বন্ধ হোক এ ধংশ লীলা

লিখেছেন লিখেছেন জাহিদ পিয়াল ২৬ এপ্রিল, ২০১৩, ০৯:২৯:১০ সকাল

সুজলা,সুফলা,শষ্য শ্যামল এ বাংলা মায়ের রুপের বর্ণনা নাই বা দিলাম। সুন্দরবন আমাদের জাতীয় ঐতিহ্য ও অহংকারের প্রতীক। কিন্তু যখন শুনি মেতেছে ওরা ধংশ লীলায়, টার্গেট ওদের সুন্দরবন। তখন আর চুপ করে থাকতে পারলাম না।

বিশ্বের সমুদ্র উপকূলবর্তী নোনা পরিবেশের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ আমাদের সুন্দরবন, এটি ১৯৯৭ সালে ইউনেস্কো কর্তূক বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃতি পায়। স্বনামে বিখ্যাত এ বনেরই রয়েল বেঙ্গল টাইগার। আজ সুন্দরবনকে নিয়ে শুরু হয়েছে ধংশাত্বক উন্নতি, যা কে অবনতি বলে অবহিত করাই শ্রেয়।

সম্প্রতি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে রামপালে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের ব্যাপারে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। তিনটি চুক্তির মধ্যে রয়েছে বিদ্যুৎ ক্রয়, কেন্দ্র বাস্তবায়ন ও সম্পুরক যৌথ উদ্যোগ।চুক্তি অনুযায়ী রামপালের পাঁচটি মৌজায় ১৮ হাজার একর জমির উপর এই কেন্দ্র নির্মিত হবে। পরিকল্পনা মতে ২০১৬ সাল উৎপাদন শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

গবেষকদের মতে চুক্তি অনুযায়ী কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সুন্দরবনের ধ্বংস ডেকে আনবে। সুন্দরবন ছাড়া দেশে এখন আর তেমন বনাঞ্চল নেই। বিশেষজ্ঞদের ধারণা ২৩ ভাবে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির মাধ্যমে সুন্দরবন ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

মাটির উব্ররতা হ্রাস পাবে। উদ্ভিদের বিকাশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সুন্দরবন সংলগ্ন পশুর নদীটি হয়ত একদিন হারিয়ে যাবে।

এর রয়েছে বিভিন্ন ক্ষতিকর দিক। যেমন:

১,পানি দূষণ করবে, শব্দ দূষণ করবে

২,বায়ুর তাপমাত্রা বৃদ্ধি

৩,বিষাক্ত ছাই উৎপাদিত হবে

৪,এছাড়া স্বাস্থ্যগত ঝুকি তো রয়েছেই

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এম এ সাত্তারের নেতৃত্বে একদল গবেষক মংলা সমুদ্র বন্দরের অদুরে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের ফলে সুন্দরবনের ওপর কি কি প্রভাব পড়বে তা নিয়ে গবেষণা করেছেন।তাদের প্রতিবেদনেও ফুটে এসেছে সুন্দরবনের কৃষি জমি, স্থানীয় মানুষের জীবন-জীবিকার উপর মারাত্বক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে।

পরিবেশ বিজ্ঞানীদের প্রতিবেদননে আরো বলা হয়েছে, পরিবেশ দুষণে পানি ও মাটির গুনগতমান এবং নদীগুলোর পরিবর্তন হবে। প্রাকৃতিক খাদ্য মাত্রাতিরিক্ত দুষণের ফলে হরিণ, বাঘসহ বিভিন্ন দুধের গুনগতমান নষ্ট করবে। পরিবেশ দুষণের কারণে প্রানীদের হরমন জনিত ক্ষমতা ও প্রজনন জনিত হ্রাস পাবে।

রামপালে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য জমি অধিগ্রহনের কাজ চলছে। এবং এটি স্থাপনে ১৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।সূতরাং আগামী দিনের কথা চিন্তা করে, নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তূপক্ষের আশুদূষ্টি কামনা করছি।

লেখক; ব্লগার এমডি জাহিদুল ইসলাম

বিষয়: বিবিধ

১৫৭০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File