আমি আওয়ামীলীগের শাসন দেখেছি

লিখেছেন লিখেছেন অক্টোপাশ ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০৮:৫১:১৮ রাত



আওয়ামীলীগের শাসন দেখার সৌভাগ্য হয়েছে আমার!

আমি দেখেছি দেশপ্রেমী সেনাদের অসহায় মৃত্যু যাতনা

আমি শুনেছি সেনাপরিবারের নারী শিশুর বুকফাটা কান্নার আওয়াজ।

বাতাসে, নর্দমায় লাশের বিভৎস বিকৃত বিস্ফোরিত চোখ এখন আমার দিকে তাকিয়ে আছে একরাশ প্রশ্ন নিয়ে। কি ছিল আমাদের অপরাধ?

আমি যালিমের শাসন দেখেছি....

আমি দেখেছি বৃদ্ধের সাদা দাঁড়ি মুঠো করে চেপে ধরেছে শয়তানের দল

সে করুণ চাহনি আমাকে এখনো কাঁদায়

অসহায় বৃদ্ধের প্রতি যুলুমের প্রতিকারে বুকের ভেতর আগুন জ্বলে

ইচ্ছে করে সে কালো হাত ভেঙে চুরমার করে দিই।

আমি হায়েনার হাসি দেখেছি..

সেই কালো রাতে জিকিররত সেই আলেমদের কান্না আমি শুনেছি

নারায়ে তকবির ধ্বনি আজো আমার কানে বাজে

অবিরত গুলির শব্দে এখন আমার ঘুম মাঝ পথে ছুটে যায়

হাফেজে কোরাআনদের মৃত্যু যন্ত্রনায় কাতরানো আমাকে উন্মাদ করে দেয়।

খোদার আরশ কেঁপেছিল সেদিন যালিমের অত্যাচারে।

আমি দেখেছি সত্য তুলে ধরতে গেলে কিভাবে ঠুঁটি চেপে ধরতে হয়।

আমি দেখেছি কিভাবে লেখকের কলমকে স্তব্ধ করে দিতে হয়।

প্রতিবাদির কন্ঠের বজ্র আওয়াজ কিভাবে চিরদিনের জন্য থামাতে হয় তা আমি দেখেছি।

আওয়ামীলীগের শাসন আমি দেখেছি।

রাতের আঁধারে নিজ কক্ষে সাংবাদিক দম্পতি হত্যা,

ফিল্মি স্টাইলে হত্যা,

দিনে দুপুরে কুপিয়ে কুপিয়ে হত্যা দেখতে দেখতে আমি ক্লান্ত

লীগের শাসনকাল আমি দেখেছি।

মানুষের ভোটের অধিকার কি করে কেড়ে নিতে হয়

তা আমি শিখেছি।

জনজোয়ারকে কিভাবে রাষ্ট্রিয় হাতিয়ার দিয়ে থামাতে হয়

তা আমার আজ জানা।

প্রতিবাদি কন্ঠকে কিভাবে গুলি করে করে নিস্তব্ধ করে দিতে হয়

তাও আজ আর অজানা নয়।

দেশের সম্পদ লুটে কিভাবে ধনের পাহাড় তৈরি হয়

তাও আজ বুজেছি আমি।

আওয়ামীলীগের শাসন আমি দেখেছি।

বিষয়: বিবিধ

১৫৭০ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

180854
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:৫৭
বাংলার দামাল সন্তান লিখেছেন : আমিও দেখেছি, ধন্যবাদ
180858
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:০৮
হতভাগা লিখেছেন : আরও ৫ বছর দেখুন
180868
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:৩৮
ব১কলম লিখেছেন : সিংহেরা যখন ঘুমিয়ে থাকে
শেয়ালরা তখন জাগে
হুয়ো হুক্কা ডাক ছাড়িয়া
বনের প্রভু সাজে
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:৪২
133682
অক্টোপাশ লিখেছেন : সিংহের ঘুম কখন ভাঙবে?
180876
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:৫৪
ব১কলম লিখেছেন : ‘এ বিধান ভীরু কাপুরুষদের জন্য অবতীর্ণ হয়নি। নফসের দাস ও দুনিয়ার গোলামদের জন্য নাযিল হয়নি। বাতাসের বেগে উড়ে চলা খড়-কুটো পানির স্রোতে ভেসে চলা কীট পতঙ্গ এবং প্রতি রঙে রঙিন হওয়া রঙিনদের জন্যে অবতীর্ণ করেনি। এ এমন দুঃসাহসী নরশার্দূলের জন্য অবতীর্ণ হয়েছে, যারা বাতাসের গতি বদলে দেবার দৃঢ় ইচ্ছা পোষণ করে, যারা নদীর তরঙ্গের সাথে লড়তে এবং স্রোতধারা ঘুরিয়ে দেবার মত সৎ সাহস রাখে। যারা খোদার রঙকে দুনিয়ার সকল রঙের চাইতে বেশি ভালোবাসে এবং সে রঙেই যারা গোটা দুনিয়াকে রাঙিয়ে তুলবার আগ্রহ পোষণ করে। যে ব্যক্তি মুসলমান তাকে নদীর স্রোতে ভেসে যাওয়ার জন্য পয়দা করা হয়নি। তার সৃষ্টির উদ্দেশ্যই হলো তার ঈমান ও প্রত্যয় নির্দেশিত সোজা ও সরল পথে চালিত করা। যদি সেই সোজা পথ থেকে নদী তার স্রোত ফিরিয়ে নেয় আর সেই পরিবর্তিত স্রোত ধারাই কেউ ভেসে চলতে সম্মত হয় তো এমন ব্যক্তির ইসলামের দাবি একেবারেই মিথ্যা। বস্তুত যেই ব্যক্তি সাচ্চা মুসলমান, সে এই ভ্রান্তমুখী স্রোতের সঙ্গে লড়াই করবে। সাফল্য ও ব্যর্থতার কোন পরোয়াই সে করবে না। এই লড়াইয়ে যে কোন সম্ভাব্য ক্ষতিই সে বরণ করে নেবে। এমনকি নদীর সঙ্গে লড়াই করতে করতে বাহু যদি ভেঙ্গেও যায় কিংবা তার শক্তি শিথিল হয়ে পড়ে এবং পানির তরঙ্গাঘাত তাকে আধমরা করে কোন নদীর দিকে ছুড়ে ফেলেও দেয়, তবুও তার আত্মা পরাজয় বরণ করবে না। তার দিলে এই বাহ্যিক ব্যর্থতার জন্য এক মুহূর্তের তরেও কোন অনুতাপ জাগবে না। কিংবা নদীর স্রোতে ভেসে চলা কাফির ও মোনাফেকদের সাফ্যল্যের জন্য ঈর্ষার ভাবধারা প্রশ্রয় পাবে না। (তানকীহাত-সাঈয়েদ আবুল আ’লা মওদুদী রহ.)
180896
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:২৪
ব১কলম লিখেছেন : সিংহেরা চিটাগুড় খাচ্ছে
Click this link
180918
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:২৭
সজল আহমেদ লিখেছেন : চোখে পানি এসে গেল!
180948
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১২:১৬
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : আমিও দেখেছি
180976
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:০১
আলমগীর মুহাম্মদ সিরাজ লিখেছেন : আরো কত দেখতে হবে, আরো কত শুনতে হবে কে জানে?

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File