এ এক বিস্ময়কর চিহ্ন V !! বিজয় চিহ্ন ও বটে !!!.

লিখেছেন লিখেছেন লজিকাল ভাইছা ০৩ নভেম্বর, ২০১৪, ০৩:৩৭:২৫ রাত



এ এক বিস্ময়কর চিহ্ন V !! বিজয় চিহ্ন ও বটে !!

এ এক বিস্ময়কর দৃশ্য অবলোকন করলাম জীবনে আমি। শুধু আমি না দেখেছে গোটা দেশ বাসী। এরা ও আমার আপনার মত মাটির তৈরি মানুষ ,কিন্তূ তারা এই সব পারে কিভাবে । ছোট্ট একজন মানুষ হেঁটে যাচ্ছেন ফাঁসির মঞ্চের দিকে, ধিরে ধিরে এগিয়ে যাচ্ছে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে কিন্তূ তার ঠোঁটে মুস্কি হাঁসি, ডান হাতটি উপরে তুলে V চিহ্ন দেখিয়ে, ধির স্থির, এগিয়ে যাচ্ছেন। আমি বিস্মিত!! এটা কি করে সম্ভব।

তথাকথিত মানবতা বিরোধী অপরাধ আদালত এর বিচার পতিরা যখন তাদের ভাগ্য বিধাতাদের(তাদের মতে) হুকুমের গোলাম হয়ে, বেলজিয়াম থেকে এক পতিতা কতৃক পাঠানো মনগড়া রায়ের ১ম রায়টি দিল। একজন কাদের মোল্লাহ কে কসাই কাদের বানীয়ে যাবত জীবন সাজাদিল। কাদের মোল্লাহ V চিহ্ন দেখালেন, আর এতেই কিছু বুর্জোয়া, কুলাঙ্গারের নিচের জঙ্গলে আগুন লেগে গিয়েছিল। কাদের মোল্লার প্রদর্শিত V চিহ্ন, নাকি দেশের বিচার ব্যাবস্থার প্রতি বৃদ্ধা আঙ্গুলি, তিনি নাকি V চিহ্ন দেখিয়ে তাদের সাথে তামাশা করেছেন।এতেই তাদের দুই ঊরুর সন্ধি স্থলে আগুন লেগেযায়। সেই আগুনে হওয়া দিল দেশের হলুদ কোম্পানি গুলো( হলুদ মিডিয়া)। আর কিছু চুতিয়া হটাত করে মুক্তিযুদ্দের ধারকবাহক হয়েগেল, যদিও যুদ্দের সময় তাদের বয়স থাকা সত্তেও তারা যুদ্দে অংশ গ্রহন করে নাই, এদের কেউ ছিল ভারতে,কেউ আবার পীরের খাটের নিচে দুধ কলা খেতে ব্যাস্ত ছিল। কেউ যুদ্ধে অংশ গ্রহন করার কথা চিন্তা করতে করতে যুদ্ধই শেষ হয়ে গেল।তারা আইন পরিবর্তন করল। এর পর আদালত এবার কাদের মোল্লার ফাঁসির আদেশ দিল। এবার আমার বিস্মিত হয়ার পালা, আর চুতিয়া গুলোর মাথায় আগুন লাগার পালা, কারণ এবার ও কাদের মোল্লা V চিহ্ন দেখালেন। হায়! হায় ! চেতনা, একদিকে নিচ দেশ, অপরদিকে উপরের দেশের জঙ্গলে আগুন লাগিয়ে দিলেন এক কাদের মোল্লাহ।

ফাঁসির দুই দিন আগে কাদের মোল্লার পরিবার তার সাথে শেষ দেখা করতে গেলেন, অপক্ষেমান হলুদ কোম্পানির এজেন্ট গুলো প্রস্তূত স্বজনদের আহাজারি নিয়ে রিপোর্ট করার জন্য, কিন্তু হায় একি !! এযে হাস্যউজ্জল কাদের মোল্লার ওয়াইফ, সবাইকে V চিহ্ন দেখাচ্ছেন। এই তো V চিহ্ন নয় যেন চুতিয়া সমাজ ও হলুদ মিডিয়ার গালে জুতার বাড়ি। মনে হল যেন একটা বাড়ি এসে আমার মত কোটি কোটি সাধারণ মানুষের গালেও পড়ল, যারা এত বড় একটা মিথ্যাচার দেখেও নিজিব হয়ে মুখ বন্ধ করে বসে ছিল। কোথায় কসাই কাদের আর কোথায় আব্দুল কাদের মোল্লা। বিস্মিত আমি, শুধু মুখদিয়ে একটি শব্দ বের হল, আল্লাহ্‌ এ ও কি সম্ভব । হু সম্ভব ! মনে পড়ল ইসলামের স্বর্ণালী যুগে এই রকম ঘটনা ঘটেছিল ।

এর পর আর বিস্ময় উপহার পেল জাতি, যখন কাদের মোল্লাকে ফাঁসির মঞ্চে নেওয়া হচ্ছিল। নির্লিপ্ত, শান্তশিষ্ট, মুখে মুচকি হাঁসি, আবার V চিহ্ন দেখিয়ে চলে গেলেন ফাঁসির মঞ্চে।

রাজনীতিকদের জন্য রেখেগেলেন আর কিছু বিস্ময়। ফাঁসির আগে তাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল” আপনার শেষ ইচ্ছা কি? উত্তর শুনে ভ্যাবচেকা খেয়ে গেলেন তারা “ তিনি বললেন তার শেষ ইচ্ছা, গোলাম আজম , আমির নিজামি এবং সাইদি সাহেবের সাথে দেখা করা, কথা বলা।

ফাঁসির পর দেখলাম উনার মেয়ের ফেসবুক স্ট্যাটাস, সেটা আর বিস্ময়কর । মনের মধ্যে প্রশ্ন জাগে এরা কি ? কি দিয়ে আল্লাহ্‌ এদের তৈরি করেছেন।

এর পর দেখলাম, একে একে বাংলা লিংক দামে ফাঁসির রায় হচ্ছে, একজনকেও দেখলাম না চিন্তিত , সবার মুখে বিজয়ের হাঁসি, দেশ বাসীকে V চিহ্ন দেখানোর মাধ্যমে,হলুদ মিডিয়াকে,চুতিয়া সমাজ কে জুতা মারছেন। আমার কাছে মনে হল এটা বিচার পতি নামের জানোয়ার গুলার গালে চপেটাঘাঁত।

আজ মীর কাশেম আলী সাহেবার ফাঁসির রায় হল। তিনিও দেখলাম হাসছেন, দেশ বাসীদেরকে V দেখাচ্ছেন। অথচ তার ফাঁসির রায় হয়েছে। বিচার পতিতাদের বললেন “‘আরে শয়তান- এটি মিথ্যা ঘটনা,

মিথ্যা স্বাক্ষী, কালো আইন,

ফরামায়েশি রায়। সত্য প্রতিষ্ঠিত

হবে, মিথ্যা পরাজিত হবে। শীগ্রই

শীগ্রই…।’....ইনশাআল্লাহ....

একরাশ বিস্ময়য়ে আমি বিস্মিত , যখন দেখলাম তার মেয়ের ফেসবুক স্ট্যাটাস “"আব্বু, আমি জানি আপনি এখনো লোহার ন্যায় মজবুত আছেন। আপনি আমার লৌহ-মানব। কেউ বা কোনো রায় (মিথ্যা) কখনো আপনার ঈমানের গভীরতাকে পাল্টাতে পারবে না। আমাদের পক্ষ থেকে আল্লাহ নিশ্চিতরূপেই বদলা নেবেন। এই পিগ-গভর্নমেন্টের পতনের ঘন্টা পরিশেষে বাজতে শুরু করেছে। নিশ্চিতরূপেই আপনি উত্তম সন্তান যা এ জমিন এ যাবত পেয়েছে।

নিশ্চয়ই আল্লাহর রয়েছে তাঁর নিজের পরিকল্পনা। আমি উৎকণ্ঠিত নই। আপনার মেয়ে উৎকণ্ঠিত নয়। আল্লাহু আকবর !"



আমি বাকরুদ্ধ, ভাষা খুজে পাচ্ছিনা। মনে পড়ল প্রিয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের একটি কবিতা, যে কবিতাটি আমার খুব প্রিয়। ( সংকল্প)

কিসের নেশায় কেমন করে

মরছে যে বীর লাখে লাখে।

কিসের আশায় করছে তারা

বরণ মরণ যন্ত্রণাকে।

কেমন করে বীর ডুবুরি

সিন্ধু সেঁচে মুক্তা আনে,

কেমন করে দুঃসাহসী

চলছে উড়ে স্বর্গপানে।

আজ থেকে ১০০ বছর আগে, বিদ্রোহী কবি নজরুল হয়ত কল্পনার চোখে এদের দেখতে পেয়েছিলেন। একদিন এইরকম একটি দলের আগমন হবে, যারা হাঁসতে হাঁসতে মরণ কে বরণ করে নিচ্ছে। এযেন ফাঁসির মঞ্চনয় , যেন কোন দুঃসাহসী (জাতির আলোকিত সন্তানেরা) স্বর্গপানে উড়ে চলছে।

হয়ত কাল আর একজন সৎ ট্যালেন্ট নেতার ফাঁসির রায় কনফার্ম হবে(আল্লাহ্‌ উত্তম সয়সালা কারী) তার পর ২-৩ দিনের মধ্যে তাকে খুন করাহবে। টিভি পর্দায় দেখতে পাব কামারুজ্জামান হাসছেন, সবাইকে V চিহ্ন দেখাচ্ছেন। মনে হবে তিনি তার মঞ্জিলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন । তিনি বিজয়ের হাসি হাসবেন, আর জাতি আর একটি হত্যার দ্বায় মাথাপেতে নিয়ে লজ্জায় মাথা নিচু করবে।

প্রশ্ন জাগে যে ব্যাক্তি এই V চিহ্ন কে বিজয় চিহ্ন হিসাবে প্রচলন শুরু করেছিলেন, তিনি যদি আজ বেঁছে থাকতে, কি ভাবতেন? আমরা কি ভাবছে ? আচ্ছা চুতিয়ারা কি ভাবছে ? নাহ কাদের সাথে কি তুলনা করছি !! একদল হাঁসি মুখে বিজয় চিহ্ন দেখিয়ে ফাঁসিতে চড়ছে । আর একদল হায়নার মত উচ্ছ্বাস করছে বিরয়ানী আশায়। একদল বুলেটের সামনে বুক পেতে দিচ্ছে , আর অন্যদল একটু গরম পানির ছিটকায় বেহুশ হয়ে হাসপাতালে যায়।

তোমার যারা চুতিয়া, তোমাদের কাছে আমার প্রশ্ন, কি বুঝ কাদের মোল্লার বউ, কাদের মোল্লার, মীর কাশেম আলীর V চিহ্ন দেখে? তোমরা ভাবতেছ তোমরা জিতেছ কিন্তু তারা কেন বিজয় চিহ্ন (V)দেখাচ্ছে !!!! আমি নিশ্চিত এই রহস্য তোমাদের ফিল্টার বিজ্ঞানীর পক্ষেও ভেদ করা সম্ভব নয়। জ্ঞানের ঐ লেভেলে যেতে হলে যে আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের কাতারে শামিল হতে হয়। ঐ স্তরে ওরা পোঁছেগেছে যারা ফাঁসির রায় শুনেও হাঁসতে পারে, বিজয়(V)চিহ্ন দেখাতে পারে । এটা আমার বিশ্বাস। আমীন ।

বিষয়: রাজনীতি

২০১৯ বার পঠিত, ২২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

280700
০৩ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০৪:৩৭
জোনাকি লিখেছেন : আল্লাহ্‌, তাদেরকে শাফল্য ও শান্তি দিন। আমাদেরকেও আপনার প্রিয়দের দলে শামিল করুন।
০৩ নভেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:১৮
224485
লজিকাল ভাইছা লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকে । হে আল্লাহ্‌ আমাদের কে ও শামিল করেনিন তাদের দলে, যারা মৃত্যুকে জয় করেছে ।
280702
০৩ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০৪:৪৯
কাহাফ লিখেছেন :

একজন বীর মুজাহিদের চরম ও পরম সার্থকতা আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্যে 'শাহাদাত' নসীব হওয়া! পুর্ণ মুমিনের একান্ত কাম্য বিষয়ই এটি!
আল্লাহ তাঁর দ্বীন কে বিজয়ী করবেনই ইনশা আল্লাহ!! Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up
০৩ নভেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:৩১
224489
লজিকাল ভাইছা লিখেছেন : তাদের জীবনের ২টি উদ্দেশ্য। এক) আল্লাহর জমিনে তার দিন প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নিজেদের জান-মাল উজাড় করে দিয়ে শহীদ হওয়া। এই পথটাকে তারা জীবনের সবচেয়ে বড় সাফল্য মনে করে। আর এজন্য তারা ফাঁসির মঞ্চে ও হাঁসতে হাঁসতে V চিহ্ন দেখাতে পারে । দুই) এই পথে সংগ্রাম করে বিজয়ী হওয়া , গাজী হওয়া । আর গাজী হওয়াটা এদের কাছে ২য় চয়েস । @কাহাফ ভাই,অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
280704
০৩ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৬:২৩
শেখের পোলা লিখেছেন : ফাঁসীর রশী নয় এ যে অনন্ত জীবনে প্রবেশের চাবী৷ তাই এ উচ্ছাস উল্লাস। সুবহানাল্লাহ৷
০৩ নভেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:৩২
224490
লজিকাল ভাইছা লিখেছেন : তাদের জীবনের ২টি উদ্দেশ্য। এক) আল্লাহর জমিনে তার দিন প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নিজেদের জান-মাল উজাড় করে দিয়ে শহীদ হওয়া। এই পথটাকে তারা জীবনের সবচেয়ে বড় সাফল্য মনে করে। আর এজন্য তারা ফাঁসির মঞ্চে ও হাঁসতে হাঁসতে V চিহ্ন দেখাতে পারে । দুই) এই পথে সংগ্রাম করে বিজয়ী হওয়া , গাজী হওয়া । আর গাজী হওয়াটা এদের কাছে ২য় চয়েস ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
280718
০৩ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৮:০১
মামুন লিখেছেন : আপনার লিখাটি পড়লাম। ধন্যবাদ।
০৩ নভেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:৩৬
224491
লজিকাল ভাইছা লিখেছেন : আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
280733
০৩ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:০২
আবু জারীর লিখেছেন : সত্য প্রতিষ্ঠিত

হবে, মিথ্যা পরাজিত হবে। শীগ্রই

শীগ্রই…।’....ইনশাআল্লাহ....

একটা শব্দ বাদ দিলে বাকি লেখাটা অসাধারণ।
ধন্যবাদ।
০৩ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:৪০
224349
মাজহার১৩ লিখেছেন : ধৈর্যেরও তো সীমা থাকে লাগে।
০৩ নভেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:৫৭
224492
লজিকাল ভাইছা লিখেছেন : আবু জারীর, ভাই আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
লেখাটি লেখার পর মনেহল, মনের কথা গুলো ভালভাবে প্রকাশ করতে পারিনি। লেখাটি লেখার সময় ক্রোধে, আবেগে , লেখার সূত্র গুলো হারিয়ে যাচ্ছিল বারবার। একবার ত মনেহল এই লেখাটিও শেষ করতে পারবনা।তাই লেখাটি ঘুচানো হয়নি, একটু এলোমেলো।
আমি বুঝতে পেরেছি আপনি কোন শব্দটির কথা বলছেন, কিন্তূ কি করব ঐ যে রাগ, ক্রোধ, ঘৃণা । আমার ওস্তাদ বলতেন আমার সাথে না কি,বাংলাদেশের মহিলা হিটলারের চরিত্রের খুব মিল পাওয়া যায়। পার্থক্য দুইটা সে মহিলা আর আমি পুরুষ, আমি ডান আর সে বাম।
ধন্যবাদ মাজহার১৩ ভাই , আমার কফিয়ত গুলোকে উনি একবাক্যে বলে দিলেন । “ ধৈর্যেরও তো সীমা আছে”।

ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন ।
280741
০৩ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:৫৬
মোস্তফা সোহলে লিখেছেন : আসলেই এ দেশে ফাঁসি যেন বাংলালিঙ্ক দামেই হয়ে যাচ্ছে।
০৩ নভেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:০৭
224493
লজিকাল ভাইছা লিখেছেন : বাংলাদেশ আজ ইসলামী আন্দোলন এর মানুষদের জন্য মৃত্যু উপত্যকা । The valley of fear . ফিলিস্থিন, মিশর, কাশ্মির এর সাথে যুক্ত হল নতুন একটি নাম বাংলাদেশ । হে আল্লাহ্‌ এই সবুজ শ্যামল, শান্তি প্রিয় দেশটাকে অশান্তির দাবানল হতে আপনি হেফাজত করুন । আমীন । আমীন ।আমীন ।
280750
০৩ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:৫৯
কাউয়া লিখেছেন : ভালো লাগলো
০৩ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:৪৫
224419
লজিকাল ভাইছা লিখেছেন : Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck
280886
০৩ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:৩১
আফরা লিখেছেন : লেখা অনেক ভাল হয়েছে লজিকাল ভাইছা ভাইয়া।
০৩ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১১:৪৯
224554
লজিকাল ভাইছা লিখেছেন : ওস্তাদের কাছথেকে প্রাপ্ত প্রশংসার মুল্যই আলাদা। এই লেখাটি লেখার সময় বারবার মনে হল, আমি যত ভালো একজন তার্কিক ঠিক তত খারাপ একজন লেখক। বারবার মনে হচ্ছিল লেখাটি মনেহয় শেষ করতে পারবোনা । লেখাটি লেখার সময় ক্রোধে, আবেগে , লেখার সূত্র গুলো হারিয়ে যাচ্ছিল বারবার।সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আমার গুরুজি আফরা আপুমনি ।
০৪ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১২:০০
224557
আফরা লিখেছেন : হায় হায় ...লজিকাল ভাইছা ভাইয়া এসব কি বলেন ।আপনারা কত্ত জ্ঞানী গুনী মানুষ । আমি এক নাদান মানুষ এই ব্লগে আসি আপনাদের সাথে দুষ্টামী করে আনন্দ পাই সাথে কিছু জানার ও কিছু শিক্ষার চেষ্টা করি ।

আর আমাকে আপনি গুরুজী বলে ফেললেন লজিকাল ভাইছা ভাইয়া !
281209
০৪ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:০৯
হতভাগা লিখেছেন : ''এই পিগ-গভর্নমেন্টের পতনের ঘন্টা পরিশেষে বাজতে শুরু করেছে।''

০ এসব কথা বলে নিজেদেরই ঝামেলায় ফেলছে । আর আওয়ামী লীগের বাইরে বর্তমানে এমন কোন দলকে দেখছি না যে দেশ পরিচালনা করতে পারবে ।
আওয়ামী লীগের গ্রাসরুট লেভেল এতটাই গভীরে যে এদেরকে হারানো সুকঠিন ।

মিনিমাম আগামী ১০-১৫ বছর আওয়ামী লীগকে জেতার জন্য কোন টেনশন করতে হবে না ।
০৪ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১০:৪২
224872
লজিকাল ভাইছা লিখেছেন : হতভাগা ভাই বলেছেন "আওয়ামী লীগের গ্রাসরুট লেভেল এতটাই গভীরে যে এদেরকে হারানো সুকঠিন ।" আর আমি বলি "নমরুদ, ফেরাউন ও এই রকম ছিল। আল্লাহ্‌ তাদের পতনকে, মানুষের জন্য নিদর্শন হিসাবে রেখেদিলেন। সে জন্য ঈমানের চূড়ান্ত পরীক্ষা দিতে হবে, আর সে পরীক্ষা এখন চলছে।" ধন্যবাদ ভাইয়া।
০৫ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:০৮
224952
হতভাগা লিখেছেন : ৭১ এ নিজামী - পাকীরাই নমরুদ ফেরাউন - এদের মত ছিল । এখন সেটার বিচার হচ্ছে ।

ফেরাউনকে তার দলবল সহ পানিতে ডুবিয়েই তার শাস্তি আল্লাহ পুরোপুরি দিয়ে দেন নি দুনিয়াতে । পরকালে সে তার দলবলকে লিড দিয়ে জাহান্নামে নিয়ে যাবে - এটার কথাও বলা আছে ।

স্বধর্মীয়দের বিনা কারণে হত্যা এবং হত্যা করতে সাহায্য করার দায়ে দুনিয়াতে যে এখন তাদের বিচার হচ্ছে পরকালেও তাদের এই কাজের বিচার হবে ।

আরও নাম না যারা আছে তারা কি পরকালে নিজামীর অন্যায়ের বিচার আল্লাহর কাছে চাইবে না ?

নিজামীদের ঈমানের পরীক্ষা না , তাদের পাপের শাস্তি চলছে । এটা থামবে না ।

৭১ এ অন্যায় করে গত ৩০-৩৫ বছর কিছু হয় নি বলে মনে করেছিল পার পেয়ে গেছে । আরাম আয়াশেই দিন পার করেছেন ।

এখন যখন শাস্তি শুরু হয়ে গেছে তখন নিজেদের আপনারা স্বান্ত্বনা দিচ্ছেন যে ঈমানের পরীক্ষা চলছে ?

একটুও কি চিন্তা করে দেখেছেন এই শাস্তির কারণ কি ? উনারা কি সঠিক ছিলেন ? সঠিক কাজ করেছিলেন ৭১ এ ?

আপনারা ব্রেইন ওয়াশড - তাই শাস্তিকে ঈমানের পরীক্ষা ভাবছেন, চিন্তা করছেন না যে এটা পাপেরই শাস্তি.

এবং এ থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেদের শুধরানোরও কোন চেষ্টা করছেন না ।

আপনারা শুধরানো হলে তো শুধরাবেন !

আল্লাহ যাকে বোঝার তৌফিক দেন না তাকে কেউ বোঝাতে পারে না ।
০৬ নভেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:২১
225331
লজিকাল ভাইছা লিখেছেন : হুম !বুঝবার পারছি। বিষয়টা হলো কি, বিষয়টা তা না মিয়ারা “আমার বেয়াই ও তার বাপ নরু মিয়া ৭১ সালে রাজাকার ছিল ঠিকই কিন্তূ তারা যুদ্ধঅপরাধী না”।
একদম চেতনায় টুইটুম্বর দেখছি। চেতনার মানে যদি হয়, গনত্রন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করা, জনগনের ভোটের অধিকার হরন করা, মানুষের সাংবিধানিক অধিকার গুলোকে ধর্ষণ করা, দেশটাকে নিজের বাপ-দাদার সম্পত্তি মনেকরা, বাকশাল কায়েম করা, ইসলাম ও আল্লাহ্‌ কে নিয়ে কটাক্ষ করা, নামাজ পড়লে কিংবা পড়ার টেবিলে কোরআন শরিফ পেলে তাদের ইউনিভার্সিটি থেকে বহিষ্কার করা, মুহাম্মদ(সঃ) এবং উনার সম্মানিতা বিবিদের নিয়ে চটি লিখা, পদ্মা সেতু খেয়ে পেলা, ধর্ষণের সেঞ্চুরি করা, মুক্তিযুদ্ধাদের নাতি পুতিদের সরকারী কোঁটায় চাকরী দেওয়া, লাশের উপর পৈশাচিক নৃত্য করা, লগী বৈঠার তাণ্ডব, জীবন্ত মানুষকে গ্যান পাওডার/পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে মারা, ফ্রী বিরিয়ানি খাওয়া, তেঁতুল খাওয়া, মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক বাহিনী কে মুরগি সাপ্লাই দেওয়া, যুদ্ধের সময় পীরের খাটের নিচে বসে বসে দুধ কলা খাওয়া, মুক্তিযুদ্ধের সময় বয়স হওয়া সত্ত্বে ও যুদ্ধে অংশ গ্রহন নাকরে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের বাপ হয়ে যাওয়া, ইসলামের নাম শুনলে গায়ে চুলকানি হওয়া, তাহলে আমি খুব দুঃখিত। আমার মধ্যে এই চেতনা নেই,কারণ একজন মুক্তিযোদ্ধা এই চেতনা থেকে আমাকে দূরে রেখেছেন। যিনি কলে পিঠে করে মানুষ করেছেন, তিনিই আমার মধ্যে দেশ প্রেমের, ধর্ম প্রেমের, সততার, সত্য বলার বীজ বুলেছেন। এটা যদি হয় ব্রেইন ওয়াশ, হু আমি ব্রেইন ওয়াশড। ধন্যবাদ আপনাকে ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File