প্রিয় কবি - গোলাম মোহাম্মাদ । ( আজ নিরভে চলে গেল তাঁর মৃত্যু বার্ষিকী )

লিখেছেন লিখেছেন লজিকাল ভাইছা ২২ আগস্ট, ২০১৫, ১১:২৮:০৫ রাত

# হিজল বনে পালিয়ে গেছে পাখি,

যতই তারে করুন কেঁদে ডাকি।

দেয়না সাড়া নীরব গহীন বন,

বাতাসে তাঁর ব্যথার গুঞ্জরন ।



আমাদের বাংলা সাহিত্যের হিজল বনের পাখিটি অনেক আগেই পালিয়ে চলে গেছে তাঁর রবের দরবারে। আজ ২২ শে অগাস্ট তাঁর পালিয়ে যাওয়ার ১ যুগ পূর্ণ হল ।

# সেই সংগ্রামী মানুষের সারিতে,

আমাকেও রাখিও রহমান।

যারা কুরআনের আহবানে নির্ভীক,

নির্ভয়ে সব করে দান ।

জীবনের যুদ্ধের কোন এক বাঁকে, নিজেকে শামিল করে ছিলেন, সংগ্রামী মানুষদের সারিতে। আল্লাহর রাহে করেছিলেন সংগ্রাম, আর প্রভুর প্রেমে দিওয়ানা হয়ে সৃষ্টি করেছিলেন এক অমর সুরঃ-

# আল্লাহ আমার রব,

সেই রব ই আমার সব।

দমে দমে তনূ মনে,

তারই অনুভব ।

তোমার দুনিয়াতে, আমি যে দিকে তাকাই,

অথৈই নেয়ামতে ডুবে আছি সবাই ।

পাখপাখালির গানে শুনি,

তাসবি কলরব ।

শুনেছিলাম মহাকবি শেখ সাদি তাঁর জীবন কাল কে তিনটি ভাগে ভিভক্ত করেছিলান, প্রথম ৪০ জ্ঞান অর্জন, দ্বিতীয় ৪০ বছর বিশ্বভ্রমণ, এবং শেষ ৪০ বছর আল্লাহ্‌র বন্দেগীতে কাটিয়ে দেওয়া। হয়েছিল ও তাই তিনি ৩X৪০=১২০ বছর বেঁছে ছিলেন। প্রিয় কবি গোলাম মোহাম্মদের জীবন কালটাও আমার কাছে ঠিক তেমনি বিস্ময়কর পরিকল্পিত মনে হয়।

শৈশবে ছিলেন ডানপিঠে, ঠিক মধুমতী নদীর মতই চঞ্চল, আঁকাবাঁকা, বহতা স্বাধীন, গ্রাম্য আর দশটা ছেলের মত দুষ্টমিতে মজে, যৌবনে এসে ভিড়ে গেলেন সংগ্রামী মানুষদের সারীতে, আর শেষ অংশে এসে লিখেছিলেন অমর হওয়ার মত কিছু হামদ-নাত-দেশের গান এবং কবিতা।

কবি গোলাম মোহাম্মদ জন্ম হয় ১৯৫৯ সালের ২৩ এপ্রিল, মধুমতী নদীর অববাহিকায় মাগুরা জেলার মহম্মদপুর থানার গোপাল নগর গ্রামে। পিতা আবদুল মালেক মোল্লা একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তার আর্থিক অবস্থা তেমন সচ্ছল ছিল না।তবুও বলিষ্ঠ চরিত্রগুণে তিনি নিজ গ্রামে এবং আশপাশের গ্রামে একজন সম্ভ্রান্ত ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

কবি গোলাম মোহাম্মদের মা করিমুন্নেসা একজন ধর্মপরায়ণ, বুদ্ধিমতি, শান্ত ও পর্দানশীন এই মহিলা ছিলেন। তিনি তার জীবন সঁপে দিয়েছিলেন ছেলেমেয়েদের মানুষ করার জন্য।

মধুমতীর তীরে বেঁড়ে উঠা দুরান্তপনা করির শৈশব কাটে চঞ্চলতায় , পরবর্তীতে পিতা-মাতার একান্ত প্রচেষ্টায় কবির জিবনের গতিপথে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আসে। কবিকে তাঁর পিতা মাতা, মহম্মদপুর মাদরাসার ওস্তাদ ক্বারী শুকুরের হাতে তুলে দেন। ক্বারী সাহেব তার প্রিয় ছাত্রকে কুরআন শিক্ষা দিয়ে তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেন। ফলে দুষ্টুমি বাদ দিয়ে লেখাপড়ায় মন দিলেন। আব্বা-আম্মার পথ নির্দেশনায় নিজের জীবনে পরিবর্তন আনলেন।এরপর কবি, গোপালনগর প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে তাঁর প্রথমিক শিক্ষা শেষ করেন , ১৯৭৫ সালে এমকেএইচ ইনস্টিটিউট থেকে তিনি বিজ্ঞান বিভাগে কৃতিত্বের সাথে ম্যাট্রিক পাস করেন। তারপর কবি ঝিনাইদহ ফেন্সি কলেজে ভর্তি হন এবং কৃতিত্বের সাথে আইএসসি পাস করেন। তারপর চলে আসেন মাগুরা শহরে। ভর্তি হলেন মাগুরা কলেজে। এ কলেজ থেকে তিনি বিএসসি পাস করেন।

# রোজ বিহানে একটা পাখি আল্লাহ্‌ আল্লাহ্‌ ডাকে,

সেই পাখিটার গানে গানে হৃদয় দুলতে থাকে ।

# তাঁর দুই হাতে নিয়ামত সম্ভার,

সে দান কেমনে করবে অস্বীকার ।

# খোদার জন্য কাজ করে যে জন,

সে জন অমর হয়

খোদার ভালোবাসা সে তো অনন্ত অক্ষয় ।

আবহমান গ্রাম বাংলার সবুজে সবুজে, অলিতে গলিতে সাধারণ মানুষের মুখে মুখে উচ্চারিত এই রকম অসংখ্য জনপ্রিয় এবং অসাধারণ ইসলামী সঙ্গীতের স্রষ্টা, আমাদের প্রিয় কবি গোলাম মোহাম্মদ। জাতীয় কবি নজরুল, ইসলামী রেনেসাঁর কবি ফররুখ এবং গোলাম মুস্তফা পরবর্তী বাংলা সাহিত্যে ইসলামী ভাবধারার কবিদের যে কোণঠাসা অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল তা থেকে উত্তরণের জন্য যে কয়েকজন সংগ্রামী কবি সাহসী দৃপ্ত পায়ে পথ চলা শুরু করেছিলেন তাদের মধ্যে কবি মতিউর রহমান মল্লিক, কবি গোলাম মোহাম্মদ, কবি আসাদ বিন হাফিজ, হলেন অন্যতম।

কবি গোলাম মোহাম্মদ সুন্দর সৃষ্টির মাঝে স্রষ্টাকে খুঁজে পেতেন। জন্য। তার কবিতায় তিনি আধ্যাত্মিকভাবে দেশ প্রেম, রোমান্টিকতার এক শৈল্পিক দিক উম্মোচন করেছেন যা তাঁর পাঠক স্রোতাদের হৃদয়কে আলোড়িত করেছে বারবার। যেমন তাঁর লেখা একটি রোমান্টিক কবিতা “প্রথম সূর্যোদয় ” আমার পড়া সেরা একটি রোমান্টিক কবিতা ।

**** প্রথম সূর্যোদয় ****

পৃথিবীতে এলো মানুষের আদি পিতা,

পৃথিবীতে এলো প্রথম যুগল জন।

নয়া পৃথিবীর মাটিতে নতুন পা

নতুন বৃক্ষ, নতুন পুষ্প-বন।

সে কেমন ছিল প্রথম সূর্যোদয়?

প্রথম মানব-মানবীর পরিচয়!

প্রথম বাতাস শোনাল কিসের গান?

পাখির কণ্ঠে কিসের খুশির বান!

কেমন সে ছিল প্রথম আনার ফুল?

প্রথম পোশাক কুঞ্চিত কালো চুল?

বন-মর্মর নদীর নতুন কূল!

ধু-ধু প্রান্তর ঘরহীন সঙ্কুল।

পুরোটা পৃথিবী দুজন মানুষ মোটে,

কি কথা প্রথম বেজে উঠেছিলো ঠোঁটে?

কেমন কেটেছে ফুলেল প্রথম দিন?

কি খাবার খেয়ে? কিংবা খাবার হীন!

ছিল কি চন্দ্র আসমানে সারারাত?

রজনীগন্ধা ছিল কি বাগান ভরে?

রাতজাগা পাখি কোন গান করেছিলো?

সারারাত জেগে অনুনয় করে করে।

প্রথম মানুষ পূত পবিত্র জন

পৃথিবীর ডালে প্রথম গোলাপ ফোটা

নতুন পায়ের পড়লো প্রথম ছাপ

সেই থেকে শুরু চলার সঞ্চরণ।

কবির এই কবিতা নিয়ে, বাংলা সাহিত্যের সব্যসাচী কবি, গল্পকারও সাহিত্য সমালোচক আব্দুল মান্নান সৈয়দ বলেনঃ

“হে সূদূর হে নৈকট্য” এই বইয়ের শ্রেষ্ঠ কবিতা হল প্রথম সূর্যোদয়। গোলাম মোহাম্মদ, যিনি মর্মে মর্মে ছিলেন গীতিকবি, ছন্দোবদ্ধ কবিতাতেই আমি লক্ষ্য করেছি তাঁর সাফল্য বেশি। সেখানে তিনি অনেক বেশি লক্ষ্যভেদী, অনেক বেশি সংস্করণ সক্ষম। তার কম্পমান সংবেদনের রেখামালা এইসব কবিতা গানেই সফলভাবে রূপায়িত হয়েছে। প্রথম সূর্যোদয় কবিতায় আদিপিতা ও আদিমাতাকে নিয়ে কল্পনা ডানা মেলেছে। আর কিছু না, কোনো বাণী নয়, কোনো তত্ত্বচিন্তা নয়, শুধু এই প্রথম দু’জন মানুষ মানুষীকে নিয়ে স্বেচ্ছা মিলান্ত মাত্রাবৃত্তে গোলাম মোহাম্মদ যে কয়েকটি স্তবক রচনা করেছেন, তার মধ্য দিয়ে তাঁর অপাপবিদ্ধ কবিহৃদয় স্বাক্ষরিত থেকে গেল।’

বিশ্বাসী চেতনার পরিস্ফুটন এবং নিসর্গের সৌন্দর্যকে তিনি তার কবিতায়, গানে ধারণ করেছেন। তিনি ছিলেন একজন সার্থক ফররুখ অনুসারী তাঁর এই সব শ্রোতা প্রিয় ইসলামী সঙ্গীত এবং কবিতাই যথেষ্ট একজন ফররুখ অনুসারী হওয়ার জন্য।

কখন কখন তাঁর লেখায় ফুটে উঠত নজরুলের সেই বিদ্রোহ এবং সাম্য ও মানবতার সেই শাশ্মত আহ্বান , যেমনটি পাওয়া যায় তাঁর লেখা “প্রতিবাদে বিভাসে ” কবিতায়।

@@@@ প্রতিবাদে বিভাসে @@@@

হে মানুষ তুমি সুন্দর হও

বৃ, পত্র, ফুল দেখনি! ঝরনার নিক্কন শুনেও

কেন তুমি সুন্দরের পাগল হতে পার না।

সুন্দর হও সাদা মেঘ শরতের মতো

বকের ডানার মতো জোছনা, কুয়াকাটা,

সুন্দরবন, মাধবকুণ্ডের ঝরনার মতো।

নীলভেদী সাদা মিনার যেমন

পিকাসোর চিত্রকলার মতো প্রতিবাদে বিভাসে

তুমি সুন্দর হও।’ ---------

এছাড়াও আছে আর অনেক গান ও কবিতা যেখানে ফুটে উঠেছে মানব দরদী কবির প্রাণের আকুলতা । যেমনঃ

• ফিলিস্তিনী মায়ের চোখ ”

• ঐ দেখো বালাকোট , ওই তিতুমির ”

• কান্দাহারের সেই মেয়েটি ”

• রাজপথে পড়ে আছে, মা এবং তাঁর সন্তান ।

কবিরা গরীব হয়, তাঁর উপর যদি ইসলামী ভাবধারার কবি হন,তাহলে বিনা চিকিৎসায় মরতেও হয়। যেমনটি হয়েছিল নজরুলের ক্ষেত্রে, হয়েছিল ইসলামী রেনেসাঁর কবি ফররুকের ক্ষেত্রে, সেটার ব্যাতিক্রম হয়নি ফররুখের অনুসারী কবি গোলাম মোহাম্মাদ ও কবি মতিউর রহমান মল্লিক দের ক্ষেত্রে । আসুন জানি কবির শেষ সময়ের কথা, কবির বন্ধু কবি শরীফ আবদুল গোফরান এর লেখা থেকেঃ

একদিকে দারিদ্র্যতা অন্যদিকে অসুস্থতা কবিকে তিলে তিলে শেষ করে দিল। কবির কোন কোন বন্ধু মুখ খুললেন। দু-একজনের সাথে আলোচনাও করলেন কবির চিকিৎসার জন্য। কিন্তু যারা ইচ্ছা করলে কবির জন্য অনেক কিছু করতে পারতেন তারা মুখ খুললেন না। কবির চিকিৎসার জন্য এগিয়ে এলেন না কেউ। এক সময় ঢাকা সাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক সাইফুল্লাহ মানছুর কবির সব বিষয় জানার চেষ্টা করলেন। নিজের হক আদায়ের জন্যে পাগলপারা হয়ে গেলেন, নিজের প্রতিষ্ঠান স্পন্দনে কবিকে চাকরি দিলেন। সেই সময়টি হলো ২০০২ সালের মার্চ মাস। স্পন্দনে কবির সাথে তাঁর গানের সুর দিতেন শিল্পী মশিউর রহমান, ছয় মাস দু-প্রতিভার কর্মচাঞ্চল্যতায় ভরে ওঠে স্পন্দনের সেই স্টুডিও। এতো গান লিখেছেন তিনি স্পন্দনে বসে যা ইতিহাস হয়ে থাকবে। গোলাম মোহাম্মদকে নিয়ে যতো লেখা হবে তার সাথে যোগ হবে স্পন্দনের কথা এর সাথে জড়িয়ে থাকবে শিল্পী মশিউর রহমান।

শেষ কালে কবির অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে চিকিৎসা করার অর্থও ছিল না। সেদিন কোন বন্ধুও এগিয়ে আসেননি। তার মৃত্যুর পরে জেনেছি ২০ আগস্ট ’০২ বিভিন্ন দোকানে দোকানে ঘুরেছেন বাকিতে কয়টা টেবলেট কিনার জন্য কিন্তু তাও সংগ্রহ করতে পারেননি। অবশেষে ২১ আগস্ট সম্পূর্ণ অসুস্থ হয়ে পড়েন। কবির আত্মীয়রা ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন কিন্তু বলা হয়েছে সিট খালি নেই, ইবনেসিনা ক্লিনিকে নেয়া হলেও বলা হয়েছে সিট খালি নেই। এসব প্রতিষ্ঠানের ধারণা, কবি গোলাম মোহাম্মদ হয়তো হাসপাতালের টাকা পরিশোধ করতে পারবেন না। অবশেষে তাকে গ্যাসট্রোলিভার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ততক্ষণে তার সব শেষ হয়ে গেছে, হাত পা ছেড়ে দিয়েছেন। কবির বন্ধু ডাক্তার রফি ভাই বলেছেন, এখন মাত্র সময়ের ব্যাপার। ২১ তারিখ দিবাগত রাত যখন চারদিকে ফজরের আযান ভেসে এলো চারদিকে আবছা অন্ধকার, তখনই কবি এ দুনিয়ার সব মায়া ছেড়ে চলে গেছেন পরপারে, আর চারদিকে শোর উঠলো।

“হিজল বনে পালিয়ে গেছে পাখি ----------

কবির কাব্যগ্রন্থ সমুহঃ

• “অদৃশ্যের চিল” (১৯৯৭),

• “ফিরে চলা এক নদী”(১৯৯৮),

• “হিজল বনের পাখি” (১৯৯৯),

• “ঘাসফুল বেদনা” (২০০০),

• “হে সুদূর হে নৈকট্য” (২০০২)

শিশুদের ২টি ছড়াগ্রন্থ

• “ছড়ায় ছড়ায় সুরের মিনার”

• “নানুর বাড়ী”

প্রিয় কবির কিছু জনপ্রিয় ইসলামী গানঃ ( আমি যে কয়েকটি কনফার্ম হতে পেরেছি)

1. আল্লাহ আমার রব, সেই রবই আমার সব।

2. রোজ বিহানে একটি পাখি আল্লাহ আল্লাহ ডাকে, সে পাখিটির গানে গানে হৃদয় দুলতে থাকতে----।

3. সেই সংগ্রামী মানুষের সারিতে আমাকেও রাখিও রহমান, যারা কুরআনের আহ্বানে নির্ভীক, নির্ভয়ে সব করে দান ।

4. হলদে ডানার সেই পাখিটি, এখন ডাকে না। মনের কোনের রঙ্গিন ছবি এখন তো আর আঁকে না—

5. হিজল বনে পালিয়ে গেল পাখি, যতই তারে করুন কেঁদে ডাকি। দেয় না সাড়া নীরব গহীন বন, বাতাসে তার ব্যথার গুঞ্জরন -----।

6. ফুল কেন ফোটে, পাখি কেন গায়, নদী কেন ছুটে দূর অজানায় ?

7. এই নদী এদেশে, পলির দেশে যিনি আমায় ভালবেসে সৃজন করেছেন। হাজার শোকর দরবারে তার, প্রশংসা গাই লক্ষ হাজার।

8. খেলার মাঠে কেমনে যাব, পড়া অনেক বাকি। অনেক আমায় শিখতে হবে কেমনে ভুলে থাকি।

9. সবুজ চাদর দিয়ে গড়া আমার বাংলাদেশ, যতই দেখি চোখ ভরে যায়, মধুর অনীশেষ ।

10. সোনালী সেদিন কবে খুলবে দুয়ার, ব্যাথিত মানুষের চোখের পানি নিরভে নিভৃতে ঝরবে না আর।

11. ওরে নিশীগন্ধা, এই মধুসন্ধ্যা সুরভী কোথায় ফেলি বল। ওরে সূর্যমুখী কেন রইলি ঝুঁকি?

12. এই দেশ আমার, মাটি আমার, আমার সাহসের গান----।

13. তার ছবি আমার মন যে পাগল করে। তার রঙের ছটায় চোখ ভরে যায়, হৃদয় আমার ভরে---। (দেশের গান)

14. আমার এই দেশ কত সুন্দর, আমার এই দেশ কি যে মনোহর, আযানের সুরে সুরে আসে ভোর ---

15. রাতের কোলে ঘুমিয়ে পড়ে পূর্নিমারই চাদ ----

16. মাঝিরে তুই মন ভাঙিস না ---

17. সব হারাদের বন্ধু এলো মরুর মদীনায়

18. মিনারে সুর কি তুমি শুননি, বাগানের ফুল কি তুমি দেখনি? নাজাতের পথ কি তুমি খোঁজও নি ?

19. ঐ দেখ বালাকোট, ঐ তিতুমির -----

20. রাজপথে পড়ে আছে মা এবং তাঁর সন্তান -----

21. খোদার জন্য কাজ করে যে, সে জন অমর হয় খোদার ভালোবাসা সে তো অনন্ত অক্ষয় ।

22. তাঁর দুই হাতে নিয়ামত সম্ভার, সে দান কেমনে করবে অস্বীকার ।

এমন আর অসংখ্য জনপ্রিয় ইসলামী সঙ্গীত ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে শ্রোতা মনে, ইসলামী সঙ্গীত অঙ্গনে।আমাদের ব্যর্থতায় আমরা জানি না যে আমার গুন গুণীয়ে গাওয়া গানটির স্রষ্টা কবি গোলাম মোহাম্মদ । তাই সাইফুল্লাম মানসুর এবং মশিউর রহমান সাহেব দের বিনীত অনুরধ জানাবো, গোলাম মোহাম্মদের গান গুলো যেন সংরক্ষণ করার ব্যাবস্থা নেওয়া হয়।

সর্বশেষে মহান রবের নিকট প্রার্থনা “ হে আল্লাহ্‌ আমাদের এই হিজল বনের পাখিটি কে, আপনার বেহেশতের বাগানে ঠাই দিন, আপনিই যে তাঁর সব কিছু ছিলেন । তাঁর উপর রহম করুণ। আমীন ”।

ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছিঃ

• ব্লগার ফাতিমা মারিয়াম।

• কবি আসাদ বিন হাফিজ।

• প্রয়াত ইসলামী সংস্কৃতিক আন্দোলনের সিপাহশালার আবুল কাশেম মিঠুন।

• শরীফ আবদুল গোফরান।

• কিশোর কণ্ঠ ।

বিষয়: বিবিধ

৩১৪৪ বার পঠিত, ১৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

337653
২৩ আগস্ট ২০১৫ রাত ১২:৫৩
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : আহহা,কত গান গেয়েছি এই মানুষটির অথচ বেমালুম ভুলে আছি মানুষটাকে। আল্লাহ মানুষটাকে উত্তম যাযা দান করুন।
অনুরোদ : পারলে ফাতিমা মরিয়মকে গানের তালিকাটা দেবেন।
২৩ আগস্ট ২০১৫ রাত ০১:৪৫
279306
লজিকাল ভাইছা লিখেছেন : সত্যিই আমরা এই মানুষটিকে ভুলে যাচ্ছি। এই প্রজন্মের অনেক ইসলামী মাইন্ডেড ভাই ও উনাকে চিনেন না, এটা যতটা না বিস্ময়কর তারচেয়ে বেশি বেদনাদায়ক। কিছু দিন আগে দেখলাম উনার কিছু জনপ্রিয় গান কিছু লোক গেয়ে ভিডিও করে নিজেদের নামে ইউটিউব এ চালিয়ে দিচ্ছে!!!! এটা হচ্ছে আমাদের ইসলামী সঙ্গীতের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান গুলোর অবহেলা, উনারা অডিও-ভিডিও এ্যালবামে গানের গীতিকার, সুরকারের নাম উল্লেখ করেন না ।
ফাতেমা মারিয়ার অনুরধেই এই লেখা, তা না হলে আমার মত অলস লোকের পক্ষে এই সব সম্ভব হত না তাই উনাকে ধন্যবাদ।
আর উনার কোন এড্রেস আমার জানা নেই, তাই গানের লিস্টটা পোষ্টের সাথেই থাকবে, আল্লাহ্‌ চাহে ত উনি পেয়ে যাবেন । ধন্যবাদ আপনাকে ।
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ০৭:৪৫
281191
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : পেয়ে গেছি সাইফুল ভাই।
337695
২৩ আগস্ট ২০১৫ সকাল ০৫:৪৮
কাহাফ লিখেছেন :
সংস্কৃতি অংগনে বিশ্বাসে আবহ ছড়িয়ে দেয়া মহান এই মানুষটি নিয়ে সুন্দর উপস্হাপনায় অনেক ধন্যবাদ ও জাযাকাল্লাহ!!
৩১ আগস্ট ২০১৫ রাত ০৮:২০
280258
লজিকাল ভাইছা লিখেছেন : সুন্দর মন্তব্যের জন্য আন্তরিক মোবারকবাদ, প্রিয় কাহাফ ভাই।
337709
২৩ আগস্ট ২০১৫ সকাল ০৮:৩৭
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : তার মৃত্যুর ঘটনাটা বড় বেদনাদায়ক।
সত্যিই আফসোস হয় উনি ডান না হয়ে বাম রাম হতেন তবে এই বামেরাই অবশ্যই তার চিকিৎসার জন্য এগিয়ে আসতেন।
সত্যিই গত দুদিন হলো মানুষটার নাম জেনেছি আল্লাহর কাছে তার ক্ষমার জন্য দোয়া করি।
আমাদের মধ্যে কবে আসবে সেই মুসলমানিত্ব্য? আহ ইবনে সিনা আহ্ ব্যাংক হাসপাতাল আফসোস হয় জাতীর অন্যতম একসন্তানকে ফিরিয়ে দিয়ে আজীবনের কলংক মাথায় নিলে।
৩১ আগস্ট ২০১৫ রাত ০৮:২১
280261
লজিকাল ভাইছা লিখেছেন : ভাইছা আন্নেরে ধন্যবাদ
337732
২৩ আগস্ট ২০১৫ সকাল ১০:৫২
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো
অনেক ধন্যবাদ
৩১ আগস্ট ২০১৫ রাত ০৮:২১
280260
লজিকাল ভাইছা লিখেছেন : আপনাকে ও অনেক ধন্যবাদ
337758
২৩ আগস্ট ২০১৫ দুপুর ১২:৪২
আফরা লিখেছেন : উনার সম্পর্কে আমার জানা ছিল না প্রথমে সবুজ ভাইয়ার লিখা থেকে এখন আপনার লিখা থেকে উনার সম্পর্কে অনেক কিছু জানলাম ।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ লজিকাল ভাইছা ভাইয়া

হে আল্লাহ্‌ উনাকে, আপনার বেহেশতের বাগানে ঠাই দিন, আপনিই যে তাঁর সব কিছু ছিলেন । তাঁর উপর রহম করুণ। আমীন ”।
৩১ আগস্ট ২০১৫ রাত ০৮:২০
280259
লজিকাল ভাইছা লিখেছেন : আমীন ।
338167
২৭ আগস্ট ২০১৫ রাত ০৯:১৩
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : আমার অন্যতম প্রিয় কবিকে নিয়ে লেখার জন্য ধন্যবাদ..
৩১ আগস্ট ২০১৫ রাত ০৮:২৩
280262
লজিকাল ভাইছা লিখেছেন : যাক ভাললাগল যেনে, উনি আপনারও প্রিয় কবি। ধন্যবাদ ।
339882
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ০৭:৪৯
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : প্রথমেই পোস্টটিকে প্রিয় তালিকায় নিলাম।
চমৎকার লিখেছেন ভাইছা।
কবি সম্পর্কে অনেক কিছুই জানলাম। উনার গানের একটা তালিকাও পেলাম।
চমৎকার পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০২:০৯
282818
লজিকাল ভাইছা লিখেছেন : Finally I got the kick/pleasure. Thank you very much.
I attached some video songs with this post.but now ------- couldn't see anything else.

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File