۞۞ বউয়ের মুখ দেখে হঠাৎ করে ঘর থেকে বেরিয়ে এসে বাবুল ভাই বলেছিল, "এইটা আমার বউ না। ওরা অন্য মেয়ে দিয়েছে।" ۞۞

লিখেছেন লিখেছেন সিটিজি৪বিডি ১১ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৬:৩৭:০১ সন্ধ্যা



প্রবাসী থাকি বলে বিয়ে-শাদীর অনুষ্টানে আমরা প্রবাসীরা খুব একটা অংশ গ্রহন করতে পারি না। গতবছর ফেব্রুয়ারীতে ছুটিতে দেশে গিয়ে প্রায় আড়াই মাস ছিলাম। ছুটির দিনগুলোতে সৌভাগ্যক্রমে আমাদের বাড়ীর একটি বিয়ের অনুষ্টানে অংশ গ্রহন করার সুযোগ পাই। কনের বাবার সাথে আমার খুব ঘনিষ্ট থাকার কারনে বিয়েতে যেতেই হয়েছিল। ছোট বেলায় কনের বাবার বিয়েতে অংশ গ্রহন করেছিলাম। সেই সময়ের একটি মজার ঘটনা এখনো মনে পড়ে। কনের বাবা বাবুল ভাই বিয়ে বাড়ী থেকে এসে বউয়ের মুখ দেখে হঠাৎ করে ঘর থেকে বেরিয়ে এসে বলেছিল,"এইটা আমার বউ না। ওরা অন্য মেয়ে দিয়েছে।" তার মুখ থেকে এই কথা শুনে আমি বুঝিয়ে বলেছিলাম,"উনিই আপনার বউ।" আপনি আরেকবার দেখুন।" যাক এবার আসি ওনার মেয়ের বিয়ের কাহিনী নিয়ে....

কনের বাবার নাম বাবুল মিয়া পেশায় মুরগী ব্যবসায়ী। গ্রামের বিভিন্ন হাট-বাজারে মুরগী বিক্রী করে সংসার চালায়। সংসারে তিন মেয়ে ও এক ছেলে। বড় মেয়েটা ক্লাস টেনে পড়ে। দেখতে সুন্দর বলে পাশের গ্রামের রহিম মিয়া তার পুত্রের জন্য প্রস্তাব পাঠায়। বিয়ের প্রস্তাব পেয়ে বাবুল মিয়ার টেনশন বেড়ে যায়। কারণ তার যে জমানো টাকা পয়সা নেই।

একদিন রাতে বাবুল মিয়া ও রহিম মিয়া দু'পক্ষ মিলে বিয়ের দর কষাকষি শুরু হয়। ছেলের পক্ষের মুল কয়েকটি দাবী হচ্ছেঃ

১. বিয়েতে ২০০ জন বরযাত্রীকে খাওয়াতে হবে।

২. বিয়ের দিন ৫০ জনের খাবার রহিম মিয়ার বাড়ীতে পাঠাতে হবে।

৩. কনেকে ১ ভরি স্বর্ণ দিতে হবে।

৪. ছেলের জন্য আলমারী, খাট, সোফাসেট, লেপ-তোষক ইত্যাদি দিতে হবে।

উপরোক্ত দাবীগুলো শুনে কন্যা পক্ষও ছেলের পক্ষ থেকে কিছু দাবি পেশ করা হয়। কন্যা পক্ষের দাবী হচ্ছেঃ

১. মোহরানা হতে হবে ৪ লাখ টাকা।

২. কনেকে ২ ভরি স্বর্ণ দিতে হবে।

৩. কনেকে সাজানের জন্য বিয়ের শাড়ী,প্রসাধনীসহ আরো অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিয়ের সামগ্রী দিতে হবে।

৪. বিয়ের পরে কন্যা পক্ষের ৫০ জন অতিথিকে খাওয়াতে হবে।

দরকষাকষি করে উভয়পক্ষ একে অপরের প্রস্তাবিত দাবীগুলো মেনে নিয়ে বিয়ের একটি দিণক্ষণ ঠিক করে।

কিছুদিন পরেই বাবুল মিয়ার বড় মেয়ের বিয়ে হবে। এখন বাবুল মিয়ার টেনশন বেড়ে গেছে। ছেলে পক্ষের দাবীগুলো পুরণ করতে প্রায় ২ লাখ টাকারও বেশী খরচ হবে। সামান্য মুরগী ব্যবসায়ী বাবুল মিয়ার পক্ষে এত টাকা জোগাড় করা সম্ভব নয় বলে পয়সাওয়ালা আত্বীয় স্বজন, পাড়ার বিত্তশালী, ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মেম্বার ও বন্ধু-বান্ধবের বাড়ীতে গিয়ে টাকা সংগ্রহ করতে মাঠে নামতে বাধ্য হয়। সব টাকা জোগাড় না হওয়ায় বড় অংকের সুদের বিনিময়ে বাবুল মিয়াকে কিছু টাকা মহাজনের কাছ থেকেও সংগ্রহ করতে হয়।

আজ বাবুল মিয়ার বড় মেয়ের বিয়ে দিন। সব আয়োজন শেষ। যোহরের নামাযের আগেই রহিম মিয়ার বাড়ীতে ফার্নিচার ও খাবার পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। যোহরের পরে বরের বাবা রহিম মিয়া তার দলবল নিয়ে বিয়ে বাড়ীতে উপস্থিত হয়েছে। খাওয়া-দাওয়া পর্ব শেষ করে আকদ পড়ানোর পর বাবুল মিয়া কাঁদতে কাঁদতে তার বড় মেয়েকে রহিম মিয়ার পুত্রের হাতে তুলে দেয়। বাবুল মিয়ার কান্নায় আমাকেও কাঁদায়। একজন কন্যাদায়গ্রস্থ বাবুল মিয়াকে আজ বড় অসহায় মনে হলো।

আজই বিয়ের শেষ পর্ব নয়। আগামী একবছর পর্যন্ত বাবুল মিয়াকে কনের শশুরবাড়ীতে আরো অনেক কিছুই দিতে হবে। এই যেমন-----

কিছুদিন পরে-------

বাবুল মিয়াকে বড় মেয়ের শশুরবাড়ীতে আম-কাঠাল-তরমুজ-খেজুরের রসসহ পিঠা পাঠাতে হবে।

রমজান মাসে বাবুল মিয়াকে বড় মেয়ের শশুরবাড়ীতে ইফতারী দিতে হবে। ঈদের আগে মেয়ের জামাই, শশুর-শাশুড়ী, নদন-দেবর ও মেয়ের জন্য কাপড় দিতে হবে। জামাইয়ের পক্ষ থেকে বাবুল মিয়ার কপালে কিছু জুটবে না।

কোরবানীর ঈদের আগে বাবুল মিয়াকে বড় মেয়ের শশুরবাড়ীতে একটি গরু অথবা ছাগল পাঠাতে হবে। ঈদের দিন মসলা-রান্না করা মাংস, পরোটা-পিঠা ও পাঠাতে হবে।

বছর শেষে বাবুল মিয়ার বড় মেয়ের কোলজুড়ে একটি সন্তান আসবে। এই খুশীতে বাবুল মিয়াকে রহিম মিয়ার পরিবারের জন্য রান্নাকরা ভাত-তরকারী পাঠাতে হবে। নতুন অতিথির জন্য কাপড় ও প্রসাধনী পাঠাতে হবে।

এই হচ্ছে কন্যা দায়গ্রস্থ বাবুল মিয়াদের কন্যা জন্মদানের শাস্তি। যারা বড় লোক তাদের শাস্তির পরিমান আরো বড়। এই শাস্তি থেকে গরীব-ধনী কেউ রেহায় পায় না। টাকা থাক বা না থাক সব কিছু শতভাগ দিতে হবে। দিতে না পারলে যে আত্বীয়ের বাড়ীতে মুখ দেখাতে পারবে না।

যুগের পর যুগ ধরে এই প্রথা চলে আসছে। কন্যাকে সুখে রাখতে গিয়ে বাবুল মিয়ারা আজ দিশেহারা। অন্যদিকে রহিম মিয়ারা আনন্দে সব কিছু গ্রহন করে চলেছে। মহা আনন্দে ভোগ করে চলেছে।

বিয়েতে ও বিয়ের পরের দিনগুলোতে দেয়া-নেয়ার এই ট্রেডিশন থেকে বেরিয়ে আসার সময় এসেছে। তরুন সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। বিয়ে করতে গিয়ে উভয়পক্ষ যাতে সর্বশান্ত না হয় সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

তাই হে অবিবাহিত যুবক ভাইয়েরা! পাত্রী পছন্দ হওয়া মাত্রই বলে দিন আমাদের কোন চাওয়া-পাওয়া নেই। শূধুমাত্র ১০০ জন অতিথি নিয়ে আপনার মেয়েকে ঘরে তুলব। কোন আসবাবপত্র ও দেয়ার দরকার নেই। এই রকম প্রস্তাব পেলে কন্যার পিতারা "আলহামদুলিল্লাহ" বলে অবশ্যই বলতে বাধ্য হবে "আপনারা খূশী হয়ে একটা মানসম্মত দেন-মোহর ধার্য করে বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করেন।"

বিষয়: বিয়ের গল্প

৬২৭৭ বার পঠিত, ৪৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

161425
১১ জানুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১৪
আলোর আভা লিখেছেন : আপনাদের এলাকার এই ট্রেডিশানের কথা আমি শুনেছি সত্যি এটা দুঃখজনক।মেয়ের বাবার উপর জুলুম করা হয় ।
১১ জানুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২২
115734
সিটিজি৪বিডি লিখেছেন : এই ট্রাডিশন থেকে কেউ রেহায় পাচ্ছে না। খুব একটা বাজে ট্রেডিশান। মানুষকে সর্বশান্ত করার জন্যই এই ট্রাডিশান।
161428
১১ জানুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২৪
গেরিলা লিখেছেন : ভালো লাগলো Tongue Tongue Tongue
১১ জানুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২৭
115735
সিটিজি৪বিডি লিখেছেন : Good Luck Good Luck
161435
১১ জানুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৩৫
সিকদারর লিখেছেন : আমাদের এখানে ছেলেরা নেয় মেয়েরা দেয় তাই যৌতুক প্রথার কারনে অনেক মেয়ে আই বুড়ো হয়ে যায় । আরব দেশে মেয়েরা নেয় ছেলেরা দেয়। সেখানে এই দেন মোহর এতই অধিক যে ছেলে-মেয়ে দুই বুড়ো হয়ে যায়।
১১ জানুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৪৫
115739
সিটিজি৪বিডি লিখেছেন : দুই দেশের দুই নিয়ম। কয়েকদিন আগে অন লাইন পত্রিকায় দেখেছিলাম সৌদী আরবে অবিবাহিত মেয়ের সংখ্যা নাকি চল্লিশ লাখের উপরে।
161444
১১ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:৩১
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : এই প্রথার প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ করতে গিয়ে আমি শশুর বাড়িতে বেয়াদব এবং নিজের বাড়িতে বেী এর দালাল উপাধিতে ভূষিত।
১১ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:৪৬
115753
সিটিজি৪বিডি লিখেছেন : Amakeo onek kotha sunte hoyechilo..
161454
১১ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:৫৬
ইমরান ভাই লিখেছেন : মেয়ের বাবার সত্যিই কস্ট। আর এর জন্য দায়ী আমরাই (প্রতক্ষ্য ও পরোক্ষ ভাবে)।
১১ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:২৭
115760
সিটিজি৪বিডি লিখেছেন : tik bolechen....imran vai...
161473
১১ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:৫২
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : গল্পটা চেনা চেনা লাগে কেনু?
১২ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:৩৯
115874
সিটিজি৪বিডি লিখেছেন : আমি গল্প লিখতে জানিনা। একটি বিয়ের বাস্তব চিত্রটা তুলেছি।
161486
১১ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:১৭
তায়িফ লিখেছেন : দেশে বিয়ে করতে হলে মিনিমাম ১০ লাখ টাকা মোহরানা, মেয়ের গয়না কাপড় বাবদ ৫ লাখ, বিয়ের পর শালা শালির জন্য কনের বাবা মা দাদা দাদি বাবার বোনের শালির বোনের নানির জন্য কাপড়। প্রায় ২০ লাখ টাকা খরচ করে মেয়ে যখন ইউরোপে নিয়ে আসবেন। তখন সে উপরোপিয়ান হয়ে যাবে। সারা দিন কাজ তারপর বাসায় এসে নিজের রান্না বউয়ের রান্না। একটু উল্টা পাল্টা করলে পুলিশের কল দিয়ে দিবে। তাই এসতসব ঝামেলাতে না গিয়ে মসজিদে গিয়ে কোন ইউরোপিয়ান মেয়েকে মুসলিম বানিয়ে বিয়ে করে ফেলব । ১০/১২ হাজার টাকায় সব ক্লিয়ার। কি বলেন?
১২ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:৪০
115875
সিটিজি৪বিডি লিখেছেন : উত্তম আইডিয়া। ইউরোপিয়ান বউকে দেশেও নিয়ে আসতে পারবেন।
161493
১১ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:২৮
ফুয়াদ সাদাত লিখেছেন : কনের বাড়ীতে ১০০ জন নিয়ে যাবে কেন? এটাও তো জুলুম। বর পক্ষ থেকে ৫-১৫ জন বা কনে পক্ষের আবদার মত।
বিয়ে উপলক্ষে খাওয়াতে চাইলে অলিমায় খাওয়াবে নিজের বাড়ীতে।
আল্লাহ্‌ আমাদের পথ চলা সহজ করে দিন। আমীন
১২ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:৪১
115876
সিটিজি৪বিডি লিখেছেন : খরচ করার বরের এখন বর বিশাল বাহিনী নিয়ে কনের বাড়ীতে গিয়ে হাজির হয়।
161549
১২ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৪:০৬
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : আমাদের সিলেটে কেও সরাসরি যৌতুক চায়না,তবে সব কনে পক্ষই দেয় আর কি।
১২ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:৪২
115877
সিটিজি৪বিডি লিখেছেন : কেউ যৌ্তুক নেয় কেউবা উপহার নেয়। হাসিমুখে কয়জনে দেয়?
১০
161604
১২ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৯:৩৯
আবু আশফাক লিখেছেন : এইসব রসুম পালন করতে গিয়ে,ট্রাডিশন ঠিক রাখতে গিয়ে কতজনকে যে পথে বসতে হয়েছে আল্লাহ মালুম।
১২ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:৪২
115878
সিটিজি৪বিডি লিখেছেন : সবাইতে পথে বসতে হয়। যত সব ফালতু ট্রাডিশান।
১১
161683
১২ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:৪২
রাইয়ান লিখেছেন : খুব ভালো লেগেছে ভাইয়া , অনেক শুকরিয়া !
১২ জানুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:৩৫
115972
সিটিজি৪বিডি লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া। ভাল থাকবেন।
১২ জানুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪৭
116020
রাইয়ান লিখেছেন : আমার খুব খারাপ লাগছে ভাইয়া , আমি যে ভাইয়া নই ....আপু ..... এ কথাটা এতদিনেও বোঝেননি বলে .....Crying Crying Crying Crying Crying
১৩ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:৩৯
116204
সিটিজি৪বিডি লিখেছেন : ঠিক আছে আপু, ভুল হয়ে গেছে..এখন থেকে রাইয়ান আপু......
১২
161690
১২ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:৫৮
এনামুল মামুন১৩০৫ লিখেছেন : একদিন রাতে বাবুল মিয়া ও রহিম মিয়া দুপক্ষ মিলে বিয়ের দর কষাকষি শুরু হয়। ছেলের পক্ষের মুল কয়েকটি দাবী হচ্ছেঃ

১. বিয়েতে ২০০ জন বরযাত্রীকে খাওয়াতে হবে।

২. বিয়ের দিন ৫০ জনের খাবার রহিম মিয়ার বাড়ীতে পাঠাতে হবে।

৩. কনেকে ১ ভরি স্বর্ণ দিতে হবে।

৪. ছেলের জন্য আলমারী, খাট, সোফাসেট, লেপ-তোষক ইত্যাদি দিতে হবে
ভালো লাগলো পিলাচ
১২ জানুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:৩৬
115973
সিটিজি৪বিডি লিখেছেন : Good Luck Good Luck
১৩
161691
১২ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০২:০৮
প্রেসিডেন্ট লিখেছেন : সামাজিক প্রথার নামের এসব জুলুম বন্ধ করতে হবে। এ জন্য সামাজিক সচেতনতা জরুরী।
১২ জানুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:৩৭
115974
সিটিজি৪বিডি লিখেছেন : এই জুলুম কোন দিন বন্ধ হবে না প্রেসিডেন্ট সাহেব। সংসদে এর জন্য আইন পাশ করতে হবে।
১৪
161747
১২ জানুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:২৯
আলোকিত ভোর লিখেছেন : খুব ভালো লিখেছেন ভাই। ধন্যবাদ Rose Rose Rose
১২ জানুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৩৫
116017
সিটিজি৪বিডি লিখেছেন : Good Luck Good Luck
১৫
162014
১৩ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:০৪
মিশেল ওবামা বলছি লিখেছেন : ভাইয়া, আপনাদের চাটগার এই রীতি নিয়ে আমার একটা ঘটনা জানা আছে। সময় পেলে লিখবো ইনশাআল্লাহ। আর অনেক ছেলের নিজের কোন চাহিদা না থাকলেও ফ্যামিলির অন্যদের চাহিদা কিন্তু ঠিকই থাকে, সবার মনে একটাই ধারনা বদ্ধমূল যে আমরা ছেলেকে অনেক কষ্ট করে মানুষ করেছি তাই এটা আমাদের পাওনা। ভাবে মনে হয় মেয়েদেরকে মানুষ করতে বুঝি টাকা,পয়সা, শ্রম কিচ্ছু লাগে না...।
১৩ জানুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:৫৯
116307
সিটিজি৪বিডি লিখেছেন : আপনার ঘটনাটি শুনতে চাই। আমাদের এই ট্রাডিশন খুব একটা বাজে ট্রাজিশন। গরীবরা কত কষ্ট করে তাদের ছেলে-মেয়েদেরকে লালনপালন করে বড় করে। তারপর আবার টাকা দিয়ে বিয়ে দিতে হয়। কি আর বলব। এই ট্রাডিশন মনে হয় চলতেই থাকবে।
১৬
162319
১৪ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৯:৪০
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : বিয়ের মত সহজ এবং প্রয়োজনীয় একটি ব্যাপারকে আমরা আনুষ্ঠানিকতার মোড়কে এত কঠিন করে ফেলেছি যে এখন বৈধ পন্থার চেয়ে অবৈধ পন্থা অবলম্বন করা মানুষের সহজ মনে হচ্ছে। দুঃখজনক। Yawn Yawn Yawn
১৪ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:৫১
116595
সিটিজি৪বিডি লিখেছেন : বিয়ে করা/বিয়ে দেয়া এখন আর সহজ নয়। যাদের ঘরে বিবাহযোগ্য কন্যা আছে তাদের চোখে ঘুম নাই। ট্রাডিশন রক্ষা করতে গিয়ে সবাই ফতুর হয়ে যায়।
১৭
163278
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:৪৯
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : এক লোক বিয়ে করে বউ ঘরে আনার পর শ্বশুরের দেয়া মোটর সাইকেল জড়িয়ে ধরে এই বলে বিলাপ করছিল 'অ- মোটর সাইকেল, আমি তোরে বিয়ে করেছি...' ব্যপারটা ছিল - মোটা দাগের যৌতুক পেয়ে মেয়ে না দেখেই বিয়েতে রাজী হয়ে যায় এবং বউ ঘরে এনে দেখে বউ তার কল্পনার সেই হুরপরী নয়..
১৮ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:১৩
118060
সিটিজি৪বিডি লিখেছেন : হাহাহা.........যৌতুকের বউ আর কত সুন্দর হবে?
১৮
163425
১৭ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৫:২৯
আমরা মুক্তমনা লিখেছেন : আমি কিছুই চাইনা, শুধু সাদা রঙের একটা ফুল চাই . . .
১৮ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:১৩
118061
সিটিজি৪বিডি লিখেছেন : আমিও চাই।
১৯
173041
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৪৭
শফিউর রহমান লিখেছেন : এগুলো ট্রেডিশনের নামে ছাগলামী ছাড়া আর কিছুই না।
যে বিয়ে করে সে তো তার নিজের প্রয়োজনেই বিয়ে করে। তাহলে যাকে বিয়ে করা হয় তার বা তার পিতার কাছ থেকে এতকিছু আদায় করতে হবে কেন? বিয়ে কি শুধু কন্যারই দরকার? বরের বিয়ের দরকার নাই? যদি দরকার না থাকে তবে বিয়ে করতে কে বলে?
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:৪৩
126803
সিটিজি৪বিডি লিখেছেন : এই ট্রাডিশন ভাঙতে হবে।
২০
179195
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১২:৫৩
মুমতাহিনা তাজরি লিখেছেন : ভাইয়া অনেক আগে পড়েছিলাম কিন্তু মন্তব্য করতে পারিনি। এইসব রসুম অনেক জায়গায় দেখা যায়। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:৩৬
132304
সিটিজি৪বিডি লিখেছেন : আপনি হচ্ছেন আমার প্রতিটি পোষ্টের পাঠক.. তাই আপনার জন্য স্পেশাল দোয়া রইল।
২১
182544
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০২:৫৬
নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা লিখেছেন : বাহ খুব ভালো পর্যবেক্ষক তো আপনি। বাস্তবে ও আসলে এমনই হয়। দোয়া করি এধরণের পাত্র পক্ষকে আল্লাহ যেন হেদায়াত নসীব করেন। লিখার জন্য ধন্যবাদ।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০৪
135037
সিটিজি৪বিডি লিখেছেন : আমিন.............আমার জন্য দোয়া করবেন।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File