ফ্লোরেন্স সিটি

লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ২৭ নভেম্বর, ২০১৬, ১১:২৬:৩৫ সকাল





















একে তো শীত,তার উপর বৃষ্টি। কিছু করার নেই,এটাই ওরেগনের নিয়তি। কিন্তু চুপ মেরে বসে থাকার লোক আমি না। আজ একটু সুযোগ পেলাম ঘোরাঘুরির। আর বেরিয়ে পড়লাম। কিন্তু উদ্দেশ্য ছিলো ওরেগনের মুরভূমির দিকটা আবিষ্কার করব। ওদিকে ব্যান্ড,মাদরাস হয়ে বেশ কিছু দর্শনীয় স্থানে যাবার পরিকল্পনা করেছিলাম। কিন্তু সেদিকে পৌছানোর সব কয়টা রাস্তায় মারাত্মক তুষারপাত হয়েছে। সুইটহোমের রাস্তাটাই সোজাসাপ্টা কিন্তু সেখানে ৮ফুট তুষারপাত হয়েছে। যদিও বিশেষ গাড়ি সেসব তুষার পরিষ্কার করে কিন্তু ওদিকে গেলে গাড়িতে বিশেষ চাকা লাগাতে হয় ,নয়ত চাকায় বিশেষ চেন বাধতে হয়। এসব কাজ করার কোনো ধৈর্য্য নেই,ফলে গতিমুখ পরিবর্ত করলাম। গত কয়েকদিন ধরে আমি আর আমার গুগল চাচা মিলে যুৎসই তেমন কোনো স্থান খুঁজে পেলাম না। ক্যালিফোর্নিয়ার শেষ প্রান্ত থেকে শুরু করে একেবারে ওয়াশিংটনের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত হাজার হাজার মাইল ব্যপী পর্বতাঞ্চল এবং বনভূমী। এই রেখার এক পাশ থেকে আরেক পাশে গেলে খবর হয়ে যায় যদি তুষারপাত হয়। যদিও এর ভেতর দিয়েই গমন করলাম তবে সে দিকটি ছিলো নিরাপদ।

সকালে খাবার দাবার ও সাজ সরঞ্জাম নিয়ে রওনা হলাম ইউজিন হয়ে ফ্লোরেন্সের উদ্দেশ্যে। সকাল ছিলো মেঘলা ও খানিক ঠান্ডা ,৪৭ডিগ্রী ফারেনহাইট। রাস্তায় গিয়ে দেখলাম বেশ কুয়াশা। তার ভেতর দিয়ে চলতে থাকলাম। খানিক পর কুয়াশা কেটে চারিদিক পরিষ্কার হতে থাকল আর প্রকৃতি তার রূপ প্রদর্শন করতে থাকল। সে রূপে মোহিত না হয়ে উপাই নেই,একেবারে পবিত্র চেহারা।

ফ্লোরেন্স হল ওরেগনের দক্ষিন-পশ্চিমে অবস্থিত প্রশান্ত মহা-সাগরের তীরবর্থী ছোট্ট একটা শহর। এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য অসাধারন। হাইওয়ে ৫ থেকে ইউজিনের ভেতর দিয়ে হাইওয়ে ১২৬ ধরলাম এবং পাহাড়ী আঁকাবাঁকা রাস্তার উপর দিয়ে মধ্যম গতিতে চলতে লাগলাম। ঠান্ডা আবহাওয়ার ভেতর হঠাৎ কিছুক্ষনের জন্যে সূর্য মামা উকি দিল। ভাবলাম এটা স্থায়ী হবে,কিন্তু হলোনা,তবে বৃষ্টি নেই বলে ভালো লাগল। পাহাড়ী বনভূমির সৌন্দর্য্য যে কোনো মানুষকে আকর্ষণ করবে। রাস্তার দুপাশে লম্বা লম্বা গাছগুলোতে শাওলা জমেছে। সবুজ সেসব শাওলাযুক্ত গাছ ঘন সন্নিবেশিত হয়ে দাড়িয়ে রয়েছে। কোথাও কোথাও ঘরস্রোতা পাহাড়ী নদী বয়ে চলেছে সাগরের উদ্দেশ্যে। কোথাও কোথাও মানুষ প্রকৃতি প্রেমীদের জন্যে লজ তৈরী করেছে। সেখানে মানুষ অবস্থান করে বনের সৌন্দর্য উপভোগ করে। গরু সাইজের সম্বর হরিনের যাতায়াত সর্বত্রই। এ সৌন্দর্য বর্ণনা করার ভাষা নেই। সেসব পথ ধরে এগিয়ে গেলাম। রাস্তায় বেশ কিছু চমৎকার পার্ক দেখলাম কিন্তু থামলাম না। ইচ্ছা ছিলো ফেরার পথে সেগুলো দেখব।

ছোট ছোট দু একটি শহর পেরিয়ে সুসলা নদীর যে অংশটি ঘুরে পেচিয়ে বেশ কিছু পাহাড়ী ভূমীর উপর গিয়ে নিথর হয়ে রয়েছে ,সেখানকার একটি জলাধরের উপরের ছোট্ট সেতু পার হয়ে এপাশে একটা জনবসতির চিহ্ন দেখলাম, যার বর্ণনা করতে আমি অপারগ। এখানে অসাধারণ নদীর সুন্দর শান্ত শাখার দুপাশ ধরে বেশ কিছু বাড়ি রয়েছে,যেখানে ধনী ব্যক্তিরা বসবাস করেন। অনেকেই এখানে বছরের সকল সময়ে থাকেনা। তাদের আলাদা এলাকায় বাড়ি রয়েছে। এই শাখা নদীর মাঝ বরাবর দ্বীপ রয়েছে। পানির গতি মন্থর। দেখে লেকই মনে হয়। সেই দ্বীপে অনেকে বাড়ি তৈরী করেছে। সেখানে তাদের নিজস্ব নৌযান রয়েছে। বাড়ির থেকে একটি রাস্তা লেকে এসে পড়েছে,সেখানে তাদের নৌযান ভেড়ানো। যাদের বাড়ির সাথে মূল রাস্তার সংযোগ,তারা রাস্তা থেকে ভিন্ন আরেকটি রাস্তা তাদের বাড়ি পর্যন্ত নিয়ে গেছে এবং ব্যক্তিগত সম্পত্তি হওয়ার কারনে রাস্তাগুলো নিজস্ব গেট দ্বারা বন্ধ করে রেখেছে। ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও সেখানে গিয়ে দেখতে পারলাম না। পাশ থেকে দুচোখ ভরে ধনীদের কারবার দেখে ফ্লোরেন্স শহরে আসলাম। এখানে একটা স্টোর থেকে টুকটাক খাবার দাবার কিনে রওনা হলাম ওরেগন ডুনস ট্রেইলের দিকে। পথে থ্রি রিভার্স নামক একটা ক্যাসিনোতে ঢুকলাম। ভেতরে দেখলাম বহু মানুষ মেশিনের সাথে নানান রকমের জুয়া খেলায় লিপ্ত। দুনিয়ার কোনো দিকে তাদের খেয়াল নেই। এটা কেমন গেম তা আমি জানিনা,তবে সামনে থাকা রং বেরঙের নানান মেশিনে ডলার ঢুকিয়ে কি সব মেলায়,তারপর কোনো এক নিয়মে জিতলে অনেক টাকা পায়,নয়ত হারায়। ভেতরে এটিএম বুথ থেকে হাজার হাজার ডলার ক্যাশ করছে দেখলাম মানুষ। মজার বিষয় হল জুয়াড়ীদের বেশীরভাগই বৃদ্ধ,,সম্ভবত ডলার জেতার নেশায় পুরো কৈশোর,যৌবন পার করেছে ....মরন ছাড়া তাদেরকে কেউ থামাতে পারবে না। যাইহোক আমি রেস্টরুমের কাজ সেরে চলে আসলাম। ইতিপূর্বে যতবার ক্যাসিনোতে প্রবেশ করেছি,প্রত্যেকবারই উদ্দেশ্য এই একই।

ডুনস মানে হল বালিয়াড়ী। মরুভূমীতে মরুঝড়ে বালি একেক স্থানে পাহাড়ের মত স্তুপ হয়ে থাকে এটাই হল বালিয়াড়ী। এখানে যে পাহাড়গুলো তৈরী হয়েছে তাও এরকমভাবেই হয়েছে। বালির পাহাড় কিন্তু তার উপর বনভূমী। কোথাও কোথাও গাছপালা ছাড়াই বালিয়াড়ী। রাস্তার কোথাও কোথাও বিশেষ খুটি পুতে সেসব বালি ঠেকানো হয়েছে ,যাতে রাস্তার উপর ধ্বসে পড়ে রাস্তা বন্ধ না করে।

ট্রেইল ধরে চললাম। এখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের জন্যে চমৎকার একটি স্থাপনা রয়েছে। পুরোটাই বড় কাঠের গুড়ি ও চৌকাঠ দ্বারা তৈরী। ৩টি কাঠের উঁচু মঞ্চ তৈরী করা হয়েছে,যেখান থেকে বনভূমী ও প্রায় এক মাইল দূরের সাগরের সৌন্দর্য্য উপভোগ করা যায়। হাটতে থাকলাম। খুবই সুন্দর নিরব পরিবেশ। দু একজন লোক মাত্র এসেছে এখানে। চমৎকার প্রকৃতির ছবি তুলতে থাকলাম। পাশের বনের ভেতর দিয়ে একটি সরু রাস্তা চলে গেছে বালিয়াড়ীর উপর দিয়ে সোজা সমুদ্রে। বালিয়াড়ীগুলো সমুদ্রের এ অংশে বেষ্টনী তৈরী করে রেখেছে। এদিক ধরে পৌনে এক মাইল হাটলে সমুদ্র তীরে পৌছানো যায়। বৃষ্টি হওয়াতে বালিতে চলাচল বেশ উপযোগী ছিলো কিন্তু ঠান্ডা বাতাসের কারনে সাগর তীর পর্যন্ত গেলাম না,তবে কিছুদূর গিয়েছি।

ফিরে আসলাম পার্কিংলটে। দেখী কাঠের রেলিংয়ে একটা দারুন নীল রঙের পাখি বসে আছে। তাকে দেখে একটা ছবি তুলতেই মাথায় আসল,,আহ এরকম দারুন পাখি যদি রান্না করে খেতে পারতাম ! জান্নাতে নানান রঙের ,জাতের পাখির গোস্ত খাওয়ানো হবে.....আল্লাহ যেন কবুল করেন ! হঠাৎ ক্ষুধার কথা মনে পড়ল,মানে ক্ষুধা অনুভূত হল। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ভুলেই গিয়েছিলাম। সকালে নাস্তা করা হয়নি। ব্যাগ থেকে সন্দেশ মোড়ানো রুটি এবং বিশেষ সব্জী দিয়ে মোড়ানো রুটি বের করলাম। বেশ মজার জিনিস। গত পরশু দিন সন্দেশ বানাইছিলাম,বেশ মজার হয়েছে। এবারই প্রথম সন্দেশ বানিয়ে সফল হলাম। এরপর নানান ধরনের এটা সেটা চকলেট খেয়ে চললাম হানিম্যান মেমোরিয়াল স্টেট পার্কের উদ্দেশ্যে।

অনতিদূরেই এই পার্কটি অবস্থিত। এটা হল ডুনস সিটিতে এক খন্ড সবুজের মাঝে স্বচ্ছ টলমলে পানিপূর্ণ মনোরম পার্ক। ঢুকেই মোহিত হলাম। রাস্তার পাশে পাথরের বেষ্টনী তার ওপাশে টলমলে পানি। একদিকে রাস্তা,দুদিকে বনভূমীপূর্ণ বালিয়াড়ী,আরেক দিকে বন ছাড়া কেবল বালিয়াড়ী। এর ভেতর মোটামুটি বড় সাইজের লেক,যা দুদিকে বেঁকে প্রসারিত হয়েছে। লেকের পাশে সরু পায়ে চলা পথ। সেদিক দিয়ে হাটতে থাকলাম। যতই হাটছি ততই ভালো লাগছে। লেকে মাছ আছে অনেক। গরমে এখানে মানুষ নৌকা ভ্রমন করে,সাঁতার কাটে। পরিবার নিয়ে এখানে পিকনিক করতে আসে। অসাধারণ একটি স্থান এটি। এখানে একটি মনোরম রেস্টুরেন্ট আছে যা শীতের সময় বন্ধ থাকে। পাথর দিয়ে তৈরী সুন্দর ঘাট রয়েছে সেখানে বসে থাকলাম। মনের মাঝে জমিদারী ভাব আসল। আগের দিনের প্রতাপশালী জমিদাররা বড় বড় দিঘি খনন করে এরকম সুন্দর ঘর বাড়ি বানাতো তার কাছে ,আর ভাব নিয়ে ফুর্তি করত। নৌযানের দুটি ঘাট তৈরী করা হয়েছে,যেখানে মানুষ তাদের নিজস্ব ছোট ছোট নৌকা নিয়ে টিকেট কেটে ভাসতে পারে,আবার এখানকার নৌকাও ভাড়া নেওয়া যায়। এই জায়গাটা আমার অত্যধিক ভালো লেগেছে। আসলেই চমৎকার স্থান এটি। এই পরিবেশে কয়েকদিন কাটিয়ে দিতে পারলে মজা পেতাম কিন্তু ফিরতে হবে।

এবার ফ্লোরেন্স সিটির মূল অংশে আসলাম। এখানে ছোট ছোট জাহাজের পোতাশ্রয় রয়েছে এবং সুসলা নদীর উপর দারুন একটি সেতু রয়েছে। নদীর এ অংশে ছোট ছোট সমুদ্রগামী জাহাজ নোঙ্গর করে। এটি হল নদীর প্রায় মোহনা। এখান থেকে প্রশস্ত হয়ে নদীটি প্রশান্ত মহা-সাগরে পড়েছে। শহরের পাশ ধরে অসাধারনভাবে পাড় তৈরী করা হয়েছে। স্টিল ও কাঠের চমৎকার ডিজাউনে পোতাশ্রয়টি নির্মিত। নদীর একেবারে ভেতর পর্যন্ত ভাসমান সেতু দিয়ে হাটা যায়। আমি হাটলাম সেদিকটায়। এখানে আসার সাথে সাথেই বৃষ্টি গ্রাস করল,ফলে রেইনকোট ও ছাড়া দুটোই নিতে হল,কারন প্রবল বাতাসও শুরু হয়েছে।

এই সিটিতে প্রচুর পর্যটক আসে। শহরের বেশীরভাগ দোকানপাটই মূলত খাবারের দোকান,মদ ও নানান সব সুভেনীরের দোকান। এক দোকানে গেলাম,যেখানে কেবল শুধু নানান রকমের অলিভ ও এর তেল রয়েছে। শত শত রকমের অলিভের আইটেম দেখে হতবাক হলাম। এখানে ব্রীজের নীচ দিয়ে একটি ভাসমান রাস্তা তৈরী করা হয়েছে যা পানির উপর স্পর্শ করে শুয়ে আছে। কিন্তু সেতুর উন্নয়নমূলক কাজ চলার কারনে বন্ধ করে দিয়েছে ,নইলে এটা একটা দারুন দর্শনীয় জিনিস। পুরো শহরটা একেবারে পরিপাটি পরিচ্ছন্ন। এখানে একেবারে নদীর মাঝে ঐতিহ্যবাহী কিছু রেস্টুরেন্ট আছে যেখানে স্যামন,টুনা,কড,হ্যালিবাট মাছ ও বড় বড় কাকড়ার তৈরী নানান খাবার খাওয়ানো হয়। আমার পছন্দ ফিস ফ্রাই। কিন্তু পেটে ক্ষুধা না থাকাতে খেলাম না। মনে একটু কষ্ট লাগছিলো যে,দুপুরে এতটা না খেলে হয়ত এখানে কিছু খেতে পারতাম কিন্তু প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে এতটাই আকৃষ্ট ছিলাম যে পেটের ব্যাপারটিকে গুরুত্বের সাথে মূল্যায়ন করতে পারিনি।

এই শহরটা মনে মধ্যে গেথে থাকবে আশা করছি। প্রবল বৃষ্টি শুরু হল। ছাতা দিয়ে কাজ হলনা। বৃষ্টি পা ভিজিয়ে দিয়েছে। আর থাকা গেলনা সুন্দর এই ছোট্ট শহরটাতে। ফিরতি পথ ধরলাম। ফেরার সময় যেসব পার্কে আসতে চেয়েছিলাম সেখানে যাবার আশা ত্যাগ করলাম,তবে সেগুলোর প্রায় সবটাই বন্ধ ছিলো শীতের কারনে। প্রায় ১ ঘন্টা এমন প্রবল বৃষ্টির ভেতর চলতে থাকলাম যে সামনের অংশটাও একেবারে অস্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছিলো। সাংঘাতিক ঘন বৃষ্টির ভেতর বাসায় ফিরলাম। মনের ভেতর এখনও ফ্লোরেন্স নড়াচড়া করছে।

বিষয়: বিবিধ

১৪৩৬ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

380205
২৭ নভেম্বর ২০১৬ দুপুর ০৩:৪০
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু! আপনার সাথে আমরাও ঘুরে আসলাম ভালোই লাগলো অনেক ধন্যবাদ। মাঝে মাঝে এভাবে আমাদেরকে সাথে করে ঘুরতে যাবেন। পুটির মার খবর তো বললেন না। কবে আসবে......?
২৭ নভেম্বর ২০১৬ রাত ১১:৩৬
314700
দ্য স্লেভ লিখেছেন : ওয়া আলাইকুম আস সালাম। আপনার সরব উপস্থিতিতে জাতি ধন্য হল। জি স্থানটা দারুন ছিলো। আর পুটির মার সাথে বিয়ে হবে ইনশাআল্লাহ এপ্রিলে। দোয়া করেন যেন আল্লাহ আমার কাজকে সহজ করে দেন। ব্লগে আস্ত গরুর রোস্টের ছবি দেব বার বার....Happy
380206
২৭ নভেম্বর ২০১৬ বিকাল ০৪:১১
কুয়েত থেকে লিখেছেন : চমৎকার লেখা মনে হলো নিজেও ভ্রমন করছি আপনার সাথে। এটাতো মনে হচ্ছে পরবত্য চট্টগ্রাম। অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ
২৭ নভেম্বর ২০১৬ রাত ১১:৩৮
314701
দ্য স্লেভ লিখেছেন : পার্বত্য চট্ট্গ্রামও সুন্দর। তবে সেগুলো আমরা যত্ন করে রাখিনা। ফ্লোরেন্স অনেক দারুন। জাজাকাল্লাহ খায়রান Happy
380208
২৭ নভেম্বর ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:৪৬
আকবার১ লিখেছেন : চমৎকার বণর্ণা,আপনার মত ভ্রমনকারী পেলে
আনন্দিত হতাম। এবার নর্থ থেকে সাউথে চলে
আসেন।স্যামন ছাড়া অন্য কোন মাছ খাইনি।
আপনার ওখানে এই ফল গুলোর বাগান নেই।




২৭ নভেম্বর ২০১৬ রাত ১১:৪১
314702
দ্য স্লেভ লিখেছেন : হাহাহহাহা আসব একদিন,,সেদিন আপনি রান্নাবান্না করে একটু বিশ্রাম নিয়ে দেখবেন সব শেষ করে দিয়েছি Happy দোয়া করবেন জনাব
380217
২৭ নভেম্বর ২০১৬ রাত ০৮:৫৪
তবুওআশাবা্দী লিখেছেন : ইতালির ফ্লোরেন্সের মতোই টুরিস্ট সিটি মনে হচ্ছে ওরিগনের ফ্লোরেন্সকে | আপনার ফটোগুলো দেখে কেন জানিনা অনেক আগে দল বেঁধে বেড়াতে যাওয়া রাঙামাটির লেকের কথা মনে পড়লো ! ওরিগনে এখনই স্নো পড়তে শুরু করেছে নাকি? আমিতো ভেবেছিলা প্যাসিফিকের গরম হাওয়ায় এই ডিসেম্বরে আপনারা ভালোই আছেন|
২৭ নভেম্বর ২০১৬ রাত ১১:৪৫
314703
দ্য স্লেভ লিখেছেন : না ওরেগনে স্নো আসলে পড়েনা। যে স্থানের কথা বলেছি সেটা হল পাহাড়ী কিছু এলাকা। সেখানে শীতে বরফ পড়ে। অন্য স্থানে সাধারনত স্নো হয়না। ২০১৪ সালে একবার হয়েছিলো এরপর হয়নি।

স্থানটা খুব দারুন ছিলো। ইতালির ফ্লোরেন্সে যাব পুটির মাকে নিয়ে ইনশাআল্লাহ
380219
২৭ নভেম্বর ২০১৬ রাত ১০:১৩
আফরা লিখেছেন : এক্কেবারে খাওয়া ছাড়া পোষ্ট ! ! আপনি ভাল তো একা একাই ঘুরতে পারেন ,আমার এমনিতেই ঘুরতে ভাল লাগে না একা কোথাও ঘুরতে যাব এটা তো চিন্তা ও করি না ।

লিখা ভাল লেগেছে ধন্যবাদ ।
২৭ নভেম্বর ২০১৬ রাত ১১:৪৬
314704
দ্য স্লেভ লিখেছেন : দোয়া করি আল্লাহ আপনাকে এমন এক খাদক আর মজার লোক জুটিয়ে দিক, যে আপনাকে নিয়ে যাবে নানান সব স্থানে আর রেস্টুরেন্টে অঅর মাথা পর্যন্ত খাওয়াবে Happy

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File