তোমরা যারা পূজায় যাচ্ছো অসাম্প্রদায়িক মনন গড়তে

লিখেছেন লিখেছেন আব্দুল্লাহ আল রাহাত ১১ অক্টোবর, ২০১৬, ১১:৫৭:২০ রাত

আপনি পূজায় গিয়ে আনন্দ করছেন অসাম্প্রদায়িক মনন গড়ে তুলার জন্য। কিন্তু আপনি কি জানেন যুগে যুগে আল্লাহ নবী রাসূলদের কেন পাঠিয়েছিলেন? তাঁরা তো এসেছিলেন মানবজাতিকে মূর্তি পূজা থেকে এক আল্লাহর ইবাদাতের দিকে ফিরিয়ে আনতে। এটাই ছিল তাদের একমাত্র দায়িত্ব। আপনি কি জানেন ইব্রাহিম(আঃ)কে কেন অগ্নি গর্তে ফেলা হয়েছিল? মূর্তি ভাঙ্গার জন্য। আপনি কি জানেন সবচেয়ে বড় জুলুম কি? আল্লাহর সাথে শিরক করা। আপনি কি জানেন কোন গুনাহ ছাড়া বাকী সকল গুনাহ আল্লাহ নিজ ইচ্ছায় ক্ষমা করবেন? শিরকের গুনাহ। আপনি কি জানেন মক্কা বিজয়ের পর রাসূল(সঃ) বাইতুল্লাহর ৩৬০ মূর্তি ভেঙ্গে চুরমার করছিলেন আর তিলাওয়াত করছিলেন সত্য এসেছে এবং মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে। নিশ্চয় মিথ্যা বিলুপ্ত হওয়ারই ছিল। [সুরা বনী-ইসরাঈল: ৮১]। মূর্তিপূজা মিথ্যা আর এই মিথ্যাতে আপনি আসক্ত হয়ে পড়ছেন।

সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা পূজা পালনে নিরাপত্তা দিতে পারেন, খোঁজ খবর নিতে পারেন। এটা তাদের দায়িত্ব। কিন্তু রাজনৈতিক বা বন্ধুতের কারণে পূজায় গিয়ে কোন মুসলিম আনন্দ করতে পারেন না। তাদের বিপদের এগিয়ে যান, তাদের অভাব-অনটন দূর করতে এগিয়ে আসেন। তাদের সাথে ভাল আচরণ করেন। এতে ইসলামে কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। এই সব করলে তাঁরা আপনার সাথে থাকবে, আপনার গীত গাইবে। তাদের সমর্থন পাওয়ার জন্য পূজায় শরিক হয়ে মুশরিক হওয়ার দরকার পড়ে না। মুকোশধারী ইসলামবিদ্বেষী স্যাক্যুলারদের ফাঁদে পা দিলে সব আমলই বিনষ্ট হয়ে যাবে। এরা চায় যেকোনভাবে ইসলাম থেকে বের করে ফেলতে, ইসলামের প্রতি বিদ্বেষ জাগিয়ে তুলতে।

আপনি কি আপনার নেতার কথা শুনবেন নাকি আল্লাহর কথা শুনবেন? নেতার কিছু কথা না হয় মানলেন না, দুনিয়ার নেতা তো! যাকে আপনি গালিও দেন, প্রশংসাও করেন। যিনি আপনার এই বন্ধু , এই শত্রু। তাঁর জন্য আল্লাহর শত্রু হতে যাবেন কেন? নেতার জন্য যদি ঈমানও বিসর্জন দেন, এর বিনিময় কি আপনার নেতা আপনাকে দিবেন বা দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন? নিজেকে তাদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করে ফেলছেন না তো যারা শেষ বিচারের দিন বলবে,

যেদিন অগ্নিতে তাদের মুখমন্ডল ওলট পালট করা হবে, সেদিন তারা বলবে হায়! আমরা যদি আল্লাহর আনুগত্য করতাম ও রসূলের আনুগত্য করতাম। তারা আরো বলবে, হে আমাদের পালনকর্তা, আমরা আমাদের নেতা ও বড়তের কথা মেনেছিলাম, অতঃপর তারা আমাদেরকে পথভ্রষ্ট করেছিল। হে আমাদের পালনকর্তা! তাদেরকে দ্বিগুণ শাস্তি দিন এবং তাদেরকে মহা অভিসম্পাত করুন। (সূরা আহযাব : ৬৬ - ৬৮)

আপনি যদি পাপিষ্টদেরকে দেখতেন, যখন তাদেরকে তাদের পালনকর্তার সামনে দাঁড় করানো হবে, তখন তারা পরস্পর কথা কাটাকাটি করবে। যাদেরকে দুর্বল মনে করা হত, তারা অহংকারীদেরকে বলবে, তোমরা না থাকলে আমরা মুমিন হতাম। অহংকারীরা দুর্বলকে বলবে, তোমাদের কাছে হেদায়েত আসার পর আমরা কি তোমাদের বাধা দিয়েছিলাম? বরং তোমরাই তো ছিলে অপরাধী। দুর্বলরা অহংকারীদেরকে বলবে, বরং তোমরাই তো চক্রান্ত করে আমাদেরকে নির্দেশ দিতে যেন আমরা আল্লাহকে না মানি এবং তার অংশীদার সাব্যস্ত করি। তারা যখন শাস্তি দেখবে, তখন মনের অনুতাপ মনেই রাখবে। (সূরা সাবা : ৩১-৩৩)

বিষয়: বিবিধ

৮৯৭ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

378594
১২ অক্টোবর ২০১৬ রাত ১২:৩২
স্বপন২ লিখেছেন : ভালো লাগলো / অনেক ধন্যবাদ/
378600
১২ অক্টোবর ২০১৬ রাত ০১:৫৪
নূর আল আমিন লিখেছেন : "প্রকৃত মুসলিম আর বাঙাল মুসলিমের মধ্যে দিনরাত ফারাক
378603
১২ অক্টোবর ২০১৬ রাত ০১:৫৮
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : যুক্তিপূর্ন পোষ্টটি ভালো লাগলো
378617
১২ অক্টোবর ২০১৬ সকাল ১০:৫৬
হতভাগা লিখেছেন :






১২ অক্টোবর ২০১৬ বিকাল ০৪:৩০
313655
আব্দুল্লাহ আল রাহাত লিখেছেন : হিজাবের আড়ালে কি জ্বালা দেখাইলেন!!!

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File