এক এগারোর কেসারত এই জাতি আরো কতদিন দিতে হবে তা আল্লাই ভালো যানেন মঈইউনো আহমেদকে সেনা প্রধান করে আরমির চেইন অফ কমান্ড ধ্বংস করাই জোটের আজ এই পরিনতি

লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০৯:১২:০৩ রাত

রাজনীতি করতে হবে প্রজ্ঞা মেধা ও পরামর্শের ভিত্তিতে এক এগারোর কেসারত এই জাতি আরো কতদিন দিতে হবে তা আল্লাহই ভালো যানেন। মঈইউনো আহমেদকে সেনা প্রধান করে আরমির চেইন অফ কমান্ড ধ্বংস করাই জোটের আজ এই পরিনতি। প্রজ্ঞাহীন সিদ্ধান্ত পরিহার করার সময়কি একনো আসেনি..?

২০০১সালের জোট বদ্ধ নির্বাচন, ২০০৬ সালে সংঘবদ্ধ আওয়ামী হামলার শিকার জামায়াত-শিবিরের ১৭ জনের শাহাদাত। নিরব বি এন পির শাসন আমলের প্রশাসন।

রাষ্ট্রপ্রতি ইয়াজউদ্দিনের ও বি এন পির মনোনীত করা ভারতের এজেন্ট ও ইসরাইলী ক্লাবের মেম্বার মইউনো আহমেদকে সেনা প্রধান, ৭জন সেনা কর্মকর্তার জৈষ্ঠতাকে লংঙ্গন করে করা হয়েছিল। যা আওয়ামীলীগের ফসলে পরিনত হয়েছে।

এর পর পাতানো সেনাসরকারের নির্বাচন ভারতের সিলেক্ট করে দেয়া ব্যাক্তিদের দিয়ে সরকার গঠন। কোন করণ ছাড়াই জামায়াতে ইসলামীর নেতা কর্মীদের গ্রেপ্তার,মিথ্যা মামলাদিয়ে কারাগারে রাখা হলো লক্ষ লক্ষ নেতাদেরকে।

শুরু হলো এবার ইসলাম মুছে ফেলার খেলা।সংবিধান থেকে আল্লাহর উপর পুর্ণ আস্তা ও বিশ্বাস তুলে দেওয়া,বিসমিল্লাহ তুলে দেওয়া,সব দিগ থেকে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে হিন্দুদের বসানো এভাবে সাজানো রাষ্ট্রিয় কাঠামো।এর পর ধর্মীয় লিবাসে আহলে হক বা ইসলামের ডেন্ডার ধারী সকল ইসলামী দলকে পৃষ্ঠ পোষকতা দিয়ে বুঝানো হলো জামায়াতকে মারছি ইসলামকে নয়,অন্য দিগে সব গুরুত্বপুর্ণ স্থানে নাস্তিক ও হিন্দুদের বসানো হলো।

এর পর শুরু হলো জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের জুডিশিয়াল ক্লিনিং,৭১ সালের মিথ্যা,বানয়াট বস্তাপচা অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডের রায়,আর এতে উচ্চাসে সুযুগ পেয়ে ধর্মের বিরুদ্ধে নাস্তিকদের যে রুপ তা নিজেদের অজান্তে ফুটে উঠলো সাহবাগে।

ইসলাম প্রিয় জনতার জোয়ারে সৃষ্টি হলো হেফাজতে ইসলাম সরকারের এক মাইরে ইসলামের হেফাজত বাদ দিয়ে তাহারা নিজেদের হেফাজতের রাস্তা ঠিক করলো। এর পর বাকিটা ইতিহাসই হয়ে গেল।

এর পর বি এন পি, জামায়াতী বা রাজাকার শব্দ থেকে রক্ষা পেতে নিরবেই জামায়াত নেতাদের হত্যায় সমর্থন দিল। এর পর বি এন পি ভাবলো আজ হোক আর কাল হোক আমরাইতো একদিন ক্ষমতায় যাবো।

জামায়াত-শিবিরের শত শত শহীদের লাশ বহন করতে করতে এক সময় সবটাকে, নিজেদের ভাগ্যে,আর নেতাদের ভাগ্যে খোদার হাতে ছেড়ে দিয়েছেন। একে একে ৭ জন নেতার শাহাদাতকে মেনে নিয়েছে, লক্ষ লক্ষ নেতাদের কষ্ট দুর্দশাকে সাথে করে কাফেলাকে বাচিয়ে রাখার চেষ্টা করে যাচেছ।

কিন্তুু বি এন পি বরা বরের মত বিশ দলের প্রাধান হিসেবে শুধু নিজেদের স্বার্থ কিভাবে ধরে রাখবে তা নিয়ে ব্যাস্ত ছিল।তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ হলো ঢাকা সিটি নির্বাচনে তাবিথ আওয়ালের পার্থী।

সবশেষে পলাশীর আম্রকাননের মত আজ খালেদা জিয়া এক পরাজিত নবাবীর মত একদল কাপুরুষ আর মীরজাফরের হাতে দলের ভাগ্যে তুলে দিয়ে করাগারের পথে রওনা হলেন।

অথচ সেদিন যদি জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের গ্রেপ্তারের সাথে সাথে গর্জে উঠতো আজ এই দেশের অবস্থা এমন হতো না। হে আল্লাহ এই দেশ এবং এদেশের জনগনকে আপনি হেফাজত করুন আমিন।

বিষয়: বিবিধ

১১০১ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

384795
১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ দুপুর ১২:০১
বাংলার দামাল সন্তান লিখেছেন : এর একমাত্র সমাধান তখনই হবে যখন সকল ইসলামপন্থীরা এককাতারে শামিল হবে!
১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ দুপুর ০২:৪৪
317353
কুয়েত থেকে লিখেছেন : আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ লেখাটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য। সকল ইসলামী দল এক হওয়া ফরয কিন্তু হিংসার জন্য পারছেনা যারা একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ইসলামী আন্দোলন করে তারাই সবকিছু করতে পারেন

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File