ভোট রাজাকারঃ রাজনৈতিক দেউলিয়া

লিখেছেন লিখেছেন ওয়েলকামজুয়েল ০২ জানুয়ারি, ২০১৯, ০৭:১৫:৪২ সকাল

এবার যেটা হয়েছে এটাকে আমি ভোট রাজাকারী বলি। এটার প্রপার ডেফিনেশন হওয়া উচিত - ভোট রাজাকারী।

যারা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে এই ইলেকশনকে এম্পাওয়ার করতেছে, হাততালি দিতেছে - এরা সবাই ভোট রাজাকার। পৃথিবীর যে কোনো দেশে যে কোনো পরিস্থিতিতে - নিজের দেশের মানুষকে ভয় দেখায় রাজাকারেরা। এটা ইউনিভার্সাল ট্রুথ।

২০১৮ সালের এই নির্বাচনের আগে এদেশের মানুষকে ভয় দেখিয়েছে আওয়ামী লীগ।

নিজের দেশের মানুষকে তারা ভয় দেখিয়েছে।

নোয়াখালীর কিং মোজাম্মেল, সাতক্ষীরার কিং অফ কলারোয়া, ময়মনসিংহের কিং সাইফুল, কুষ্টিয়ার কিং জাকির - এই রকম অসংখ্য হিজ রয়াল হাইনেস কিং- রা নিজের দেশের মানুষকে ভয় দেখিয়েছে, থ্রেট দিয়েছে।

ভোট দিতে যাবেন না। গেলে শুধু নৌকায় ভোট দিবেন। কথা না শুনলে শাস্তি। হাড় গোড় ভেঙ্গে ফেলা হবে, জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছাই করে দেয়া হবে।

ভোটের দিন যা হয়েছে।

১। গলির মুখে, রাস্তায় রাজাকার ট্রুপস গুলো বসে ছিলো। মানুষকে পোলিং সেন্টারে যেতেই দিবে না।

২। কেউ পোলিং সেন্টারে গেলে সেখান থেকে তাড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে।

৩। কেউ পোলিং সেন্টারের ভেতর পর্যন্ত গেলে -

ইদার প্রিসাইডিং অফিসার ভোটারের আঙ্গুলে কালি দিয়ে ব্যালট ভেতরে বসে থাকা একটা রাজাকারকে দিয়ে দিছে, সেই রাজাকার সেটা নৌকায় সিল দিয়ে বাক্সে ফেলছে। অথবা ব্যালট ভোটারের হাতে দিলেও, প্রাইভেট বুথ / গোপন কক্ষে ভোট দিতে দেয়া হয়নি। ঐ রাজাকারদের সামনে প্রকাশ্যে নৌকায় সিল দিতে হবে। নইলে ভোটারকে মারা হবে। নাম - ঠিকানা মার্ক করে পরে পুলিশ দিয়ে ধরা হবে। অথবা কেউ গোপন কক্ষে ভোট দিলেও বাক্সে ড্রপ করার আগে রাজাকার গুলোকে ব্যালট খুলে দেখাতে হবে - সিল নৌকায় কিনা। নৌকায় না হলে রাজাকারগুলো ব্যালট হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলবে।

৪। নৌকার রাজাকার গুলো ছাড়া আর কোনো দলের এজেন্ট সেখানে থাকতে পারবেনা। থাকলেই মেরে ভাগানো হবে। এই আচরণ গুলো সাধারণ ভোটারদের সাথে করা হয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দলগুলোর সাথে কি করা হয়েছে সেটা আরেক পয়েন্টে বলতেছি। এগুলো রাজাকারী ছাড়া আর কোন সংজ্ঞায় ফেলতে পারবেন না। অনেকটা মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের সাধারণ মানুষকে যেভাবে থ্রেট করা হয়েছে, কথা না শুনলে সিধা করার ভয় দেখানো হয়েছে - সেইম প্যাটার্ন।

তো দয়া করে এগুলো প্রহসন, জালিয়াতি, চুরি, ডাকাতি - এসব মাইল্ড টার্ম দিয়ে ডেসক্রাইব করবেন না। এগুলো যা, এগুলোকে তাই বলুন।

ভোট রাজাকারী......

[২] এই ইলেকশন যেভাবে জ্যাকড এবং রিগড - তাতে একটা বিষয় সম্পূর্ন ভুল প্রমাণিত হয়েছে।

শুধু এই ইলেকশন না। প্রতিটা ইলেকশন-ই গত ১০ বছর ধরে রিপাবলিক অফ ওয়াদিয়া স্ট্যান্ডার্ডে হইতেছে। প্রতিটা ইলেকশন থেকেই একটা বহুল প্রচলিত এবং কথিত বাঙালী শ্লেষাত্মক বাক্য ভুল প্রমাণিত হইছে।

সেটা কি ?

বাঙালী হইলো গোল্ড ফিশ মেমোরির মফিজ, সব ভুইলা যাইবো......

এটা সম্পুর্ন ভুল প্রমানিত হয়েছে। মানুষ কখনোই কিছু ভুলে নাই। প্রতিবার-ই আওয়ামী লীগ ভাবছে কিংবা ভাবতে চাইছে - পাবলিক গোল্ড ফিশ মেমোরির মফিজ, নো টেনশন। প্রতিবার-ই প্রতিটা ইলেকশনের আগে তারা মাঠের হাওয়া টের পায় যে মানুষ কিছুই ভুলে নাই এবং তাদেরকে ভোট দেবে না।

সুতরাং আওয়ামী লীগ যে ভাবতেছে -

ক্ষমতা নিয়ে ফেলি, পাবলিক গোল্ডফিশ মেমোরির মফিজ, কেমনে ক্ষমতা নিছি- সেটা মনে রাখতে পারবেনা, নেক্সট ইলেকশনের আগে সব ম্যানেজড হয়ে যাবে...এটা বার বার ভুল প্রমাণ হইছে।

মানুষ কিছুই ভুলতেছেনা। কিছুই ম্যানেজড হইতেছেনা। সব তাদের মেমোরিতে থাকতেছে এবং ভোটের সময় তার ডিসিশন ট্রিগার কোরতেছে। আর বাংলাদেশের ৪৭ বছরের ইতিহাসে মোস্ট নেকেড অ্যান্ড ন্যাস্টি ভোট রাজাকারী তাদের মেমোরিতে বাকী জীবন থেকে যাওয়ার কথা।

তার ওপর যুগটা ডিজিটাল, সব প্রমান ম্যাক্স ১০ গিগার মেমোরিতে রেখে দেয়া সম্ভব।

আওয়ামী লীগ ইজ নট এসকেপিং।

আওয়ামি লীগ তাদের সব পরিকল্পনা - 'বাঙালী গোল্ড ফিশ মেমোরির মফিজ' - এই অ্যাসাম্পশনটা বাদ দিয়ে করলেই ভালো করবে।

[৩] এই ইলেকশনের ৩য় গুরুত্বপূর্ন পয়েন্ট হচ্ছে - বাঙালি নিজেরটা নিজে করে খাওয়া শিখবে।

রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র, কোটা সংস্কার, নিরাপদ সড়ক এবং আরো অনেক। যে কোনো গন আন্দোলনে বিএনপিওয়ালাদেরকে দোষারোপ করা হয়। বিএনপি'র ওপর কি ধরনের অত্যাচার চালানো হইতেছে সেটা দেখেও না দেখার ভান করেন এবং নিজের স্বার্থের সময় বিএনপিকে সঙ্গে চান। তো নানা পরিস্থিতির কারণে যখন দেখা যাইতেছে বিএনপি চাইলেও কিছু করতে পারতেছেনা, তখন মানুষ নিজেরাই ক্ষুব্ধ হইতেছে। ধীরে ধীরে নিজেরটা নিজে করে খাওয়া শিখতেছে। এবারের নির্বাচনে মানুষ আশা করছিলো - ৩০ শে ডিসেম্বর বিএনপি মাঠে থাকবে। তারা ভোট দেবে। কিন্তু কি ঘটছে বিএনপির সাথে সবাই জানেন। নিজের ভোট নিজে দিতে হইছে। কেউ পারছে জোর করে নিজের পছন্দের মার্কায় ভোট দিতে? রাজাকার গুলোর ভয়ে নৌকায় প্রকাশ্যে দিতে বাধ্য হইছেন।

বাট দিন শেষে সত্যিটা হচ্ছে - নিজেরটা নিজে করতে বাধ্য হইতেছেন।

এভাবে যখন সারা দেশের মানুষ নানা ঘটনায়, অনাচারে অত্যাচারে নিজের কাজ নিজে করা শিখে ফেলবে, একই ক্ষোভ - রাগ - সংকল্প কোটি মানুষকে এক করে ফেলবে - সেদিন নিজের দেশ নিজের হাত দিয়ে ফেরত পাবে।

[৪] ক্ষমতা নিছে, কিন্তু এই দলটা এখন একটা গণশত্রুতে রূপান্তরিত হইছে। সামাজিক - পারিবারিক মণ্ডলে অনেকেই রাজনৈতিক আলোচনায় নিজের আওয়ামী সমর্থক পরিচয়টা লুকিয়ে রাখে। অনেকটা যেন পরিবারের কলঙ্ক লুকানোর মত। এই অবস্থা ১০ বছর আগেও ছিলো না। এখন 'আমি আওয়ামী লীগ করি' - এটা শুনলে মানুষ মুখ কুঁচকে তাকায়। মনে হয় যেন একটা কনভিক্টেড ক্রিমিনাল দেখতেছে।

এটার ইমপ্যাক্ট হিউজ এবং এভার লাস্টিং।

এই মুহুর্তে আওয়ামী লীগ গণশত্রু আনফিশিয়ালি, পাবলিকলী। উইদাউট এনি লুকোছাপা। এবং এখান থেকেই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের শেষ।

ক্ষমতার শেষ কখন সেটা সময় বলে দেবে।

যেই নৌকা ছিলো ৪৭ বছর আগে এই দেশের মানুষের আশার মার্কা, মুক্ত হওয়ার মার্কা - সেই নৌকা এখন মানুষের কাছে ভয়ের মার্কা, গুণ্ডার মার্কা, রাজাকারের মার্কা, গণশত্রুর মার্কা।

নো রিকভারি।

[৫] বিএনপি কি মরে যাবে?

না। বিএনপি একটা দল না। এটা একটা কনসেপ্ট কাউন্টার কনসেপ্ট অফ আওয়ামী লীগ।

এই দল, এই ধানের শীষ ১০ বছর কোথাও না থেকেও যদি ২০২৮ -এ ইলেকশনে আসে, ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশনে ল্যান্ড স্লাইড উইন পাবে।

কারণ বিএনপি'র লিডারশিপ হচ্ছে জাস্ট একটা পলিটিকাল ফ্রন্ট। আসলে বিএনপি হচ্ছে আওয়ামী লীগকে ঘৃণা করা সব বাংলাদেশী। বিএনপি কোনো দিনও মরবেনা। আওয়ামী লীগ হাজার চেষ্টা করলেও না। বরং আওয়ামীলীগ তার রাজনৈতিক মৃত্যুর মিড স্টেজে আছে। যেটা বললাম - নৌকার লোক মানে মানুষকে ভয় দেখানো লোক। নৌকা মার্কা মানে ভয়ের মার্কা, গণশত্রুর মার্কা।

[৬] রাজনৈতিক ভাবে আগে অনেক তর্ক বিতর্ক করা লাগতো মানুষের সাথে। মানুষকে কনভিন্স করার চেষ্টা করতাম নিজের সব লেখনীর শক্তি দিয়ে।

ধানের শীষ আলো, নৌকা অন্ধকার। তাও প্রচুর ঘ্যানর ঘ্যানর শুনতাম। জামাত কেন সঙ্গে, বিএনপি এক অন্ধকারের শক্তি - ইত্যাদি ইত্যাদি......

বাস্তবতা হচ্ছে - বাম, নাস্তিক, কোন দল করিনা - সব পার্টির কাছে নৌকা এখন একটা ডার্ক ফোর্স, অন্ধকারের শক্তি। ধানের শীষ এখন আলোর উৎস, অন্ধকার থেকে মুক্তির মশাল। মানুষ নিজেই বোঝে, বোঝাতে হয় না।

ইটস আ গ্রেট ভিক্টরি।

বিষয়: বিবিধ

৭২৬ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

386303
০৪ জানুয়ারি ২০১৯ রাত ০৮:২৭
হতভাগা লিখেছেন : আওয়ামী লীগের নেতারা যুদ্ধ না করেও মুক্তিযুদ্ধের ধারক বাহক সেজে গেছেন এবং যুদ্ধ পূর্ববর্তী ও পরবর্তী প্রজন্মকে সেটা কনভিন্স করাতে পেরেছেন।
সাথে উনাদের বিরোধী যারা তার সশরীরে সন্মুখ সমরে যুদ্ধ করলেও তাদেরকে রাজাকার ট্যাগ মেরে দিচ্ছেন । সেটাও উনারা দেশবাসীকে হজম করাতে পেরেছেন। এমন কি রাজাকারের ছেলের সাথে মেয়ে বিয়ে দিলেও উনারা তেমন কোন প্রশ্নের সন্মুখীন হন না।

জামায়াতকে কেন মন্ত্রীত্বে বসালো , কিংবা তারা যাদেরকে যুদ্ধাপরাধী ট্যাগ দিয়েছে তাদেরকে কেন বিএনপি সাথে নিল - এটা নিয়ে বিএনপির মত সন্মুখ সমরে যুদ্ধ করা নেতাদের দলকে তারা ভালই বাটে ফেলতে পেরেছে । এবং ৭১ পরবর্তী প্রজন্মকে সেটা খুব ভালভাবে গেলাতে পেরেছে যে বিএনপি স্বাধীনতা বিরোধীদের সাথে মিলেছে।

কিন্তু উনারা যে জামায়াতের সাথে ১৯৯৪-৯৬ এ বিএনপির বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলেন সেটা নিয়ে জনগনকে প্রশ্ন করার সুযোগই রাখেন নাই।

ড. কামালকে জামায়াত নিয়ে কথা বলতে হয়েছে। কখনও কি কোন সাংবাদিককে শেখ হাসিনাকে ১৯৯৪-৯৬ এ জামায়াত সখ্যতার জন্য প্রশ্ন করতে দেখা গেছে?

তার মানে আওয়ামী লীগের প্রচার যন্ত্র খুবই শক্তিশালী। যা দিয়ে তারা জনগনকে তাদের কথা গেলাতে পারে , হজম করাতে পারে।

এবার ইলেকশন যে শান্তিপূর্ণ হয়েছে সেটাতে খুব কম লোকই দ্বিমত করবে। বিদেশ থেকে যারা এসেছেন পর্যবেক্ষক হিসেবে তাদের বিষয় ছিল ভোট শান্তিপূর্ণ হচ্ছে কি না - সেটা দেখা। ব্যালট বাক্সের রুমে কি হয়েছে সেটা কি উনারা স্বতঃ প্রনোদিত হয়ে দেখেছেন? দেখেন নি , কারণ সেটা তাদের দেখার বিষয় ছিল না।

অনেকের কাছে শুনেছি - নৌকায় সিল মারা ব্যালটে ব্যালট বাক্স পূর্ণ হয়েছে আগের দিন রাতে । সেগুলো কেন্দ্রেরই আরেকটা রুমে রাখা হয়েছে যেটা ছিল তালা বদ্ধ। ৪ টার পর সেটাই গোনা হয়েছে।

আমার মত হল- এত কষ্ট করে ভোট গণনার মধ্যে উনারা যান নাই। ৫ টার পর পরই উনারা এক একটি কেন্দ্রের ফলাফল দেখাতে থাকেন । সেটাতে দেখা যায় - আওয়ামী লীগের প্রার্থী পেয়েছে ১২/১৩ হাজার ভোট আর বিএনপির লোক পেয়েছে ১১ ভোট। তখনই বুঝে গিয়েছি যে বিএনপি একটা সিটও পাবে না ।৫ টা দিয়েছে দয়া করে - যাতে সংসদে বিএনপির লোকেরা জিয়া, খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়ার নামে আওয়ামী লীগ নেতারা যে অশালীন গালাগাল করেন, ক্রিটিসাইজ করেন সেটা শুনতে বাধ্য হয়।

কন্ট্রোল রুম থেকে খুব দ্রুতার সাথে রেজাল্ট পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এমন এক বিজয় দেখানো হয় যে , আওয়ামী লীগ আসনও পেয়েছে বিশাল সংখ্যায় এবং জিতেছেও বিশাল ব্যবধানে। স্বল্প ব্যবধান হলে সেটা নিয়ে হাঙ্গামা হত, বিশাল হওয়াতে - অধিক শোকে পাথর হবার মত অবস্থা হয়েছে বিএনপির লোকদের। তারা এই রেজাল্টে হতবাক হয়ে গেছেন এবং নিজেদেরকেও বিশ্বাস করতে পারছিলেন না।

হাঙ্গামা হলে সেটা প্রতিরোধ করতো পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি ও সেনা বাহিনী - সেটা বুঝা গিয়েছে শপথ নেবার আগেই উনারা শেখ হাসিনাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। উনারা খেটেছেও আওয়ামী লীগের জন্য গত এক মাস।

এই যে এত কিছু মেকানিজম করেছে তারপরেও তো কোন প্রতিবাদ হয় নি কোন খানেই তেমন। বিদেশীরাও স্বাগত জানিয়েছে। তাদের কোন সমস্যা নেই হাসিনা কিংবা খালেদার সাথে। যে তাদেরকে বেশী সুবিধা দিতে পারবে তারা তাকেই চাইবে।

তাদের মিডিয়া উইং খুবই শক্তিশালী। তারা মানুষকে সন্মোহন করে ফেলেছে। এত গুম, খুন করেও আর ব্যাংকের টাকা লুটেও তারা কিন্তু ঠিকই বিশাল সংখ্যায় ও বিশাল ব্যবধানে জিতেছে।

শেখ হাসিনার আসনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী কোন ভোট পায় নি - মানে সে নিজেও নিজেকে ভোট দেয় নি। আওয়ামী লীগ ভোট পেয়েছে মোট ১১ কোটি অথচ বাংলাদেশে ভোটারই হচ্ছে ১০ কোটি ৪২ লাখ।

কেউ কি এটা নিয়ে কথা বলতে পারবে কিংবা যেসব বিদেশীরা এই ভোট পর্যবেক্ষণ করেছেন তারা কি এটা শুনে তাদের মত পাল্টাবেন কিংবা তোফায়েল ক্যাডার হুদা সাহেব কি নির্বাচন পূনরায় নেবেন? না।

কারণ আওয়ামী লীগ মানুষকে কনভিন্স করতে পেরেছে বাংলাদেশের মানুষদের - যুদ্ধ না করেও তারা মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দানকারী দল হিসেবে গন্য , জনগনের ভোট না পেয়েও তাদের ভোট সংখ্যা মোট ভোটার সংখ্যার চেয়েও বেশী।
তারা দেখিয়েছে পর পর দুইবার কিভাবে জনগনের ভোট না হলেও নির্বাচনে জেতা যায়।

উনারা যে সিস্টেম করে ফেলেছেন তাতে আগামী ৫০ বছর উনারা ক্ষমতায় থেকে যাবেন।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File