বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া সম্পর্কের সোনার যুগ! অন্ধের হাতি দর্শন এবং চাটুকারের আহাজারী

লিখেছেন লিখেছেন সাইয়েদ ইকরাম শাফী ১০ এপ্রিল, ২০১৭, ১১:২৩:৪৪ রাত



বেশ কিছুদিন আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শাসনের গুনগান গেয়ে তিনি এখন যুক্তরাজ্যের লন্ডনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস মিনিস্টার হয়েছেন। তিনি একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে সরকার ও হাসিনার ইন্ডিয়া সফর নিয়ে বেশ গুণগান গেয়েছেন। নুন খেলে গুণ গাইতে হবে-এটাই স্বাভাবিক। নিজ দলের গুণগান গাইবেন সেটাও স্বাভাবিক। কিন্তু নিজ দলের গুণগান গাইতে গিয়ে অন্যদের বিরুদ্ধে যাচ্ছে তাই মিথ্যাচার ও আহাজারী করবেন-সেটা কি মানুষ বিশ্বাস করবে? মানুষ তো আর এসব আওয়ামী চামচা, চাটুকার ও পদলেহনকারীদের মতো অন্ধ নয়। আওয়ামী লীগের অন্ধ সমর্থক এসব কিটদের মুখে শুধু কিছু সীমাবদ্ধ শব্দই থাকে। শব্দগুলো হলো: মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। ইন্ডিয়া বাংলাদশের বন্ধু রাষ্ট্র। ইন্ডিয়ার সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কের নবযুগের সূচনা হয়েছে। বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন। এসব আর কি! মানুষ সবকিছু দেখতে পাচ্ছে। হ্যা, মানুষ দেখতে পাচ্ছে! হাসিনা বাংলাদেশকে কোন দিকে এগিয়ে নিচ্ছেন-সেটাতো মানুষ খুব ভালো ভাবেই দেখতে পাচ্ছে। সে অন্ধ আওয়ামী চাটুকার লিখেছেন: যুগ যুগ ধরেই বিএনপি নামক দলটি এতো মিথ্যা বলে চলেছে যে, আস্তে আস্তে সাধারণ মানুষ তাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। সেই সব মানুষ যাদের পাকিস্তান প্রীতি নাই আর যারা দেশের মঙ্গল চান। সাংবাদিক নামধারী দুর্বৃত্ত চরিত্রের এমন চিড়িয়াদের মনে হয় কোনো লজ্জা-শরম নেই। ফ্যাসিবাদের এ নির্লজ্জ সমর্থক লিখেছেন: ‘দেশে গিয়েই খুব ভাল লাগল… অনেক উন্নতি হচ্ছে দেখে।’ কিন্তু হায়, বিএনপি চোখ দিয়ে এগুলো দেখতে চাই না। আর শুধু এক গান গায়, ‘দেশ বিক্রি হয়ে গেল ভারতের কাছে।’ বলুন তো কী বিক্রি হয়েছে? এসব বেহায়াদের চোঁখে এখন শুধু উন্নয়নই ঝিলিক মারে! তাদের দৃষ্টিতে জনগণের মতামতকে পদদলিত করে জবরদস্তি মূলক ক্ষমতা দখল করে রাখার নামই তো গণতন্ত্র! বাঁশ দিয়ে বিল্ডিং তৈরী করার নামই তো উন্নয়ন! এর চেয়ে ভালো উন্নয়ন দুনিয়ার কোন দেশে আছে বা পাওয়া যাবে? দেশে এমন উন্নয়ন হচ্ছে যে, এর জোয়ারে বাংলদেশের ব্যাংকের রিজার্ভ পর্যন্ত ডাকাতি হয়ে গেছে! সে চাটুকার বলেছেন, মানুষ মেরে নাকি বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় গেছে। মানুষ মেরে কারা জবরদস্তি মূলক ক্ষমতা দখল করে আছে-সাংবাদিক নামধারী নির্লজ্জ আওয়ামী চাটুকাররা না দেখলেও দেশের মানুষ ঠিকই দেখছে। কারা দেশে বার বার অরাজকতা তৈরী করে ক্ষমতা দখল করেছে-সেটাও সবাই জানে। অবৈধ ক্ষমতা দখল করে রাখতে কারা অব্যাহত ভাবে রাজনৈতিক বিরোধীদের বিরুদ্ধে হামলা-মামলা, গ্রেফতার-নির্যাতন, হত্যা, অপহরণ ও গুম অব্যাহত ভাবে চালিয়ে যাচ্ছে-সেটাও কি কেউ দেখছে না? বিএনপি এদেশের বিপুল সংখ্যক মানুষের সমর্থনপুষ্ট দল। জনগণের ম্যান্ডেটহীন সংসদকে বিএনপি অবৈধ বলবে না তো কে অবৈধ বলবে? ৫ জানুয়ারির নির্বাচন নামের কুখ্যাত তামাশার দিন এদেশের মানুষ কি ভোট কেন্দ্রে গিয়েছিল? সাংবাদিক নামধারী এসব চিড়িয়া যখন চাটুকারীতে মগ্ন থাকেন তখন এদের একটি চোঁখ মনে হয় অন্ধ থাকে। এক চোঁখে আওয়ামী লীগ ও দলটির প্রভূদেশ ও সব অপকর্মের মদদ এবং ইন্ধন দাতা ইন্ডিয়ার গীত গেয়ে যান। অন্যদিকে সারা দুনিয়ায় যা ঘটে তার কোনো খোঁজখবর রাখেন না। বাংলাদেশের মানবাধিকার সংস্থা অধিকার এর সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী ২০১৭ সালের মার্চ মাসে জানুয়ারি ও ফেব্রæয়ারি মাসের তুলনায় ৩ গুন বেশী গুমের ঘটনা ঘটেছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর অনেকেরই কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। ভিকটিমদের পরিবারগুলোর দাবি, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাই তাঁদের ধরে নিয়ে গেছে এবং এরপর থেকে তাঁরা গুম হয়েছেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রথমে ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করলেও পরবর্তীতে আটককৃত ব্যক্তিটিকে জনসম্মুখে হাজির করছে অথবা কোন থানায় নিয়ে সোপর্দ অথবা আদালতে হাজির করছে বা গুম হওয়া ব্যক্তিটির লাশ পাওয়া যাচ্ছে। এ রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে, অধিকার এর সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী মার্চ মাসে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় ৩ জন হুমকির সম্মুখীন হয়েছেন এবং ১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। বর্তমান সরকার অধিকাংশ সংবাদ মাধ্যম, বিশেষতঃ ইলেকট্রনিক মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ করছে। রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেল বিটিভিতে শুধুমাত্র সরকারি ও সরকার দলীয় খবরা-খবরই পরিবেশিত হয়। বর্তমান সরকার ইতিমধ্যে রাজনৈতিক বিবেচনায় আরও অনেকগুলো নতুন বেসরকারি টিভি চ্যানেলের অনুমোদন দিয়েছে। যেগুলোর মালিকরা সবাই সরকারের সমর্থনপুষ্ট ব্যক্তি। অপরদিকে বিরোধী দলপন্থী ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া- চ্যানেল ওয়ান, দিগন্ত টিভি, ইসলামিক টিভি এবং আমার দেশ পত্রিকা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সরকার বিভিন্নভাবে সংবাদ মাধ্যমের ওপর চাপ সৃষ্টি করায় বস্তুনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ সংবাদ প্রচার ব্যাহত হচ্ছে এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সাংবাদিকরা সেল্ফ সেন্সরশিপ প্রয়োগ করছেন। এরপরও পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সাংবাদিকরা বিভিন্ন সময়ে সরকারি দলের সমর্থক দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হয়ে নিহত বা আহত হচ্ছেন। এ হলো দুনিয়া খ্যাত আওয়ামী গণতান্ত্রিক সরকারের গণতন্ত্র ও উন্নয়নের কিঞ্চিত নমুনা। দেশ বিক্রি বিষয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের বক্তব্যকে বিকৃত করেছেন এ নির্লজ্জ চাটুকার। এ চাটুকার লিখেছেন, দেশ বিক্রি হয়ে গেলো। সত্যি-সত্যি তিনবারের প্রধানমন্ত্রী হয়েও তিনি কী করে এসব কথা বলেন? এসব নির্লজ্জ চাটুকাররা কি জানেন, আধুনিক দুনিয়ায় কোনো দেশ বিক্রি হয় না। কূটনীতি ও কলা-কৌশলে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হয়। বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশবাসীকে সেটাই বলেছেন। সেটা বলা তার দায়িত্ব। কারণ তিনি এদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দলের প্রধান। এ চাটুকার কি জানেন? বর্তমান অবৈধ সরকার সেনাসদরে ইন্ডিয়ান সরকারকে অফিস স্থাপনের অনুমতি দিয়েছে। এ চাটুকারকে প্রশ্ন করি আধুনিক দুনিয়ার কোনো দেশ নিজ সেনাসদরের অভ্যন্তরে কোনো বন্ধু দেশকে অফিস স্থাপনের অনুমতি দিয়েছে? কোনো স্বাধীন দেশের প্রধানমন্ত্রী বন্ধু দেশ সফরে গিয়ে রাধুনী সাজে-না রাধুনীর কাজ করে? অথচ হাসিনা ইন্ডিয়া সফরে গিয়ে উঠেছেন ইন্ডিয়ার রাষ্ট্রপতি ভবনে। এটাও আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ইতিহাসের নতুন ঘটনা। প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা ইন্ডিয়া সফরে গিয়ে রাধুনীর কাজ করার বিষয়কেই বেশ ভালো ট্রিটমেন্ট দিয়ে প্রচার করেছে অবৈধ সরকারের নিয়ন্ত্রিত মিডিয়াগুলো। অথচ বিদেশী রাষ্ট্র-সরকার প্রধান বা অন্য কোনো মেহমান সফরে গেলে ৫ স্টার বা ৭ স্টার হোটেলেই উঠেন। ইন্ডিয়ার রাষ্ট্রপতি ভবনে উঠেই বাংলাদশের জন প্রতিনিধিত্বহীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশটির প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জীর জন্য ইলিশ মাছ রান্না করেছেন। এ হলো বাংলাদেশকে দুনিয়ার বুকে মাথা উঁচু দাঁড় করানোর দাবিদার শেখ হাসিনা কর্তৃক দেশের মর্যাদা বাড়ানো বা মাথা উঁচু করার কিঞ্চিত নমুনা। ইন্ডিয়ায় সফরে গিয়ে শেখ হাসিনার রাধুনীগিরি করার ব্যাপারে সোস্যাল মিডিয়াতে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। অনেকেই স্ট্যাটাস দিয়ে লিখেছেন, ভবিষ্যতে ইন্ডিয়া সফরে গিয়ে হাসিনা হয়তো ইন্ডিয়ান দাদাদের ধুতি ওয়াশ করবেন। তালা-বাটি ওয়াশ এবং ঘর-দোর ঘসা-মাজার কাজও হয়তো করতে পারেন। সেটাও বাংলাদেশের মেরুদন্ডহীন মিডিয়াগুলো ভালো ট্রিটমেন্ট দিয়ে প্রকাশ করবে। এ চাটুকারকে বলি ইন্ডিয়ার সাথে বাংলাদেশের ‘সোনার যুগের’ রচনা হয়েছে? সোনার যুগের সূচনা হলে ইন্ডিয়ান সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ প্রতিদিন সীমান্তে নিরীহ বাংলাদেশীদের হত্যা করে কেন? বর্তমান সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বিগত ৪ বছরে ইন্ডিয়ান সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ ১৪৬ জন বাংলাদেশীকে হত্যা করেছে। এ চাটুকারকে বলি এটা কোনধরণের বন্ধুত্ব? সোনার যুগের সূচনাকারী দেশের মানুষকে বন্ধু রাষ্ট্রের! সীমান্ত রক্ষী বাহিনী এভাবে হত্যা করবে? ইন্ডিয়ার সাথে অনেক চুক্তি হয়েছে। এসব চুক্তির জন্য বিএনপি কেন ক্রন্দন করবে? চুক্তির ঠেলায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব হিতজ্ঞান হারিয়ে ফেলেছেন। তাই ইন্ডিয়ান সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি সঠিক ভাবে বলতে পারেননি যে, ইন্ডিয়ার সাথে ঠিক কয়টা চুক্তি হয়েছে! ইন্ডিয়ার এনডিটিভি’র রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইন্ডিয়া-বাংলাদেশের সাথে ১৮ চুক্তি ও ৪টি (এমওইউ) সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। বাংলাদেশী কোনো কোনো মিডিয়া ৩৪টি চুক্তির কথা প্রকাশ করেছে। কোনো মিডিয়ায় ৩৬টি চুক্তির কথা বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে ব্লগার পিনাকি ভট্টাচার্য লিখেছেন, আমাদের টিস্যু পেপার টাইপের মিডিয়াতে পিএমের ভারত সফর নিয়ে যা যা পাবেন তা হচ্ছে, কয় পদের রান্না হয়েছে, কয়জন রান্না করেছে, কে কী রান্না করেছে, কে কী খেয়েছে, যেমন মমতা মুড়ি আর চানাচুর খেয়েছেন। কে তুমি নাকি আপনি বললো। শুধু পাবেন না এই যে ২২ টা চুক্তি হল, সেই চুক্তিগুলোতে কী আছে? একটা দেশ যখন সবদিক দিয়ে ডুবতে থাকে তার ছাপ সব জায়গাতে দেখতে পাওয়া যায়। আসলেই দেশের সবকিছু ডুবছে-আর আওয়ামী লীগ ও দলটির নির্লজ্জ চাটুকার-পদলেহনকারীরা ডুগডুগি বাজাচ্ছে। চাটুকারদের দৃষ্টিতে শেখ হাসিনা স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার জন্য কাজ করছেন। শেখ হাসিনার সোনার বাংলা গড়ার তোড়ে বাংলাদেশের সেনাসদরের অভ্যন্তরও এখন ইন্ডিয়ান গোয়েন্দাদের দৃষ্টির আওতায়। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির ভোটরবিহীন কুখ্যাত নির্বাচন কেন এবং কিভাবে ইন্ডিয়ার মদদে আয়োজন করা হয়েছিল-সেটা জানা যাবে ২০১২ সালের ১৯ এপ্রিল ইন্ডিয়ার নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারের বক্তব্য অনুধাবন করলে। ইন্ডিয়ান সেনাবাহিনীর আর্থিক সহায়তায় পরিচালিত সেন্টার ফর ল্যান্ড ওয়ারফেয়ার স্টাডিজ (সিএলএডব্লিউএস) আয়োজিত এ সেমিনারে বলা হয়েছে:

Another Hasina Govt needed to fulfill Indian Strategic aims.

Plans jeopardized following Mujib’s early departure and frequent regime change subsquently.

India’s Bangladesh Strategy and awami league deep association in it, which is often a forbidden topic while the latter is in charge of the govenrment, have many times been exposed by the articulacy of the indian security experts and military leaders, as the CLAWS speakers (photographs is Gen. Ved prakash malik and Gen. Ashok Kumar Mehta) did while marking the 40th anniversary of Indian military triumph over Pakistan. Top Indian Strategic and International studies expert have agrred that an improved Strategic atmosphere for India in the region requires another term of Sheikh Hasina as prime minister of Bangladesh. The aim India Took while funding and arming Bangladshi liberation war of 1971 can be reached if Hasina could carry the Bangladeshis with their army for another term, speakers agreed as they gathered at a seminar held by The Indian army funded think-tank Center for Land Warfare Studies this Friday in New Delhi. The seminar was titled `1971 War: India’s Greatest Victory’. India’s Present and former militery leaders including gen. Gen. Ashok Mehtya and Gen. Ved Prokash Malik were among speakers in the seminar, which mainly focused on marking the 40th anniversary of India’s military successes of 1971, the only full-scale invation the country’s conducted in the history. Another Hasina Govt fulfill to aim. Speakers strongly suggested that another term for the Present Sheikh Hasina Govenrment in Bangladesh could be proven vitally heplful for Indian Strategic advances in the greater region. Can Sheikh Hasina carry the people and the army for another term? The geopolitics of the region will depend on this. An inpovement strategic environment would flow from this. Gen Ashok Mehta said.

বাংলা তরজমা:

ইন্ডিয়ার বাংলাদেশ সম্পর্কিত কৌশল বাস্তবায়নের জন্য হাসিনা সরকারের আরেকবার ক্ষমতায় থাকা দরকার।

শেখ মুজিবের দ্রুত পতনের পর বাংলাদেশে ঘন ঘন সরকার পরিবর্তনের কারণে দেশটি সম্পর্কে ইন্ডিয়ার কৌশল বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হয়েছে।

“ইন্ডিয়ার বাংলাদেশ সম্পর্কিত কৌশল নির্ধারণে আওয়ামী লীগ গভীর বা বিশ্বস্ত সহযোগী। বিষয়টি গোপন থাকার ব্যাপারে সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল। ইন্ডিয়ান নিরাপত্তা ও সেনা নেতৃবৃন্দ অনেকবার বিষয়টি খোলাসা করে বলেছেন। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বিজয়ের ৪০তম বার্ষিকী উপলক্ষে (সিএলএডব্লিউএস) আয়োজিত সেমিনারের বক্তা (ছবিতে থাকা জেনারেল বেদ প্রকাশ মালিক এবং জেনারেল অশোক কুমার মেহতা) এটা উল্লেখ করেছেন। শীর্ষ ইন্ডিয়ান কৌশল এবং আন্তর্জাতিক গবেষণা বিশেষজ্ঞরা একমত হয়েছেন যে, এ অঞ্চলে ইন্ডিয়ার জন্য একটি শক্তিশালী কৌশলগত অবস্থানের জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার আরেকবার ক্ষমতায় থাকা দরকার। ইন্ডিয়ার সেনাবাহিনীর অর্থায়নে পরিচালিত থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক সেন্টার ফর ল্যান্ড ওয়ারফেয়ার স্টাডিজ (সিএলডাব্লিউএস) কর্তৃক শুক্রবার নয়া দিল্লিতে আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা একমত হয়ে বলেন, ইন্ডিয়া যদি লক্ষ্য স্থির করে ১৯৭১ সালের মতো বাংলাদেশকে অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করতে পারে তাহলে হাসিনা বাংলাদেশের জনগণ ও সেনাবাহিনীকে ম্যানেজ করে আবার ক্ষমতা নিতে পারবেন। এ সেমিনারের শিরোনাম ছিল, ১৯৭১ যুদ্ধ: ইন্ডিয়ার বড় বিজয়। জেনারেল অশোক মেহতা ও জেনারেল বেদপ্রকাশ মালিকসহ বর্তমান ও সাবেক সেনা নেতৃবৃন্দ এ সেমিনারে বক্তব্য পেশ করেন। ১৯৭১ সালের যুদ্ধের ৪০তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এ সেমিনারে বক্তরা মূলত ৭১-এর যুদ্ধের সফলতা নিয়েই আলোচনা করেন। এটা ছিল ইন্ডিয়ান সেনাবাহিনীর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সফলতা। এ সেমিনারে বক্তারা জোর দিয়ে বলেন, এ অঞ্চলের জন্য গৃহীত ইন্ডিয়ার কৌশল আরো ফলপ্রসূ ভাবে এগিয়ে নেবার জন্য হাসিনার আরো একবার ক্ষমতা পাওয়া দরকার। শেখ হাসিনা কি জনগণ ও সেনাবাহিনীকে এগিয়ে নিতে পারবেন? দুনিয়ার রাজনীতি এটার উপরই নির্ভর করবে। জেনারেল অশোক মেহতা বলেন, একটি উন্নত কৌশল পরিবেশ এটাকে স্বচ্ছন্দ গতিতে এগিয়ে নেবে।”

আওয়ামী চাটুকাররা কি এসব খবর রাখেন। হয়তো রাখেন। তবে এসব লিখবেন বলে মনে হয় না। কারণ এসব লিখলে তো মুক্তিযদ্ধের চেতনা ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে। ইন্ডিয়া-বাংলাদশে সম্পর্ক উন্নয়নের অনেক গুণগান গাইলেন। শেখ হাসিনার ইন্ডিয়া সফরে নিশ্চয় অনেকগুলো চুক্তি হয়েছে-যার হিসাব পররাষ্ট্র সচিবও সঠিক ভাবে দিতে পারেননি। পারবেন কিভাবে? চুক্তির ড্রাফটতো ইন্ডিয়া তৈরী করে এবং তাবেদার সরকার শুধু দস্তখত করে। অথচ বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে জরুরি ছিল তিস্তা নদীর পানি বন্টন চুক্তি। সেটা কিন্তু হয়নি। সীমান্ত হত্যাও বন্ধ হয়নি। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মর্যাদাকে ইন্ডিয়ার অঙ্গ রাজ্য পশ্চিম বঙ্গের চেয়েও নিচে নামিয়ে এনেছেন। এটা কারো অজানা নেই যে, পশ্চিম বঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির হুমকিতে তিস্তা চুক্তি হয়নি। অথচ শেখ হাসিনা ক্ষমতা দখলে রাখার জন্য ইন্ডিয়ার সুবিধা ও স্বার্থ রক্ষায় এবং ইন্ডিয়ার চাপে চুক্তিগুলো দস্তখত করেছেন। অথচ সরকারের তাবেদার ও চাটুকাররা হামেশা গীত গেয়ে চলেছেন-ইন্ডিয়ার সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কের “সোনার যুগ” চলছে। হায়রে সোনার বাংলা-হায়রে সম্পর্কের সোনার যুগ!!! এ জন্য বলতে হয়, অন্ধরা একটু বেশি দেখে। তবে সেটা আসল দেখা নয়।



বিষয়: আন্তর্জাতিক

১২৬০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File