হাসিনাপুত্র জয় কি নিজের মায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতা মামলার আর্জি জানাবে??

লিখেছেন লিখেছেন চেতনাবিলাস ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ০৯:০৫:৪৮ সকাল

জয়ের রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে শেখ হাসিনা

অভিযুক্ত !

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাপুত্র সজীব

ওয়াজেদ জয় ৫ ফেব্রুয়ারি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক

পেইজে একটি স্ট্যাটাস পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি

ডেইলি স্টার পত্রিকার সম্পাদক ও বর্ষীয়ন সাংবাদিক

মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ

এনেছেন। একই সাথে তাকে গ্রেফতারেরও দাবি জানান

হাসিনাপুত্র।

জয় এই ‘সাংবিধানিক জ্ঞান’ জাহির করার সুযোগ

পেয়েছেন মাহফুজ আনামেরেই একটি বক্তব্যকে ঘিরে।

ডেইলি স্টারের রজত জয়ন্তি উপলক্ষে এর সম্পাদক গত বুধবার

(৩ ফেব্রুয়ারি) একটি বেসরকারি টেলিভিশনে আলোচনা

অনুষ্ঠানে জরুরি অবস্থার সময় প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা

সংস্থা ডিজিএফআইয়ের সরবরাহ করা ‘রাজনীতিকদের

দুর্নীতির খবর’ যাচাই ছাড়া প্রকাশ করে সাংবাদিকতা

জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল করেছিলেন বলে স্বীকার করেন।

এর দুই দিন পর নিজের ওই স্ট্যাটাসে জয় লিখেছেন, “একটি

প্রধান সংবাদপত্রের সম্পাদক সামরিক বিদ্রোহে

উস্কানি দিতে যে মিথ্যা সাজানো প্রচারণা চালায়

তা রাষ্ট্রদ্রোহিতা।”

হাসিনাপুত্রের বক্তব্য ও যুক্তি অনুযায়ী মাহফুজ আনাম

উপরউক্ত কাজ করে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে অভিযুক্ত

হলে একই যুক্তিতে জয়ের মাও অভিযুক্ত হয়ে পড়েন।

নিজের দলীয় পদবীর কারণে শেখ হাসিনা ওয়ান/

ইলেভেন সরকারের সবচেয়ে বড় সমর্থনদাতা হিসেবে

স্বীকৃত (মাহফুজ আনামের অবস্থান তার অনেক নিচে)। এবং

তিনি প্রকাশ্যে সংবাদমাধ্যমের সামনে সেই সরকারকে

এবং তাদের অপকর্মে উস্কানি দিয়েছিলেন, যার রেকর্ড

পত্রিকা/টিভিতে এখনো আছে।

২০০৭ সালের ১৫ মার্চ ওই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের

আয়োজনে আমেরিকায় নিরাপদ জীবন যাপনের লক্ষ্যে

চলে যাওয়ার সময়ে ঢাকা এয়ারপোর্টে শেখ হাসিনা

বলেন--

“আমাদের আন্দোলনের ফসল এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার। তারা

ফেল করলে আমাদের লজ্জা পেতে হবে। বিএনপি-

জামায়াত আমাদের দোষারোপ করবে। আশা করবো, এ

ধরনের পরিস্থিতি যেন না হয়। … তত্ত্বাবধায়ক সরকার তো

মহাচোরদেরই ধরছে। এতে আমাদের ভীত এবং আতঙ্কিত

হওয়ার কোনো কারণ নেই। দুশ্চিন্তার কী আছে? আমরা

ক্ষমতায় গেলে তাদের এসব কার্যক্রম র্যাটিফাই করে

দেবো। দেশের মানুষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কার্যক্রমের

প্রশংসা করছে। এ সুন্দর পরিবেশ থাকতেই নির্বাচন সম্পন্ন

করা উচিত। … সভা থাকতেই কীর্তন শেষ করতে হবে।” (সূত্র:

বিডিনিউজ, আমার দেশ, বাংলাদেশ প্রতিদিন)

লিংক- বিডিনিউজ click hereআমার দেশ click here

বাংলাদেশ প্রতিদিনি click here .

এই বক্তব্যে ফখরুদ্দীন সরকারকে কিভাবে তাদের অপকর্ম

চালিয়ে যাওয়ার উস্কানি দেয়া হয়েছে তা খুব ভাল

করেই স্পষ্ট। শেখ হাসিনা ওই সরকারের কাছে ভিকটিম

হওয়া রাজনীতিবিদদেরকে ‘মহাচোর’ বলেছেন। এবং

তাদের অধীনে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় এলে তাদের সব

অপকর্মকে ‘রেটিফাই’ (সাংবিধানিক বৈধতা) দেবেন

বলে আগাম ঘোষণা দিয়েছেন।

মানফুজ আনাম এমন নগ্নভাবে সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত ওই

সরকারকে সমর্থনে দিয়েছেন বলে কোথাও কোনো

প্রমাণ পাওয়া যায় না। আর তখনকার সময়ে ইচ্ছায় বা

অনিচ্ছায় যেভাবেই হোক তিনি সামরিক বাহিনীকে

গণতন্ত্রহীণতার দিকে সহায়তা করলেও এখন তা স্বীকার

করে কিছুটা হলেও ‘সাহস ও সততা’র পরিচয় দিয়েছেন।

কিন্তু শেখ হাসিনা তো এখন তার ওইসব বক্তব্যের কথা

স্বীকারই করেননা! এ ক্ষেত্রে হাসিনার বিরুদ্ধে

‘সামরিক বিদ্রোহে উস্কানি’র অভিযোগের পাশাপাশি

‘জনগনের সাথে প্রতারণার’ অভিযোগও আনা যায়।

বিষয়: রাজনীতি

১০৭৭ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

358902
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ সকাল ১০:৪২
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহামাতুল্লাহি ওবারাকাতুহু। লিংক গুলো কাজ করছেনা!! কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলেছেন। তবে উত্তর গুলো কখনো সামনে আসবে বলে মনে হয়না।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File