পড়া আর ঊঠার গল্প

লিখেছেন লিখেছেন তৌহিদুল ইসলাম তানিন ১৩ জুলাই, ২০১৪, ১১:০৮:৫৪ রাত



হামাগুড়ি দিতে গিয়ে প্রথম পড়ার শুরু

কতবার কতভাবে পড়েছি, আর কত যে উঠেছি

তার কোন ইয়ত্তা নেই! রাখিওনি খবর কখনো!

.

মায়ের হাত ধরে দাঁড়াতে গিয়ে প্রথম পড়া-

আনন্দ রেখা কেটেছিল সবার চোখে-মুখে

সে রেশ ছিল বহু বছর ধরে, সযতনে

.

এরপর, বেলা বাড়ার সাথে সাথে পড়েছি কত-

স্কুলের মাঠে, পুকুর ঘাটে, খালে, বিলে,

জলার ধারে, এমনকি বংশি সাঁকোর নিচে

.

আম-জাম-তেতুল-গাব পাড়তে গিয়ে-

গাছের ডাল ভেঙ্গে ধুপ করে মাটিতে পড়া,

যদিও হাত-পা সহি-সালামতেই ছিল

.

হৈ হৈ রবে রঙিন ঘুড়ি উড়াতে গিয়ে-

ছোট্ট তালগাছের ধারালো করাতে পড়ে,

ডান পায়ের রগ পর্যন্ত কেটে গিয়েছিল

.

আনন্দচিত্তে কলার ভেলা বানাতে গিয়ে-

বন্ধুর হাত থেকে ভারী ও চকচকে দা পড়ে,

ডান পায়ের বৃদ্ধাংগুল নখসহ দ্বিখন্ডিত হয়েছিল

.

মায়ের নিষেধ অমান্য করে, ডাব কাটতে গিয়ে-

দা এর নিচে পড়ে তর্জনীর ডগা বিসর্জন দিয়েছি

মান্দার বেড়ায় পড়ে ১ মাস শয্যাশায়ী থেকেছি

.

ছোট্ট বয়সে সাইকেল শিখতে গিয়ে পড়েছি

অন্যের চালানো সাইকেলের নিচে পড়েছি,

কপালে আজ ও দাগ রয়ে গেছে স্মৃতি হিসেবে

.

ছোট খালার সাথে লুকোচুরি খেলতে গিয়ে-

ঘরের পাটাতনের উপরে পড়ে মাথা ফাটিয়েছি

মাথার পিছন দিকে যা এখনো সাক্ষী দেয়

.

ছাত্র জীবনে পড়েছি, বহুবার বহুভাবে পড়েছি

পড়াশুনার পাঠ চুকে চাকুরী খুঁজতে গিয়ে পড়েছি

এমনকি চাকুরী করতে গিয়েও নগ্নভাবে পড়েছি

.

জীবন মানেই তো পড়া আর ঊঠার গল্প

সবাই পড়ে, তবে একেক জন একেকভাবে

একেক সময়ে, ভব মাঝে বেঁচে থাকার তাগিদে

.

এখনো পড়া থেমে নেই, অবিরত পড়ে যাচ্ছি

তবে হাল ছাড়িনি কখনো, আর ছাড়বোও না

যতবার পড়েছি, ততবার দ্বিগুন তেজে উঠেছি

.

আর পূর্নোদ্দমে উঠবো বারংবার এবং এগিয়ে যাবো

যদি পরম দয়াময় সহায় থাকেন এ অধমের সাথে

জানি- তিঁনি সদা ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন

.

তবে কিসের এত ভয়? কিসের এত শংকা?

তিঁনি কি আমার জন্য সর্বাবস্থায়ই যথেষ্ট নন?

নাকি এখনো ঈমানের ঘর টলোমলো হয়ে?

.

প্রার্থনা করি- ওগো দয়াময়! বাড়াও তব দয়ার ডালা

নাশ করো জাহেরি যত অশনিসংকেত, এই অধমের

গুনাহখাতার শেষ লাইন পর্যন্ত মুছে দিয়ে, প্রিয়তে নাও

.

সাহায্য আসবেই! আসতেই হবে! বারংবার!

যদি ঈমানে তেজ থাকে! ভরসার অগ্নিস্ফুলিঙ্গ থাকে!

তবে কিসে রুখবে আমায়? আছে সাহস কার?

.

বিশ্বাসহীন হয়ে বারবার মরার চেয়ে-

বিশ্বাসী হয়ে একবার, শুধু একবার মরা যায়না?

তাঁর উপরে সব ভার ছেড়ে দিয়ে, তাঁর জন্যই

____________________________________________________

রচনাকালঃ ১০.০৭.২০১৪ ঈসায়ী

[ আমার সকল রচনাবলী (ইসলামিক কবিতা ও অন্যান্য) আমার ব্যাক্তিগত ব্লগ http://www.tanin87.blog.com এ ইনশাআল্লাহ্‌ যেকোন সময় পাবেন ]

বিষয়: বিবিধ

১৫৩২ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

244458
১৩ জুলাই ২০১৪ রাত ১১:১৬
সুশীল লিখেছেন : ভালো লাগলো
১৩ জুলাই ২০১৪ রাত ১১:২৫
189866
তৌহিদুল ইসলাম তানিন লিখেছেন : আল'হামদুলিল্লাহ! Love Struck Love Struck অনেক ধন্যবাদ জানবেন
244469
১৪ জুলাই ২০১৪ রাত ১২:১৫
সন্ধাতারা লিখেছেন : Wonderful writing!! Jajakalla khairan
১৫ জুলাই ২০১৪ রাত ১০:১৮
190272
তৌহিদুল ইসলাম তানিন লিখেছেন : আল'হামদুলিল্লাহ্‌! Happy Happy বারাকাল্লাহু ফীক Praying Praying
244606
১৪ জুলাই ২০১৪ দুপুর ১২:৪৪
অজানা পথিক লিখেছেন : Happy
১৫ জুলাই ২০১৪ রাত ১০:১৮
190271
তৌহিদুল ইসলাম তানিন লিখেছেন : Love Struck Love Struck Love Struck
244773
১৫ জুলাই ২০১৪ সকাল ০৬:৪৮
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : আপনার লেখাটা পড়ে খুব ভালো লেগেছে।
১৫ জুলাই ২০১৪ রাত ১০:১৯
190273
তৌহিদুল ইসলাম তানিন লিখেছেন : শুকরান, ইয়া আখি Love Struck Love Struck Love Struck
245026
১৬ জুলাই ২০১৪ রাত ১২:৩০
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : ছোটবেলায় আমার মত শান্তশিষ্ট ছিলেন বুঝা যায় Happy একবার না পারিলে দেখ শতবার-এটা আমার না কবির কথা। জীবন মানেই পড়া আর উঠার গল্প এভাবেই পড়ে পড়ে শিখতে হবে-সবার ক্ষেত্রেই তাই। ভাল লাগল। ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা Good Luck Good Luck Good Luck
০৭ আগস্ট ২০১৪ রাত ১১:৫৫
196258
তৌহিদুল ইসলাম তানিন লিখেছেন : হুম। ঠিকই ধরেছেন। আমি ছোটবেলায় শান্তই ছিলাম। Happy Happy

আপনার জন্য শুভকামনা, আপুজ্বী Love Struck Love Struck

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File