না বলা কথা

লিখেছেন লিখেছেন বৃত্তের বাইরে ১৮ মার্চ, ২০১৪, ০২:৪৪:০৭ রাত



দৃশ্য -১

তমালের বয়স ১৩। সে শান্ত স্বভাবের,পড়াশোনায়ও অনেক মনযোগী। ক্লাসের অন্য বন্ধুদের মত কারো সাথে আড্ডা দেয়না, তার কোন মেয়েবন্ধুও নেই। সে কারো সাথে মিশতে পারেনা দেখে তার বন্ধুরা ভাবে সে বোকা। তমালের বন্ধুরা সুযোগ পেলে মাঝে মাঝে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে বাইরে গিয়ে সিগারেট খায়,মোবাইলে চ্যাটিং করে। তমাল বুঝতে পারে কিন্তু কিছু বলেনা। তমালের ক্লাসে সেক্স এডুকেশনের উপর ভিডিও দেখায়,অন্যরা সবাই সেই ক্লাসে যায়। এই ক্লাসের যাওয়ার জন্য স্কুল থেকে বাসায় অভিভাবকদের মতামত চেয়ে একটা ফর্ম পাঠিয়েছিল। তমালের বাবা-মা পারমিশন দেননি। তাই স্কুলে যখন সেক্স এডুকেশনের ক্লাস হয় তমাল সেই সময়টা লাইব্রেরীতে থাকে। এজন্য তার বন্ধুরা তাকে বুক ওয়ার্ম/ বইয়ের পোকা বলে ক্ষেপায়। তমাল বুঝতে পারে সে বড় হচ্ছে কিন্তু তার শরীরের এবং মনের যে পরিবর্তন আসছে তা বাবা-মায়ের সাথে শেয়ার করতে পারেনা। বাবা-মাকেও ঠিক বুঝতে পারেনা তমাল। বন্ধুদের সঙ্গে দূরে কোথাও যাওয়ার অনুমতি চাইলে বাবা-মা বলেন, ‘তুমি এখনো অনেক ছোট, বড় হলে তারপর যাবে।’ আবার কোন কাজ না করতে পারলে , তখন বাবা উত্তর দেন, ‘তুমি এত বড় হয়েছ,আর এই সামান্য কাজটি করতে পারো না?’ তমাল পড়ে যায় উভয় সংকটে—সে কি আসলে ‘বড়’ না ‘ছোট’? এখন কোন পার্টিতে গেলে ছোটদের সাথে খেলতে ভালো লাগেনা, আবার বড়রাও তাকে তাদের দলে ডাকেনা।

তমালের বাবা ছেলের সাথে বন্ধুর মত। শত ব্যস্ততার মাঝেও ছেলেকে সময় দেয়ার চেষ্টা করেন। ইদানিং তিনি বুঝতে পারছেন তমাল কিছুটা বিষণ্ণ থাকে, পড়াশোনায়ও আগের মত তেমন মনোযোগ নেই। সবকিছুতে বাবা-মায়ের খবরদারি একেবারেই পছন্দ করছেনা। নিজে নিজে অনেক সিদ্ধান্ত নিতে চায় এবং কখনো মতের মিল না হলে বড়দের সঙ্গে রূঢ় আচরণও করে ফেলে। তার মধ্যে এই পরিবর্তন দেখে ছেলে যে বয়ঃসন্ধিকালের কঠিন সময় পার করছে এটা তিনি আঁচ করতে পারেন। আগে যৌথ পরিবারে বাবা-মা কাছে না থাকলেও বাড়ির মুরুব্বীদের কাছে ছেলেমেয়েরা অনেক কিছু জানতে পারতো। কিন্তু এখন একক পরিবারে বেশীরভাগ বাবা-মায়ের ব্যস্ততার কারনে সেটা আর সম্ভব হচ্ছেনা। তমাল যেহেতু একা বড় হচ্ছে তাই তিনি মনে করেন ছেলেকে আরও বেশী সময় দেয়া প্রয়োজন। বয়ঃসন্ধিকালে যে দৈহিক ও মানসিক পরিবর্তন আসে সে ব্যাপরে আগে থেকে অবহিত না করলে তাদের ভেতর আচরণগত অস্বাভাবিকতা চলে আসতে পারে। এ বয়সে জানার যে কৌতূহল থাকে তা এড়িয়ে না গিয়ে বরং অভিভাবকদের আন্তরিকতার সাথে ছেলে-মেয়েদের বুঝিয়ে দেয়া উচিত তা না হলে তারা যদি কুসংসর্গ থেকে খারাপভাবে কিছু জেনে ফেলে, তা তাদের জন্য শঙ্কার কারন হতে পারে। এক্ষেত্রে তাদের সাথে আলোচনা সহজ করার জন্য প্রত্যেক বাবা-মাকে শৈশব থেকেই গাছপালার বংশবৃদ্ধি , বিভিন্ন প্রাণীর প্রজনন এবং মানব দেহের গঠন সম্বন্ধে প্রাথমিক আলোচনার ভিতর দিয়ে স্বাভাবিকভাবে তার ছেলে-মেয়ে উভয়ের কৌতূহল উদ্দীপ্ত করা প্রয়োজন। প্রথম থেকেই জ্ঞানগর্ভ আলোচনা না করে সহজ ভাষায় বুঝানো যেতে পারে। এক্ষেত্রে বাবা-মাকেই হতে হবে তাদের প্রকৃত বন্ধু।

দৃশ্য -২

রিদিতার বয়স ১৮। ইদানিং রিদিতার মনে হচ্ছে তার বাবা-মা তাকে একটুও পছন্দ করে না। সে যাই করে তা তাদের ভাল লাগেনা। তার বাবা সারাদিন অফিস করে, শুধু রাতেই বাসায় থাকে আর সে সময় কিছু না কিছু নিয়ে বকাঝকা করে। তার মাও তাকে সারাদিনই এটা ওটা নিয়ে বকা দেন ‘ কাজ শিখ্, মেয়ে হয়ে জন্মেছিস আজ বাদে কাল বিয়ে হবে। কাজ না শিখে শ্বশুর বাড়িতে গেলে সবাই বলবে, কি মেয়ে বানিয়েছে যে একটা কাজও পারে না।! রিদিতার রাগ হয়, মেয়ে হয়ে জন্মানো কি তবে পাপ? ভাত খেয়ে প্লেটটা রেখে উঠেছে অমনি শুরু হলো ‘নিজের খাবারের প্লেটটা পর্যন্ত একটু ধুয়ে রাখতে পারিসনা! চাল চলন একদম নবাবের মেয়ের মত, একটা কাজ করতে চায়না! বান্ধবীর বাসায় একটু যেতে চেয়েছে সেখানেও নিষেধ, কারো সাথে ফোনে কথা বলছে অমনি ফোনটা টেনে নিয়ে 'দেখি কার সাথে কথা বলছিস এতক্ষণ! সবকিছুতে নিষেধ আর বারণ শুনতে শুনতে আর ভালো লাগেনা রিদিতার। মাঝে মাঝে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফেনের সাথে ঝুলে মরে যেতে ইচ্ছে করে।

নেহা রিদিতার ভাল বন্ধু। বাবা মা এর ডিভোর্স হয়ে গেছে, নেহা তার আত্মীয়ের সাথে থাকে। পরিবারে বাবা-মায়ের শাসন,ধর্মীয় অনুশাসন নেই বলে নেহা কিছুটা উচ্ছৃঙ্খল জীবন যাপন করে। রিদিতার মা জানেন নেহা ব্রোকেন ফ্যামিলির মেয়ে তাই নেহার বাসায় যাওয়া-আসা, রিদিতার সাথে মেলামেশা করাটা তিনি পছন্দ করেননা। আর তাছাড়া নেহার সাথে বন্ধুত্ব গড়ে উঠার পর থেকে তিনি তার মেয়ের মধ্যেও পরিবর্তন লক্ষ্য করেছেন। সে ঘরে থাকার চেয়ে নেহার সাথে ঘুরতে বেশী পছন্দ করে। তাহলে কি তিনি মেয়েকে প্রয়োজনের চেয়ে বেশী শাসন করছেন যা মা-মেয়ের সম্পর্কে দূরত্ব সৃষ্টি করছে!

রিদিতার যা বয়স-এই বয়সে কাউকে না মানার মনোভাব ছেলে-মেয়ের মধ্যে প্রচণ্ড ভাবে জেগে ওঠে। এ সময় বাবা-মা কিংবা অন্য অভিভাবকদের সাথে তাদের বনিবনা হয় না। একটা দুর্বিনীত ভাব সবসময় উত্তেজিত করে রাখে। নেতিবাচক চিন্তা-চেতনা তাদের প্রভাবিত করে। পারিবারিক পরিবেশ, স্কুল-কলেজের পরিবেশ, বন্ধুবান্ধবের সাহচর্য এবং অন্যান্য সাংস্কৃতিক উপাদান যেমন টেলিভিশন, সিনেমা, নাটক তাদের মনে প্রভাব বিস্তার করে। তখন বাবা-মায়ের চেয়ে বন্ধুদের বেশী আপন মনে হয়। তাই অভিভাবকরা সচেতন না হলে যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে। রিদিতার মা বুদ্ধিমতী তাই ব্যাপারটা বুঝতে পারে তিনি মেয়েকে ব্যস্ত রাখার জন্য মেয়েকে পার্টটাইম কাজ করার পরামর্শ দেন। কিন্তু শর্ত হল, তার নিজের যাতায়াত খরচ, ফোন বিল নিজেকে দিতে হবে আর প্রতি মাসে একটা নির্দিষ্ট পরিমান টাকা ব্যাংকে জমা রাখতে হবে। এই শর্তে রাজী হয় রিদিতা। এখন পড়াশুনা, পার্টটাইম জব, পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় সোশ্যাল ওয়ার্ক নিয়ে এত ব্যস্ত যে নেহার সাথে মেশার আর সুযোগ পায়না। রিদিতার মা ও মেয়ের এই পরিবর্তনে খুশী। রিদিতার মা বুঝতে পারেন আসলে দোষ রিদিতা বা নেহা কারোই নয়। অনেক বাবা-মা সন্তানদের যথাযথ সময় না দিয়ে শুধু শাসন করতে পছন্দ করেন। চাকরিজীবী বাবা-মায়ের সন্তানরা তাদের বাবা-মাকে কাছেই পায় না। কোনো কোনো অভিভাবক সন্তানকে অতি আধুনিক হিসেবে গড়ে তুলতে গিয়ে নিজস্ব ইতিহাস-ঐতিহ্য ভুলে যায়। পরিবার থেকে যদি সন্তানকে সুশিক্ষা দেয়া হয়, ধর্মীয় অনুশাসন, নৈতিক শিক্ষার পরিবেশ দেয়া হয়, তাহলে এই বয়সে বিপথগামী হওয়ার আশঙ্কা অনেক কম থাকে। পরিবারে যদি নৈতিক শিক্ষার পাশাপাশি ইসলামী পরিবেশ বজায় থাকে এবং সন্তানদের কুরআন-হাদিস চর্চায় অভ্যস্ত করা হয় তাহলে সে পরিবারের সন্তান অবশ্যই ভালো হবে।

বিষয়: বিবিধ

১৯৭৭ বার পঠিত, ৩০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

193791
১৮ মার্চ ২০১৪ রাত ০৩:১০
আরোহী রায়হান প্রিয়ন্তি লিখেছেন : আসলে সঠিক অভিভাবকত্ব খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক অভিভাকত্বের অভাবে প্রস্ফুটিত হবার আগেই ঝরে যায় কলিগুলো। টিনএজে যে পরিবর্তন আসে দেহ-মনে তারফলে বদলে যায় মন,মনের চাহিদা, কোন কিছুকে বোঝার ও দেখার দৃষ্টিভঙ্গী। নিজেই চিনতে পারে না নিজের দেহ,তল খুঁজে পায় না নিজের অনুভূতির। এই সময় সঠিক পথ দেখাতে না পারলে বিপর্যয় আসে মনে,বদলে যায় আচরণ।
সচেতনামূলক লেখাটির জন্য জাযাকিল্লাহ।
১৮ মার্চ ২০১৪ রাত ০৯:২৫
144844
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : বয়ঃসন্ধিকালের ছেলেমেয়েদের জন্য দরকার বাবা-মা আর অভিভাবকদের ভালোবাসা। সন্তানের প্রতি বাড়তি যত্ন আর সতর্কতা। সন্তানকে ভালোমন্দ সব শেখানো-জানানোর দায়-দায়িত্ব তো বাবা-মার উপরই পড়ে। তাই তাদের সবচেয়ে ভালো শিক্ষক আর বন্ধু হতে হবে বাবা-মাকেই। মূল্যবান মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপুকেLove Struck Good Luck Happy
193795
১৮ মার্চ ২০১৪ রাত ০৩:২৭
উম্মু রাইশা লিখেছেন : প্রথম ঘটনার ফলাফল কি হল? তমাল কি বিষন্নতা মুক্ত হতে পেরেছে?
১৮ মার্চ ২০১৪ রাত ০৯:২৫
144845
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : তমাল আসলে বয়ঃসন্ধিকালের প্রাথমিক স্টেজে ছিল। স্কুলে তার তেমন কোন বন্ধু ছিলনা, বাবা-মায়ের ব্যস্ততার কারনে বাসায়ও কারো সাথে তার ভিতরের পরিবর্তন গুলো শেয়ার করতে পারতোনা। কিন্ত পরবর্তীতে তার বাবা যখন বুঝতে পেরে তার সঙ্গী হল-ছুটির দিনে একসাথে ঘুরতে যাওয়া,ইনডোর এবং আউটডোর আইস হকিতে অংশ নেয়া এসব এক্টিভিটির সাথে জড়িত হওয়ার পর বিষণ্ণতা ঠিক হয়ে যায়। ধন্যবাদ আপু আপনাকেLove Struck Good Luck Happy
193796
১৮ মার্চ ২০১৪ রাত ০৩:২৮
মনটা আমার বাঁধনহারা লিখেছেন : বিশেষ করে বাঙ্গালী বাবা-মাদের মধ্যে সেক্স এডুকেশনের ক্লাসকে ঘিরে প্রচণ্ড ভয় ও জড়তা কাজ করে। অথচ এরফলে কিন্তু সমস্যাই বেশি হয়। মানুষের স্বভাব হচ্ছে অজানাকে জানতে চায়। এবং নিষিদ্ধ জিনিস ভীষণভাবে আকর্ষণ করে। বাবা-মার কাছ থেকে কিংবা স্কুলে টিচারদের কাছ থেকে এই বিষয়ে জানলে সঠিক তথ্য জানানো অনেক সহজ। কিন্তু বন্ধুবান্ধবের মাধ্যমে। যখন জানে তখন খুব বিকৃতভাবেই জানে। আসলে বাচ্চাদের শেখানোর আগে বাবা-মার শেখা উচিত কিভাবে বাচ্চাদেরকে শেখাতে হয়।

আবার শরীয়ত দিয়ে বোঝানোরও কিন্তু পদ্ধতি আছে। কিন্তু বেশির ভাগ সময়ই শরীয়তের বিধি-নিষেধ এত জটিল-কঠিন করে উপস্থাপন করা হয় যে বাচ্চারা ঘাবড়ে যায়। শরীয়ত কি এবং কেন শরীয়তকে মেনে চলতে হবে সেটা প্রথমে বোঝাতে গেলে হিতে বিপরীত হবার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। তারচেয়ে শরীয়তের মধ্যে থেকেও জীবনের সব রঙ সব রূপকে স্পর্শ করা না গেলেও,অন্তত অনুভব করা যায় এই নিশ্চয়তা প্রদান করতে পারলে তারা অনেক বেশি আশ্বস্ত হতে পারে।

অনেক ভালো লাগলো। শুকরিয়া। Happy
১৮ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৭:২৫
144427
রাইয়ান লিখেছেন : "মনটা আমার বাঁধনহারা " ..... হুম .... Thinking Thinking Thinking
১৮ মার্চ ২০১৪ রাত ০৯:২৮
144847
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সঠিক পয়েন্টা তুলে এনেছেনে বলে। তমালের সমস্যাটাও সেরকম ছিল। আমাদের সময়ে স্কুলে বিজ্ঞান বইয়ের মানবদেহ চ্যাপ্টারটা ক্লাসে পড়ানো হতোনা। স্যাররা বলতেন,তোমরা নিজেরা জানার জন্য ঘরে পড়ে নিও। কিন্তু যাদের ঘরে জানার পরিবেশ নেই তাদের জানার ক্ষেত্রটা যদি সঠিক না হয় তাহলে নষ্ট হওয়ার ঝুঁকিটা বেশী থাকে। এক্ষেত্রে অভিভাবকরা এই স্টেজে আসার আগেই সহজভাবে শিক্ষা দিতে পারেন,স্কুলেও শিক্ষকরা এ ব্যাপারে ভুমিকা রাখতে পারেন। কিন্তু সমস্যা হল বয়ঃসন্ধিকাল নিয়ে আমাদের পরিবার,সমাজ,স্কুল-কলেজ, ,টেলিভিশন,সংবাদপত্র, কোথাও তেমন কোনো প্রোগ্রাম নেই। আমাদের পরিবারগুলো এখনো কুসংস্কার আর অন্ধ শাসনের যাঁতাকলে নিষ্পেষিত। সুন্দর মন্তব্যটির জন্য আবারো ধন্যবাদ আপনাকে। Good LuckGood Luck Happy
193799
১৮ মার্চ ২০১৪ রাত ০৩:৩৮
ভিশু লিখেছেন : তমালের অবস্থা ঠিক যেন ফটিকের মতো! '১৩/১৪ বছরের মতো বালাই আর নেই'! এসব ক্ষেত্রে নাকি প্রুডেন্ট প্যারেন্টিং-এর কোনো বিকল্প নেই! ওদিকে রিদিতাদের থাকে অনেক ট্যাবু! অনুমোদিত বড়দেরকেই আদর-স্নেহ-গুডটাইমস দিয়ে দূর করতে হয় ওসব - কাছে টেনে নিতে হয়, ভালো সার্কেল দিয়ে সুন্দর কাজে ব্যস্ত করে দিতে হয় এসব এডোলেসেন্টদের! চমৎকার করে অতিসংক্ষেপে তুলে ধরেছেন ম্যানেজমেন্ট টিপসগুলো! Day Dreaming
১৮ মার্চ ২০১৪ রাত ০৯:৩০
144848
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : বয়ঃসন্ধিকাল ছেলেমেয়েদের জন্য নতুন জগৎ। প্রত্যেক মানুষকেই এ অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হয়। আসলে তমাল আর রিদিতার এই পরিবর্তনগুলো খেয়াল না করলে তারা একসময় আমাদের অজান্তে ঐশী হয়ে উঠে। পরিবেশ নেই বলে আমাদের দেশের কিশোর-কিশোরীদের শিক্ষাব্যবস্থাকে সঠিক পথে পরিচালিত করা বাবা-মা ও শিক্ষক উভয়ের জন্যই বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। এ ব্যাপারে স্কুলে সুস্থ, স্বাভাবিক, মার্জিত শিক্ষাক্রমের মাধ্যমে শিক্ষা দিলে ইভটিজিং এবং অপ্রত্যাশিত কিশোর অপরাধও অনেক কমে আসবে বলে আমার মনে হয়। অনেক অনেক ধন্যবাদGood Luck Happy
193823
১৮ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৬:০৮
শেষ বিকেলের লিখেছেন : পরিবারে যদি নৈতিক শিক্ষার পাশাপাশি ইসলামী পরিবেশ বজায় থাকে এবং সন্তানদের কুরআন-হাদিস চর্চায় অভ্যস্ত করা হয় তাহলে সে পরিবারের সন্তান অবশ্যই ভালো হবে।

হুম, সামান্য হলেও ইসলামী পরশ পাথরের ছোয়াঁয় বাঙালি মুসলমানের চরিত্র এখনো বিশ্বে অতুলনিয়! অতি মুল্যাবান কথাটি মনে করিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
১৮ মার্চ ২০১৪ রাত ০৯:৩১
144849
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : জী,ধন্যবাদ আপনাকে।
193837
১৮ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৭:২৯
রাইয়ান লিখেছেন : এই বয়েসী বাচ্চাদের মন বুঝে চলাটা আসলেই কঠিন এবং ধৈর্য্য সাপেক্ষ। সঠিক প্যারেন্টিং এবং দ্বীনমুখিতা এক্ষেত্রে সঠিক ভুমিকা রাখতে পারে। শুকরিয়া সুন্দর ও বাস্তব এই লেখাটির জন্য !
১৮ মার্চ ২০১৪ রাত ০৯:৩২
144850
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : এ সময় অভিভাবকের সন্তানের প্রতি কিছু বাড়তি খেয়াল রাখার প্রয়োজন। ছেলেমেয়েরা খারাপ জিনিসের প্রতি সহজেই প্রলুব্ধ হতে পারে বলে সন্তানকে বাবা-মায়ের প্রচুর সময় দেয়া উচিত। আসলে ছেলেমেয়েরা কার সঙ্গে মিশছে,কেমন তার বন্ধুবান্ধব এসব দিকে খেয়াল রাখা অভিভাবকের দায়িত্ব। এ বয়সে তারা বন্ধু বাছাই করতে পারে না। কে ভালো,কে খারাপ সেটা বোঝার ক্ষমতা তাদের থাকে না। তাই এ ব্যাপারে তাকে সহযোগিতা করা উচিত,তাই বলে জোর করে নয়। এ সময় বাবা-মা যে শিক্ষা এবং নীতির বীজ বুনবে সেরকম ফলই ভবিষ্যতে সন্তানের কাছ থেকে পাবেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপুকে। Love Struck Love Struck Good Luck
193886
১৮ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:৩৬
বাংলার দামাল সন্তান লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম চমৎকার পোস্ট, জাজাকাল্লাহুল খাইরান
১৮ মার্চ ২০১৪ রাত ০৯:৩৩
144851
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ!কিশোর অপরাধ দমনে বাংলার দামাল সন্তান’রা এগিয়ে আসুকHappyমন্তব্যের জন্য অনেক অনেক শুকরিয়াGood Luck Good Luck
193913
১৮ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:৫৪
দ্য স্লেভ লিখেছেন : বিশ্লেষণ অতি অসাধারণ। একইভাবে সমাধানের দৃশ্যায়ন করা যায় কিনা ভেবে দেখার অনুরোধ রইল। অনেকে তাদের সন্তানকে কিভাবে ম্যানেজ করবে বুঝতে পারেনা।
১৮ মার্চ ২০১৪ রাত ০৯:৩৪
144852
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : লেখার মধ্যে সমাধান কিছুটা দিয়েছি, বাকিটা মন্তব্যগুলোতে দেয়ার চেষ্টা করলাম। এখনকার ছেলেমেয়েরা চারপাশে অনেক কিছু দেখে বড় হচ্ছে,অনেক স্মার্ট তাই বাবা-মাকেও তাদের মন বুঝে শাসন করতে হবে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকেGood Luck Happy
193921
১৮ মার্চ ২০১৪ সকাল ১১:০৬
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : চমৎকার এই পোষ্টটির জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আমাদের দেশে পিতা-মাতার সাথে অনেক ক্ষেত্রেই সন্তানদের একটি দুরুত্ব সৃষ্টি হয়। পিতামাতারা শাসন করাকেই মনে করেন সন্তানকে নিয়ন্ত্রন করার একমাত্র পদ্ধতি। সেই সঙ্গে আরেকটি খারাপদিক হচ্ছে সন্তানের সামনেই তাকে অন্যকারো সঙ্গে তুলনা করে হাহুতাশ করেন। বয়ঃসন্ধিকালে যদি পিতামাতা সন্তানকে কেবল বাধাই দেন কিন্তু কেন বাধা দেয়া হচ্ছে সেই ব্যাখ্যা না দেন তাহলে এটাই তো স্বাভাবিক যে সন্তানটি নিষিদ্ধের প্রতি আকৃষ্ট হবে। আসলে বড়দের প্রতি ও পিতামাতার প্রতি শ্রদ্ধার নামে আমাদের দেশে তাদের কে অন্ধ অনুসরন এর শিক্ষা দেয়া হয় যার প্রভাব আমাদের সামাজিক ও জাতিয় জিবনে ও পড়েছে। একজন উচ্চপদস্থ লোক কে অপরাধি দেখেও আমরা চুপ করে থাকি। যার ফলে শোষিত হয়ে যাচ্ছি আমরা।
১৮ মার্চ ২০১৪ রাত ০৯:৩৫
144853
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে আরও অনেক কিছুর পরিবর্তন হচ্ছে। মোবাইল,কম্পিউটার,টিভি এসবের প্রতি আকর্ষণ বাড়ছে। এখন সময়ই হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগের যুগ। তাই ওদের চিন্তাধারাও সেভাবে এগুচ্ছে। তাই শুধুমাত্র শাসন না করে তাদের চিন্তা ভাবনার সাথে তাল মেলাতে হলে বাবা-মাকেও কৌশুলি হতে হবে। সুন্দর,গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকেGood Luck Good Luck Happy
১০
194549
১৯ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৯:৪১
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : লেখায় সমস্যা উত্থাপনের সাথে সাথে একটি ভাল দিকনির্দেশনা দেয়ার জন্য আপনাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। শুধু প্রতিবন্ধকতা রচনা করাই যথেষ্ট নয়, এর বিকল্প ব্যাবস্থা করারো জরুরী আবারো ধন্যবাদ আপু Love Struck Rose Rose Rose
২০ মার্চ ২০১৪ রাত ০৯:০২
145687
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : 'শুধু প্রতিবন্ধকতা রচনা করাই যথেষ্ট নয়, এর বিকল্প ব্যাবস্থা করারো জরুরী'--সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপুকেGood Luck Love Struck Love Struck
১১
195024
২০ মার্চ ২০১৪ রাত ০৩:২০
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আমার ঘরে এই বয়সের একটি রত্ন আছে আলহামদুলিল্লাহ। তাই কি কি সমস্যা হতে পারে বুঝতে পারছি, আপনি অনক সুন্দর করে তুলে এনেছেন! শুকরিয়া আপনাকে।

বাবা-মা এর দায়িত্ব শুধু খাওয়ানো আর পড়ানোই নয় এটা অনেক সময় ভুলে যান বাবা মায়েরা! সন্তানকে বন্ধুর মতো সময় দেয়া, সন্তান যেনো মনের সব কথা,প্রশ্ন,উদ্বেগ খুলে বলতে পারে সেই পরিবেশটা তৈরি করা প্রয়োজন সবার আগে। বাড়িতে ইসলামিক পরিবেশ থাকলে বাচ্চাদের সহ বাবাময়ের শরীয়ত বুঝানো খুব কঠিন হয় না! তবে হিকমাহ অবলম্বন করেই প্রতিটা পদক্ষেপ আগানো উচিত!

সবশেষে সন্তান একদিকে আমাদের জন্য নিয়ামত আবার আমানত । এই সন্তান সম্পর্কে প্রতিটি পিতামাতাকে জিজ্ঞাসিত হতে হবে কিয়ামতের ময়দানে। সঠিক ভাবে দুনিয়া ও দ্বীনের জ্ঞান আমরা কতটুকু পৌছিয়েছি সেটাও ভাবার বিষয়!এখানে না শিথিলতার সুযোগ আছে না আছে বাড়াবাড়ির! আল্লাহ আমাদের সন্তানদের সঠিকভাবে গড়ে তোলার তোওফিক দান করুন!

সুন্দর,বাস্তব সমস্যার আলোকে লিখাও সমাধানের জন্য শুকরিয়া! Good Luck
২০ মার্চ ২০১৪ রাত ০৯:০৩
145688
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : যারা দেশের বাইরে তাদের জন্য সন্তানকে গড়ে তোলা নিজের দেশের চেয়ে বেশী কঠিন। চারপাশে দেখি ধর্ম,সংস্কৃতি সব কিছুর সাথে ব্যালেন্স করে চলতে বাবা-মাকে আসলেই অনেক কষ্ট করতে হয়।আপনাদের যাদের ঘরে এমন রত্ন আছে তারা হয়তো এই সমস্যাগুলো আরও ভালো বুঝতে পারবেন। আমি শুধুমাত্র চারপাশে দেখা অভিজ্ঞতাগুলো তুলে ধরেছি। সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপুকেLove Struck Love Struck

অটঃ আপু,বলতে ভুলে গিয়েছি আপনার দেয়া রেসিপি দিয়ে রসমালাই বানিয়েছিলাম। ভালোই হয়েছে কিন্তু গুঁড়া দুধের গন্ধ দূর করতে আপনার বাসায় দাওয়াত নিতে হবে। তবে আপনার কারনে এখন সবাইকে বলতে পারি-- আমিও মিষ্টি বানাতে পারি। অসংখ্য শুকরিয়া এবং দোয়া রইলো। ভাল থাকেন আপুLove Struck Good Luck Happy
১২
195479
২০ মার্চ ২০১৪ রাত ১০:০৩
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : চমৎকার পোস্ট। Thumbs Up ছেলেমেয়েদের সাথে বাবামায়ের বন্ধুসুলভ আচরণের বিকল্প নেই। Rose Rose Rose
২১ মার্চ ২০১৪ রাত ০২:০৪
145783
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : ঠিকই বলেছন আপু। অনেক ধন্যবাদ আপনাকেGood Luck Love Struck Happy
১৩
195573
২১ মার্চ ২০১৪ রাত ০২:০৪
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : ঠিকই বলেছে আপু। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে Love Struck Good Luck Rose
১৪
195999
২২ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৮:৪৮
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : আমি নূন্যতম কোন শিক্ষা পাইনি।
আসলে সময়টাতে বিমর্ষতা এমন ভাবে আকড়ে ধরে বলার বাহিরে কিন্তু আমি এমন একজন ছিলাম যে সকাল বেলা ব্যাট নিয়ে খেলতে বের হতাম আর রাতে ব্যাডমিন্টন খেলে বাসায় ফিরতাম সেই একজেলা থেকে আরেক জেলায় খেলার জন্য গিয়েছি।
এক এলাকা থেকে আরেক এলাকায় চলে যেতাম।
আমার টিম ছিলো নেতৃত্ব দিতাম সেই টিমের।
এত ব্যাস্ত থাকতাম বলার বাহিরে কিন্তু এর মাঝেই যে কেমন বিষন্ন লাগতো মাঝে মাঝে। তবে চিন্তা করি এই তমালটা তো ওহ্!!!!!!
Good Luck আমার আশে পাশে একটা পরিবার ছিলো ব্যাতিক্রম যিনি তার সন্তানদের সাথে এ ব্যাপারে বন্ধুর মত ছিলেন। আর সেটাই হওয়া প্রয়োজন।

অনেক ধন্যবাদ।
২৩ মার্চ ২০১৪ রাত ১০:২৭
146849
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : ছবি দেখে তো মনে হয় শান্ত-শিষ্ট, আলা ভোলা টাইপের। ভালই দুষ্টামী করতেন মনে হয়Smug ছোটবেলায় ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলায় যখন ছিলাম আমরাও এমন খেলেছি। ঢাকায় আসার পর দমবন্ধ লাগতো,এখনো লাগে। পড়ার জন্য ধন্যবাদHappy Good Luck Good Luck Surprised
১৫
196965
২৪ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:৫৫
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : পিতা-মাতা যদি সন্তানের বন্ধু হতে না পারেন তাহলে অনেক ক্ষেত্রে সন্তনরা একটা বয়সে এসে খারাপ বন্ধুদের প্ররোচনায় হাত ছড়া হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা তৈরী হয়।

আলহামদু লিল্লাহ্! সন্তানদের সাথে ভালো সম্পর্ক থাকার কারণে বেশ উপকৃত হয়েছি আমরা।
২৫ মার্চ ২০১৪ রাত ০২:৩২
147308
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : আপনার মত অভিজ্ঞ ব্লগারের মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো। মূল্যবান মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকেHappy Good Luck Good Luck

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File