নারায়ানগঞ্জের ৭ খুনে র‌্যাবের ২৪ সদস্য জড়িত প্রতিবেদন ও কিছু কথা

লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ২৮ নভেম্বর, ২০১৪, ০২:৪৪:৩৮ দুপুর



সাত খুন: সাইদসহ র‌্যাবের ২৪ সদস্য জড়িত

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ও অ্যাডভোকেট চন্দন সরকারসহ সাত খুনের সঙ্গে র‌্যাব-১১ এর তৎকালীন অধিনায়ক তারেক সাঈদ, কর্মকর্তা আরিফ ও এম এম রানা ছাড়াও আরও ২১ সদস্য জড়িত ছিলেন বলে র‌্যাবের তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

র‌্যাবের তদন্ত কমিটি গত রোববার (২৩ নভেম্বর) এই প্রতিবেদন অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে জমা দিয়েছেন। আগামী ১০ ডিসেম্বর আদালতে ওই প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হবে।

ওই তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তারেক সাঈদসহ র‌্যাব-১১ এর তিন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা সরাসরি নারায়ণগঞ্জের নির্মম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তবে র‌্যাব সদর দপ্তরের সঙ্গে এই খুনের কোনো সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া যায়নি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নারায়ণগঞ্জের আরেক কাউন্সিলর নূর হোসেনই নজরুল ইসলামকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন। আর সে কাজটি করতে তিনি র‌্যাবের কর্মকর্তাদের ব্যবহার করেন।

বৃহস্পতিবার অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আলম ও র‌্যাবের আইন শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দাখিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আওয়ামিলিগ নেতা মায়ার ছেলের মাধ্যমে ৬ কোটি টাকা লেনদেনের বিষয়টি গায়েব করা হয়েছে।



গত ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ থেকে কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ও আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারসহ সাতজন অপহৃত হন। পরে ৩০ এপ্রিল তাদের মরদেহ শীতলক্ষা নদীতে ভেসে ওঠে। এ ঘটনায় র‌্যাব ১১ এর সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠে। পরে ৫ মে হাইকোর্টের বিচারপতি রেজাউল হক ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র দাসের বেঞ্চ স্বপ্রনোদিত হয়ে র‌্যাব-১১ এর তিন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে র‌্যাব সদর দপ্তরকে এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেন। পরে তিন কর্মকর্তাসহ অন্যরা গ্রেপ্তার হন।

সাত খুন: আওয়ামীলীগের নেতা মোফাজ্জল হোসেন মায়ার মেয়ের জামাই সাইদসহ র‌্যাবের ২৪ সদস্য জড়িত প্রতিবেদন নিয়ে সংবাদ পত্রের প্রকাশিত খবর

সাত খুন: সাইদসহ র‌্যাবের ২৪ সদস্য জড়িত

http://www.banglamail24.com/news/2014/11/28/id/95136/



র‌্যাবের তদন্ত প্রতিবেদনে সাত খুনে তারেক-আরিফ সরাসরি জড়িত

| ২৮ নভেম্বর ২০১৪,

http://mzamin.com/details.php?mzamin=+NTIyNDU%3D&s=Mg%3D%3D#.VHgHwKc-Pfs



র‌্যাব-১১-এর সাবেক অধিনায়ক তারেক সাঈদ, কর্মকর্তা আরিফ এবং এম এম রানা ছাড়াও আরো ২১ সদস্য জড়িত ছিলেন

http://www.manobkantha.com/2014/11/28/201111.html#sthash.cFKXk7Gi.uxfs



র‌্যাবের তদন্ত প্রতিবেদন : সেভেন মার্ডারে কর্নেল তারেকসহ জড়িত ২১

http://www.amardeshonline.com/pages/printnews/2014/11/28/261584



না.গঞ্জের ৭ খুনে সাইদ ও আরিফ শুরু থেকে জড়িত

http://www.justnewsbd.com/details.php?jnewsbd=NzczNTU%3D#.VHga300RhOg



সাত খুনে সাইদসহ র্যাবের ২৪ সদস্য জড়িত

http://shar.es/1XEtxS







র‌্যাবের প্রতিবেদন : সেভেন মার্ডারে কর্নেল তারেকসহ জড়িত ২১

নারায়ণগঞ্জের সেভেন মার্ডারের সঙ্গে র‌্যাব-১১ এর তৎকালীন অধিনায়ক লে. কর্নেল (অব.) তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর (অব.) আরিফ হোসেন, লে. কমান্ডার মাসুদ রানাসহ ২১ জন জড়িত।

সাত খুনের ঘটনায় র‌্যাবের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। গত রোববার এই তদন্ত প্রতিবেদন অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে জমা দেয় র‌্যাবের তদন্ত কমিটি।

র‌্যাব সূত্রে জানা যায়, ক্ষমতার দ্বন্দ্বে কাউন্সিলর নূর হোসেন প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামকে অপহরণ ও হত্যার পরিকল্পনা করে। নজরুলসহ পাঁচজন অপহরণের সময় এডভোকেট চন্দন কুমার সরকার এবং তার গাড়ি চালক দেখে ফেলেন। এ কারণে তাদেরকেও অপহরণ করা হয়।

এই অপারেশন বাস্তবায়নের জন্য নারায়ণগঞ্জ কোর্টে নজরদারি, অপহরণ স্থলে যাওয়া, চোখ বাঁধা, নরসিংদী পর্যন্ত যাওয়া, ইনজেকশন পুশ করা, অপহৃতদের মুখে পলিথিন পেচানো, ইটের বস্তা, রশি জোগাড় করা, কাঁচপুরের ব্রিজের নীচে ল্যান্ডিং স্টেশনে পৌঁছানো, গাড়ি থেকে লাশগুলো নামানো, ইটের বস্তা ও লাশগুলো ট্রলারে ওঠানো এবং লাশগুলোর পেট ফুটো করে নদীতে ডুবে দেয়ার জন্য পর্যায়ক্রমিক কাজগুলো সম্পন্ন করা হয়।

আর এসব কাজে জড়িত ছিল র‌্যাব-১১ তৎকালীন অধিনায়ক লে. কর্নেল (অব.) তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর (অব.) আরিফ হোসেন ও লে. কামন্ডার মাসুদ রানাসহ ২১ জন।

প্রতিবেদন দাখিলের আগে র‌্যাবের তদন্ত কমিটি নিহত প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের শ্বশুর শহিদুল ইসলাম, নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি, র‌্যাবের মহাপরিচালক মোখলেছুর রহমান, অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল জিয়াউল আহসান, পরিচালক (অপারেশন্স) লে. কর্নেল রিয়াজুর রহমান, গোয়েন্দা শাখার পরিচালক লে. কর্নেল মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, র‌্যাব-১১ তৎকালীন অধিনায়ক লে.কর্নেল (অব.) তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর (অব.) আরিফ হোসেন, লে. কমান্ডার (অব.) মাসুদ রানা, ল্যান্স নায়েক বেলাল হোসেন, এসআই পূর্ণেন্দু বালা, হাবিলদার এমদাদুল হক, কনস্টেবল শিহাব উদ্দিন, ল্যান্স নায়েক বেলাল হোসেনসহ ৯১ জনের জবানবন্দী ও বক্তব্য নেয়।

http://shar.es/1XE4P3





পিছনের কিছু কথা এবং আওয়ামীলীগের নেতা মোফাজ্জল হোসেন মায়ার মেয়ের জামাই এবং মায়ার ছেলের টাকা লেনদেনের বিষয়

১৩ অক্টোবর,২০১৪ - আদালতে সাত খুনের মামলার অবস্থা।

আইনজীবিদের অভিযোগ - আওয়ামীলীগের নেতা মায়ার মেয়ের জামাই তারেক সাঈদকে আদালতে হাজির না করে জামাই আদারে রাখা হচ্ছে ।

র‌্যাব-১১ এর সাবেক সিও তারেক সাঈদ, মেজর আরিফ, ও লেফটেনেন্ড কমান্ডার এমএম রানার নির্দেশ মানতে গিয়েই সাত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন র‌্যাব সদস্যরা। নিহত সাত জনের কাউকে হত্যা করেননি বলে আদালতে বিচারকের কাছে কান্না জড়িত কণ্ঠে আকুতি করেন তারা।

সোমবার সকাল পৌনে ১০টায় নারায়ণগঞ্জ আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কেএম মহিউদ্দিনের আদালতে সাত হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার হওয়ার ১০ জন র‌্যাব সদস্য ও চার্চিল, আলী আহম্মদসহ আরও ১১জনসহ মোট ২১জনকে হাজির করা হলে র‌্যাব সদস্যরা বিচারকের কাছে এমন বক্তব্য তুলে ধরেন।

তারেক সাঈদকে আদালতে হাজির না করায় বাদী পক্ষের আইনজীবীরা তারেক সাঈদকে জামাই আদারে রাখা হচ্ছে বলেই আদালতে হাজির করা হয়নি বলে অভিযোগ তুলেন। ম্যাজিস্ট্রেট কেএম মহিউদ্দিন কারা কর্তৃপক্ষকে তারেক সাঈদকে কেন আদালতে হাজির করা হলো না এই মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। সেই সঙ্গে আগামী ১ ডিসেম্বর সাত হত্যা মামলার আসামিদের আদালতে হাজির করতে প্রডাকশন ওয়ারেন্ট(পি ডব্লিউ) জারি করেন। যদি ওই দিন আসামিদের আদালতে হাজির না করা হয় তাহলের তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হবে।





কারাগারে তারেক সাঈদের জন্য টিভি ফ্রিজ .....

নারায়ণ গঞ্জের ৭ খুনের মামলার আসামী আওয়ামীলীগের নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার মেয়ের জামাই সাবেক র‌্যাব কর্মকর্তা তারেক সাঈদ কারাগারে আয়েশি জীবনযাপন ।

কারাগারে আয়েশি জীবনযাপন করছেন নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনায় দায় স্বীকার করা সাবেক র‌্যাব কর্মকর্তা তারেক সাঈদ মোহাম্মদ। কারা অভ্যন্তরে তার জন্য রয়েছে রঙিন টেলিভিশন, ফ্রিজ, দামি পানির ফিল্টার, উন্নত মানের এয়ারকুলার ফ্যান এবং আরও বেশকিছু বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি। কিন্তু কারাবিধি অনুযায়ী কোনো বন্দির এ ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার কথা নয়। সরকারিভাবে এ ধরনের ব্যবস্থাও নেই। ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দিরা (প্রথম শ্রেণীর বন্দি) শুধু টিভি দেখার সুযোগ পেয়ে থাকেন। তারেক সাঈদের জন্য এসব যন্ত্রপাতি ও উপকরণ বাইরে থেকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৭ জুলাই দুপুরে পুরান ঢাকার একটি দোকান থেকে টেলিভিশন, ফ্রিজ, পানির ফিল্টার, এয়ারকুলার ফ্যানসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে কেন্দ্রীয় কারাগারে যান মোঃ জামান। পথে যানজটের কারণে তার কিছুটা দেরি হয়। পরে দায়িত্বটি সম্পন্ন করে তিনি তা কয়েকজনকে নিশ্চিত করেন।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্র জানায়, বন্দি তারেক সাঈদ মোহাম্মদ বাইরে থেকে পাঠানো টিভি দেখে সময় কাটান। ফ্রিজসহ বিভিন্ন আধুনিক বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করেন। তার বিরুদ্ধে কারাগারে আশপাশের সেলের বন্দিদের সঙ্গে দুর্ব্যহারের অভিযোগও রয়েছে।

৭ জুলাই বেলা ১টা ৪৫ মিনিটে এসব জিনিস কারাগারের প্রধান ফটক দিয়ে ঢোকানো হয়। ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার পরিবারের দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি ও ব্যক্তিগত কর্মচারী মোঃ জামান এগুলো কারা ফটকে নিয়ে যান। এরপর কারাগারের কিছু লোক তা তারেক সাঈদের সেলে পৌঁছে দেন। তারেক সাঈদ ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার জামাতা। বর্তমানে তিনি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ২৬ নম্বর সেলে (চম্পাকলি ভিআইপি সেল) বন্দি রয়েছেন। কারাসংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। ত্রাণমন্ত্রী কারা প্রশাসনের ওপর প্রভাব বিস্তার করে আইনবহির্ভূতভাবে বিলাসবহুল এসব সরঞ্জাম কারাগারে ঢোকাতে বাধ্য করেছেন বলে সূত্রগুলো দাবি করেছে।

http://www.jugantor.com/first-page/2014/09/29/154090



কর্নেল জিয়ার জবানিতে

ভিডিওচিত্র মোবাইল কথোপকথন

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের ঘটনায় র‌্যাবের তিন সদস্য জড়িত থাকার স্বপক্ষে বিস্তারিত জানালেন র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) কর্নেল জিয়াউল আহসান। তদন্ত কমিটির সদস্যদের দেখালেন মেজর আরিফকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিডিও চিত্র। শোনালেন বরখাস্তকৃত ও সাত খুনের ঘটনায় জড়িত তিন কর্মকর্তার মধ্যে মোবাইলে কথোপকথন। গতকাল তার কাছ থেকে সাক্ষ্য নেয় হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক তদন্ত কমিটি। ভিডিও চিত্র দেখা, মোবাইল কথোপকথন শোনা এবং সার্বিক ঘটনা জিয়াউলের মুখ থেকে শুনতে তিন ঘণ্টা ৫০ মিনিট লেগে যায়।

ভারতে গিয়ে সে তার নাম পরিবর্তন করে ‘গোপাল’

‘গোপাল’ নাম ব্যবহার করে সে একটি পাসপোর্টও নিয়েছে।

পঞ্চম স্ত্রী রাধার বাড়ি ভারতের কলকাতার সদর স্ট্রিটে। ২০০১ থেকে প্রায় ছয় বছর ভারতে পালিয়ে থাকার সময় গোপাল নাম ধারণ করে রাধাকে বিয়ে করে নূর হোসেন।

ওই মিয়া, কেমুন মেজর হইলেন মারতে এতক্ষণ লাগে?

নারায়ণগঞ্জের অপহৃত সাতজনকে নির্মমভাবে হত্যার সময় সদ্য সাবেক মেজর আরিফ হোসেনের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখে ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী নূর হোসেন।

নারায়ণগঞ্জের অপহৃত সাতজনকে নির্মমভাবে হত্যার সময় সদ্য সাবেক মেজর আরিফ হোসেনের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখেন ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী নূর হোসেন। একে একে সাতজনকে হত্যার সময় নূর হোসেন মোবাইল ফোনে মেজর আরিফকে তাগাদা দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে মেজর আরিফকে ধমকের সুরে নূর হোসেন বলেন, 'ওই মিয়া, কেমুন মেজর হইলেন, মারতে এতক্ষণ লাগে?' মেজর আরিফ ও নূর হোসেনের মোবাইল ফোনের ওই কথোপকথন রেকর্ড এখন তদন্তকারী কর্তৃপক্ষের হাতে।ওই মিয়া, কেমুন মেজর হইলেন মারতে এতক্ষণ লাগে?



আওয়ামী লীগের ‘ত্যাগী নেতা’ নূর হোসেন .....

২০০৯ সালের ৮ জুন প্রধানমন্ত্রীর সংস্থাপন ও প্রশাসন বিষয়ক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের স্বাক্ষরিত ‘অতি জরুরি’ লেখা একটি চিঠি দেওয়া হয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে। আর চিঠির অনুলিপি বিতরণ করা হয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রসচিবকে।

ওই চিঠিতে নূর হোসেন চেয়ারম্যানকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এক ত্যাগী নেতা হিসেবে অভিহিত করে বলা হয়েছে ।

অতি জরুরি' উল্লেখ করা এই চিঠিটি কথিত প্রধানমন্ত্রীর প্রশাসনবিষয়ক কথিত উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের লেখা।





আলজাজিরার ভিডিওচিত্র : বাংলাদেশে অপহরণের জন্য দায়ী নিরাপত্তা বাহিনী ।

এখানে ভিডিওচিত্রটি দেয়া হলো।

http://www.youtube.com/watch?v=7nGqCuW2lhM



নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডে গডফাদাররা জড়িত।

তদন্ত কমিটির জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আইভী বলেন, কেন, কিভাবে, কী কারণে এ সাত হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে তা মিডিয়ার মাধ্যমে সবাই জেনেছেন। হত্যাকাণ্ডের পর স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা নূর হোসেন দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার আগে তার সাথে সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের টেলিফোনে কথোপকথন হয়। এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র আইভী বলেন, নূর হোসেনকে দেশে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার, কেন এ ঘটনা ঘটল, কারা এর পেছনে জড়িত।



স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে খুনি তারেক সাঈদ

নারায়ণগঞ্জের সাত খুন মামলায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে সাবেক র‌্যাব কর্মকর্তা ও আওয়ামীলীগের নেতা মায়ার জামাতা লেফটন্যান্ড কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ।

জবানবন্দি শেষে বুধবার বিকেল ৩টার পর তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

এর আগে দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়ির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কে.এম. মহিউদ্দিনের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

গত ৪ জুন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে মেজর আরিফ হোসেন।

গত ৫ জুন লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এম.এম. রানা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিল ।

সাত খুন: অবশেষে তারেক সাঈদের স্বীকারোক্তি

http://www.sheershanews.com/2014/06/18/41482/print

তারেক সাঈদও দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিলেন

http://www.natunbarta.com/national/2014/06/18/86854/তারেক+সাঈদও+দায়+স্বীকার+করে+জবানবন্দি+দিলেন



ঘটনা ধামাচাপা দিতে লাশ নদীতে ফেলতে বলি’

মায়ার জামাই র্যাবের কর্নেল তারেক সাঈদ সাতজনকে অপহরণ ও লাশ গুমের দায়িত্ব স্বীকারো করেছেন

অবশেষে ৩২ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন র‌্যাব ১১-এর সাবেক অধিনায়ক তারেক সাঈদ মোহাম্মদ।

http://mzamin.com/details.php?mzamin=Mjg1NTg%3D&s=Mg%3D%3D



শ্বাসরুদ্ধকর ১২ ঘণ্টা

পূর্ব পরিকল্পনা মতে ২৭শে এপ্রিল দুপুর ১টা ৩০ মিনিট থেকে ১টা ৪৫ মিনিটের মধ্যে মাত্র ২ মিনিট সময় নিয়ে নাসিক কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ও আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারসহ ৭ জনকে অপহরণ করে মেজর (অব.) আরিফ হোসেন ও লে. কমান্ডার এম এম রানার নেতৃত্বে র‌্যাবের ১১ সদস্যের একটি টিম। রাত সোয়া ২টার দিকে লাশ নদীতে ডুবিয়ে দিয়ে ১২ ঘণ্টার শ্বাসরুদ্ধকর এক অপারেশনের সমাপ্তি টানা হয়।



http://mzamin.com/details.php?mzamin=MjcwNTc%3D&s=Mw%3D%3D#.U5Q-2Hy7xFw.facebook

http://www.natunbarta.com/law-court/2014/06/05/84951/সাত+খুনের+দায়+স্বীকার+করলেন+রানাও

http://www.natunbarta.com/law-court/2014/06/05/84827/সাত+খুনের+দায়+স্বীকার++করেছেন+মেজর+আরিফ

http://www.justnewsbd.com/details.php?jnewsbd=NjUzMDY%3D

মেজর (অব.) আরিফের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

তারেকের তদারকিতে আমি ও রানা মিলে খুন করি

http://www.kalerkantho.com/print-edition/first-page/2014/06/05/92576

সাত খুনের দায় স্বীকার করলেন রানাও



নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনায় ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেন র‌্যাবের সাবেক কর্মকর্তা এম এম রানা। নারায়ণগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বৃহস্পতিবার তিনি এ জবানবন্দি দেন।

http://www.natunbarta.com/law-court/2014/06/05/84951/সাত+খুনের+দায়+স্বীকার+করলেন+রানাও

এর আগে বুধবার হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন সাবেক মেজর ও র‌্যাব কর্মকর্তা আরিফ হোসেন৷

সাত খুনের দায় স্বীকার করেছেন মেজর আরিফ

http://www.natunbarta.com/law-court/2014/06/05/84827/সাত+খুনের+দায়+স্বীকার++করেছেন+মেজর+আরিফ



বোমা ফাটালেন আরিফ


র‌্যাবের এডিজি জিয়াউলের নির্দেশে ৭ খুন!



নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামসহ সাতজনকে অপহরণের পর হত্যার ঘটনা পুরোটাই ছিল পরিকল্পিত। র‌্যাব কর্মকর্তারা প্রথমে ঝুঁকি নিতে না চাইলে অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপরাশেন) কর্নেল জিয়াউল আহসানের নির্দেশেই কিলিং মিশনে অংশ নেন তারা।

র‌্যাব-১১ এর তৎকালীন অধিনায়ক তারেক সাঈদ, উপ-অধিনায়ক আরিফ হোসেন ও স্পেশাল ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানির তৎকালীন ইনচার্জ এম এম রানাসহ নিচের সারির পরস্পরের মধ্যে ভালো সম্পর্ক থাকা আরো ১৭-১৮ জন পুরো কিলিং মিশন সম্পন্ন করে।

বুধবার দুপুরে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় দেয়া জবানবন্দিতে সাত খুনের আদ্যোপান্ত বর্ণনা দেন র‌্যাবের চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা ও কিলিং মিশনে অংশ নেয়া মেজর আরিফ হোসেন।

নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কে এম মহিউদ্দিনের আদালতে ওই জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।

স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে মেজর আরিফ ঘটনার আদ্যোপান্ত বর্ণনা করে বলেন, ‘নজরুলকে অপহরণের পর রাতে তাদের হত্যার পুরো পরিকল্পনার ছক কষে দেন নূর হোসেন। তাদের সমন্বিত সুক্ষ্ম পরিকল্পনাতেই সাতজনকে অপহরণ ও পরে শ্বাসরোধে গাড়ির মধ্যেই হত্যার পর শীতলক্ষ্যায় ফেলে দেয়া হয়। তবে তাদের মূল পরিকল্পনা ছিল নজরুল। কিন্তু অ্যাডভোকেট চন্দন সরকার অপহরণের ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করায় তাকেও হত্যা করা হয়।’

ময়না তদন্ত রিপোর্ট : নারায়ণগঞ্জে সাতজনকে একইভাবে হত্যা করা হয়।



মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার ছেলে দীপুর মধ্যস্থতায় মধ্যস্থতায় প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম ও তার সহযোগীদের হত্যার পরিকল্পনা করা হয়।খুনের টাকা একটি ব্যাংকের শিমরাইলের শাখা ও অপর একটি ব্যাংকের রায়েরবাগের শাখার মাধ্যমে লেনদেন হয়।

হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত মায়ার মেয়ের জামাই র‌্যাব ১১-এর কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল তারেক এসপি নুরুল , কর্নেল জিয়াউল শামিম ওসমান . স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। হত্যা কান্ডের শিকার প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে জানানোর পর ও নিরব ছিলেন।

অপহরণের দিন আদালতেই আটক হয়েছিলেন ১ র‌্যাব সদস্য

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম ও আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাত জন অপহরণের দিনই আদালত প্রাঙ্গণে এক র‌্যাব সদস্যকে আটক করা হয়েছিল। আদালত প্রাঙ্গণে নজরুলকে অনুসরণ করতে গিয়ে তার লোকজন ধরে ফেলেন ওই র‌্যাব সদস্যকে। পরে তাকে কোর্ট পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হলে আটককৃত যুবক নিজেকে র‌্যাব সদস্য পরিচয় দেন। একই সঙ্গে আদালত প্রাঙ্গণে থাকা র‌্যাব লেখা জ্যাকেট পরা আরেক সদস্য তাকে নিজেদের লোক বলে ছাড়িয়ে নেন।

http://mzamin.com/details.php?mzamin=MjIyODc%3D&s=Mg%3D%3D

কমিশনার নজরুল হত্যার পর আলোচনায় উঠে আসে মায়ার ছেলে দীপু আবার আলোচনায় এসেছে আওয়ামী লীগ নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার পরিবার।



১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর রাজধানীর উত্তরায় ঠিকাদার তরাজউদ্দিন খুনের ঘটনায় ছেলে দীপু চৌধুরীর সম্পৃক্ততায় পড়েছিলেন তৎকালীন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী মায়া। এবার নারায়ণগঞ্জের ঘটনায় অভিযোগ অন্য খুনিদের সাথে মায়ার মেয়ের জামাই ও ছেলে দুজনকে ঘিরেই। নারায়ণগঞ্জের আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডে মায়া পরিবার জড়িত । খোদ কমিশনার নজরুল হত্যার পর নজরুলের পরিবার থেকেই বলা হয়, র‌্যাবের সঙ্গে খুনের চুক্তি করে মায়া চৌধুরীর ছেলে দীপু । ৭ জনকে খুন করা হয় , সেই সাথে এই খুনের দৃশ্য দেখার কারণে আরো ৮ জন কে খুন করে নদীতে ফেলে দেয়া হয়।

কারাগারে তারেক সাঈদের জন্য টিভি ফ্রিজ

নারায়ণ গঞ্জের ৭ খুনের মামলার আসামী আওয়ামীলীগের নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার মেয়ের জামাই সাবেক র‌্যাব কর্মকর্তা তারেক সাঈদ কারাগারে আয়েশি জীবনযাপন ।


বিষয়: বিবিধ

১১৭৩০ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

289216
২৮ নভেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:৫৮
ভিশু লিখেছেন : মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি কোনো অপরাধে বিন্দুমাত্র জড়িত থাকার প্রমাণ না থাকা সত্ত্বেও সুপিরিয়র রেস্পন্সিবিলিটির দোহাই দিয়ে যদি অধ্যাপক গোলাম আযমসহ অন্যান্য নেতাদেরকে মাননীয় বিজ্ঞ আদালত পরিকল্পিতভাবে হত্যা করতে পারেন - তাহলে র‍্যাবের একটি ব্যাটালিয়ানের প্রধান কর্তৃক এই ৭টি নৃশংস হত্যাকাণ্ডের জন্য সুপিরিয়র রেস্পন্সিবলগণকে সুবিজ্ঞ আদালত কি বলবেন?
২৯ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:৩৫
233191
মাহফুজ মুহন লিখেছেন : খুনিরা নিজের মুখে স্বীকার করার পর ও বিচারের কাজ কচ্ছপ গতিতে চলছে। মেয়ের জামাইকে এবং অন্য মাফিয়াদের বাচাতে এখনো টালবাহানা চলছে। এরা তো রিমান্ডে পঙ্গু হয়নি। জামাই আদরে থাকার পর ও বিশেষ সুযোগ চলছে।
289249
২৮ নভেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৫২
ইশতিয়াক আহমেদ লিখেছেন : ভিশু লিখেছেন : মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি কোনো অপরাধে বিন্দুমাত্র জড়িত থাকার প্রমাণ না থাকা সত্ত্বেও সুপিরিয়র রেস্পন্সিবিলিটির দোহাই দিয়ে যদি অধ্যাপক গোলাম আযমসহ অন্যান্য নেতাদেরকে মাননীয় বিজ্ঞ আদালত পরিকল্পিতভাবে হত্যা করতে পারেন - তাহলে র‍্যাবের একটি ব্যাটালিয়ানের প্রধান কর্তৃক এই ৭টি নৃশংস হত্যাকাণ্ডের জন্য সুপিরিয়র রেস্পন্সিবলগণকে সুবিজ্ঞ আদালত কি বলবেন?
Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up
২৯ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:৩৬
233192
মাহফুজ মুহন লিখেছেন : সুপিরিয়র রেস্পন্সিবলগণকে ধরা হবে কি ?
290443
০২ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ০৮:০২
কাঁচের বালি লিখেছেন : আসলেই কি ধরা পড়বে ? আদৌ কি বিচার হবে ?

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File