স্লোগান

লিখেছেন লিখেছেন যোদ্ধা ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৬:০১:১৬ সকাল

আব্দুল কাদের মোল্লা এতো জঘন্য কর্মকাণ্ডের পরেও মৃত্যুদণ্ড পেলনা। কারো কারো মতে এ রায়ে গোটা জাতি লজ্জিত হয়েছে। শাহবাগে কেউ কেউ প্রতিবাদমুখর এবং ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। আমারও তো উচিৎ তাদের সাথে হাত মেলানো... বিবেকবান মানুষেরা কখনোই একজন নরপশুর পশুত্ব কে মেনে নিতে পারেনা।পত্রিকার পাতায় যখন একটা ধর্ষকের ছবি দেখি তখন প্রচণ্ড আক্রোশের সাথে আমারও ওটাকে পুঁতে ফেলতে ইচ্ছা হয়। নৃশংস খুনিরা রাষ্ট্রপতির বিশেষ ক্ষমা পেয়ে ফুলের মালা গলায় দিয়ে যখন ভি চিন্ন প্রদর্শন করে তখন আর দশটা প্রতিবাদী মানুষের মত আমারও গর্জে উঠার সাধ জাগে ।

আমি নিজেকে একজন মানুষ বলেই জানি। বিশ্বাস করি আমার বিবেক আছে। এবং ভালো খারাপের তফাৎ বোঝার যথেষ্ট বয়স আমার হয়েছে। আমি আমার দেশ কে ভালবাসি । পরবাসী জীবনের মুহূর্তগুলো আমি আমার বাংলাদেশীত্বকে আঁকড়ে ধরেই বেঁচে আছি,নিজেকে বিলিয়ে দেইনি একটুও।আমি জানি দেশের সীমান্ত রক্ষায় রাত জেগে পাহারা দানকারীর মর্যাদা আল্লাহর কাছে কত উঁচু । সে কারনেই এই আমিও চাই প্রকৃত যুদ্ধাপরাধীদের উচিৎ বিচার ।

প্রাসঙ্গিক প্রবন্ধ ,বই পত্র, নাটক/সিনেমার পাশাপাশি আমি আমার প্রজন্মের বাকি কৌতূহলীদের মতই নানান সময় নানান মত আর আদর্শের লোকজনের কাছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক জরিপ চালাই। সে খাঁটি জামাতীই হোক আর বঙ্গবন্ধুর নাম জপনে ওয়ালাই হোক। আমার পরিবারেও এই দুই বিপরীতমুখী চরিত্রের লোকজন আল্লাহ দিলে যথেষ্ট। তাই এক তরফা তথ্য পেয়ে বিভ্রান্তিতে ভুগব এমনটা না।

আমি বিশ্বাস করি, দেশ ভাগে অস্বীকৃতি আর জেনসাইডে অংশ নেয়া এক জিনিস না।আজকে যদি পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশ থেকে আলাদা হতে চায় আর তাহলে আমিও চাইবনা তারা আলাদা হোক। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার যদি ২৫ শে মার্চ এর মত ঘটনা ঘটায় তবে ২৪ শে মার্চ পর্যন্ত আমি দেশ ভাগের বিপক্ষে ।এর পর আর এক মুহূর্ত ও না।

যে যে দাড়ি টুপি ওয়ালারা যাদের বিষদগার জাফর ইকবাল স্যার ,আনিসুল হক সাহেবদের রচনাবলীতে সাধারণত করা হয় এবং অ দাড়ি টুপি ওয়ালারা যাদের বিষদগার জাফর ইকবাল স্যার ,আনিসুল হক সাহেবদের রচনাবলীতে সাধারণত করা হয় না এই উভয় প্রকারের লোকদের কেউ ছিল রা্জাকার কেউ ছিল মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু জন্ম থেকেই আমরা ৭১ পরবর্তী প্রজন্ম একটা ক্যাটাগরি প্রথার ফাঁদে পড়ে আছি। যা থেকে আজও বের হওয়া হয়ে ওঠেনি।

জামায়াত ধারণা করেছিল পাকিস্তান যদি দুই ভাগ হয় তবে ভারত হয়ত আর্থসামাজিক- সাংস্কৃতিক দিক এমন কি সীমান্ত টাও গ্রাস করে নেবে এবং তাদের এই ধারণা চরম ভুল বলেই ধরে নিচ্ছি। এরকম ভুল ধারণা পোষণ করা মস্ত বড় ভুল হতে পারে কিন্তু মানবতা বিরোধী হতে পারেনা।

এরপর যে গনহত্যা হল সেখানে যদি এই পাক বাহিনীর পাশাপাশি এই দলটির প্রত্যক্ষ পরোক্ষ অংশগ্রহণ আজকের এই ট্রাইব্যুনাল প্রমাণ করতে পারত তাহলে আমি লক্ষ লক্ষ শিবিরের ছেলেদের ব্রেইন ওয়াশড , ছাগু নামে ডাকতে পারতাম ।

যদি মিরপুরের কসাই কাদের আর ৭১ পরবর্তী আওয়ামী আমলের ঢাবির আবাসিক ছাত্র আব্দুল কাদের মোল্লা এক ব্যক্তি হতো তবে বিনা দ্বিধায় আমি শাহবাগ সংহতি তে যোগ দিতাম।

আমি তো দেলু রাজাকারের বিচার চাই, দেলওয়ার হোসেন সাইদীর না।

বাচ্চু রাজাকারের বিচার চাই ,আবুল কালাম আজাদের না।

কসাই কাদেরের বিচার চাই,আব্দুল কাদের মোল্লার না।

আমি স্বনির্ভর ঝলমলে একটা বাংলাদেশ চাই। গৃহযুদ্ধ বিধস্ত এবং ক্ষতবিক্ষত ফেলানির বাংলাদেশের গল্প আমি আমার বিদেশি বন্ধুদের শোনাতে চাইনা।

সরকারের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ঘায়েলের গিনিপিগ আমি কেন হব?

আজ তাই আমি প্রকৃত যুদ্ধারাধীদের বিচারের পক্ষে স্লোগান দেব।

দেবই।

বিষয়: বিবিধ

১২২৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File