২০২১ সালে বাংলাদেশ আইসিটি খাত থেকে আয় করবে ১৫ বিলিয়ন ডলার

লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ২৭ নভেম্বর, ২০১৬, ০৪:০০:১৮ বিকাল





ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার বাংলাদেশে ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলেছে যার ফলে বিভিন্ন খাতের উন্নতি হচ্ছে দৃশ্যমানভাবে। এর পেছনে রয়েছে ব্যক্তির আগ্রহ, বেসরকারি খাতের উদ্যোগ এবং সরকারের প্রণোদনা। এই যৌথ প্রয়াসের ভিত্তিতে গত কয়েক বছরে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার দ্রুত প্রসার ঘটেছে। ২০২০ সালের মধ্যে সমগ্র বাংলাদেশে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য

সরকারিপর্যায়ে যে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে সেখানে অংশগ্রহণ করছে শিক্ষিত সকল শ্রেণির মানুষ। যারা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে শিক্ষা পায়নি সেই সব নর-নারীও ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ হয়ে উঠেছে। এখন গ্রামের কৃষক থেকে রিকশাওয়ালা সবার হাতেই দেখা যায় মোবাইল। মোবাইলের সাহায্যে তারা কেবল ব্যক্তিগত আলাপ এবং খবরাখবরই আদান-প্রদান করছে না, বিভিন্ন পণ্য কেনাকাটা ও বিক্রি এবং আত্মীয়-স্বজনের কাছে টাকাও পাঠাচ্ছে। শিক্ষার প্রসার ঘটলে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার যে আরো সম্প্রসারিত ও ব্যাপক হবে সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) খাতে বাংলাদেশকে বিশ্বের রোল মডেলে পরিণত করতে সরকার ও বেসরকারি খাত একযোগে কাজ করছে। বর্তমান বিশ্বে জনগণের ক্ষমতায়ন ও দারিদ্র্য দূরীকরণের অন্যতম হাতিয়ার তথ্যপ্রযুক্তি। এ হাতিয়ারকে ধারণ করে বাংলাদেশ প্রতিনিয়ত এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে ডিজিটাল বাংলাদেশ বির্নিমানের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) এর আওতাধীন বেশ কয়েকটি কোর্স চালু করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। এই কোর্স গুলোর মাধ্যমে দেশের শিক্ষিত বেকারদের কর্মঠ হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে আইসিটি খাত দেশের প্রত্যেক জেলা শহরে কম্পিউটার হাইটেক পার্ক স্থাপনের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। সেদিন হয়তো খুব বেশি দূরে নয় যেদিন আমাদের দেশের তরুণরা নিজেদের মেধা ও বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে ফেসবুক, গুগল, ইউটিউবের মতো জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে তৈরি করতে সক্ষম হবো। বর্তমানে গার্মেন্টস খাত থেকে বাংলাদেশ ২৮ মিলিয়ন ডলার আয় করছে। তেমনি ২০২১ সালে আইসিটি খাত থেকে ১৫ বিলিয়ন ডলার আয় করা সম্ভব হবে। এ জন্য জনশক্তিকে দক্ষ মানব সম্পদে পরিণত করার বিকল্প নেই সেই লক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন প্রশিক্ষনের মাধ্যমে দক্ষ করে তুলছে।বর্তমানে টেলিফোন এবং মোবাইল ফোনের মাধ্যমে টেলিমেডিসিন, জন্মনিবন্ধন, টিআইএন, পাসপোর্ট প্রভৃতি করার কাজেও বেশকিছু সেবা পাওয়া যাচ্ছে। দেশের ৬৪টি জেলায় থ্রিজি’ সেবা চালু করা হয়েছে অনেক আগেই খুব শীঘ্রই ফোর জি নেটওয়ার্ক চালুর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। বর্তমান সরকার মানুষের হাতের নাগালে সরকারি সেবাগুলো পৌঁছে দেয়ার জন্য ৪৮৭টি উপজেলাকে হাইস্পীড ইন্টারনেটের আওতায় আনা হয়েছে। আইসিটি বিভাগকে শিল্পখাতে নেয়া হয়েছে।



বিষয়: বিবিধ

৮৭০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File