রকমারী রোজা পালন

লিখেছেন লিখেছেন বৃত্তের বাইরে ২৫ জুলাই, ২০১৪, ১০:৪৬:১৫ রাত



দেখতে দেখতে শেষ হয়ে এল রমজান! গতকাল এ উপলক্ষে অফিসে ছিল প্রতীকী রোজা পালন দিবস। অফিসে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীর লোকজন রয়েছে। প্রত্যেক ধর্মের অনুসারীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য তাদের যে কোন একটি উৎসবকে বেছে নিয়ে অফিসে সেলিব্রেট করা হয়। স্টুডেন্ট হিসেবে পার্ট টাইম চাকরিতে যখন প্রথম ঢুকেছিলাম তখন অফিসে আমিই ছিলাম একমাত্র মুসলমান। সবাই অবাক হত এত লম্বা দিনে সারাদিন কোন কিছু না খেয়ে এমনকি পানি ছাড়া কিভাবে কাটাব! সুপারভাইজার, কলিগদের অনুসন্ধিৎসু দৃষ্টি সবসময়ই থাকত আমার দিকে। অনেক সময় আমার কাজের লোডটাও অন্যরা ভাগ করে নিত। খাবারের গন্ধ বিশেষ করে চাইনিজদের খাবার থেকে নিজেকে বাঁচাতে লাঞ্চ টাইমটা বাইরে চলে যেতাম। এখন বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টে অনেক মুসলমান। যেহেতু রোজা চলছে তাই সবাই ঠিক করেছে অফিসে আমরা যারা মুসলমান রয়েছি তাদের সম্মানার্থে প্রতীকী রোজা দিবস পালন করা হবে এবং সবার কফি এবং লাঞ্চের টাকাটা গাজায় ফিলিস্তিনিদের উদ্দেশ্যে দান করা হবে।

অফিসে সবার সাথে থেকে বিভিন্ন রকম মুসলমান এবং তাদের রকমারী রোজা পালন রীতি দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। অন্য টিমের এক সুপারভাইজার আহমেদিয়া। তিনি রোজা থাকেন সকাল ৬ টা থেকে সন্ধা ৬ টা পর্যন্ত, যদিও আমাদের রোজা আঠার ঘন্টার বেশি এবং সূর্য অস্ত যায় ১০ টায়। আমার কলিগ হেজেল সে ইসমাইলী। পর্ক থেকে শুরু করে সবই খায়। তারা রমজানে রোজা থাকে না। বছরের বিশেষ তিন দিন রোজা রাখে। আমাদের এক সিনিয়ার পাকিস্তানী রোজা রাখেননা। তার কাছে এই লম্বা দিনে আমাদের রোজা রাখাটাও বেশি বেশি মনে হয়। তবে রোজা উপলক্ষে তার ঘরে আলেমদের দিয়ে কোরআন খতমের ব্যবস্থা করা হয়, মসজিদেও লোক দেখানো দান খয়রাত করে থাকেন। তিনি নিজে যেহেতু রোজা থাকেননা তাই সবার সামনেই লাঞ্চ খান। অফিসের নন মুসলিম সুপারভাইজার যেখানে আমাদের সামনে লাঞ্চ খেতে দ্বিধা করেন সেখানে আরেক সিনিয়ার প্রগতিশীল বাংলাদেশী নিজেকে স্মার্ট প্রমান করতে কফির মগ হাতে প্রতিদিন অফিসে আসেন এবং অন্য রোজাদারদের সামনে নিজের আধুনিকতা জাহির করতে ভালবাসেন। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে মুসলমানদের মধ্যে যেখানে রোজা নিয়ে নানা রকমফের সেখানে আমারই এক নন মুসলিম শ্রীলংকান বান্ধবী গত তিন বছর থেকে আমার সাথে সবগুলো রোজা রাখছে। রোজা রাখার পিছনে মুসলমানদের একটা মহৎ উদ্দেশ্য যে যাকাত দেয়া এটা বুঝতে পেরে সে প্রতি রোজায় তার মাসের বাজার খরচের পুরো টাকাটা তার দেশে গরিবদের জন্য পাঠিয়ে দেয়।

রমজান এলে দূর প্রবাসে বাবা, মা, ভাইবোনদের অনুপস্থিতি কষ্ট দেয় বেশী। বাসায় ফোন করলেই মায়ের কান্না সামলে ফ্যাঁসফেঁসে গলায় কী খেয়েছি, কী রেঁধেছি ইত্যাদির ফিরিস্তি চাওয়া। বাবার হাজারটা প্রশ্ন-এত লম্বা দিন না পারলে রাখিসনা, অসুস্থ হলে রোজা ছাড়া যায়... ইত্যাদি নানা উপদেশ। দেশে সবসময় মা জোর করে সেহরী করাতো, কিছুতেই শুনতো না। ভাইয়ারা ভাল খাবারের আয়োজনের লোভে সেহেরিতে উঠে বসে থাকত। কিন্তু এখানে কখনো আলসেমী করে এক গ্লাস পানি খেয়ে রাতে ঘুমিয়ে পড়ি। মনে পড়ে ছোটবেলায় রমজানের ছুটির জন্য তীর্থের কাকের মতো বসে থাকতাম কবে আসবে রোজা, কবে শুরু হ'বে বিশাল ছুটি.....! স্কুলের ক্যালেন্ডারে রোজার বন্ধের এক দু’সপ্তাহ আগে থেকেই গোনা শুরু করতাম আর কয়দিন বাকী স্কুল বন্ধ হতে? রোজা রেখেই সব ধরনের খেলা চলত। পাড়ার বড় ভাইয়েরা ভোররাতে হামদ, নাত, গজল এসব গেয়ে ঘুম ভাঙাত। বাবা-মা বা বাসার অন্যদের দেখাদেখি "রোজা রাখতে চাই, রাখতে চাই দিতে হবে" টাইপের আন্দোলন করার পর পারমিশন পেতাম। সবাই যখন কষ্ট করে তিরিশদিনে তিরিশটা রোজা রাখতো আমার তখন পাঁচবার আযানের সময় খেয়ে দিনে পাঁচটা করে দেড়শটা রোজা রাখা হয়ে যেত! এরপর অবশ্য শুরুতে, মাঝে আর শেষে এই তিনটা বা বিশেষ বিশেষ দিনে যেমন শুক্রবার, শবে কদর ইত্যাদিতে রোজা রাখার পারমিশন ছিল। তবে রোজা রাখার জন্য অনেক ঘ্যান ঘ্যান করা লাগত। না হয় সবাই চুপিচুপি সেহরি খেয়ে বলত -'তোমাকে অনেক ডেকেছিলাম, তুমি ওঠোনি'। সবচেয়ে বেশি মজা হত দাদা বাড়িতে গেলে। কাজিনরা কে কার চেয়ে বেশি রোজা করবে সেই কম্পিটিশন। সারাক্ষণ একজন আরেকজনের পিছনে লেগে থাকত। বাথরুমে গেলেই বলত ঐযে বাথরুমে লুকায়ে পানি খেয়ে আসছে, আমি যত বলতাম না আমি খাইনি শুধু মুখ ধুয়েছি। ওরা বলত না না খেয়েছ তোমার চেহারা দেখেই বোঝা যাচ্ছে .... যতখন না আমি কান্নাকাটি শুরু করতাম সবাই মিলে চলত এই খোঁচান। এতসব বাঁধা অতিক্রম করে শেষমেষ সন্ধ্যের সাইরেণ বাজার পর বিজয়ীর হাসি হেসে খাবার মুখে দেয়া --সে এক অন্য রকমের এ্যাডভেঞ্চার!

স্টুডেন্টদের জন্য বিদেশে রোজা রাখাটা অনেক সময় কঠিন। মুসলিম দেশগুলোতে স্কুল-অফিসের টাইম রোজদারদের সুবিধার্থে পাল্টে দেয়া হয়, কিন্তু বিদেশে তো সেটা হয়না তাই অনেক সময় সবকিছু সামলে রোজা রাখাটা কঠিন হয়ে পড়ে। ইফতার অনেক সময় করা হয়না ঠিকমত। ফুল টাইম চাকরি, পার্ট টাইম পড়াশুনা করে ব্যাচেলরদের জন্য ইফতার বানানোও এক ঝক্কি! দেশের মত ঘরে বানানো ছোলা, পেঁয়াজু, বেগুনী দিয়ে ইফতার অনেকটা স্বপ্নের মত। ক্লাসে থাকলে কাছাকাছি হালাল রেস্টুরেন্ট না থাকলে সাথে থাকা বোতল থেকে দু’ঢোক পানি আর খেজুর খেয়ে রোজা ভাঙ্গতে হয়। বাসায় থাকলে নুডলস অথবা সুপের মত সহজ কিছু তৈরী করি। যখন কিছু করার সময় বা ইচ্ছে থাকেনা তখন ইফতারে ভাত আর ঘরে করা কোন তরকারী দিয়ে ইফতার সেরে ফেলি। মাঝে মাঝে আত্মীয় স্বজনের বাড়িতেও হানা দেয়া হয়। এখন বোন সাথে থাকায় তাও কিছুটা রক্ষা। তবে সবচেয়ে সুবিধা কমিউনিটির কোনো মসজিদে গিয়ে ইফতার করা। প্রায় প্রতিদিনই কমিউনিটির মুসলমানেরা একসাথে মসজিদে ইফতারের আয়োজন করে থাকে। দূর পরবাসে থেকেও ভোজন রসিক বাঙালিরাও ইফতারে রাখেন বাহারি আয়োজন। অলসদের জন্য ফ্রি খাওয়ার এই আয়োজনটা মন্দ না। প্রতিদিনই কয়েকশ মুসল্লির জন্য বিনামূল্যে ইফতারের আয়োজন করা হয়। ব্যস্ত কিংবা ব্যাচেলর রোজাদারদের কেউ কেউ প্যাকেট ইফতারি দিয়ে সেরে নেন তাদের ইফতার পর্ব। এছাড়া মসজিদে সবাই একসাথে তারাবীহটাও পড়া হয়ে যায়। মসজিদে বড় দিনের রোজায় মুসুল্লিদের কষ্টের কথা চিন্তা করে ছোট সূরা দিয়ে আট রাকাত তারাবীহ পড়ানো হয়। ঘরের চাইতে সবার সাথে মসজিদে গিয়ে পড়লে মনের মধ্যে অন্যরকম একটা শান্তি অনুভব করি। সবচেয়ে বেশী ভালো লাগে প্রতিবেশী বড় বোনদের আন্তরিকতা। রোজায় কি খাচ্ছি, ঘরে কি রান্না হচ্ছে সবসময় খোঁজ খবর নেন। কিয়ামুল লাইলের উদ্দেশ্যে মহিলারা একসাথে রাত জেগে নামাজ পড়া হয়। পটলাক করে সবাই একটা করে ডিশ এনে একসাথে প্রতি উইকেন্ডে কারো বাসায় সারারাত জেগে কোরআন, হাদিস নিয়ে আলোচনা, নামাজ পড়া শেষে একবারে সেহেরি, ফজর শেষ করে বাসায় যাওয়া হয়। মায়েদের সাথে আসা পিচ্চিগুলাও সারারাত জেগে সমবয়সীদের সাথে আড্ডা দেয়। স্কুল বন্ধ, সকালে উঠার তাড়া নেই-বড়দের সাথে রাত জাগার সে কি আনন্দ!

প্রতি বছর সারা বিশ্ব থেকে অনেক মুসলিম ছেলেমেয়ে নিজের দেশ ছেড়ে অন্য দেশে যায় উচ্চশিক্ষার আশায়, অনেকে আসে ইমিগ্রান্ট হয়ে। দেশের কথা সবসময়ই সবার মনে পড়ে আর বিশেষ করে মনে পড়ে রমজানের মত বিশেষ উপলক্ষ এলে। নিজের পরিবারে অনুপস্থিতি অনুভব করে, বান্ধবীদের সাথে স্মৃতিচারন করে দেশে ভাইবোনদের সাথে কাটানো ইফতারের সময়গুলো। কিন্তু আলহাদুলিল্লাহ এই অপরিচিতদের ভীড়েই সবাই নিজেকে আপন করে নেয়, নতুন দেশে নিজেদের মানিয়ে নেয়, পরবাসে নতুন জীবনে নিজেদের মত করে রমজান পালন করতে শিখে।

বিষয়: বিবিধ

২১৬৬ বার পঠিত, ৫১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

248190
২৫ জুলাই ২০১৪ রাত ১০:৪৮
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
২৫ জুলাই ২০১৪ রাত ১০:৫০
192687
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : এত ঝটপট কি করে পড়লেন:Thinking ধন্যবাদ আপ্নাকেওHappy Good Luck
248193
২৫ জুলাই ২০১৪ রাত ১০:৫০
এবেলা ওবেলা লিখেছেন : বাস্তবতার আলোকে নিজের অনূভুতি গুলি প্রকাশ করতে কার্পণ্য করেন নি -- তাই বেশ ভাল লেগেছে -- ধন্যবাদ---
২৬ জুলাই ২০১৪ রাত ০৩:২৮
192722
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : মন খুলে মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ Happy Good Luck Rose
248198
২৫ জুলাই ২০১৪ রাত ১১:১৩
সন্ধাতারা লিখেছেন : আসসালামুয়ালাইকুম আপুনি। আপনার লিখা পড়ে মনের অজান্তেই দেশে চলে গিয়েছিলাম আমার কাছে। আপনার সূক্ষ্ম অনুভূতিগুলো হৃদয়কে ছুঁয়ে দিল। বারাকাল্লাহ ফিক। Rose Good Luck Rose
২৬ জুলাই ২০১৪ রাত ০৩:২৮
192723
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। শৈশব কৈশোরের স্মৃতিগুলো সবসময় আনন্দের। কম বেশি সবার অনুভূতি মনে হয় এক। শুকরিয়া আপুজ্বিLove Struck Good Luck Good Luck
248203
২৫ জুলাই ২০১৪ রাত ১১:১৭
ভিশু লিখেছেন : Angel মায়ের ফ্যাস্ফ্যাসে গলা আর বাবার 'না পারলে রাখিস না'টা সহ ভাইবোনদের কাণ্ডগুলো ভীষণ মজা লাগ্লো! আর কত্তো রকমের 'রোযা'দারের কথা শুনলাম! যাক, তবুও বিদ্যা-চাকুরির সাথে বিভিন্ন স্বাদের ইবাদত-বন্দেগীসহ বেশ আনন্দেই কাটাচ্ছেন জেনে খুশি লাগ্লো খুব! সুন্দর অনুভূতিগুলো শেয়ার করার জন্য ওন্নেক শুকরিয়া! হৃদি ঈদ মুবারক জানবেন শ্রদ্ধেয়া...Happy Good Luck Rose
২৬ জুলাই ২০১৪ রাত ০৩:৩০
192725
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : আমার বাবা প্রতি রমজানে একই উপদেশ দেন। হুম, প্রবাসে এসে হরেক রকম মুসলমান দেখলাম। মজার ব্যাপার হল, প্রত্যেকেই তাদের নিজস্ব যুক্তি দাঁড় করান এবং মনে করেন তারটাই সঠিক। এত কিছুর মধ্যে দ্বীনি ভাই বোনদের দাওয়াহ কাজের সাথে সম্পৃক্ততা দেখতে ভাল লাগে।

ঈদে থাকছিনা তাই আপনাকেও অগ্রিম ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে রাখলাম। ঈদ মো বারাকGood Luck Happy Rose
248205
২৫ জুলাই ২০১৪ রাত ১১:২১
আফরা লিখেছেন : আহারে...লেখাটা পড়ে ভাল লাগার সাথে সাথে আপনার জন্য ভীষন মায়া লাগল ।আলহামদুল্লিলাহ !আল্লাহ আমাকে অনেক ভাল রেখেছেন ,নিজের কিছুই করতে হয় না ।
২৬ জুলাই ২০১৪ রাত ০৩:৩০
192726
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : বাবা মা কাছে থাকলে আনন্দটাই অন্যরকম। আমাদের আফরামনি অনেক সৌভাগ্যবতী যে মা কাছে আছেন, কিছু করতে হয়না। ভাল থাক অনেক অনেকLove Struck Love Struck Good Luck
248207
২৫ জুলাই ২০১৪ রাত ১১:৩৩
নীল জোছনা লিখেছেন : আফরা লিখেছেন : আহারে...লেখাটা পড়ে ভাল লাগার সাথে সাথে আপনার জন্য ভীষন মায়া লাগল ।আলহামদুল্লিলাহ !আল্লাহ আমাকে অনেক ভাল রেখেছেন ,নিজের কিছুই করতে হয় না ।
২৬ জুলাই ২০১৪ রাত ০৩:৩০
192727
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : ভাল থাকুন নীল জোছনা। শুভেচ্ছা রইলGood Luck Good Luck
248213
২৬ জুলাই ২০১৪ রাত ১২:৩৩
আতিক খান লিখেছেন : আমার ও বিভিন্ন দেশে রোজা রাখার অভিজ্ঞতা আছে। তবে দেশের শান্তি কোথাও পাই না। বেশ ভালো লাগলো, ধন্যবাদ Thumbs Up Good Luck
২৬ জুলাই ২০১৪ রাত ০৩:৩১
192728
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : ঠিকই বলেছেন ভাইয়া দেশে ছোট-বড় যে কোন উৎসবের আমেজ, আনন্দ ভাগ করে নেয়ার এই দৃশ্য অন্য কোথাও নেই। আপনার অভিজ্ঞতা নিয়েও লিখবেন। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকেGood Luck Good Luck Good Luck
248215
২৬ জুলাই ২০১৪ রাত ১২:৫৩
নিশা৩ লিখেছেন : দেশে তাও চক্ষুলজ্জা থেকে বাঁচতে চট ঝুলিয়ে রেস্টুরেন্ট খোলা রাখে আর বিদেশের মাটিতে খাওয়া-দাওয়া সহ ধুমপান ও দেখতে হয়। আমার এক অমুসলিম কলিগ রোজা রাখে আমাদের মত পুরো একমাস। ও বিশ্বাস করে রোজা ওকে বিপদ-আপদ থেকে সুরক্ষা করবে। পুরনো দিনগুলো মনে পড়লো ক্যাম্পাসে থেকে ইফতারির সময় সামান্য কিছু খেয়ে, নামায পড়ে আবার তিন ঘন্টা ক্লাস করে এরপর ড্রাইভ করে বাসায় ফেরা। মাঝে মাঝে মনে হত গাড়িতেই একটু ঘুমিয়ে নেই। ঠিক বলেছেন তারাবির নামায জামাতে পড়তে পারা আমাদের মহিলাদের জন্য একটা বিশেষ রহমত। খুব ভাল লাগল আপনার লেখাটি।
২৬ জুলাই ২০১৪ রাত ০৩:৩২
192729
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : হালাল হারাম বেছে খাওয়া, চারপাশে এত কিছু দেখে নিজের নফসকে নিয়ন্ত্রনে রাখাটাও এক ধরনের জিহাদ মনে হয় আমার কাছে। আমিও অমুসলিমদের মাঝে এমন অনেক গুন দেখে অবাক হই যা মুসলমান হিসেবে আমাদের থাকার দরকার ছিল। জ্বি আপু, ঠিকই বলেছেন দীর্ঘ রোজায় ক্ষুধার কষ্ট হয়না, কষ্ট হয় ঘুমের। ঘুমানোর সময়টা খুবই কম। যাক তবু আলহামদুলিল্লাহ্‌ ভালভাবেই কেটে গেছে দিনগুলো।
248216
২৬ জুলাই ২০১৪ রাত ০১:০৩
নিশা৩ লিখেছেন : আপু আপনি সবসময় রাব্বিশ রাহলি দোয়াটা পরবেন। ইনশাআল্লাহ সব সময় আল্লাহর সাহায্য পাবেন।
২৬ জুলাই ২০১৪ রাত ০৩:৩২
192730
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : ইনশা আল্লাহ্‌। শুকরিয়া আপুLove Struck দোয়া করবেনGood Luck Good Luck Good Luck
১০
248217
২৬ জুলাই ২০১৪ রাত ০১:০৫
দ্য স্লেভ লিখেছেন : তন্ময় হয়ে পড়ছিলাম্ । ছোটবেলায় রোজার মাসে আমার যে কি আনন্দ হত ! স্কুল ছুটি, রাতে সেহরী খাওয়া,অর্ধেক অর্ধেক রোজা রাখা। ইফতারীর গন্ধে দারুন লাগত।

আপনার অফিসের অভিজ্ঞতাও দারুন। তবে বাঙ্গালী এখনও মানুষ হলনা...
২৬ জুলাই ২০১৪ রাত ০৩:৩৩
192731
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : ছোটবেলার রোজার স্মৃতিগুলো আসলেই আনন্দের। অমুসলিমরা ইসলাম সম্পর্কে কিছু বললে খারাপ লাগেনা কারন ধরে নেই তারা না জেনে বলছে। কিন্তু মুসলমানরা জেনে শুনে ন্যাকামো করলে বিরক্ত লাগে।

আপনারও তো মনে হয় প্রবাসে প্রথম রোজা। দেশে খালাম্মা না জানি খাবার সামনে নিয়ে আপনার জন্য কত আফসোস করছেন! ঈদে কি কি রান্না করছেন জানিয়ে পোস্ট দিয়েন। পোস্ট অবশ্যই খাওয়ার আগে দিবেনHappy ধন্যবাদ আপনাকে। ভাল থাকেনGood Luck Good Luck Good Luck
২৬ জুলাই ২০১৪ সকাল ০৭:৫১
192754
দ্য স্লেভ লিখেছেন : আমি রান্নাবান্না ভালই করি। আর আমার মাকে জীবনেও কোনো অসুবিধার কথা জানাব না। বরং ফোন করেই আগে জানাই আমি কি রান্না করলাম। কারন আমার মা জানে আমি কতবড় খাদক। আমার মা রোজায় বহু রকমের রান্না করত। আর আমি বলতাম কি খাব,তিনি তা রান্না করতেন। মিস করছি...
১১
248218
২৬ জুলাই ২০১৪ রাত ০১:০৭
মোঃমাছুম বিল্লাহ লিখেছেন : ভাই ভাল লাগল
২৬ জুলাই ২০১৪ রাত ০৩:৩৪
192732
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : শুভেচ্ছা জানবেনGood Luck Good Luck
১২
248239
২৬ জুলাই ২০১৪ রাত ০২:২১
মোশারোফ লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
২৬ জুলাই ২০১৪ রাত ০৩:৩৪
192733
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেনGood Luck Good Luck Good Luck
১৩
248271
২৬ জুলাই ২০১৪ সকাল ০৫:৩৬
রাইয়ান লিখেছেন : সুন্দর কিছু অভিজ্ঞতা ও অনুভুতি তন্ময় হয়ে পড়ছিলাম এতক্ষণ ! অন্য ধর্মাবলম্বীরা আমাদের রোজাকে যতটা সন্মানের চোখে দেখে আমাদের স্বধর্মীরাও এতটা অনুভব করেনা। আপনার জন্য শুভেচ্ছা , ঈদ ও পরবর্তী দিনগুলো আপনার জন্য আনন্দমুখর হোক , এই কামনা রইলো !
২৬ জুলাই ২০১৪ রাত ১০:০৮
192972
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : জ্বী আপু ঠিকই বলেছেন,ওরা আমাদের রোজাকে সম্মানের চোখে দেখে,উত্সাহিত হয়। যত অসুবিধা শুধু স্বধর্মীদের হয়। আপনার দোয়া এবং সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপুLove Struck আপনাদের পরিবারের সবার জন্য ঈদের শুভেচ্ছা রইলোGood Luck Good Luck ঈদ মোবারকRoseRose
১৪
248280
২৬ জুলাই ২০১৪ সকাল ০৬:২৫
আবু তাহের মিয়াজী লিখেছেন : রকমারী রোজা পালন পড়ে খুব ভালো লাগলো। আর বাংলাদেশী বলে কথা.......।
২৬ জুলাই ২০১৪ রাত ১০:০৮
192973
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : বাংলাদেশীরা দেশে এবং দেশের বাইরে সব জায়গায় একরকম। ধন্যবাদ ভাইয়া। দোয়া করবেন। ঈদের শুভেচ্ছা রইলোGood LuckRose
১৫
248340
২৬ জুলাই ২০১৪ দুপুর ১২:২৭
হতভাগা লিখেছেন : ''প্রত্যেক ধর্মের অনুসারীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য তাদের যে কোন একটি উৎসবকে বেছে নিয়ে অফিসে সেলিব্রেট করা হয়।''

০ আপনাদের ওখানে কি হিন্দুদের দুর্গা পূঁজা বা অন্য কোন পূঁজা সেলিব্রেট করা হয় ? সেখানে পার্টিসিপেট করেন - মানে তাদের তৈরি করা প্রাসাদ কি খাওয়া হয় ?

আমাদের এখানে হিন্দু , বৌদ্ধ ও খৃষ্টানদের ধর্মীয় দিন গুলোতে ছুটি দেওয়া হয় । আপনার এই প্রবাসে কি সেরকম কিছু হয় ?
২৬ জুলাই ২০১৪ রাত ১০:১০
192974
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : না ভাই,এসব কিছু অফিসে পালন করা হয়না। একবার ওরা দিওয়ালিতে হাতে মেহেদী দেয়ার আয়োজন করেছিল আমার যাওয়া হয়নি। বাংলাদেশ সব ধর্মাবলম্বীদের উত্সব এবং ছুটির ব্যাপারে আন্তরিক। আমাদের এখানে শুধু ক্রিসমাস এর ছুটি থাকে। অন্য ধর্মাবলম্বীদের উত্সবে ছুটি নেই। কেউ নিতে চাইলে তাদের বত্সরের ছুটি থেকে কেটে নিতে হয়। অনেক ধন্যবাদ আপনাকেGood Luck Good Luck Good Luck
১৬
248380
২৬ জুলাই ২০১৪ দুপুর ০৩:৩৩
ঈপ্সিতা চৌধুরী লিখেছেন : হু লেখাটা পড়ে কষ্ট হল আপু! আসলে যারা প্রবাসে থেকে রোজা বা ঈদ করে তাদের কষ্টটা আমরা ঠিকমত বুঝতে চাই না।। তবে যেখানেই থাকুন ভাল থাকুন সব সময়! শুভ কামনা!
২৬ জুলাই ২০১৪ রাত ১০:১১
192975
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : বাবা মায়ের জন্য খারাপ লাগে। এছাড়া এখানে বোন , আত্তীয় স্বজন থাকায় এখন খুব একটা খারাপ লাগেনা। দোয়ার জন্য ধন্যবাদ আপুমনিLove Struck ঈদের শুভেচ্ছা রইলGood Luck Good Luck Good Luck
১৭
248409
২৬ জুলাই ২০১৪ বিকাল ০৪:৩৮
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : মনে করিয়ে দিলেন!!!
শৈশবের রোজা মনে হয় আনন্দদায়ক ছিল।ঈদে কখনও একসেট এর বেশি পোষাক কিনা হয়নি। রোজার আনন্দ ও ঈদের আনন্দ ছিল আলাদা।
এখনকার ছেলেরা সেই আনন্দটিও নিতে চায়না। এদেশেও একদল অতি আধুনিক আছে যারা রোজার সময় সবার সামনে খাওয়াদাওয়া করা কে মনে করে কৃতিত্ব।
২৬ জুলাই ২০১৪ রাত ১০:১২
192976
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : শৈশবের না বুঝে করা সব স্মৃতিগুলোই আসলে আনন্দের। রোজা, ঈদ সব কিছুতেই ছিল আনন্দ। আমাদেরও এক সেটের বেশি নেয়া হতনা এবং সেই ড্রেস মা নিজে সেলাই করতেন। তাই ধরে নিতাম তা সবার চেয়ে আলাদা হবে।
আসলে সম্মান জিনিসটা আপনা থেকে আসে সেটা অন্যের প্রতি হোক আর নিজের ধর্মের প্রতিই হোক। যে সম্মান করতে জানে সে সব দিকেই খেয়াল রাখে। তাই যারা নিজেকে আধুনিক প্রমান করতে ধর্মকে অসম্মান করে তারা নিজেকেই অসম্মান করে আসলে

ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকেHappy ঈদের শুভেচ্ছা রইলোGood Luck Good Luck
১৮
248503
২৬ জুলাই ২০১৪ রাত ০৯:১২
বাজলবী লিখেছেন : শৈশবের মূহুর্ত গুলো অানন্দময় যা অাপনারা লেখনিতে মনে করিয়ে দিলেন। দেশের ঈদের অানন্দ প্রিয়জনদের সাথে ভাগ করা যায়।কিন্তু প্রবাসে তা হয় না।পড়ে ভালো লাগল। অাপনাকে ঈদের শুভেচ্ছা।
২৬ জুলাই ২০১৪ রাত ১০:১৩
192977
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ আপনাকেHappy ঈদের শুভেচ্ছা রইলোGood Luck Good Luck
১৯
248547
২৬ জুলাই ২০১৪ রাত ১১:৪৩
দিশারি লিখেছেন : লেখা পড়তে পড়তে কখন যে তার ভেতর হারিয়ে গেছি...
তাই ভাবছি, কখনযে আবার নিজেকে খুঁজে পাবো...।।
অসাধারণ আপু।।
০৮ আগস্ট ২০১৪ রাত ১২:১৯
196269
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : আপনি তো এমনিতে পানিতে ডুবে আছেন। হারাবেন আর কোথায়Happy মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকেGood Luck Good Luck
০৮ আগস্ট ২০১৪ সকাল ০৯:৪৯
196308
দিশারি লিখেছেন : হুম, কেউ তো আজ পর্যন্ত এলো না হাত টা একটু ধরে তুলবে বলে...Liar Worried :Thinking
০৯ আগস্ট ২০১৪ সকাল ০৬:২১
196560
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : বলেন কি! পদ্মায় লঞ্চ ডুবেছে সেই কবে এখনও ডুবুরীরা আপনাকে উদ্ধার করতে পারেনিSurprisedদাঁড়ান নৌমন্ত্রীকে জানাইLiar Rolling Eyes
০৯ আগস্ট ২০১৪ বিকাল ০৪:৩৫
196659
দিশারি লিখেছেন : হুম, শাহজাহান মিয়া আসতে আসতে Talk to the hand আমার লাশটা জাদুঘরে রাখার মত অবস্থায় পৌঁছে যাবে...Liar Liar Liar
১৪ আগস্ট ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৩৬
198066
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : Worried Surprised Rolling Eyes Rolling Eyes
২০
249008
২৮ জুলাই ২০১৪ সকাল ১১:১৭
আওণ রাহ'বার লিখেছেন :
ﺗﻘﺒﻞ ﺍﻟﻠﻪ ﻣﻨﺎ ﻭ ﻣﻨﻜﻢ
সব্বাইকে ঈদ মুবারক।
আপনার বাড়িতে রান্নাঘড়ের প্রতিটি হাড়িতে আমার ঈদের দাওয়াত রইলো।
আমার ঈদ বোনাস যেনো ঠিকঠিক পাই হামমম এটা যেনো মনে থাকে।

Good Luck Good Luck Good Luck

০৮ আগস্ট ২০১৪ রাত ১২:২০
196271
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : উত্তর দিতে দেরি হয়ে গেল। আওনের ঈদ আশা করি অনেক ভাল কেটেছে। অবশ্যই, শুধু ঈদে কেন আমাদের বাড়িতে যে কোন সময় খাওয়ার দাওয়াত রইল। আমি ভাল রান্না করতে পারি...খাওয়া যায়, মানে আমার কাছে আমার রান্না খেতে ভাল লাগেHappy
ঈদ বোনাস ভাইদের কাছ থেকে আদায় করতে হয়। ধন্যবাদ আওন কেGood Luck Happy
২১
253627
১২ আগস্ট ২০১৪ বিকাল ০৫:০০
সায়িদ মাহমুদ লিখেছেন : যেসব ওভার স্মার্ট রোজা নে রেখে র্মডানিজম জাহির করতে রোজারদিনে কপির মগ নিয়ে ঘুরেফিরে তাদের বুঝিয়ে দেওয়া উচিতে যে বেটা তুই একটা আস্ত কেটা, আইমিন লোডারে বদনা কইন্যা হা হা হা
১২ আগস্ট ২০১৪ রাত ১১:৪৮
197664
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : আছে এমন অনেকে। অনেকদিন পর এলেন। ধন্যবাদ আপনাকেHappy Good Luck
২২
254289
১৪ আগস্ট ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৩৯
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : আমিওতো পড়েছিলুম এটা Loser এত্তদিন পরে আর কি কমন্টে করবো Day Dreaming Day Dreaming তবে....... একটা “আহারে ........ মার্কা” কমেন্ট করতে ইচ্ছে করছিলো...... বাট-কিন্তু ভয়ে করলাম না I Don't Want To See I Don't Want To See মনে মনে বুঝে নিয়েন Tongue Tongue Skull Big Grin
১৪ আগস্ট ২০১৪ রাত ১০:০৭
198126
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : কমেন্ট করেন নাই ভাল হইসে। আমারও হা হুতাশ মার্কা কথা শুনতে ভাল লাগেনাHappy

ব্লগে স্বাগতমGood Luck Good Luck Good Luck
১৪ আগস্ট ২০১৪ রাত ১০:৩৭
198130
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : এভাবে ইন্সট্যান্ট বেইজ্জতী Surprised Sad
২৩
254822
১৬ আগস্ট ২০১৪ সকাল ১১:২৮
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : আপনাকে ব্লগে দেখা যাচ্ছে না কেনু? Sad Sad Waiting Waiting

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File