রামাদান শিক্ষাকে আবাদ করে চলি

লিখেছেন লিখেছেন মিশু ০৩ জুলাই, ২০১৬, ০২:১৭:০৩ দুপুর

রামাদান শিক্ষাকে আবাদ করে চলি

আসসালামু’আলাইকুম

মহান আল্লাহ তা’লা বলেছেন:

বলুন, প্রত্যেকেই নিজ প্রকৃতি অনুযায়ী কাজ করে থাকে।

সূরা বনী ইসরাঈল: ৮৪

নিজেকে যাচাই করে নেই আমার প্রকৃ্তি কি মহান রবের আনুগত্যের মাঝে আছে কিনা? অন্তরের পরিশুদ্ধির সাথে সাথে বাহ্যিক আমলের পরিবর্তন এসেছে কি না? আগামী রামাদানে কে থাকবে আর কে থাকবে না তাতো ফয়সালা করে দিয়েছেন মহান আল্লাহ। মহান রবের ক্ষমা নিতে পারলাম কিনা তা নিজের পরিবর্তন দিয়েও অনেকটা যাচাই করা যেতে পারে। খালেসভাবে শরীয়তের আনুগত্যে নিজেকে অটল রাখার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। আধুনিকতার নামে শরীয়তকে পরিবর্তন না করে নিজেকে পরিবর্তনের আওতায় আনি মহান রবের পথে। কবরে নিজেকে একা আমল নিয়েই যেতে হবে। এখন অনেকেই সাফাই গাইতে পারেন কিন্তু সেই সময় কেউ সাফাই গাবে না বরং আমল নিতে চাবেন।

রাসূল সা. বলেছেন:

হে লোক সকল! আপনাদের উচিৎ আপনাদের সাধ্যমত কাজ করা, আল্লাহ ততক্ষন ক্লান্ত হন না যতক্ষন না আপনারা ক্লান্ত হন। আর আল্লাহর কাছে সবচেয়ে পছন্দের কাজ হল যা নিয়মিত করা হয়, তা যতই অল্প হোক না কেন।

সহীহ মুসলিম

রামাদান মাস চলে যাওয়াতে মনে কষ্ট পান যারা, তারা হলেন সাওমের ও রামাদান মাসের সুমিষ্ট স্বাদ উপলব্ধি করেছেন, মহান আল্লাহ তা’লার আনুগত্যে সে সবরের আত্মতৃপ্তিসহ সহজ সরল জীবনের আনন্দ লাভ করেছে। মহান আল্লাহ যেন আমাদের হিদায়াত, তাকওয়া অর্জন, ভালো কাজে নিয়োজিত থাকা, আমাদের কাজ কবুল করা এবং এই পথে অটল অবিচল থাকার তাওফিক দান করেন।

রাসূল সা. বলেছেন:

বলো, আমি আল্লাহর উপর ঈমান আনলাম, এরপর (সে পথে) অটল অবিচল থাকো।

সহীহ আল বুখারী ও মুসলিম

যারা বলে, আমাদের রব আল্লাহ, এরপর (সে পথে) অটল-অবিচল থাকে, নিশ্চয়ই তাদের কোন ভয় নেই, তারা দুঃখও করবে না।

সূরা আহকাফ: ১৩

মহান আল্লাহর পথে খালেস নিষ্ঠার সাথে যারা অটল থাকতে চান এইভাবেই দয়াময় মেহেরবান আল্লাহ তাদের সাহায্য, দয়া ও করুণা করেন যেভাবে রামাদানেও করেছিলেন। মহান আল্লাহ বলেন:

যারা ঈমান এনেছে, আল্লাহ তাদেরকে মজবুত করবেন মজবুত বাক্য দ্বারা এই দুনিয়ার জীবনে ও আখিরাতে, আর আল্লাহ যুলুমকারীদের বিপথগামী করেন আর আল্লাহ যা ইচ্ছা তা করেন।

সূরা ইবরাহীম: ২৭

তাই আমাদের জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত নিয়মিতভাবে মহান আল্লাহর আনুগত্যে অটল থাকতে হবে। রাসূল সা.বলেছেন:

নিশ্চয়ই কোন ব্যক্তি জান্নাতবাসীদের মত কাজ করতে থাকে যা আপাতদৃষ্টিতে মানুষের কাছে মনে হয় অথচ সে জাহান্নামবাসী, একইভাবে কোন ব্যক্তি জাহান্নামবাসীদের কাজ করতে থাকে যা আপাতদৃষ্টিতে মানুষের কাছে মনে হয় অথচ সে জান্নাতবাসী।

সহীহ আল বুখারী: ৪২০৭

সত্যিকার অর্থে ঈমান ও ইখলাসের সাথে কেউ জান্নাতবাসীদের কাজ করতে থাকলে নিশ্চয়ই আল্লাহকে তিনি তার ব্যাপারে সুবিচারক, পরম দয়াময় পাবেন।

মহান আল্লাহ তা’লা আমাদের ক্ষমা করে তাঁর অনুগত বান্দা হিসেবে দুনিয়া ও আখেরাতে কবুল করে নিন। আমীন। ঈদের আন্তরিক শুভেচ্ছা রইলো। তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম।

আসসালামু’আলাইকুম

মহান আল্লাহ তা’লা বলেছেন:

বলুন, প্রত্যেকেই নিজ প্রকৃতি অনুযায়ী কাজ করে থাকে।

সূরা বনী ইসরাঈল: ৮৪

নিজেকে যাচাই করে নেই আমার প্রকৃ্তি কি মহান রবের আনুগত্যের মাঝে আছে কিনা? অন্তরের পরিশুদ্ধির সাথে সাথে বাহ্যিক আমলের পরিবর্তন এসেছে কি না? আগামী রামাদানে কে থাকবে আর কে থাকবে না তাতো ফয়সালা করে দিয়েছেন মহান আল্লাহ। মহান রবের ক্ষমা নিতে পারলাম কিনা তা নিজের পরিবর্তন দিয়েও অনেকটা যাচাই করা যেতে পারে। খালেসভাবে শরীয়তের আনুগত্যে নিজেকে অটল রাখার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। আধুনিকতার নামে শরীয়তকে পরিবর্তন না করে নিজেকে পরিবর্তনের আওতায় আনি মহান রবের পথে। কবরে নিজেকে একা আমল নিয়েই যেতে হবে। এখন অনেকেই সাফাই গাইতে পারেন কিন্তু সেই সময় কেউ সাফাই গাবে না বরং আমল নিতে চাবেন।

রাসূল সা. বলেছেন:

হে লোক সকল! আপনাদের উচিৎ আপনাদের সাধ্যমত কাজ করা, আল্লাহ ততক্ষন ক্লান্ত হন না যতক্ষন না আপনারা ক্লান্ত হন। আর আল্লাহর কাছে সবচেয়ে পছন্দের কাজ হল যা নিয়মিত করা হয়, তা যতই অল্প হোক না কেন।

সহীহ মুসলিম

রামাদান মাস চলে যাওয়াতে মনে কষ্ট পান যারা, তারা হলেন সাওমের ও রামাদান মাসের সুমিষ্ট স্বাদ উপলব্ধি করেছেন, মহান আল্লাহ তা’লার আনুগত্যে সে সবরের আত্মতৃপ্তিসহ সহজ সরল জীবনের আনন্দ লাভ করেছে। মহান আল্লাহ যেন আমাদের হিদায়াত, তাকওয়া অর্জন, ভালো কাজে নিয়োজিত থাকা, আমাদের কাজ কবুল করা এবং এই পথে অটল অবিচল থাকার তাওফিক দান করেন।

রাসূল সা. বলেছেন:

বলো, আমি আল্লাহর উপর ঈমান আনলাম, এরপর (সে পথে) অটল অবিচল থাকো।

সহীহ আল বুখারী ও মুসলিম

যারা বলে, আমাদের রব আল্লাহ, এরপর (সে পথে) অটল-অবিচল থাকে, নিশ্চয়ই তাদের কোন ভয় নেই, তারা দুঃখও করবে না।

সূরা আহকাফ: ১৩

মহান আল্লাহর পথে খালেস নিষ্ঠার সাথে যারা অটল থাকতে চান এইভাবেই দয়াময় মেহেরবান আল্লাহ তাদের সাহায্য, দয়া ও করুণা করেন যেভাবে রামাদানেও করেছিলেন। মহান আল্লাহ বলেন:

যারা ঈমান এনেছে, আল্লাহ তাদেরকে মজবুত করবেন মজবুত বাক্য দ্বারা এই দুনিয়ার জীবনে ও আখিরাতে, আর আল্লাহ যুলুমকারীদের বিপথগামী করেন আর আল্লাহ যা ইচ্ছা তা করেন।

সূরা ইবরাহীম: ২৭

তাই আমাদের জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত নিয়মিতভাবে মহান আল্লাহর আনুগত্যে অটল থাকতে হবে। রাসূল সা.বলেছেন:

নিশ্চয়ই কোন ব্যক্তি জান্নাতবাসীদের মত কাজ করতে থাকে যা আপাতদৃষ্টিতে মানুষের কাছে মনে হয় অথচ সে জাহান্নামবাসী, একইভাবে কোন ব্যক্তি জাহান্নামবাসীদের কাজ করতে থাকে যা আপাতদৃষ্টিতে মানুষের কাছে মনে হয় অথচ সে জান্নাতবাসী।

সহীহ আল বুখারী: ৪২০৭

সত্যিকার অর্থে ঈমান ও ইখলাসের সাথে কেউ জান্নাতবাসীদের কাজ করতে থাকলে নিশ্চয়ই আল্লাহকে তিনি তার ব্যাপারে সুবিচারক, পরম দয়াময় পাবেন।

মহান আল্লাহ তা’লা আমাদের ক্ষমা করে তাঁর অনুগত বান্দা হিসেবে দুনিয়া ও আখেরাতে কবুল করে নিন। আমীন। ঈদের আন্তরিক শুভেচ্ছা রইলো। তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম।

বিষয়: বিবিধ

৯৮৬ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

373832
০৩ জুলাই ২০১৬ দুপুর ০৩:৫৮
নাবিক লিখেছেন : লেখাটা ভালো লাগলো
০৯ জুলাই ২০১৬ সকাল ০৮:২১
310470
মিশু লিখেছেন : বারাকাল্লাহি ফিক।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File