বাংলাদেশেও এখন আইএস পাওয়া যাচ্ছে

লিখেছেন লিখেছেন ওয়েলকামজুয়েল ২৪ নভেম্বর, ২০১৫, ০৮:২৫:১৫ রাত

যেহেতু বাংলাদেশেও এখন নাকি আইএস পাওয়া যাচ্ছে, সেহেতু সঙ্গত কারণেই বাংলায় যে ফ্রান্সের মতো আক্রমণ হবেনা তা বলা যায়না। পাঁচ বছর আগেও নাহয় এহেন সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যেতো, কিন্তু এখন ঢাকায় এমনটা হতেই পারে। সেক্ষেত্রে এধরণের কোন উদ্ভূত পরিস্থিতি তাৎক্ষণিকভাবে সামাল দিতে বাংলাদেশের সামরিক প্রস্তুতি কতোখানি?

বিজাতীয়দের এদেশীয় বশংবদদের একাংশ বরাবরই বাংলাদেশকে উগ্রবাদের উর্বর ক্ষেত্র হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছে। কিন্তু যেকোনো উদ্ভূত পরিস্থিতির মুখে বাংলাদেশের প্রস্তুতি কতোটুকু সে বিষয়ে কেউ গা করেনি। অবশ্য যারা 'কবিতা রুখবে সন্ত্রাসবাদ' শীর্ষক বালখিল্য ও চরমতম ননীর পুতুল মার্কা খেয়ালে আসক্ত তাদের কাছ থেকে জরুরী পরামর্শ যেমন আশা করা বাতুলতা, তেমনি কামনা করাও নির্বুদ্ধিতা।

যাহোক, প্যারিসের মতো হামলা যদি ঢাকার বাইরে হয়, তাহলে সেখানে পাল্টা আঘাত হানতে হানতেই দেরি হয়ে হয়ে যাবে। এধরণের ভয়ানক আক্রমণ বা অ্যাসল্ট মোকাবিলার সক্ষমতা পুলিশের নেই। এক্ষেত্রে অবশ্যই প্রথম ধাক্কাতেই সেনাবাহিনী পাঠাতে হবে। ফলে ঢাকার বাইরে এধরণের সংঘবদ্ধ হামলা হলে তার জন্য নিকটবর্তী সেনানিবাস থেকে সেনাবহর যাবার অপেক্ষা করা ছাড়া সরকারের করার কিছু থাকবে না। অনেক সময় নিকটবর্তী সেনানিবাসও হতে পারে অকুস্থল থেকে দূরে। উদাহরণস্বরূপ, যদি নোয়াখালীতে এমন আক্রমণ হয়, তবে সবচেয়ে নিকটবর্তী কুমিল্লা সেনানিবাস থেকে সৈন্য পাঠাতে অনেকটা সময় লেগে যাবে। এই সময়টায় স্থানীয় পুলিশের পক্ষে কতোটা কি করা সম্ভব তা সন্দেহের অবকাশ রাখে।

যদি এধরণের হামলা ঢাকা শহরে হয়, তবে সেনাবাহিনী বা আধাসামরিক বাহিনীর সৈন্যরা তুলনামূলক অল্প সময়ে প্রতি আক্রমণ শানাতে পারবে। তবে ঢাকা বা তার আশেপাশের সেনাছাউনিসমূহে অল্প সময়ে আক্রমণে নামতে প্রস্তুত কোন সেনা ইউনিট প্রস্তুত রাখা হয় কিনা আমার জানা নেই। যতদূর জানি, ঢাকার সবচেয়ে শক্তিশালী সেনা ইউনিট ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেড কোন কুইক রেসপন্স ইউনিট নয়। ফলে যুদ্ধসাজে তৈরি হতে এই বাহিনীর একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ সময় অবশ্যই লাগবে। সাভারের নবম পদাতিক ডিভিশনের ক্ষেত্রেও একই কথা খাটে। এছাড়া হালে র‍্যাব ও পুলিশে যেসব অভিজাত কমান্ডো ইউনিট গঠিত হচ্ছে, বৃহৎ পরিসরে তাদের কর্মক্ষমতা অপ্রতুল হবার সম্ভাবনাই বেশি। নৌবাহিনীর অভিজাত নেভি সীল সোয়াডসের ক্ষেত্রেও একই বিষয় প্রযোজ্য।

যেহেতু 'মহাসমারোহে' আমরা বহুজাতিক সন্ত্রাসবাদের দ্বারা আক্রান্ত হয়ে গেছি, সেহেতু আমাদের সে অনুযায়ী সামরিক প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। সামরিক বাহিনী এখন ক্রম সম্প্রসারমান। কোন চৌকশ কুইক রেসপন্স ইউনিট স্থাপিত হয়েছে কিনা জানিনা। যদি না হয়ে থাকে, তবে তেমন বর্ধিত কলেবরে এধরণের কোন ইউনিট প্রতিষ্ঠা করা দরকার। বিভিন্ন বড় শহর ও ভৌগলিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে এই ইউনিট সার্বক্ষণিক মোতায়েন থাকতে পারে, যাতে যেকোনো উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় ন্যূনতম সময়ের মধ্যেই প্রত্যাঘাত নিশ্চিত করা সম্ভব হয়...।

বিষয়: বিবিধ

৮১৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File