মুঘল সম্রাট বাবরের সেনাপ্রধান মীর বাকী বাবরের নামানুসারে বাবরি মসজিদ নির্মাণ করেন
লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ১০ নভেম্বর, ২০১৯, ০৩:৩৮:০৩ রাত
১৫২৮: মুঘল সম্রাট বাবরের সেনাপ্রধান মীর বাকী বাবরের নামানুসারে বাবরি মসজিদ নির্মাণ করেন।
১৮৮৫ : মহন্ত রঘুবীর দাস এক কট্টর হিন্দু বাবরি মসজিদের বাইরে একটি অস্থায়ী মন্দির তৈরির দাবি জানান। ফৈজাবাদ কোর্ট সেই আবেদন খারিজ করে দেয়।
১৯৪৯: বিতর্কিত কাঠামোর বাইরে কেন্দ্রীয় ডোমের নীচে রামলালার মূর্তি স্থাপন করা হয়।
১৯৫০: জনৈক গোপাল সিমলা বিশারদ রাম লালার মূর্তি পূজার জন্য জানিয়ে ফৈজাবাদ জেলা কোর্টে আবেদন জানায়।
১৯৫৯: এলাকার অধিকার দাবি করে নির্মোহী আখড়া মামলা করে।
১৯৬১: উত্তরপ্রদেশের সুন্নী ওয়াকফ বোর্ডও এলাকার অধিকার জানিয়ে পাল্টা আবেদন করে।
১৯৮৬ (১ অক্টোবর): স্থানীয় আদালত সরকারকে এক নির্দেশে হিন্দুদের পূজা করার অনুমতি দিয়ে রামলালা যেখানে রয়েছে তার গেট খুলে দিতে বলে।
১৯৮৯: ভগবান শ্রী রামলীলা বিরাজমানের পক্ষে তার সখা এলাহাবাদ হাইকোর্টের সাবেক বিচারপতি দেওকী নন্দন আগরওয়াল আদালতে মামলা করে।
১৯৯০(২৫ সেপ্টেম্বর): অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মানের লক্ষ্যে হিন্দুত্ববাদী বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আদবানী গুজরাটের সোমনাথ থেকে দেশব্যাপী রথযাত্রা শুরু করে।
১৯৯২ (৬ ডিসেম্বর): কট্টর হিন্দুত্ববাদী বিজেপি নেতারা ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অনুযায়ী বাবরি মসজিদ ক্ষতিগ্রস্ত হবে না এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় একটি রাজনৈতিক সমাবেশ করে। যেখানে পরিকল্পিতভাবে কট্টর হিন্দুত্ববাদী ও মুসলিম বিদ্ধেষী ১৫০,০০০ জনের সম্মিলিত একটি দল মসজিদটি সম্পূর্ণরূপে ভূমিসাৎ করে শহীদ করে।
১৯৯৪ (২৪ অক্টোবর): সুপ্রিম কোর্ট ইসলাম ফারুকির মামলার রায়ে জানায় , মসজিদ মুসলমানদের অবিচ্ছেদ্য অংশ নয়।
২০০২(এপ্রিল): এলাহাবাদ হাইকোর্টে বিতর্কিত স্থানের মালিকানা সংক্রান্ত মামলার শুনানী শুরু করে।
২০১০ (৩০ সেপ্টেম্ব): এলাহাবাদ হাইকোর্ট ২:১ সংখ্যাধিক্যের রায়ে বিতর্কিত জমিকে সুন্নী ওয়াকফ বোর্ড, নির্মোহী আখড়া এবং রামলালার মধ্যে তিনভাবে ভাগ করার নির্দেশ দেয়।
২০১১ (৯ মে): সুপ্রিম কোর্ট অযোধ্যার ভূ’মি বিবাদ নিয়ে এলাহাবাদ হাইকের্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দেয়।
২০১৭ (২১ মার্চ): সুপ্রিম কোর্টেও তৎকালীন প্রধান বিচারপতি জে এস খেহার সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নিয়ে কোর্টের বাইরে সমাধান খোঁজার কথা বলেন।
২০১৭ (১ ডিসেম্বর): ২০১০ সালের এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ৩২ জন সিভিল রাইটস অ্যক্টিভিস্ট মামলা করে।
২০১৯ (৮ জানুয়ারি): সুপ্রিম কোট অযোধ্যার বিতর্কিত ভূমি বিবাদ মামলার শুনানীর জন্য প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, শরদ অরবিন্দ বোরদে, এন ভি রমন, ইউ ইউ ললিত ও ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড়কে নিয়ে ৫ সদস্যের সংবিধান বেঞ্চ গঠন করে।
২০১৯ (২৫ জানৃুয়ারি): বিচারপতি ইউ ইউ ললিত এই মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোয় সুপ্রিম কোর্ট সংবিধান বেঞ্জ প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, শরদ অরবিন্দ বোরদে, এস আব্দুল নাজির, অশোক ভ’ষন ও ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড়কে নিয়ে পুনর্গঠন করে।
২০১৯ (২৬ ফেব্রুয়ারি): সুপ্রিম কোর্ট মধ্যস্থতার কথা জানায়। তিন সদস্যের মথ্যস্থতাকারী কমিটি তৈরি করে দেয়।
২০১৯ (৯ মে): মধ্যস্থতাকারী কমিটি সুপ্রিম কোর্ট প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করে।
২০১৯ (১ আগষ্ট): মধ্যস্থতাকারী কমিটি সিলকরা ঘামে আদালতে তাদের রিপোর্ট জমা দেয়।
২০১৯ (৬ আগষ্ট): সুপ্রিম কোর্ট বাবরি মসজিদ ভূমি বিবাদ মামলার প্রতিদিন শুনানীর কথা ঘোষনা করে।
২০১৯ (১৬ অক্টোবর): শুনানী শেষে ঘোষনা করে আদালত রায় সংরক্ষিত রাখে।
২০১৯ (৯ নভেম্বর): চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করে। মুঘল সম্রাট বাবরের সেনাপ্রধান মীর বাকীর নির্মিত মুসলিম ঐতিহ্যের সাক্ষরবাহী এ বাবরি মসজিদের জমিকে হিন্দুদের জমি বলে ঘোষনা করে।
বিষয়: বিবিধ
১০৯৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন