কিছু কি করার নেই?

লিখেছেন লিখেছেন অক্টোপাশ ২৮ এপ্রিল, ২০১৪, ১০:৩৪:০৯ সকাল



নায়কের মাকে গুলি করে মেরেছে ভিলেনরা। নায়কের মা মা চিতকারে আকাশ ভারী হয়ে উঠেছে। মায়ের আচঁল ছিড়ে মাথায় বেঁধে প্রতিশোধ নেয়ার আমরণ প্রতিজ্ঞা করেছে নায়ক। ভিলেনদের শেষ না করা পর্যন্ত মায়ের আত্না শান্তিতে ঘুমাতে পারবে না। এটা বাংলা সিনেমার স্বাভাবিক দৃশ্য।

কথা হচ্ছে তার মাথায় পট্টি কেন? এ পট্টি শুধু একটা ছেড়া কাপড়ের টুকরা নয়। এ পট্টির মধ্যে রয়েছে অফুরন্ত শক্তির ক্ষণি। যার শক্তিতে বলিয়ান হয়ে নায়ক যে কোন বাধাকে অনায়াশে পাড়ি দিয়ে অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌছেঁ যায়।

তেমনি মাথায় একটা লাল ফোটা, বা সিদুরের একটু রঙের অনেক শক্তি। এসব প্রতিকের পেছনে কাজ করে একটি কালচার, একটি সমাজ ব্যবস্থার রুপরেখা।

তেমনি হিজাবও কোন সাধারণ এক টুকরা কাপড় নয়। এটি একটি শক্তির উতস। এখন আমাদের দেশের মেয়েরা বাংলা সিনেমা দেখার সময় আযানের ধ্বনি শুনলে মাথায় কাপড় টেনে দেয়। এখন মাথায় কাপড় তোলা মানে একটা কালচারে ফিরে যাওয়া।

হেফাজতের তের দফার মধ্যে পর্দার একটা ব্যপার আছে। হেফাজতের নেতারা বা যারা মনে করে দেশের মেয়েরা পর্দা করুক, হিজাবে নিজেদের আবৃত রাখুক, নিজেদের আত্নমর্যাদা হিজাবের মধ্যে খুজে পাক তারা একটি কাজ সহজে করতে পারে।

একটি হিজাবের দাম কত? ব্যক্তিগত উদ্যেগেও ১০ টি হিজাব বিতরন করা কোন কঠিন কাজ নয়।

হেফাজতের একজন হুজুর যদি ১০ হিজাব নিয়ে গার্মেন্টসের পথে দাঁড়ান আর মেয়েদের অনুরোধ করে বলেন, দেখ মা এই হিজাবটা তোমাকে আমি দিলাম। তুমি এটার সম্মান রেখ। আমার মনে হয় ১০ জন মেয়ের মধ্যে কমপক্ষে ৫ জন তাকে ফিরিয়ে দিবে না। এভাবে বিভিন্ন উপলক্ষে আপনি ব্যক্তিগত উদ্যেগে বা সামষ্টিক উদ্যেগে হিজাবে প্রচলন করা যায় যা সমাজকে আমুল পরিবর্তন করে দেবে বলে আমি মনে করি। যখনি একজন মেয়ে হিজাব পড়ে ঠিক তখনি তার কাছ থেকে কিছু খারাপ মনোভাব দূর হয়ে সেখানে নৈতিকতার প্রাধান্য আসবে।

গুছিয়ে লিখা হয়নি। আইডিয়াটাকে সফলতা দান করতে পারলে কমপক্ষে ক্ষতি হবে না এটা নিশ্চিত বলতে পারি। বিভিন্ন ইসলামী চ্যারিটি ইনিস্টিটিউটগুলোও এটা চিন্তা করতে পারে।

বিষয়: বিবিধ

২০৫১ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

214217
২৮ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১০:৫০
হতভাগা লিখেছেন : দুঃখ লাগে ! কনডম দেবার লোক আছে , হিজাব দেবার লোক নেই!
214222
২৮ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১১:১২
মেঘ ভাঙা রোদ লিখেছেন : হিজার মেয়েদের মুক্তি দেয় না। মুক্তি দেয় মুক্ত চিন্তা ও মুক্ত বুদ্ধি।
২৮ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১১:১৯
162529
অক্টোপাশ লিখেছেন : মুক্ত চিন্তা ও মুক্ত বুব্ধির জন্য হিজাব কোন অন্তরায় নয় বরং সহায়ক।
214240
২৮ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১১:৩১
রাইয়ান লিখেছেন : সহমত...। সুন্দর লেখা... ভালো লেগেছে ।
214260
২৮ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ১২:০৩
আলমগীর মুহাম্মদ সিরাজ লিখেছেন : সুন্দর বলেছেন!
214282
২৮ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ১২:৩৯
egypt12 লিখেছেন : আপনার প্রস্তাব অনেক গঠনমূলক...আমাদের হতভাগা সাহেবের মতই বলতে চাই : দুঃখ লাগে ! কনডম দেবার লোক আছে , হিজাব দেবার লোক নেই!
214288
২৮ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ১২:৪৪
সুশীল লিখেছেন : মেঘ ভাঙা রোদ লিখেছেন : হিজার মেয়েদের মুক্তি দেয় না। মুক্তি দেয় মুক্ত চিন্তা ও মুক্ত বুদ্ধি।
২৮ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০১:০৬
162583
অক্টোপাশ লিখেছেন : মুক্ত চিন্তা মুক্ত বুদ্ধি করার জন্য হিজাবের ভুমিকা নেই। চিন্তা করাটা মাথার কাজ। হিজাব পড়েও মুক্ত চিন্তা করা যায়। আবার হিজাব না পড়লেই মুক্ত চিন্তা আর মুক্ত বুদ্ধির অধিকারী হয়ে যাবে এটা ভাবাটা্ও বোকামি ছাড়া আর কিছু নয়।
214363
২৮ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০২:৩৯
সত্যকথন লিখেছেন : ভাল আইডিয়া। শুধু হেফাজত নয় আমরা প্রতিনিয়তই বিশেষকরে ঈদসমুহে আমাদের আত্মীয়াদের থ্রিপিসসহ বিভিন্ন ঈদ উপহার দিয়ে থাকি। সেটা যদি এখন থেকে একটি করে হিজাব হয় তাহলে মন্দ হয়না। আর আমার মনে হয় আমাদের পরিবার-আত্মীয় স্বজনদের অনেকেই হিজাব পরিধান করেন না। তাই আন্দোলনটা নিজেদেরকে নিজ পরিবার থেকেই শুরু করতে হবে।
214397
২৮ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০৩:৪১
অক্টোপাশ লিখেছেন : একজন মুসলিম হিসাবে আপনার পরিবারের মেয়েরা হিজাব পড়বে না এটা আপনাকে সবসময় পীড়া দেবে। আর মেয়েদের অংশগ্রহণ ছাড়া কোন আন্দোলন স্বয়ংসম্পূর্ণ হয় না। একটা হিজাবি ফ্যামিলি সমাজের কাছে সবসময় একটা ভালো ম্যাসেজ দিতে থাকবে। এদেশের ইউনিভার্সিটিতে এখন জন্মনিরোধক বিতরণ করা হয়। হিজাব বিতরণকারী লোকরা আর কতদিন চুপ করে থাকবে?

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File