বিবিসির ফেসবুক পেজের সংবাদ ও একজন পাঠক আসলামের মন্তব্য!!!

লিখেছেন লিখেছেন চেতনাবিলাস ০২ এপ্রিল, ২০১৭, ০২:৩৮:৫৪ দুপুর

বিবিসি বাংলার ফেইসবুক পেইজের সংবাদ শিরোনাম-

"আত্মঘাতী বিস্ফোরণে" নিহতদের চারজনই শিশু:

"পারভেজ আসলাম" নামে এক পাঠকের মন্তব্য হুবহু তুলে ধরলাম-

" আগে জঙ্গীরা রাতের অন্ধকারে পুলিশের গুলিতে নিহত হতো। যেদিন থেকে আমরা প্রশ্ন করলাম - কেন জঙ্গীদের জীবিত ধরা হচ্ছে না, সেদিন থেকে সব জঙ্গীরা আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত হতে লাগল।

তারপর যখন সেই নিহত জঙ্গীর আসল পরিচয় ও অতীত আমরা উদ্ঘাটন করতে চাইলাম, সেদিন থেকে তাদের চেহারা এতই বিকৃত হতে শুরু করল যে, তাদের পরিচয় সনাক্ত করা কঠিন হয়ে গেল। সাংবাদিকরা নিহতদের ছবিও প্রকাশ করতে পারল না। অন্যান্য রাষ্ট্রের জঙ্গীরা ঘরের বাহিরে যুদ্ধ করে। কেউ কোমরে কিংবা গাড়িতে বোমা নিয়ে জনবহুল এলাকা, সেনা/পুলিশ ঘাঁটিতে গিয়ে বিষ্ফোরণ ঘটায়। আর আমাদের দেশের জঙ্গীরা নিজের ঘরে নিজের ছোট বাচ্চা স্ত্রীসহ নিজেরাই মরে যাচ্ছে।

পৃথিবীর কোন দেশে এমন আজব জঙ্গী আছে কিনা খোঁজ নিয়ে দেখেন। যত বড় জঙ্গীই হোক না কেন নিজের পরিবারে বোমা সরঞ্জাম রাখবে কেন? যখন আমরা প্রশ্ন করলাম জঙ্গীরা সেনাবাহিনীর ব্যবহৃত গ্রেনেড পেল কিভাবে?

তখন উত্তর আসল, তারা সেনাবাহিনীর ছোঁড়া গ্রেনেড ক্যাচ ধরে সেটা আবার ছুঁড়ে মেরেছে। জনগণ কি চদু নাকি যে এধরনের আজগুবি কথা বিশ্বাস করবে...। আমাদের সবচেয়ে এলিট ফোর্স সোয়াতকে বলেন তো ছোঁড়া গ্রেনেড ক্যাচ ধরে আবার ছুঁড়ে দেখাতে পারবে কিনা? হলিউডের টোয়াইলাইট মুভিতে ভাম্পায়ার নিয়ে কহিনী সাজিয়েছে, আর বাংলার টোয়াইলাইটও এক ভাম্পারনীর রচিত কাহিনী।

এই সেনা অভিযানের সময় সারাদেশের অন্যান্য জঙ্গীরা চুপ করে বসে থাকল কেন? তাদের সঙ্গীরাও তো এই যুদ্ধে শরীক হয়ে শহীদ হওয়ার সূবর্ন সুযোগ নিতে পারত। নিজে নিজে আত্মহত্যা করে শহীদ হওয়া আর শত্রুর গুলিতে শহীদ হওয়া কোনটায় বেশী সওয়াব মনে করে জঙ্গীরা? অবশ্যই শত্রুর গুলি। তাহলে কেন তারা নিজেরাই আত্মহত্যা করল? যখন সিলেটে এত আলোচিত জঙ্গী অভিযান চলছে, তখন কেন পার্শ্ববর্তী জেলার জঙ্গীরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে না থেকে নিজেদের ডেরায় আরমছে ঘুমিয়ে থাকল?? কে দেবে এসব প্রশ্নের উত্তর???

দোহাই লাগে, এই ভয়ঙ্কর খেলা বন্ধ করুন। দেশ বিধ্বংসী এই ষড়যন্ত্র থেকে সরে আসুন। নইলে নিজেদের খোঁড়া গর্তে একদিন নিজেরাই পড়বেন। সেদিন চিৎকার করলেও বাঁচানোর কেউ থাকবে না।

বিষয়: বিবিধ

১৯৭৫ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

382519
০২ এপ্রিল ২০১৭ রাত ০৮:০০
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বাধীন সেনাবাহিনী থাকে কিন্তু একটি অঙ্গরাজ্যের স্বাধীন সেনাবাহিনী থাকে না,
নিয়ন্ত্রণ করা হয় কেন্দ্র থেকে।
শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফরে বাংলাদেশ ভারতের সাথে যে সামরিক চুক্তিগুলো করতে যাচ্ছে সেগুলো বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কিন্তু আলাদা কোন পৃথক অস্তিত্ব থাকবে না, হয়ে যাবে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার নিয়ন্ত্রিত বাহিনীর মত।
আজকে ২৬শে মার্চ, আজকে নাকি বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস। স্বাধীনতা নিয়ে অনেকে হয়ত অনেক আলোচনা করবে। কিন্তু বাংলাদেশ যে স্বাধীনতার ৪৬ বছর পর নতুন করে স্বাধীনতা হারাতে যাচ্ছে, ভারতের অঙ্গরাজ্য হতে যাচ্ছে সে খবর কি বাংলাদেশের জনগণের আছে ??
ধন্যবাদ আপনাকে
০৭ এপ্রিল ২০১৭ সন্ধ্যা ০৬:০৫
316136
চেতনাবিলাস লিখেছেন : সুন্দর বলেছেন জনাব। ধন্যবাদ।
382535
০৩ এপ্রিল ২০১৭ রাত ০৯:২৭
হতভাগা লিখেছেন : দেশের এক জায়গায় 'অপারেশন টোয়াইলাইট' হচ্ছে আর আরেক জায়গা থেকে লোকজন গুম হচ্ছে ।
জঙ্গি নিয়ে মানুষ যতটা না আতন্কে আছে তার চেয়ে বেশী আতন্কে আছে কবে না আবার লোকজন এসে তাদের ছেলেমেয়েদের ধরে নিয়ে সপ্তাহ খানেক পর টোয়াইলাইট বানিয়ে দেয়।

০৭ এপ্রিল ২০১৭ সন্ধ্যা ০৬:০৬
316137
চেতনাবিলাস লিখেছেন : এই তো বুঝেছেন। এবার তাহলে সঠিক পথ ধরুন। আওয়ামী দালালী বাদ দিন।
০৮ এপ্রিল ২০১৭ সকাল ১০:০০
316142
হতভাগা লিখেছেন : আপনার খুব চেতনা এবং এটা নিয়ে ভালই বিলাস করতে পারেন । বিলাসি চেতনা কাজে লাগে না।
382563
০৬ এপ্রিল ২০১৭ বিকাল ০৫:০৪
জেদ্দাবাসী লিখেছেন : একমত "এই ভয়ঙ্কর খেলা বন্ধ করুন। দেশ বিধ্বংসী এই ষড়যন্ত্র থেকে সরে আসুন।"

অনেক ধন্যবাদ
০৭ এপ্রিল ২০১৭ সন্ধ্যা ০৬:০৮
316138
চেতনাবিলাস লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ আমার ব্লগে মন্তব্য করার জন্য।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File