খাদ্য ও কৃষি

লিখেছেন লিখেছেন সাইফুল ঈদগাহ কক্স ২৩ নভেম্বর, ২০১৫, ১০:৫৫:০৮ রাত

খাদ্যের সাথে উৎপাদন, বিপণন, পরিবহন, বিনিয়োগ, স্বাস্থ্য ইত্যাদি অনেক কিছুই জড়িত। কিন্তু শান্তি ও সঙ্ঘাত সর্বাবস্থায় প্রত্যেকের খাদ্যপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে পারাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এ ক্ষেত্রে আমরা প্রাথমিক কিছু সমস্যা চিহ্নিত করতে পারি, যার সমাধান অতি সহজেই করা যায়। যেমন ঃ

ক. খাদ্য প্রত্যেকের প্রত্যহ প্রয়োজন। কিন্তু খাদ্য ক্রয়ের মাধ্যম হিসেবে নগদ অর্থ প্রত্যেকের প্রতিমুহূর্তে উপস্থিত থাকবে, এমন কোন কথা নেই। তাই এমন কোন ব্যবস্থা থাকা দরকার যাতে সর্বাবস্থায় খাদ্যপ্রাপ্তি নিশ্চিত থাকবে। এ জন্য কোন দুশ্চিন্তা বা অবৈধ উপায় অবলম্বনের প্রয়োজন থাকবে না।

খ. যানজট ও মানবজট হতে বাচতে হলে যথাসম্ভব দূরে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা কমিয়ে দিতে হবে। অন্তত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য যাতে প্রত্যেকেই নিজ এলাকাতেই পায়, সে ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সততা ও স্বল্পব্যয়েরও প্রয়োজনীয়তা আছে।

গ. রাস্তা ও পরিবহন ব্যবস্থার উপর পরিপূর্ণ নির্ভরশীল হলে খাদ্যপ্রাপ্তি নিশ্চিত করা যাবে না। এ ক্ষেত্রে এমন সরবরাহ সিস্টেম চালু করতে হবে, যাতে যেকোন দুর্যোগকালীনও নিকটতম কেন্দ্র থেকে খাদ্য সংগ্রহ ও সরবরাহ করা যায়।

ঘ. স্রষ্টা প্রতেককে প্রত্যেক কিছু দেন না। তাই যে কোন ক্ষেত্রে পারস্পরিক সমন্বয় ও সহযোগিতা প্রয়োজন। কারো কাছে থাকবে পুঁজি, কারো কাছে জমি, কারো শ্রম বা কারো বুদ্ধি। কিন্তু তা কিভাবে সহজেই সমন্বয় করা যায় তারও সহজ ব্যবস্থা থাকতে হবে।

ঙ. উৎপাদন, সরবরাহ ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মধ্যসত্ত্বভোগী যত কম থাকবে ততই কৃষক, ভুক্তা ও সরকারের জন্য সুবিধা। কৃষক আরো বেশি দাম পাবে, ভুক্তা আরো কম মূল্যে কিনতে পারবে এবং সরকার আরো বেশি ট্যাক্স পাবে, সে ব্যবস্থাই নিশ্চিত করতে হবে।

উক্ত সকল বিষয়ের নিশ্চয়তার পাশাপাশি আরো বহুমুখী উপকার ও উন্নয়নের লক্ষ্যে নিুোক্ত প্রস্তাব বিশেষ ভাবে বিবেচনাযোগ্য।

প্রত্যেকের আগে-পিছে ডানে-বামে অন্তত ৪০ ঘরের খোঁজখবর রাখা রাসূলের (সাঃ) নির্দেশ। প্রতি মহল্লার প্রত্যেকের খোঁজখবর রাখার সর্বাধিক উপযুক্ত মাধ্যম হল মসজিদ। কারণ সেখানে সবাই দৈনিক পাঁচবার একত্রিত হয়। সবাই মিলে সবার খোজখবর রাখার দায়িত্ব দিতে পারেন ইমাম সাহেবকে। তিনি যে কোন এক ওয়াক্ত নামজের পর সবার সাথে উন্মুক্ত পরামর্শ করবেন এবং প্রতি ওয়াক্ত নামাজের পর দশ মিনিট সবার খোজখবর নেবেন। তালিকাভুক্ত পরিবারগুলোর যখন যা প্রয়োজন হবে সে সব নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য যদি প্যাকেটজাত অবস্থায় ইমাম সাহেবের কাছ থেকে নামাজের পর বাকি ও কিস্তিতে পাওয়া যায়, তবে তা হবে উভয় পক্ষের জন্য অত্যন্ত সহজ ও লাভজনক। যার যত টাকা সিকিউরিটি জমা থাকবে সে তার দ্বিগুণ মূল্যমানের পণ্য বাকি ও কিস্তিতে পাবে। সেখানে লেখা থাকবে, “নগদ চাহিয়া লজ্জা দিবেন না, নগদ বিক্রয় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ”। ইমাম সাহেব বাকী ও কিস্তিতে প্রয়োজনীয় পণ্য সংগ্রহ করবেন নিকটবর্তী মাদরাসা থেকে। মাদরাসা নিকটবর্তী জামিয়া থেকে। জামিয়াকে সার্বিক সহযোগিতা করবে বোর্ড। বোর্ডকে ব্যাংক। ব্যাংককে সরকার। এভাবে প্রত্যেকেই সর্বনিু ৪ জন থেকে সর্বোচ্চ ৪০ জনের খোজ অতি সহজেই নিতে পারে এবং তাদের প্রয়োজন পূরণ করতে পারে নিরবচ্ছিন্ন ভাবে। ৪০-এর অতিরিক্তের দায়িত্ব নেবে অন্যজন। এভাবে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে, বেকারত্ব হ্রাস পাবে, কৃষি উন্নয়ন নিশ্চিত হবে, হতাশা ও অস্থিরতা কমে যাবে, শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হবে।

উক্ত পদ্ধতিতে সরবরাহকৃত পণ্যমুল্যের ১% পাবে সরকার সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও বোর্ডের মাধ্যমে। ২% সংশ্লিষ্ট জামিয়া। ৩% সংশ্লিষ্ট মাদরাসা। ৪% সংশ্লিষ্ট ইমাম সাহেব। সর্বমোট ১০% সরবরাহমূল্য। বাকী ৯০% পণ্যমূল্য, যেখান থেকে অন্যান্য আনুসাঙ্গীক ব্যয় বাদ যাবে। এর বাইরে প্রতি মসজিদ পাবে মাসিক ৫০০ টাকা অনুদান। প্রতি মাদরাসাপ্রধান পাবেন মসজিদপ্রতি মাসিক ২৫০ টাকা ভাতা। প্রতি জামিয়াপ্রধান পাবেন মাদরাসাপ্রতি মাসিক ৫০০ টাকা ভাতা। প্রতি বোর্ডপ্রধান পাবেন জামিয়াপ্রতি মাসিক ১০০০ টাকা ভাতা। ব্যাংক পাবে প্রতি বোর্ডের যাবতীয় হিসাব।

এ ক্ষেত্রে আমরা একটি প্রাথমিক বাজেট করতে পারি। যদি ১ জন ব্যক্তির ১ বেলায় নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য প্রয়োজন হয় কমপক্ষে ১৫ টাকার, তবে দৈনিক ৩ বেলায় ৪৫ টাকা। ৩০ দিনে ১৩৫০ টাকা। ১ পরিবারের সদস্য সংখ্যা যদি হয় গড়ে ৪ জন, তবে ৪০ পরিবারের সদস্য সংখ্যা গড়ে ১৬০ জন, যাদের মোট ব্যয় মাসিক ২,১৬,০০০ টাকা, যার ৪% = ৮,৬৪০ টাকা, যা ১ জন ইমাম সাহেবের জন্য চলনসই। এ রকম ৪০টি মসজিদের মাসিক ব্যয় ৮৬,৪০,০০০ টাকা, যার ৩% = ২,৫৯,২০০ টাকা, যা ১টি মাদরাসার জন্য যথেষ্ট। এ রকম ৪০টি মাদরাসার মাসিক ব্যয় ৩৪,৫৬,০০,০০০ টাকা, যার ২% = ৬৯,১২,০০০ টাকা, যা ১টি জামিয়ার জন্য যথেষ্ট। এ রকম ৪০টি জামিয়ার মাসিক ব্যয় ১,৩৮২,৪০,০০,০০০ টাকা, যার ১% = ১৩,৮২,৪০,০০০ টাকা, যা ১টি বোর্ডের মাধ্যমে সরকারের জন্য যথেষ্ট। এ রকম ৪টি বোর্ডের মাসিক ব্যয় ৫,৫২৯,৬০,০০,০০০ টাকা, যা একটি ব্যাংকের হিসাবের জন্য যথেষ্ট। সরকার যদি এ খাত থেকে প্রাপ্য বার্ষিক ৬৬৩,৫৫,২০,০০০ টাকা এ ব্যাংকের মাধ্যমে ক্যাশ ওয়াকফ করে, তবে খাদ্য ও কৃষি খাতে কোন ভর্তুকীর প্রয়োজন থাকবে না। এ খাতের যাবতীয় বিনিয়োগ যে কোন একটি ব্যাংক করতে পারবে। এর নাম হতে পারে “পল্লী ব্যাংক” এবং সর্বনিু অফিস হতে পারে মসজিদ ভিত্তিক “পল্লীকেন্দ্র”। এ ব্যাংকের অধীনে থাকবে ৪টি বোর্ড, ১৬০টি জামিয়া, ৬,৪০০ মাদরাসা, ২,৫৬,০০০ মসজিদ, কমপক্ষে ১,০২,৪০,০০০ পরিবার ও ৪,০৯,৬০,০০০ সদস্য। এর সর্বমোট অফিস ও কর্মকর্তা সংখ্যা প্রায় ২,৬২,৫৬৫ এবং কর্মচারী সংখ্যা প্রায় তার দ্বিগুণ।

বিনিয়োগ দেয়া-নেয়ার প্রান্তিক অফিস হবে পল্লীকেন্দ্র, যার অফিসার হবেন মসজিদের ইমাম সাহেব, যিনি উন্মুক্ত পরামর্শ ভিত্তিক বিনিয়োগ করবেন। ৫ শত হতে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত সিকিউরিটি মানি। বিনিয়োগ হতে পারে ৫ হাজার হতে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত পরিবার ভিত্তিক। ৫০ হাজার হতে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত মসজিদ ভিত্তিক। ৫ লক্ষ হতে ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত মাসরাসা ভিত্তিক। ৫০ লক্ষ হতে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত জামিয়া ভিত্তিক। ৫ কোটি হতে ৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত বোর্ড ভিত্তিক। ৫০ কেটি টাকার উর্ধ্বে হলে আর্থিক ও বাণিজ্যিক কোম্পানী ভিত্তিক সরাসরি ব্যাংকের হেড অফিস কর্তৃক বিনিয়োগ হতে পারে। যাবতীয় বিনিয়োগ হতে হবে লাভ-ক্ষতি ভিত্তিক। এ কর্মসূচী বাস্তবায়নে শর্ত হচ্ছে ইমাম সাহেবকে স্বনিয়ন্ত্রিত হতে হবে। অন্যরা ইমাম সাহেবকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়লে কোন কাজ করা যাবে না। প্রয়োজনে বিশেষ প্রশিক্ষণ নিতে হবে।

যে পথে উপর থেকে নিচে পণ্য আসবে, সে পথেই নিচ থেকে উপরে পণ্য যেতেও পারবে। তাই প্রত্যেক পল্লীকেন্দ্রে প্রক্রিয়াজাত আমদানিকৃত পণ্যের জন্য থাকবে আলমিরা এবং রপ্তানিযোগ্য কাঁচা পণ্যের জন্য থাকবে ফ্রীজ। প্রত্যেকেই যাবতীয় উৎপাদন ও আয়ের ১০% উশর ও অনুদান মসজিদ ভিত্তিক সমাজসেবা ফান্ডে জমা দিলে, কোন এলাকায় কোন অসহায় লোক বা অভাবের কারণে চুরি-ডাকাতি থাকতেই পারে না। এটি এমন এক সেক্টর, যেখান থেকে বর্তমানে সরকার তেমন কিছুই পায় না, কিন্তু ব্যয় করতে হয় প্রচুর। উল্লেখিত সিস্টেম চালু হলে সরকারের ব্যয় কমে যাবে উল্লেখযোগ্য হারে এবং আয় বেড়ে যাবে অবিশ্বাস্য গতিতে। এ জন্য সরকার ইচ্ছা করলে একটি জাকাত ব্যাংকও প্রতিষ্ঠা করতে পারে, যার মাধ্যমে দেশ-বিদেশের যাবতীয় অনুদান পরিকল্পিতভাবে সংগ্রহ ও ব্যয় করা যাবে।

একজন উন্নয়নকর্মী যা করতে পারে তা হল, মসজিদ ভিত্তিক উম্মুক্ত পরামর্শ চালু করবে। প্রত্যেক পরামর্শে ক্রমান্বয়ে একটি করে প্রস্তাব যুক্তিসহকারে পেশ করবে। প্রস্তাব গৃহীত হলে সবাইকে নিয়ে তা বাস্তবায়নে লেগে যাবে। গৃহীত না হলে হতাশ না হয়ে উপযুক্ত সময়ের অপেক্ষা করবে। কোন অবস্থাতেই কোন বিষয়ে সমাজে বিরোধ সৃষ্টি করবে না।

কৃষি উন্নয়নের জন্য প্রত্যেক বাড়ীতে একটি করে খামার থাকতে পারে। মহিষ, গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগী, কবুতর ইত্যাদি পালন এবং মাছ-তরকারীর চাষ করা যায়। পুকুরের উপর মুরগী, উম্মুক্ত জলাশয়ে হাঁস ও বাক্স পদ্ধতিতে মাছ চাষ করা যায়। উৎপাদিত দুধ, ডিম, মাছ, তরকারী নিকটস্থ পল্লীকেন্দ্রের ফ্রীজে রশিদমূলে জমা দিতে পারে। বিক্রয় হওয়ার পর প্রাপ্ত মুল্যের ৯০% পাবে পণ্যের মালিক এবং ১০% পাবে পল্লীকেন্দ্র। যেহেতু পল্লীকেন্দ্রের যাবতীয় ক্রয়-বিক্রয় বকেয়া ও লিখিত হবে, তাই হেরফের হওয়ার কোন সুযোগ নেই।

ইমাম সাহেবের রুম বা অজুখানা/পেশাবখানার উপর একটি রুমই পল্লীকেন্দ্রের জন্য যথেষ্ট। পৃথক রুমের ব্যবস্থা হওয়ার আগ পর্যন্ত অস্থায়ী ভাবে মসজিদের ভেতরও ফ্রীজ-আলমিরা রাখা যাবে। তবে মসজিদের ভেতরে কোন টাকা-পয়সার লেনদেন করবে না। এ ব্যবস্থা চালু হলে ইমামতির জন্য পৃথক বেতন-ভাতার প্রয়োজন হবে না এবং সেটাই বেশি উত্তম। কারণ রাসূল (সাঃ) ইমামতি, দাওয়াত, কুরআন শিক্ষা ইত্যাদি ধর্মীয় দায়িত্বের বিনিময় গ্রহণ করেননি। তা কার্যকর করা গেলে আলেম-উলামাকে ইজ্জত-সম্মানের বিনিময়ে দেশ-বিদেশে গণহারে চাঁদা উঠাতে হবে না। এ ব্যবস্থা চালু হলে মসজিদ-মাদরাসা, আলেম-উলামা, দাড়ি-টুপি নিয়ে দেশ-বিদেশের কারো টেনশন বা বক্রদৃষ্টির সুযোগ বা প্রয়োজন থাকবে না। আজ এ মুহূর্ত থেকেই আপনি আপনার এলাকায় তা কার্যকর করার কাজ শুরু করে দিতে পারেন। “পল্লীকেন্দ্র” নামে কেন্দ্রীয় ট্রেড লাইসেন্স-এর অধীনেই প্রয়োজনে এর স্থানীয় ট্রেড লাইসেন্সও নেয়া যায়। আপনিও এর শাখা নিতে পারেন।

উক্ত সিষ্টেমের সুত্র হতে পারে যথাঃ-

১*১৫*৩*৩০*৪*৪০*৪০*৪০*৪০*৪*১২/১০০*১= ক্যাশ ওয়াকফ  বাই বোর্ড  বাই ব্যাংক  বাই গভর্নমেন্ট। কেউ দোকানে নিজ পুঁজি, নিজ সময়, নিজ শ্রম, নিজ মেধা ইত্যাদি পরিপূর্ণ বিনিয়োগ করে যা আয় করবে, তার চেয়েও অনেক বেশি আয় করতে পারবে এ সিষ্টেমে, যে কোন মাত্র একটি বিনিয়োগ করেই। যার পুঁজি আছে সে এখানে শুধুমাত্র পুঁজি বিনিয়োগ করবে। সময় অন্য কোন উপকারী কাজে লাগাবে। যার শুধুমাত্র সময় বা শ্রম বা মেধা আছে, সে তাই বিনিয়োগ করতে পারে এখানে। কারন মানুষ শুধুমাত্র উপার্জনের জন্যেই সৃষ্ট নয়, তার আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে, সেগুলোও পালন করা আবশ্যক। সম্ভব হলে সারাবিশ্ব ঘুরবে দাওয়াতি লক্ষ্যে। এ সিষ্টেম বাস্তবায়ন করার জন্য এমন মসজিদ-মাদরাসা উপযুক্ত, যেখানে সর্বদা মানুষের উপস্থিতি বিদ্যমান থাকে, যারা নিজ প্রয়োজনেই এ কাজ করতে আগ্রহী হবে, যেখানে সরকার নিয়মিত বেতন-ভাতা দেয় না, অথচ তারাও মানুষ। তাদের জন্য কিছু করতে পারা দ্বীন-দুনিয়া উভয় দিকেই লাভজনক। এটি সরকারের ডাল-ভাত কর্মসূচীর মতই, তবে আরো আধুনিক এবং সংঘাত বা দুর্নীতির কোন সুযোগ থাকবে না এখানে ইনশাআল্লাহ। সংঘাতপূর্ণ সময় ও এলাকায় এ সিষ্টেম আরো বেশি উপযুক্ত ও কার্যকর। উৎপাদন ও সরবরাহ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে পরিবার ভিত্তিক উৎপাদনকেন্দ্র, মসজিদ ভিত্তিক পাওয়ার টিলার, মাদরাসা ভিত্তিক পিকআপ ভ্যান, জামিয়া ভিত্তিক ইন্ডাস্ট্রি ও বোর্ড ভিত্তিক ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক হবে ইনশাআল্লাহ।

------- চলবে

বিষয়: বিবিধ

১০৫৯ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

351096
২৩ নভেম্বর ২০১৫ রাত ১১:২৯
চাটিগাঁ থেকে বাহার লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম সাইফুল ভাই,
আপনাকে ব্লগে দেখে ভাল লাগছে।
আশা করি নিয়মিত থাকবেন।
২৩ নভেম্বর ২০১৫ রাত ১১:৪৭
291442
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..

বাহার ভাই, আপনি সাইফুল ভাইর সাথে সময়-সুযোগ করে সাক্ষাতে আলাপ করলে হয়তো তিনি উপকৃত হতে পারেন!

তিনি নতুন এনজিও-র ছক আঁকছেন মনে হচ্ছে! এমন ছকে কাজ করতে গিয়ে যাঁরা ফেল করেছেন তাঁদের কেসগুলো স্টাডী করা দরকার! আপনার তথ্যভান্ডারেও কিছু থাকার কথা!
আমি তাঁকে নিরুতসাহিত করতে চাইনা, চিন্তা-গবেষণা তো হতেই পারে! তবে মাঠে নামতে চাইলে সতর্ক করা দায়িত্ব মনে করছি!
২৪ নভেম্বর ২০১৫ রাত ১২:১১
291449
চাটিগাঁ থেকে বাহার লিখেছেন : ওয়ালাইকুম সালাম,
সাইফুল ইসলাম ভাই অভিজ্ঞ মানুষ। সিনিয়র ব্লগারও বটে।
তিনি একাধারে, শিক্ষক, সাংবাদিক, সমাজসেবক, গবেষক, এবং সংগঠক।
আল্লাহ উনার সুচিন্তায় বরকত দিন। আমার সহযোগিতা চাইলে অবশ্যই আমি আছি।
@আবু সাইফ ভাই
২৪ নভেম্বর ২০১৫ রাত ১২:১১
291450
চাটিগাঁ থেকে বাহার লিখেছেন : ওয়ালাইকুম সালাম,
সাইফুল ইসলাম ভাই অভিজ্ঞ মানুষ। সিনিয়র ব্লগারও বটে।
তিনি একাধারে, শিক্ষক, সাংবাদিক, সমাজসেবক, গবেষক, এবং সংগঠক।
আল্লাহ উনার সুচিন্তায় বরকত দিন। আমার সহযোগিতা চাইলে অবশ্যই আমি আছি।
@আবু সাইফ ভাই
২৪ নভেম্বর ২০১৫ সকাল ০৭:১০
291468
সাইফুল ঈদগাহ কক্স লিখেছেন : ওয়ালাইকুমাস্সালাম। ধন্যবাদ। অনেকদিন পর আবার ব্লগে জীবিত হলাম আল্লাহর রহমতে। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আমার প্রত্যেক লেখার উপর বিস্তারিত আলোচনা ও পরামর্শ চাই। প্রয়োজনে আলোচনা সভারও আয়োজন করতে পারেন বাহার ভাই।
২৪ নভেম্বর ২০১৫ সকাল ১১:৩১
291497
আবু সাইফ লিখেছেন : আপনারা দুজনেই আমার চোখের সামনেই, তাইতো জুড়ে দিতে চেয়েছি! পরস্পরের চিন্তা ও পরামর্শে উভয়েই শক্তি-সাহস পাবেন!
351097
২৩ নভেম্বর ২০১৫ রাত ১১:৩৯
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..

প্রথম পর্ব পড়ে যা ভেবেছিলাম তা নয়!!
এটি ভিন্ন কিছু, তাই বিশ্লেষণের প্রয়োজন আছে! নজর রাখছি!

কিছু কিছু মন্তব্য/প্রত্যাশা বাস্তবসম্মত মনে হচ্ছেনা!
২৪ নভেম্বর ২০১৫ সকাল ০৭:১১
291470
সাইফুল ঈদগাহ কক্স লিখেছেন : সুপরামর্শ দিন।
351102
২৩ নভেম্বর ২০১৫ রাত ১১:৫৩
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : অনেক দিন পর আপনি। প্রস্তাবনা টি ভাল তবে আরো অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিশ্লেষন এর প্রয়োজন রয়েছে এই জন্য।
২৪ নভেম্বর ২০১৫ সকাল ০৭:১১
291469
সাইফুল ঈদগাহ কক্স লিখেছেন : পরামর্শ চাই।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File