চাপাপড়া ইতিহাস: ৮০'র দশকে ফিলিস্তিনের জন্য লড়েছিলেন যে বাংলাদেশীরা

লিখেছেন লিখেছেন উমাইর চৌধুরী ০৪ জুলাই, ২০১৪, ০৫:৫০:০৭ বিকাল



অতীতে ফিরে যাওয়াঃ ১৯৮০'র দশকে ফিলিস্তিনের জন্য লড়াই করেছিল যে বাংলাদেশী যোদ্ধারা

সশস্ত্র অবস্থায় একটা সাদা-কালো গ্রুপ ফটোগ্রাফ আর একটা কবর এ দুটো জিনিশই কালের আবর্তে টিকে আছে বাংলাদেশী যুবকদের সবেচেয় মূল্যবান স্মৃতি হিসেবে যারা ১৯৮০'র দশকে ফিলিস্তিনের হয়ে ইজরাইলি আগ্রাসন ও জুলুমের বিরুদ্ধে লড়ায়ে শরীক হতে স্বেচ্ছায় ছুটে গেছিল লেবাননের রাজধানী বৈরুতে। তাদের কেউ কেউ লড়েছিল সরাসরি অস্ত্র হাতে আবার কেউ কেউ ভলান্টিয়ার হিসেবে বিভিন্ন কাজে ফিলিস্তিনিদের সাহায্য করেছিল আপন ভায়ের মত। তাদের এ অবদান ফিলিস্তিনের মুক্তি আন্দোলনের ইতিহাসে মোটেও নগন্য নয় । ফিলিস্তিন থেকে বহু দূরের এক অনারব দেশের মুসলিম যুবক হিসেবে তাদের সাহসিকতা-বীরত্বের বিভিন্ন কাহিনী সময়ের পরিবর্তনে অবহেলায় চাপা পড়ে গেলেও যতটুকু জানা যায় তা অবশ্যই প্রশংসার দাবীদার এবং আমাদের জন্য প্রেরণাদায়ক।

অন্যায়-অবিচার, জুলুম-হত্যা আর আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়তে বিভিন্ন সময় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে দাড়িয়েছে ফিলিস্তিনের পাশে। জাপানিজ রেড আর্মি কিংবা আইরিশ রিপাবলিকান আর্মির মত বেশ কিছু সংগঠন এবং গেরিলা গোষ্ঠীর সদস্যরা ধর্ম-বর্ণ ভুলে লড়েছিল ফিলিস্তিন মুক্ত আন্দোলনের সাথে। এসব সংগঠন এবং বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের অবদান নিয়ে লেখা হয়েছে অনেক বই কিংবা তৈরী হয়েছে ডকুমেন্টারি কিন্তু বাংলাদেশের মত দেশের বেশ কয়েকহাজার যুবকের কাহিনী চাপা পড়ে যায় কালের আবর্তে। তাদের ব্যাপারে কোন আরব বা অনারব ঐতিহাসিক কিংবা সাংবাদিক কোন অনুসন্ধানমূলক কোন পদক্ষেপ হাতে নেননি আজ পর্যন্ত, ফলে এ প্রজন্মের ফিলিস্তিনীরা তো বটেই এমনকি বাংলাদেশীরাও জানেনা এই ইতিহাস। তখনকার চরম গোলযোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনী স্বাধীনতাকামীদের সাথে অস্ত্র হাতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়া থেকে শুরু করে অস্ত্র-রসদ বহন এমনকি পাহারার কাজও করেছিল এসব বাংলাদেশী যুবকেরা।



"প্রায় ৮ হাজার বাংলাদেশী যুবক সেসময় প্যালেস্টাইনিয়ান লিবারেশন অর্গানাইজেশনের সাথে লড়ায়ে অংশ নিয়েছিল স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে" - ইউএস লাইব্রেরী অফ কংগ্রেস


লেবাননে প্যালেস্টাইনিয়ান লিবারেশন অর্গানাইজেশন সাথে ইজরাইল বিরোধী লড়ায়ে অংশ নেয়া বাংলাদেশী যোদ্ধাদের একটি দূর্লভ গ্রুপ ছবি, এ ছবিটা ১৯৮২ সালে বৃটিশ ফটেগ্রাফার ক্রিস স্টিল পারকিন্সের তোলা। তিনি তখন বৈরুত থেকে লড়ায়ের খবরাখবর কাভার করতেন ।

সাদা-কালো স্মৃতি

১৯৮২ সালে ইজরাইলের লেবানন হামলা ও দখলের আগে বৃটিশ ওয়ার ফটোগ্রাফার ক্রিস স্টিল পারকিন্স কোন এক এলাকায় দেখা পান একদল বাংলাদেশী যুবকের। পারকিন্স বাংলাদেশী এই সশস্ত্র গ্রুপের সাথে খুব বেশী কথা বলতে না পারলেও একটা ছবি তুলে নেন। পরে এই ছবিটাই হয়ে ওঠে লেবাননে বাংলাদেশী যোদ্ধাদের একমাত্র আইকনিক দূর্লভ ছবি।

ফিলিস্তিনের সাথে বাংলাদেশ সম্পর্ক অনেকটা জন্মের পর থেকেই। গোঁয়ার এবং অত্যাচারী পাকিস্তানের শাসকদের সাথে রাজনৈতিক মতবিরোধ এবং ১৯৭১ এ এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে ভারতের সাহায্য নিয়ে আলাদা যায় বাংলাদেশ। পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের আলাদা হয়ে যাওয়া গোটা মুসলিম বিশ্ব সহজভাবে নেয়নি এবং আরবরা স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিতেও অনীহা প্রকাশ করে । স্বাধীনতার স্থপতি এবং তৎকালীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান এই অচলাবস্থা কাটানোর উদ্যোগ নেন। এরই অংশ হিসেবে ওআইসিসহ আরব দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের দিকে মনযোগ দেন তিনি। আরবদের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে যায় বাংলাদেশের ব্যাপারে যখন ১৯৭৩ সালের অক্টোবরে আরব-ইজরাইল যুদ্ধে মিশর-সিরিয়া-ফিলিস্তিন অক্ষের প্রতি প্রকাশ্য সমর্থন ঘোষনা করেন মুজিবুর রহমান। এসময় যুদ্ধে সেবা দেবার জন্য তিনি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একটি মেডিকেল টিম এবং ত্রান সামগ্রীও পাঠান। এর কিছু পরেই ঐ একই বছরে আলজিয়ার্সে ন্যাম সম্মেলনে সদস্য রাষ্ট্রের মর্যাদা পায় বাংলাদেশ । ১৯৭৪ সালে পাকিস্তানের লাহোরে ওআইসি সম্মেলনে যোগ দেন মুজিবুর রহমান এবং সেই সম্মেলনে ফিলিস্তিনী নেতা ইয়াসির আরাফাতের সাথে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় মিলিত হোন তিনি যা ছিল স্বাধীন বাংলাদেশের সাথে সর্বপ্রথম ফিলিস্তিনী কোন সংগঠনের এত উচ্চপর্যায়ের বৈঠক। ১৯৭৪ সালে পাকিস্তানকে আরব রাষ্ট্রগুলো চাপ দিতে থাকে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেবার জন্য।

এরই মধ্যে বাংলাদেশের দরজা উম্মুক্ত করা হয় ফিলিস্তিনের জন্য এবং ঢাকায় পিএলও কে সরকার আমন্ত্রণ জানায় অফিস খোলার জন্য। এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে ঢাকায় পিএলও নেতা এবং কূটনীতিকরা আসেন এবং ফিলিস্তিনের প্রথম কোন দপ্তর খোলা হয় ঢাকায়। এসময় বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় এবং কূটনৈতিক প্রোগ্রামে ফিলিস্তিনের কূটনৈতিকদের প্রায়ই অংশ নিতে দেখা যেত বলে জানা যায় ১৯৭৬ সালে আমেরিকান এম্বাসি ঢাকার পাঠানো এক বার্তায় যা ফাঁস করে উইকিলিকস।

মুসিলম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের মানুষের সবসময়ই সহানুভূতি-ভালবাসা ছিল ফিলিস্তিন এবং তার জনগণের জন্য। এ সম্পর্কের আরেক মাইলফলক উম্মোচিত হয় ১৯৮০ সালে জিয়াউর রহমানের আমলে। এসময় ফিলিস্তিনীদের স্বাধীনতা সংগ্রামকে সমর্থন জানিয়ে তা স্মরণীয় করে রাখতে সরকার প্রকাশ করে একটি স্মারক ডাকটিকেট যেখানে একজন ফিলিস্তিনী যোদ্ধাকে দেখা যায় অস্ত্র হাতে এবং তার পেছনে কাঁটাতারে ঘেরা মসজিদুল আক্বসার ডোম অফ রক বা কুব্বাত আসসাখরা অংশ। এই ডাকটিকেটে ইংরেজীতে লেখা হয়, 'আমরা বীর ফিলিস্তিনী স্বাধীনতাকামী যোদ্ধাদের স্যালুট/সালাম জানাই' ।



১৯৮০ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সময় বাংলাদেশের প্রকাশিত স্মারক ডাকটিকেট।

১৯৮১ সালে রাষ্ট্রীয় আমন্ত্রনে বাংলাদেশে প্রথমবারের মত সফরে আসেন পিএলও প্রধান ইয়াসির আরাফাত। মুসলিম বিশ্বে খুব কম সময়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাওয়া বাংলাদেশী প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান নিজে উপস্থিত থেকে লাল গালিচা সংবর্ধনা জানান ফিলিস্তিনী এই নেতাকে। বাংলাদেশের মানুষের আবেগ-ভালবাসা এবং ফিলিস্তিন নিয়ে উৎকণ্ঠা দেখে অভিভূত হোন ইয়াসির আরাফাত। রাজনৈতিক নেতা এবং রাষ্ট্রীয় বড় বড় পদের কর্মকর্তারা তাকে যথেষ্ট সম্মান এবং সমাদর করেন।



তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সাথে পিএলও নেতা ইয়াসির আরাফাত

১৯৮৮ সালে ইউএস লাইব্রেরী অফ কংগ্রেসের এক রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রনে পিএলও নেতা ইয়াসির আরাফাতের তার দ্বিতীয়বারের ঢাকা সফরের সময় বাংলাদশ সরকার তাকে জানান যে সেদেশের প্রায় ৮ হাজার যুবক স্বেচ্ছায় ফিলিস্তিনের জন্য লড়ায় করছে । এছাড়া এই রিপোর্টে আরো জানানো হয় যে ফিলিস্তিনী সশস্ত্র সংগ্রামের বেশ কিছু নেতা বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর দ্বারা প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। এসময় বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ছিলেন হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ।

দলিল-পাতি কি বলে এ বিষয়ে

আজকের দিনে এরকম ডকুমেন্টস খুজে পাওয়া খুবই কষ্টকর যেখানে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ আছে ঠিক কতজন বাংলাদেশী লেবাবনে সেইসময় ফিলিস্তিনীদের সাথে লড়ায়ে অংশ নিয়েছিল বা কতজন শহীদ হয়েছিল কিংবা তারা কোন গ্রুপের সাথে ছিল ।

মধ্যপ্রাচ্যের জনপ্রিয় পত্রিকা আল-আখবার বৈরুতে এ বিষয়ে বাংলাদেশ এম্বাসির সাথে যোগাযোগ করলে এম্বাসির পক্ষ থেকে জানানো হয় যে এরকম ইতিহাস বা ঘটনা বাংলাদেশের পররাষ্ট্র দপ্তরের দলিলে থাকলেও খুব বেশী বিস্তারিত বা বলার মত সেরকম কোন তথ্য তাদের কাছে নাই।

বৈরুতের ফিলিস্তিন এম্বাসিও এ বিষয়ে খুব বেশী বলতে পারেনি কারণ তাদের দপ্তরে ইজরাইল হামলা চালিয়ে সব পুড়িয়ে দেয় লেবাননে আগ্রাসনের সময়। সুতরাং এ বিষয়ে কোন দলিল থেকে থাকলেও তা নষ্ট হয়ে গেছে।

ফিলিস্তিনের তৎকালীন নেতাদের স্মৃতিতে কি আছে বাংলাদেশের সেসব দুঃসাহসী তরুণদের কথা ?

"তারা সংখ্যায় ছিল প্রায় এক থেকে দেড় হাজার মত। এমনও ব্যাটলিয়ন ছিল আমাদের যেখানে সংখ্যাগরিষ্টই ছিল বাংলাদেশী। তবে তাদের বেশীরভাগই ছড়িয়ে ছিটিয়ে বিভিন্ন ফ্রন্টে বিভিন্ন গ্রুপের সাথে কাজ করেছে।

আমার মনে পড়ে তারা ছিল খুবই সুশৃঙ্খল এবং অদম্য। যখন ইজরাইল লেবাননে হামলা করল তখন বেশ কিছু বাংলাদেশী যুবক ইজরাইলীদের হাতে ধরা পড়ে। তারা ইজরাইলী সেনাদেরকে বলত, 'PLO, Israeli No' ! এমনকি প্রচন্ড নির্যাতন করার পরও এমন কথা বলত। অন্যান্য সকল যোদ্ধাদের সাথে তাদের সুসম্পর্ক ছিল এবং ফিলিস্তিনের মুক্তির ব্যাপারে তাদের দৃঢ় আশা এবং বিশ্বাস ছিল।" -ফাতহি আবু আল আরাদাত, লেবাননে ফাতাহর সেক্রেটারী এবং তৎকালীন পিএলও নেতা


যদিও সেই সময়ে ফাতাহ অর্থাৎ পিএলও ই ছিল ফিলিস্তিনী মুক্তি আন্দোলনের প্রধান গ্রুপ তাই বিদেশী যোদ্ধাদের বেশীরভাগই তাদের সাথে কাজ করত। এছাড়া আরো ছোটখাটো কিছু গ্রুপ ছিল যারা ফাতাহর কমান্ডের বাইরে লড়াই করত। এরকমই কিছুটা বামপন্থী আদর্শের একটা গ্রুপ Palestinian Front for the Liberation of Palestine – General Command (PFLP-GC) । এই গ্রুপটা তাদের মুল দল PFLP থেকে পৃথক হয়ে যায় আদর্শগত বিরোধের কারনে এবং তারা সিরিয়ার বামপন্থী সরকার থেকে সমর্থন পেত।

"তাদের অনেকেই PFLP-GC'র সাথে ছিল। তাদের মিলিটারি ট্যালেন্ট ছিল চমৎকার কিন্তু বেশীরভাগ সময়ই তারা সেবা দেবার কাজ করত, যেমন অস্ত্র-গুলি বহন কিংবা যোদ্ধাদের জন্য রসদ সরবরাহ। অফিস/ঘাঁটি পাহারাতেও তারা আমাদের সাথে কাজ করত। কখনও সরাসরি লড়ায়ে অংশ নিতে চাইলে তারা ফিল্ডে চলে যেত। আমি তাদের মধ্য থেকে এখনও ২/৩ জনকে পরিষ্কার মনে করতে পারি। একজন বেকাতে আমাদের ঘাঁটি পাহারা দিত আরেকজন বাবলেকে। তারা কেউ কেউ চমৎকার আরবীও বলতে পারত এজন্য মানুষ ভুলেই গেছিল তারা বাংলাদেশী।" - জিয়াদ হাম্মো, PFLP'র তৎকালীন একজন কমান্ডার


কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়, কয়েক হাজার বাংলাদেশীর মাত্র কয়েকজনের অবদান কেন স্মরণ করতে পারেন ফিলিস্তিনী নেতারা কেন বড় কোন গ্রুপ বা বড় কোন ঘটনা নয়?

এমন প্রশ্নে জবাবে হাম্মো তার মতামত এভাবে ব্যক্ত করেন,

"PLFP-এ আমরা চেষ্টা করি এসব যোদ্ধাদের স্মরণ করতে বা তাদের ইতিহাস সংরক্ষণ করে রাখতে। যেমন জাপানী রেড আর্মি সদস্যদের ভূমিকা ছিল অনেক গুরুত্বপূর্ণ সেসময়, তাই তাদের বিভিন্ন অপারেশন বা অবদানের ইতিহাস আমরা উদ্ধার করে সংরক্ষণের চেষ্টা করেছি। কিন্তু বাংলাদেশীদের কাজ ছিল অনেকটা সীমাবদ্ধ এজন্য তাদের ব্যাপারে খুব বেশী ফাইল আমাদের হাতে নাই, অন্তত PLFP-এ। অন্য কোন সংগঠনে হয়ত থাকতে পারে বাংলাদেশীদের ব্যাপারে আরো কোন বিস্তারিত। "



১৯৮২ সালে লেবাননে জাতিসংঘের বাহিনী মোতায়েন হবার পর তারা লেবানন ছাড়া শুরু করেন। অনেকেই শহীদ হয়ে যান যুদ্ধে, অনেকেই ইজরাইলের হাতে আটক হয়ে অনেকদিন পর ছাড়া পান আবার কেউ কেউ ইজরাইলের জেলেই শহীদ হয়ে যান যাদের খবর জানবেনা কোনদিনও এ বিশ্ব। যুদ্ধে গুরুতর আহত হয়ে দেশে ফিরেন অনেকেই, যাদের কেউ কেউ এখনো ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে বেঁচে আছেন। কারো কারো লাশ আরবের কোন এয়ারলাইন্সে করে ঢাকা পৌঁছায়। কেউ এ ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ এবং সরাসরি তাদের মুখ থেকে ইতিহাস লিপিবদ্ধের কোন উদ্যোগ নিলে হয়ত ইতিহাসের এক অজানা অধ্যায় জানার সুযোগ পাবে বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্ব। এদিকে কেউ কেউ লেবাননেই বিভিন্ন পেশায় নিযুক্ত হয়ে বাকি জীবনটা সেখানেই কাটিয়ে দেবার সিদ্ধান্ত নেন। এখনও হয়ত খুজলে কোন কোন বাংলাদেশী বৃদ্ধ ব্যক্তিকে পাওয়াও যেতে পারে বৈরুতের কোন গলিতে, আর সাথে সাথে পাওয়া যেতে পারে চাপা পড়ে যাওয়া এক ইতিহাস।

কামাল মুস্তাফা আলী, একজন বীর এবং শহীদ

দক্ষিণ লেবাননের শাতিলা রিফিউজি ক্যাম্পের অদূরেই একটা কবরস্থান। ১৯৭০ থেকে শহীদ হয়ে আসা ফিলিস্তিনী মুক্তি সংগ্রামের শহীদদের সমাধি এখানে। একটু খুজলেই কিছু বিদেশী ব্যক্তির কবর চোখে পড়ে। বেশ কিছু লেবানিজ, সিরিয়ান, তিউনিশিয়ান, ইরাকী বা দু একজন কুর্দ, রাশিয়ান শহীদের কবরের মধ্যে চোখ আটকে যায় 'বাংলাদেশ' নামের একটি কবর ফলকে। বাংলাদেশী সে শহীদের নাম কামাল মুস্তাফা আলী।



শহীদ কামাল মুস্তাফা আলীর কবর

কামাল মুস্তাফা আলী কে বা তার বাড়ি বাংলাদেশের কোথায় কিংবা তার জন্ম কবে এর কিছুই লেখা নাই কবর ফলকে। শুধু নাম, দেশ, শহীদ হবার স্থান-সময় এবং পবিত্র কুরআনুল কারিমের একটি আয়াত সেখানে লেখা আছে।



وَلاَ تَحْسَبَنَّ الَّذِينَ قُتِلُواْ فِى سَبِيلِ اللهِ أَمْوَاتاً بَلْ أَحْيَاءٌ عِنْدَ رَبِّهِمْ يُرْزَقُونَ

আর যারা আল্লাহর রাহে নিহত হয়, তাদেরকে তুমি কখনো মৃত মনে করো না। বরং তারা নিজেদের পালনকর্তার নিকট জীবিত ও জীবিকাপ্রাপ্ত”। সূরা আল-"ইমরানঃ ১৬


কামাল মুস্তাফা আলী শাহাদাত বরণ করেন ১৯৮২'র ২২ জুলাই এক দুঃসাহসী লড়াই এ। দক্ষিণ লেবাননের নাবাতিয়া এলাকায় অবস্থিত হিগ রক দূর্গে ইজরাইলীদের হাতে তিনি শহীদ হোন। সুপ্রাচীন এই দূর্গটি Beaufort Castle নামেও পরিচিত। অবস্থানগতভাবে এই দূর্গটি এতই গুরুত্বপূর্ণ যে এই দূর্গে বহু রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে হাজার বছর ধরে। সেই ক্রুসেডার এবং সালাহউদ্দিন আইয়ুবীর সময়ও বিভিন্ন ঐতিহাসিক লড়াই এবং সংঘাতের সাক্ষী এই দূর্গ। ১৯৭৬ সাল থেকে এই দূর্গটি ফিলিস্তিনীরা নিয়ন্ত্রণ করত এবং ইজরাইল সীমান্তে লড়ায়ের জন্য একটি মজবুত ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হতো। ১৯৮২ সালের ৬ জুন লেবানন আক্রমণ করে ইজরাইল এবং বৈরুতে ঢোকার পথে তাদের প্রথম দফা টার্গেটে ছিল হিগ রক ক্যাসল। ইজরাইলের স্থল এবং বিমান হামলার ভয়াবহতার মুখেও ২ দিন এই দূর্গের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাথে ফিলিস্তিনীরা। কঠিন প্রতিরোধের মুখে বেশ বেগ পেতে হয় ইজরাইলকে দূর্গের পতন ঘটানোর জন্য। কামাল মুস্তাফা আলী সেই সৈন্যদেরই একজন যারা শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত বায়তুল মুকাদ্দাস মুক্ত করার জন্য লড়ে গেছিল এবং শেষ রক্তবিন্দুটিও ইসলামের শত্রুদের মোকাবিলায় ঢেলে দিয়েছিল।



Beaufort Castle, Southern Lebanon

মুস্তাফা কামাল আলীর লাশ পাওয়া যায় ২০০৪ সালে, জার্মানীর মধ্যস্থতায় হিজবুল্লাহ এবং ইজরাইলের এক বন্দী বিনিময় চুক্তির পর। এই চুক্তিতে হিজবুল্লাহ ৪ জন ইজরাইলি সৈন্যের বিনিময়ে প্রায় ৪০০ জনকে ছাড়িয়ে আনে ইজরাইলী জেল থেকে। এছাড়া ইজরাইলিদের হাতে শহীদ হওয়া ৫৯ জনের লাশও ফেরত পায় হিযবুল্লাহ যার মধ্যে একজন ছিলেন এই মুস্তাফা কামাল আলী। বোনাস হিসেবে পাওয়া যায় দক্ষিণ লেবাননের পরিত্যক্ত এলাকাগুলোতে ইজরাইলের পুতে রাখা মাইনের নক্বশা ।

ধারনা করা হয় যুদ্ধরত অবস্থায় সেই দূর্গে অথবা আহত অবস্থায় নির্মম নির্যাতনে ইজরাইলের কারাগারে শহীদ হোন তিনি। শহীদ মুস্তাফা কামাল আলীর লাশ দাফনের জন্য বাংলাদেশে তাঁর গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয় এবং তাঁর মহান ত্যাগ ও বীরত্বকে স্মরণ করে একটি কবর রাখা হয় ফিলিস্তিনী শহীদদের পাশেই। সেই কবরের ফলকে তাঁর নাম, দেশ এবং শাহাদাতের সময়-স্থান উল্লেখ করা আছে। ফিলিস্তিনীদের আজাদীর সংগ্রামে ইতিহাসের অংশ হিসেবে বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশের অবদানও স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে সেখানে।



আমরা একজনের মাত্র পরিচয় পেয়েছি, হয়ত এরকম আরও কত-শত বাংলাদেশী যুবক শহীদ হয়েছেন যার সঠিক তথ্য হয়ত কোনদিনও জানা যাবেনা। আল্লাহ তাঁদের সবাইকে শাহাদাতের সর্বোচ্চ মর্যাদা দান করুন এবং আজকের ফিলিস্তিনকে মুক্তির দিকে এগিয়ে নেবার জন্য এরকম যুবকদেরকে আবার দলে দলে বায়তুল মুকাদ্দাসের পথে কবুল করে নিন। আমিন


(লেখাটির মুল কাঠামোর প্রায় পুরোটাই আল-আখবার থেকে ভাবানুবাদ করা, অন্যান্য কিছু সূত্র-তথ্য ও বর্ণনাও ব্যবহৃত হয়েছে প্রয়োজন অনুসারে)

তথ্যসূত্রঃ

১. http://english.al-akhbar.com/content/remembering-past-bangladeshi-fighters-palestine-1980s

২. http://en.wikipedia.org/wiki/Foreign_relations_of_Bangladesh

৩. http://defence.pk/threads/old-bangla-photos.135989/page-66

৪. http://en.wikipedia.org/wiki/List_of_Israeli_prisoner_exchanges

৫. http://electronicintifada.net/content/israel-hizballah-prisoner-deal/7619

৬. https://search.wikileaks.org/plusd/cables/1976DACCA02576_b.html





[ফেসবুকে এই নোট পাবলিশ হবার পর আমার ফ্রেন্ডলিস্টের দুজন ভায়ের মাধ্যমে এরকম আরো দুজন ব্যক্তির খবর পেলাম। একজন হচ্ছেন এক ভাই এর আব্বা, যিনি সেই যুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হোন এবং এখনো সেই স্মৃতি আর ক্ষত নিয়ে বেঁচে আছেন । আরেকজন হচ্ছেন এক ভাই এর চাচা, যিনি লেবাননের সাইদাতে ভলান্টিয়ার হিসেবে ছিলেন এবং হঠাৎ নিখোঁজ হোন। তার সম্পর্কে আজও পরিবার কোন খোঁজ পায়নি। এভাবে খুঁজলে হয়ত আরও অনেককে পাওয়া যাবে যারা আমাদের প্রেরণার উৎস্য, আমাদের গর্ব। তাদের এ মহান ত্যাগের কোন স্বীকৃিত হয়তো দুনিয়াতে মিলবেনা, মিলবে আখিরাতে। জাতীয়তাবাদের সংকীর্ণতার উর্ধ্বে উঠে উম্মাহর প্রয়োজনে তারা ছুটে গেছিলেন প্রথম ক্বিবলা মুক্ত করার জন্য। গত এবং এ শতাব্দীর ক্রুসেডে ইহুদীবাদী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে তারা অস্ত্র হাতে রচনা করেছেন এক স্বর্ণালী ইতিহাস যার পুনরাবৃত্তি দরকার এখন আবার বারবার। কেউ না জানুক আল্লাহই তাঁদের ব্যাপারে সবচেয়ে ভাল জানেন। আল্লাহ তাঁদেরকে উত্তম প্রতিদান দিন।]

পরিবর্ধনঃ

"আমার দেখা বৃটিশ-ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ" -এই বই এ মেজর (অবঃ) মোহাম্মদ আফসারউদ্দিন উল্লেখ করেছেন কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং স্মৃতি।

নিচের ছবিতে-

১. ১৯৮০ সালে ইজরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত ফিলিস্তিনের সেক্টর কমান্ডারের সাথে বাংলাদেশের মুজাহিদ বাহিনীর সর্বাধিনায়ক মেজর আফসার উদ্দিন রণকৌশল নিয়ে আলোচনা করছেন।



২. বাংলাদেশের মুজাহিদ বাহিনীর সর্বাধিনায়ক মেজর আফসার উদ্দিনের সাথে ফিলিস্তিনী যোদ্ধারা।



বিষয়: বিবিধ

৫৮৮৩ বার পঠিত, ৫৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

241678
০৪ জুলাই ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০২
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ একটি ভুলে যাওয়া ঘটনা মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য। আমি যতটুক জানি রাজনিতিবিদ মেজর আফসারউদ্দিন(অবঃ) সে সময় ফিলিস্তিনি মুক্তিসৈনিকদের উপদেষ্টা এবং প্রশিক্ষন দেওয়ার জন্য সেখানে গিয়েছিলেন। বৃটিশ সেনাবাহিনিতে চাকুরি করার সময় তিনি বেশ কিছুদিন ফিলিস্তিন অঞ্চলে ছিলেন।
০৪ জুলাই ২০১৪ রাত ১১:০২
187655
উমাইর চৌধুরী লিখেছেন : হ্যা অনেকেই গেছিলেন । ধন্যবাদ আপনাকেও
241681
০৪ জুলাই ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০৬
স্বপন২ লিখেছেন : পিএলও কোন দিনই ইসলামী সংগঠন ছিল না। বাম ঘেষা দল। মনে করেন, আওয়ামীলীগ টাইপের দল।
০৪ জুলাই ২০১৪ রাত ১০:২৭
187648
উমাইর চৌধুরী লিখেছেন : হ্যা তা ঠিক কিন্তু সেই সময় যখন হামাসের সৃষ্টি হয়নি, শুধুমাত্র পিএলওই ছিল ফিলিস্তিনীদের আশাভরসার স্থল। সেক্যুলার বা কম্যুনিস্ট ঘেষা হলেও ইয়াসির আরাফাতের মত নেতারা অনেক এক্টিভ এবং কার্যকর ভূমিকা রাখতেন তখন। ইজরাইলের সাথে লড়াই, প্রথম ইন্তিফাদা কিংবা ব্ল্যাক সেপ্টেম্বরের দূর্ধর্ষ গ্রুপের জন্ম পিএলওই দিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে বিক্রি হয়ে যায় পিএলওর বড় বড় মাথা ইজরাইলের কাছে। আজকের মাহমুদ আব্বাসরা সেই বিক্রি হয়ে যাওয়া ব্যক্তি যারা জাতির সাথে বেঈমানি করেছে। এখন পিএলও বা ফাতাহ'র কোন সম্মান দুনিয়ার মুসলিমদের কাছে নাই শুধু তাদের অতীত কাজ ছাড়া, এমনকি ফিলিস্তীনের কিছু এলাকা ছাড়া কোথাও তাদের সমর্থন নাই।
০৫ জুলাই ২০১৪ রাত ০৪:২৪
187707
মনসুর আহামেদ লিখেছেন : ইসলামী ব্রাদ্রারহূড ছিল।
০৫ জুলাই ২০১৪ সকাল ০৫:৫৬
187716
উমাইর চৌধুরী লিখেছেন : ফিলিস্তিনে ব্রাদারহুডের শাখা ছিল কিন্তু তাদের কার্যক্রম এত বিস্তৃত ছিলনা এবং গাজাতেই সীমাবদ্ধ ছিল। আর তাদেরকে সাপোর্ট করার মতও কোন সরকার মধ্যপ্রাচ্যে ছিলনা, বরং তারাই নির্যাতনের শিকার হচ্ছিল সেসময় আরবদেশগুলোতে। তখন পিএলও আরবদের সাহায্য পেয়েছে বিভিন্নসময়।
241722
০৪ জুলাই ২০১৪ রাত ০৮:১৫
ছিঁচকে চোর লিখেছেন : স্বপন২ লিখেছেন : পিএলও কোন দিনই ইসলামী সংগঠন ছিল না। বাম ঘেষা দল। মনে করেন, আওয়ামীলীগ টাইপের দল।

সহমত
০৪ জুলাই ২০১৪ রাত ১০:২৮
187650
উমাইর চৌধুরী লিখেছেন : হ্যা তা ঠিক কিন্তু সেই সময় যখন হামাসের সৃষ্টি হয়নি, শুধুমাত্র পিএলওই ছিল ফিলিস্তিনীদের আশাভরসার স্থল। সেক্যুলার বা কম্যুনিস্ট ঘেষা হলেও ইয়াসির আরাফাতের মত নেতারা অনেক এক্টিভ এবং কার্যকর ভূমিকা রাখতেন তখন। ইজরাইলের সাথে লড়াই, প্রথম ইন্তিফাদা কিংবা ব্ল্যাক সেপ্টেম্বরের দূর্ধর্ষ গ্রুপের জন্ম পিএলওই দিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে বিক্রি হয়ে যায় পিএলওর বড় বড় মাথা ইজরাইলের কাছে। আজকের মাহমুদ আব্বাসরা সেই বিক্রি হয়ে যাওয়া ব্যক্তি যারা জাতির সাথে বেঈমানি করেছে। এখন পিএলও বা ফাতাহ'র কোন সম্মান দুনিয়ার মুসলিমদের কাছে নাই শুধু তাদের অতীত কাজ ছাড়া, এমনকি ফিলিস্তীনের কিছু এলাকা ছাড়া কোথাও তাদের সমর্থন নাই।
241773
০৫ জুলাই ২০১৪ রাত ১২:৩৬
মাটিরলাঠি লিখেছেন : এই পোষ্টটি স্টিকি হওয়া উচিত। হৃদয়ে স্টিকি হয়ে থাকলো।
০৫ জুলাই ২০১৪ সকাল ০৫:৫৭
187718
উমাইর চৌধুরী লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকে Happy
241781
০৫ জুলাই ২০১৪ রাত ১২:৫৮
আব্দুল গাফফার লিখেছেন : তথ্যবহুল লেখাটি পড়ে অনেক অজানাকে নতুন করে জানতে পারলাম । সত্যিই গর্ব করার মত ইতিহাস । আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।
০৫ জুলাই ২০১৪ সকাল ০৫:৫৭
187717
উমাইর চৌধুরী লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ পড়ার জন্য Happy
241783
০৫ জুলাই ২০১৪ রাত ০১:১৯
খেলাঘর বাধঁতে এসেছি লিখেছেন : শুনেন- এসব বলে বলে আজীবন বুক চাপড়াতে হয়ে। কাজের কাজ হবে না।

কোরাণের আল্লাবিল্লা, জেহাদী জোশ, সন্ত্রাস, শাহাদাত, ৭২ বেশ্যার..... স্বপ্ন ছেড়ে বিজ্ঞান মনস্ক মানুষ হতে হবে। তবেই না?
০৫ জুলাই ২০১৪ রাত ০৪:৩৬
187711
মনসুর আহামেদ লিখেছেন : @খেলাঘর বাধঁতে এসেছ,আকবার ,স্বাধীনতা,জুলিয়া,
মারিয়া
পরীবানু
মরুর মুসাফির
পরীবানু ,সততার আলো
অশ্বথমা
অপ্রতিরোধ্য স্বাধীন সমালোচক
পরমা ,নীলমণীলতা
বিলকিস লায়লা
দস্তার
রুপবান
মুক্তিযুদ্ধ ৭১
দ্রাবীড় বাঙাল
লেয়লা ইসলাম
বিলকিস
বাংলা ৭১
ভিক্টোরিয়া
হেলেনা
পল্লব প্রভাতে
খালেদ
রুশো তামজিদ
বারাংগনা
মধুবালা
সখি
ফয়সাল১
মাঝি-মাল্লা, ,
লায়লার
লায়লা০০৭
রাতুল দাস
চকো চকো
সায়েদ-রিয়াদ
বিভ্রান্ত নাবিক
ফাজিল
অপ্রতিরোধ্য স্বাধীন সমালোচক
মুক্তিযুদ্ধ ৭২
দ্রাবীড় বাঙাল
পিচ্চি পোলা
কাওসাইন হক
চাষা
jahed_ullah
নীরু
সাদা মন
সাদা মন
চোথাবাজ
আমি বিপ্লবী
সততার আলো সকাল সন্ধ্যা
এই নেরিকুত্তার এত নিক
০৬ জুলাই ২০১৪ রাত ০৯:০১
188208
জাগ্রত চৌরঙ্গী লিখেছেন : তবেই না দুনিয়ার সম্পদ ভোগ করা যাবে Tongue
241797
০৫ জুলাই ২০১৪ রাত ০৩:২৩
আনিস১৩ লিখেছেন : Wonderful job. Thanks for sharing.
০৫ জুলাই ২০১৪ সকাল ০৫:৫৮
187719
উমাইর চৌধুরী লিখেছেন : আপনাতেও ধন্যবাদ পড়ার এবং মন্তব্য করার জন্য Happy
241889
০৫ জুলাই ২০১৪ দুপুর ০১:৩১
সুশীল লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
০৬ জুলাই ২০১৪ রাত ০৪:০২
187989
উমাইর চৌধুরী লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য Happy
241893
০৫ জুলাই ২০১৪ দুপুর ০১:৫২
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ভাল লাগল অনেক অজানা তথ্য পড়ে। দেশ প্রেমহীন নাগরিকদের ভুখন্ডের নাম বাংলাদেশ। এখানে চোর বাটপার সবই আছে। নেই দেশ প্রেমিক। যে দেশের প্রধান মন্ত্রী হতে শুরু করে সবাই গুন্ডা চোর লালন করে সে দেশে দেশপ্রেমিক তৈরী না হলেও চোর বাটপারের প্রজনন কেন্দ্র হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছে। এমন একটি দেশের কিছু নগন্য ভাল মানুষ এমন ইসলামের মহত কাজ করলে ইতিহাসে সংরক্ষণ না করারই কথা। ধন্যবাদ।
০৬ জুলাই ২০১৪ রাত ০৪:০৩
187990
উমাইর চৌধুরী লিখেছেন : ইতিহাস রক্ষায় আমাদের সবাইকেই এগিয়ে আসতে হবে। তাহলেই এরকম গর্ব করার মত চাপা পড়ে যাওয়া ইতিহাস উম্মোচিত হবে Happy আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য
১০
241937
০৫ জুলাই ২০১৪ দুপুর ০৩:২৯
আবদুল্লাহ বাংলাদেশী লিখেছেন : অসাধারণ, আমাদের পূর্বপুরুষরা ছিলেন বীর মুজাহিদ। আর আমরা হয়ে গেছি ভিতু।
০৬ জুলাই ২০১৪ রাত ০৪:০৩
187991
উমাইর চৌধুরী লিখেছেন : আমাদেরকেও তাদের মত হতে হবে, নিজেকে তৈরী করতে হবে তাদের এ ঘটনা থেকে প্রেরণা নিয়ে। লক্ষ বায়তুল মুকাদ্দাস Happy
১১
241956
০৫ জুলাই ২০১৪ বিকাল ০৫:১২
ঈগল লিখেছেন : জাযাকাল্লাহ খায়রান।
---------
চমৎকার এই পোস্ট স্টিকি করার জন্য সম্পাদক সাহবেকেও ধন্যবাদ।
=================
০৬ জুলাই ২০১৪ রাত ০৪:০৪
187992
উমাইর চৌধুরী লিখেছেন : আল্লাহ আপনাকেও উত্তম প্রতিদান দিন। আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য এবং মন্তব্যের জন্য Happy
১২
241958
০৫ জুলাই ২০১৪ বিকাল ০৫:১৬
উমাইর চৌধুরী লিখেছেন : আমি গতকাল ফেসবুকে নোট পাবলিশের সাথে সাথেই প্রিয় টুডে ব্লগে লেখাটা পোস্ট করি। দুঃখজনক হল এডমিনরা সেই লেখা দেখতে পায়নি, তারা টাইম নিউজ নামক এক নিউজ পোর্টাল থেকে কপি মারে লেখাটা অথচ নিজ ব্লগেই ছিল সেটা। পরে তাদেরকে বলার পর টাইম নিউজের কপি সরিয়ে অরিজিনাল লেখাটা স্টিকি করে।
ধন্যবাদ সম্পাদক/এডমিন প্যানেল
১৩
241985
০৫ জুলাই ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:১১
সরল কথা লিখেছেন : অনেক অজানা তথ্য জানতে পারলাম।
যাঝাকাল্লাহ খাইর
০৬ জুলাই ২০১৪ রাত ০৪:০৪
187993
উমাইর চৌধুরী লিখেছেন : আল্লাহ আপনাকেও উত্তম প্রতিদান দিন। আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য এবং মন্তব্যের জন্য Happy
১৪
241992
০৫ জুলাই ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:১৮
মোবারক লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
০৬ জুলাই ২০১৪ রাত ০৪:০৪
187995
উমাইর চৌধুরী লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য এবং মন্তব্যের জন্য Happy
১৫
241998
০৫ জুলাই ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৩৯
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : বেশ সমৎকৃত হলাম একটা নাজানা ইতিহাস পড়ে। ধন্যবাদ
০৬ জুলাই ২০১৪ রাত ০৪:০৪
187994
উমাইর চৌধুরী লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য এবং মন্তব্যের জন্য Happy
১৬
242000
০৫ জুলাই ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪১
চাটিগাঁ থেকে বাহার লিখেছেন : সুন্দর পোষ্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ।
০৬ জুলাই ২০১৪ রাত ০৪:০৫
187996
উমাইর চৌধুরী লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য এবং মন্তব্যের জন্য Happy
১৭
242023
০৫ জুলাই ২০১৪ রাত ০৮:১২
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : ইতিহাস আমাদেরকে খোজে বের করে সংরক্ষণ করতে হবে ,ধন্যবাদ আপনাকে।
একটা কথা এই জিহাদিরা আসলে কি ইসলামের জন্য জিহাদ করেছেন নাকি ভিন্ন কিছু ?বলে রাখা ভালো বামরা ফিলিস্তিন ও ইসরাইল বিরুধী।
০৬ জুলাই ২০১৪ রাত ০৪:০৬
187998
উমাইর চৌধুরী লিখেছেন : জিহাদ তো ইসলাম-মুসলমান এবং মানবতার জন্যই। যারা প্রকৃত জিহাদ করছে তারা অবশ্যই ভাল উদ্দেশ্য নিয়ে করছেন। হ্যা, ফিলিস্তিনের জিহাদীরা আল্লাহর রাস্তায়ই লড়াই করছেন, সেটা বর্তমান সময় এবং বিভিন্ন ঘটনা সাক্ষী । ধন্যবাদ আপনাকে Happy
১৮
242078
০৫ জুলাই ২০১৪ রাত ০৯:৫৯
সন্ধাতারা লিখেছেন : Sacrificed history says and shows the real truth. Jajakalla khairan writing this unbelievable history.
০৬ জুলাই ২০১৪ রাত ০৪:০৬
187999
উমাইর চৌধুরী লিখেছেন : আল্লাহ আপনাকেও উত্তম প্রতিদান দিন। আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য এবং মন্তব্যের জন্য Happy
১৯
242127
০৬ জুলাই ২০১৪ রাত ০২:৫৮
নিউজ ওয়াচ লিখেছেন : অনেক মেহনতের কাজ। এরাম মেহনত সাধারণত ইসলামিষ্ট্রা করে না। তারা কপি পেস্টেই ভালো বাসে।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
০৬ জুলাই ২০১৪ রাত ০৪:০৭
188000
উমাইর চৌধুরী লিখেছেন : ইসলামিস্টদেরকেই বেশী বেশী মেহনত করতে হবে তাহলেই বেশী বেশী এগিয়ে যাওয়া যাবে Happy
২০
242242
০৬ জুলাই ২০১৪ দুপুর ১২:৫৩
আবু জারীর লিখেছেন : অজানা এক গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস জানলাম।
ধন্যবাদ।
০৬ জুলাই ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:১৩
188140
উমাইর চৌধুরী লিখেছেন : জানাতে পেরে আমারো ভাল লাগছে খুব, ধন্যবাদ অনেক পড়ার জন্য Happy
২১
242253
০৬ জুলাই ২০১৪ দুপুর ০১:৪২
জাইদী রেজা লিখেছেন : অজানা এক গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস জানলাম।
ধন্যবাদ। ভালো লাগলো
০৬ জুলাই ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:১৩
188141
উমাইর চৌধুরী লিখেছেন : জানাতে পেরে আমারো ভাল লাগছে খুব, ধন্যবাদ অনেক পড়ার জন্য Happy
২২
242352
০৬ জুলাই ২০১৪ রাত ০৯:০৩
জাগ্রত চৌরঙ্গী লিখেছেন : অসাধারন সংগ্রহ। প্রিয়তে রাখলাম,বারাকাল্লাহু ফিক
০৮ জুলাই ২০১৪ সকাল ১১:০০
188558
উমাইর চৌধুরী লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকেও, জাঝাকাল্লাহ Happy
২৩
242369
০৬ জুলাই ২০১৪ রাত ১০:৩৫
মোঃজুলফিকার আলী লিখেছেন : অনেক সুন্দর লেখা। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
০৮ জুলাই ২০১৪ সকাল ১১:০১
188559
উমাইর চৌধুরী লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ পড়ার জন্য এবং মন্তব্য করার জন্য Happy
২৪
242388
০৬ জুলাই ২০১৪ রাত ১১:২৮
মনসুর লিখেছেন : মাশাআল্লাহ, সুন্দর লিখেছেন। আলহামদুলিল্লাহ, জাজাকাল্লাহু খাইরান। শুভেচ্ছান্তে ধন্যবাদ।

পড়ে-জেনে ভালো লাগলো, একটু হলেও আছে আমাদের সহমর্মিতা ফিলিস্থিনের প্রতি।

মহান আল্লাহ আমাদর সবাইকে হেদায়েত দিয়ে দুনিয়া ও আখেরাতে নেক কামিয়াবী দান করুন, আমীন।
০৮ জুলাই ২০১৪ সকাল ১১:০২
188561
উমাইর চৌধুরী লিখেছেন : আমীন। জাঝাকুমুল্লাহখাইরান। অনেক ধন্যবাদ আপনাকেও Happy
২৫
242520
০৭ জুলাই ২০১৪ দুপুর ১২:৫৫
সত্য নির্বাক কেন লিখেছেন : আবার যাওয়ার অনুপ্রেরনা ফেলাম। যাযাকাল্লাহু খাইরান।
০৮ জুলাই ২০১৪ সকাল ১১:০১
188560
উমাইর চৌধুরী লিখেছেন : আল্লাহ আপনাকেও উত্তম প্রতিদান দিন। ধন্যবাদ অনেক পড়ার জন্য Happy
২৬
243122
০৯ জুলাই ২০১৪ দুপুর ১২:৪৮
সত্য নির্বাক কেন লিখেছেন : http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/bloglist/4526/abmipihttp://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/bloglist/4526/abmipi" target="_blank" target="_blank" rel="nofollow">একটু ঘুরে আসুন ফিলিস্থিন ছবি ব্লগ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File