেন কি ?

কেন প্রতিপক্ষরা ইসলামী ছাত্রশিবির কে ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত করতে চায় ? (ছাত্রশিবিরের ছাত্ররা হলে বৈধ ছাত্র এবং তারা বলে আমাদের পালনকর্তা আল্লাহ্‌আর প্রতিপক্ষের ছাত্রদের হলে বৈধ হওয়ার মত পরীক্ষার ফলাফল নেই - এখানেই যত আপত্তি । স্মরণ করুণ সূরা হজ্জ, আয়াতঃ ৩৯, ৪০) । কেন শিক্ষাঙ্গনে হত্যা-সন্ত্রাস সরকারকে বিচলিত করে না ? নিহত হল শিবির নেতা, আবার গ্রেফতার হল তারাই ! তাদের বিরুদ্ধে আবার মামলাও করা হল ! কি পরিহাস । কেন যারা খুনি তারা গ্রেফতার হল না ? যদি ছাত্রলীগের কেউ মারা যেত, হত্যার শৈল্পিক বর্ণনা, খুনিদের ছবি, অশুভ শক্তির উত্থান, সারা দেশে শিবির ধর ! হয়ে যেত তাণ্ডব । হায়রে সেকুলারিজম । কি নিকৃষ্ট উদাহরন । স্বরাষ্ট্রমন্ত্রি এখন কি করবেন ? খুনির নাম প্রকাশিত কিন্তু ধরা ছোঁয়ার বাইরে । উল্টো শিবির পেলেই গণধোলাই বললেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি । অন্যরা বললে কি হত বুঝেন !

জেনে রাখুন - "যারা মুমিন পুরুষ ও নারীকে নিপীড়ন করেছে, অতঃপর তাওবা করেনি, তাদের জন্যে আছে জাহান্নামের শাস্তি, আর আছে দহন যন্ত্রণা । যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে তাদের জন্যে আছে জান্নাত, যার তলদেশে প্রবাহিত হয় নির্ঝরিণীসমূহ । এটাই মহাসাফল্য । নিশ্চয় তোমার পালনকর্তার পাকড়াও অত্যন্ত কঠিন ।" (সূরা আল-বুরুজ, আয়াতঃ ১০-১২)

শহীদ মাসঊদ বিন হাবিব লিখেছিলেন - " বাবা-মায়ের স্বপ্ন ছিল ছেলে ডাক্তার হয়ে মানব সেবা করবে । কিন্তু একি হল ? নরপশুদের হামলায় ছেলে আজ লাশ হয়ে ঘরে ফিরল । স্বরাষ্ট্রমন্ত্রির চিরুনি অভিযান আজ কোথায় ? ফারুকের চেয়ে আবিদ কি কম সম্ভাবনাময় ! না কি ? সে আপনার দলের নয় ? প্লিজ ন্যায় বিচার করেন । (http://www.facebook.com/ Masud Bin Habib - October 23, 2011 at 1:42 am) আমার একই প্রশ্ন তাঁদের মৃত্যুতেও ? এর নাম কি সাম্য, এর নাম কি নিরপেক্ষতা ? এই জন্যই কি আমাদের স্বাধীনতা !?

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ২৪ বছরে ১৭ শিক্ষার্থী খুন । শুধু মাত্র গত ৩৭ মাসে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ২১ ছাত্র খুন । খুনিদের পরিচয় সবারই জানা । কোনটিরও বিচার হয়নি ! যার ফলে তারা খুন করতে দ্বিধা করে না । নির্ভীক !

আজ দেশের বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ, সাধারন শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত, শঙ্কিত, ব্যহত শিক্ষার পরিবেশ । যখন গোটা পৃথিবী জ্ঞান বিজ্ঞানে এগিয়ে, তখন অবাক বিস্ময়ে দেখতে হয় একজন ছাত্র অন্য জন ছাত্র কে অস্ত্র হাতে আঘাত করছে । কারো মৃত্যুতে জাগে গণতন্ত্র আর কারো মৃত্যুতে ষড়যন্ত্র ! হায়রে জাতি ! মানবতার চেয়ে রাজনৈতিক ইচ্ছাই প্রধান ! না ? বিচারের বানী নিভৃতে আর বেশি কাল কাঁদতে পারে না ।

যদি মানবতার প্রশ্ন তুলি তাহলে কোথায় তথাকথিত বজ্রকন্ঠ গুলি !? কি বলবেন তারা ? সবার জীবনের অধিকার আছে, আছে শিক্ষার অধিকার, মতামতের অধিকার, সংগঠনের অধিকার, ধর্ম পালনের ও প্রচারের অধিকার । ইসলাম সকল প্রকার যুক্তিযুক্ত মানবাধিকারের স্বীকৃতি দেয় । ইসলামের ছায়া তলে সকলে নিরাপদ । কিন্তু বিরোধীরা অহেতুক বাড়াবাড়িতে লিপ্ত । স্মরণ করুন পবিত্র কোরআনের আয়াতগুলো - "যারা জমিনে ফ্যাসাদ সৃষ্টি করেছিল আর তাতে বাড়াবাড়ি করেছিল । অতঃপর আপনার পালনকর্তা তাদেরকে শাস্তির কশাঘাত করলেন ।" (সূরা আল ফজর, আয়াতঃ ১১-১৩)

বড়ই দুঃখজনক বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন সাধারন ছাত্র যদি মসজিদে নামাজ পড়তে যায়, তাহলে তাকে শিবির বলে চিহ্নিত করা হয়; জুলুম, অত্যাচার, আঘাত বা মৃত্যু তার জন্য অপেক্ষা করে । এই হল দেশের অবস্থা । যাদের কারনে আজও কিছু ছাত্র দেশ মাতৃকার কল্যানে নিয়োজিত, দুর্ভাগ্য হলেও সত্য তাদেরকে নিধন করার উম্মাদনায় জ্ঞান পাপিরা আজ উন্মত্ত । আমি এক জন সাধারন ছাত্র হিসেবে ধিক্কার জানাই সেই সকল জাগতিক ক্ষমতাবানদের, যাদের তালিকায় ছাত্র হত্যার বিচার নেই, অথবা থাকলেও তা সর্বাধিক ২ বা ৩ বছর বহিস্কার; অথচ তারা খুনি ! কেউ ধিক্কার জানায় আর কেউ বলে তোমার কাজই তো ধিক্কার জানানো । আমরা প্রতিবাদ করি, বিচার চাই কিন্তু চাওয়াগুলো ক্লান্ত হয়ে একবার মিলিয়ে যায় । খুনিরা উৎসাহিত হয় । তার পর অতঃপর চলতে থাকে ! মনে রাখা উচিত গুলি চালিয়ে কোন আদর্শকে হত্যা করা সম্ভব নয় । জেল, জুলুম, আর শাহাদাত ইসলামী আন্দোলনের ভিত আরও মজবুত করে, জাগিয়ে তোলে তাওহিদি জনতাকে ।

আজকের চরিত্র গুলো আগামির পরিচালক । তাই সকল অভিভাবকগণকে শ্রদ্ধ্যার সাথে বলব আপনার সন্তান কে বলুন এবং ছাত্রছাত্রীদের দৃঢ় চিত্তে বলছি - আসুন কল্যানের পথে; সত্য, সুন্দর, মানবতা ও সাম্যের পথে । একটি আদর্শ জাতি গঠন করি যেখানে থাকবেনা কোন অন্যায়, অবিচার, আতঙ্ক, বিবাদ । এজন্য নিজেকে এমন করে গড়তে হবে যেন অন্যরা অনুসরণের উদাহরন হিসেবে গ্রহন করে । আর এ জন্য ইসলামের পূর্ণ অনুশিলনের কোন বিকল্প নেই ।

নির্মমতায় জাতি আজ নির্লজ্জ । মনে রাখবেন - "বদরের প্রন্তরে যে প্রভু মুমিনের পাশে ছিল অবিচল, হাজার বছর পরে রহম করেন সেই প্রভু আজো আছে অবিকল ।" (http://www.facebook.com/ Masud Bin Habib - August 18, 2011 at 1:49 pm) ইসলাম অর্থ শান্তি । আসুন প্রকৃত ইসলামী জ্ঞান চর্চার মাধ্যমে ঈমানকে করি পরিপূর্ণ । আদর্শ, চরিত্রবান ও দেশ প্রেমিক হিসেবে নিজেকে গড়ি । লড়াই করি সকল কুপ্রবৃত্তির বিরুদ্ধে । পবিত্র কোরআনে আছে - "এবং তোমরা তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে থাকবে যতক্ষণ না ভ্রান্তি দূরীভূত হয়ে যায়; এবং আল্লাহ্‌র দ্বীন সামগ্রিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায় । তারপর যদি তারা বিরত হয়ে যায়, তবে আল্লাহ্‌তাদের কার্যকলাপ লক্ষ্য করেন । আর তারা যদি না মানে, তবে জেনে রাখ, আল্লাহ্‌তোমাদের সমর্থক; এবং কতই না চমৎকার সাহায্যকারী ।" (সূরা আল-আনফাল, আয়াতঃ ৩৯-৪০) তাই ভরসা করি মহান রাব্বুল আলামিন দয়াময় আল্লাহ্‌তায়ালার ওপর । নিশ্চয়ই সত্যের জয় সমাগত ।

February 16, 2012

বিষয়: বিবিধ

১৫৭৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File