আমার শশুর বাড়ী

লিখেছেন লিখেছেন সাইফুল ঈদগাহ কক্স ১০ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৮:৫৬:৫৬ সকাল

এক

আমার শশুর বাড়ী, শান্তিবাজার বরইতলী

মিষ্টি-মধুর হাড়ি, যদিও নেই শালী

শশুর আব্বা আবুল কাশেম, কথা বলেন দামী

শাশুড়ী আম্মা জাহেদা বেগম, মায়ের মতই জানি।

মাঝে মধ্যে যখন আসি, খেয়ে খেয়ে থাকি

তুহফা আপার রন্ধন আমি, ভুলতে নাহি পারি

দেখছি এখন মেঝ ভাবি, দেখছি ছোট ভাবি

পাঁচটি বিয়ে রইছে বাকী, হোক যে তাড়াতাড়ী।

কিসুওয়ার হাছিন যার স্ত্রী, ভাগ্যবান সে স্বামী

ধন-রং নয় সেবার প্রতি, আগ্রহী মোর লক্ষী

তিন ভাই তার আট ভগ্নি, নেই বড় ভাই পাঁচ ভগ্নিপতি

সবাই ওরা এতীমদের প্রতি, আন্তরিকতায় প্রতিযোগী।

থাকলে এতীম নাতি-নাতনি, দেবেন তাদের দাদা দাদী

ছেলের বরাত জাইগা জমি, অসিয়ত লেখা ধর্মের বাণী।

পাশেই আছে নানার বাড়ী, খতীবে আযম ছিলেন এমপি

তার যোগ্য উত্তরসূরী, জামাই সন্তান নাতি-পুতি।

দুই

শান্তির খুঁজে ঘুরতে ঘুরতে, শান্তিবাজার গেলাম

আবুল কাশেম জাহেদা বেগমের, শরনাপন্ন হলাম

৮ম মেয়ে কিসুওয়ার হাছিনের, দেখা যখন পেলাম

বুদ্ধি করে পূর্ণিমাকে, তড়িৎ বুকিং দিলাম।

নাদেরুজ্জামান দাদা তার, দাদী নজিমা

দেওয়ান আলী দাদার পিতা, আলী বিবি মা

মতিউর রহমান দাদীর পিতা, ------ দাদীর মা

একমাত্র ফুফু আয়েশা, মুহাম্মদুল্লাহর মা।

আহমদ কবির নানা আর, নানী মোমেনা

নানার পিতা ওয়াজিউল্লাহ, মাতা জুবাইদা।

অছিউর রহমান নানীর পিতা, তমন খাতুন মা

খতীবে আযম বড় নানা, বিখ্যাত যার প্রতিভা।

৮ই রমযান ৬ সালে, আকদ কাবিন সেরে

বাড়ীতে আসে ১লা বৈশাখ, ১২ই রবিউল আওয়ালে

শুণ্য হৃদয় পূর্ণ করলাম, শান্তি পেলাম খুঁজে

খবর নিয়ে জেনে নিলাম, অন্য কে কে আছে?

প্রথম চার বোনের জুবাইর, চলে গেলেন আগে

দু’ভাইকে দু’ছেলে, সালমান-নাহিয়ানকে দিয়ে,

শেষ চার বোনের কামরুল, পিতার যোগ্য ছেলে

সমাজ সেবা করতে থাকুক, স্ত্রী সন্তান নিয়ে।

মেঝ ভাই আজিজ মাঝে মাঝে, যাবেন সবার ঘরে

পিতার হয়ে বাবার মতো, মাছ তরকারী নিয়ে,

আজিজা-খাইরু, ফজলু-কিসু , দুই’য়ে দুই’য়ে মিলে

তছ্লিমা-মুছিহা, তূহ্ফা-হাছিনা, সবাই ভাল আছে।

প্রথম বোন আজিজা গেলেন, আব্দুল হাফিজের ঘরে

মোশাররফ মনছুর প্রথম ছেলে, শাহাদাত শাখাওয়াত পরে

মাহফুজার পর শাফায়াত, আফরোজা শাহারবিলে

স্বাস্থ্যসেবা আত্মরক্ষা, সবাই মিলে করে।

দ্বিতীয় বোন তছলিমা, ঝামেলাতে থাকেন না

তিন পুত্র এক কন্যা, মঞ্জুর মামুন নাহিদা

হারুন আপেল তাদের পিতা, মরহুম নূর আহমদ মক্কা

ভাঙ্গারমুখ ফাঁহাশিয়া- খালী বাড়ী নতুন করা।

তৃতীয় বোন তুহফাতুন্নেসা, মরহুম গিয়াস চিরিঙ্গা

তাদের আছে পাঁচ কন্যা, মুন্নার স্ত্রী সানজিদা,

ফারজানা ও তানজিনা, সাবরিনা ও ফারিহা

সবার জন্য আল্লাহ ভরসা, তাদের জন্য করি দোয়া।

চতুর্থ বোন ফজিলাতুন্নেসা, হাস্যোজ্জ্বল সর্বদা

একটাই শুধু মনের জ্বালা, মরহুম দেলোয়ার মদীনা

সাদেক সায়েম পুত্র যারা, লেখাপড়ায় সর্বসেরা

দূরত্বটাই প্রধান বাধা, টেকনাফ থেকে চকরিয়া।

পঞ্চম বোন খাইরুন্নেসা, মরহুম আবু বকর জিদ্দা

কায়েস হিশাম বাবুর আম্মা, মগবাজারে থাকেন না,

প্রথমে তিন ছেলে দ্বারা, মিলে গেছে বড় আপা

ছাড়লেন তিনি সৌদিয়া, গড়লেন সবার ঠিকানা।

ষষ্ঠ বোন মুছিহা, বারবাকিয়া ছেড়ে ‎গেলেন হ্নলা

ছাপা মারওয়া-৩য় কন্যা, নূরুল কবির-শফীক পিতা

ভবিষ্যতে বাকী কথা, চুপচাপ থাকাই বুদ্ধিমত্তা

ছফার আম্মা মঞ্জুরের মা, সম্পর্ক করতে নেই মানা।

সপ্তম বোন হাছিনা, হারুনুর রশীদ বহদ্দারকাটা

উভয়ে থাকত সৌদিয়া, কাঁদত তাদের মাতা-পিতা

রাফি রাহি পুত্র কন্যা, মাশরাফির সাথে হল দেখা

তুহ্ফা-হাছিনার সমাজসেবা, দেশ-বিদেশে সবার জানা।

অষ্টম বোন কিসুওয়ার হাছিন, শশুর বাড়ী ঈদগাঁ

সংসারের কাজ করে একা, মোহাম্মদ নূহের আম্মা,

সাইফুল ইসলাম শিক্ষকতা, রাজনীতি ও ধর্মসেবা

দেখতে হালকা সৃষ্টি নেশা, লেখাপড়ায় ব্যস্ত সদা।

আজিজাতুন্নেসা বড় আপা, অপচয় মোটেই করেন না

তছলিমাতুন্নেসা মেঝ আপা, আপ্যায়ণে সর্বসেরা,

তুহফাতুন্নেসা ছোট আপা, অতুল্য যার সমাজসেবা

ফজিলাতুন্নেসা লালা আপা, রাখেন নেত্রীর যোগ্যতা।

খাইরুন্নেসা লক্ষি আপা, সবার চেয়ে হাত খোলা

কোথায় থাকেন মুছিহা আপা? লজ্জাবতী পাতা,

দেশে ফিরলেন হাছিনা আপা, রুপেগুণে সবার সেরা

কিসুওয়ার হাছিন যার তুলনা, হতেই পারেনা।

======০০০======

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ এটি কবিতা নয় এবং এর লেখক কবি নন। তাই এটি কবিতার নিয়মে বিচার্য নয়। (প্রথম সন্তান মোহাম্মদ নূহের জন্ম দিনের স্মরণে, তারিখ ২৯-১১-২০০৯)

বিষয়: বিবিধ

১৫৯৫ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

353446
১০ ডিসেম্বর ২০১৫ সকাল ১১:৫৭
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : Contest_priyo ? এতদিন পর কেন ভাই?
353723
১২ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ১০:৩৩

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File