ড.জাফর ইকবাল রাজাকার পরিবারের সন্তান!!

লিখেছেন লিখেছেন চেতনাবিলাস ১৩ এপ্রিল, ২০১৮, ০৪:৪২:৪৮ বিকাল

অধ্যাপক জাফর ইকবাল সমাজে দাপিয়ে বেড়ায়। কথায় কথায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে! কথিত চেতনার ধারক এই জাফর ইকবাল মুক্তিযুদ্ধের সময় মায়ের আচলের তলে পিরোজপুরসহ দেশের নানা জায়গায় ছিল।তার বড় ভাই হুমায়ূন আহমেদ ছিল ঢাকায়। জাফর ইকবাল ও হুমায়ূন আহমেদের তখন যুদ্ধে যাওয়ার বয়স ছিল কিন্তু তারা যায়নি। তাদের জীবন কেটেছে রাজাকার পরিবারে। কারণ জাফর ইকবাল মুক্তিযুদ্ধকালীন মুক্তিযুদ্ধে না যেয়ে শেষের দিকে রাজাকার নানার আশ্রয়ে মোহনগঞ্জে ছিল।তার বাবাও ছিলো পাকিস্তান অনুগত পুলিশের কর্মকর্তা।

জাফর ইকবালের মা আয়েশা ফয়েয লিখিত ‘ জীবন যে রকম’ বইয়ে যার বিস্তারিত বিবরণ রয়ে গেছে।

২৫ মার্চ পরবর্তি মে মাসে তারাকোথায় ছিলো সে সম্পর্কে উক্ত বইয়ের ৫৯ পৃঃ মে অধ্যায়ে লিখা আছে “ পিরোজপুরে মিলিটারী পৌঁছানোর পর আমাদের একটা নিরাপদ আশ্রয় দরকার। আলী হায়দার খান আমাদের জন্য একটা আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছে। সে আমাদের সবাইকে নিয়ে বাবলা নামক এক গহীন বনে মুবারক খান নামে একজন গ্রাম্য মাতবরের বাসায় পৌঁছে দিলো”।

সেই বাবলা নামক গ্রামে জাফর ইকবালের বাবা তার পরিবারের সাথে দেখা করতে যায় একজন পাকিস্তান অনুগত কর্মকর্তা হিসেবে ।

আজ তাকে শহীদ উপাধি দেওয়া হচ্ছে! জাফর ইকবালের বাবা পালিয়ে থাকা অবস্থায় গুলি খেয়ে মরলে শহীদ বলতে কোনো আপত্তি ছিল না। কিন্তু ৭ মার্চের পর যত দিন বঙ্গবন্ধুর কর্তৃত্ব-নেতৃত্ব ছিল তত দিন সে নাচানাচি করেছে। পাকিস্তানিরা পিরোজপুর গেলে সপরিবার গ্রামে পালিয়ে ছিল। কদিন পর পাকিস্তানি হানাদারদের আশ্বাসে বাংলাদেশের সাথে গাদ্দারী করে সে চাকরিতে যোগ দেয়। অস্ত্রপাতির হিসাব না মেলায় পাকিস্তান হানাদাররা তাকে গাদ্দার বলে মেরে ফেলে। সে বাংলাদেশের সাথে গাদ্দারী করেও পাকিস্তানীদের হাতেই মারা যায়। সে তার চাকরি , তার পরিবারকে প্রাধান্য দিয়েছে , দেশকে নয়।

অথচ মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে কত মা তার সন্তানকে যুদ্ধ করার জন্য পাঠিয়েছে।বুক খালি করে যুদ্ধে পাঠিয়ে সে মা নিজেকে ধন্য মনে করেছে। কত পিতা তার পরিবার পরিজন ছেড়ে যুদ্ধে চলে গিয়েছে। কত মানুষ পাকিস্তানের চাকরি ছেড়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। কিন্তু জাফরের বাবা, জাফরের মা এবং জাফর নিজেদের স্বার্থ দেখেছে , দেশের স্বার্থ নয়।

মোহনগঞ্জে এসে আয়েশা ফয়েজ জানতে পারে তার বাবা অর্থাৎ জাফর ইকবালের নানা রাজাকার। আয়েশা ফয়েয এ সম্পর্কে উক্ত বইয়ের ৭৪ পৃষ্ঠার মোহনগঞ্জে অধ্যায়ে লিখে “বাবা(জাফর ইকবালের নানা) যখন আমাদের আনতে গিয়েছেন তখন মিলিটারিরা তাকে শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান তৈরি করেছিল। বাবা ছিলেন না বলে প্রথমে আরেকজনকে তৈরি করেছিল। সে এলাকা ছেড়ে সপরিবারে পালিয়ে গেছে। এখন বাবা হচ্ছেন শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান, মিলিটারির হুকুম তিনি এলেই যেন দেখা করতে যান।---- সেই অপরাধে ডিসেম্বর মাসের আট তারিখ মুক্তিযোদ্ধার একটি দলের হাতে আমার বাবা এবং তার সার্বক্ষনিক সংগী আমার ছোট ভাই নজরুল মারা যায়”।

তাহলে ইতিহাস থেকে আমরা দেখতে পাই জাফর ইকবাল মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে মুক্তিযুদ্ধ করেনি বরং সে পালিয়ে পালিয়ে বেড়িয়েছে, সে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান নয়। বরং তার সময় কেটেছে রাজাকার পরিবেশে। আজ সেই মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বড় বড় কথা বলে।

তাই, জাফর ইকবালকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে কোন ক্রমেই গ্রহণ করা যাবে না। জাফর ইকবালকে মুক্তিযুদ্ধের সন্তান হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়া একটি মস্তবড় ইতিহাস বিকৃতি। জাফর ইকবাল রাজাকারের সন্তান , রাজাকারের নাতি এবং নিজেও রাজাকার। কারণ সে রাজাকার পরিবেশেই লালিত – পালিত হয়েছে। তার একমাত্র পরিচয় সে দেশদ্রোহী রাজাকার।কপি

Abdullah Al Tahmid এর ফেসবুক থেকে।

বিষয়: বিবিধ

৯৩০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File