নির্যাতিত মুসলিম উম্মাহর মাঝে খিলাফত বা ইসলামী নেতৃত্বের ঘ্রাণ পাচ্ছি।

লিখেছেন লিখেছেন বিভীষিকা ২৯ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৮:০৪:২৪ সকাল



ইতিহাস কি বলে?

১ম বিশ্বযুদ্ধে মিত্রশক্তির কাছে তুরস্ক হারার পর ১৯২০ সালের দিকে যখন উসমানীয় খিলাফতের একদম ভঙ্গুর অবস্থা সেই সময় বৃটেন ও ফ্রান্স সরকার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে নিয়ে একটি ব্যঙ্গাত্মক নাটক মঞ্চস্থ করার পরিকল্পনা করে।

মুসলিম জাহানের সর্বশেষ খলিফা ২য় আব্দুল মাজিদ বৃটেন ও ফ্রান্স সরকার কে বলেছিলেন - “ আপনারা যদি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে নিয়ে ঐ ব্যঙ্গাত্মক নাটকটি মঞ্চস্থ করেন তাহলে আমি জিহাদে আকবরের ঘোষনণা দিব। ” খলিফার এই কথা শুনে বৃটেন ও ফ্রান্স সরকার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে নিয়ে ঐ ব্যঙ্গাত্মক নাটকটি আর মঞ্চস্থ করার সাহস পায় নি।

উসমানীয় প্রত্যেক খিলাফত কালেই সবসময় মুসলিম রাষ্ট্র গুলি একটি কেন্দ্রিয় সরকারের অধীনে ছিল। এই খিলাফতটা ১৯২৪ সাল পর্যন্ত পৃথিবীতে টিকেছিল।৬৩২ সাল থেকে শুরু করে ১৯২৪ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ১২৯২ বছর যদি আমরা মুসলমানরা একটি কেন্দ্রীয় খিলাফত সরকারের অধীনে একসাথে থাকতে পারি তাহলে এখন আবার আমাদের মুসলমানদের এক হতে সমস্যাটা কোথায় ? (তথ্যসূত্রঃআলবেরুনী ভারত তত্ব)

##ইতিহাসের ফলাফলঃ- ইসলামের সোনালী অতীত থেকে বুঝা যাচ্ছে যে, খিলাফতটা মুসলমানদের হাতে ১২৯২ বছর পর্যন্ত ছিলো। তবে হ্যাঁ, বর্তমানে মুসলমানরা কোরান-হাদীসের আদর্শকে পরিত্যাগ করার কারণে খিলাফতকে হারিয়েছে।আর আল্লাহ হয়তো এর মাধ্যমে মুসলমানদেরকে সাময়িক শাস্তি দিচ্ছেন বা পুনঃরায় সংশোধন করে খিলাফতের যোগ্য করে তুলছেন(In my opinion)। তবে আমার ভুলও হতে পারে,কারণ আমি দলীল নই। আর যেহেতু ১৯২৪ সালে আনুষ্ঠানিক ভাবে উসমানীয় খিলাফতের বিলুপ্তি ঘটেছে তাই আশা করা যায় যে, ইনশাল্লাহ আবার মুসলিম বিশ্বের কোন না কোন প্রান্ত থেকে খিলাফত শুরু হয়ে যাবে। তাই আমাদের উচিত ইমাম মেহেদীর আশায় বসে না থেকে যার যার তরফ থেকে আবার খিলাফত রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার জন্য কাজ করা।

মুসলমানদের একজন খলিফা থাকা ওয়াজিব।

মুসলিম বিশ্বে অবশ্যই একজন খলিফা থাকতে হবে এটা হচ্ছে ইজমাউস-সাহাবাহ যা শরীয়তের একটি সুস্পষ্ট দলীল। আবার আমরা জানি ওয়াজিব পূরণের জন্য যা প্রয়োজন তা নিজেই একটা ওয়াজিব। যেহেতু খলিফা ছাড়া ইসলামী বিধি-বিধান,কিয়াস ও জিহাদ বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয় তাই খলিফা থাকা ও খিলাফত পুনরুদ্ধারের জন্য কাজ করা জনমত গঠন করা এটাও একটা ওয়াজিব।

রাসূল(সাঃ)-এর বাণী কি বলে ?

{১}বুখারী ও মুসলিম শরীফের একটি হাদিস যেটাকে মুত্তাফাক আলাইহি বলা হয় যেখানে আবু হাজিমের বরাত দিয়ে ইমাম মুসলিম বর্ণনা করেন, “আমি আবু হুরায়রার সাথে পাঁচ বছর অতিবাহিত করেছি এবং তাকে বলতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “বনী ইসরাঈলকে শাসন করতেন নবীগণ। যখন এক নবী মৃত্যুবরণ করতেন তখন তার স্থলে অন্য নবী আসতেন, কিন্তু আমার পর আর কোনও নবী নেই। শীঘ্রই অনেক সংখ্যক খলিফা আসবেন। সাহাবীরা তখন জিজ্ঞেস করলেন তখন আপনি আমাদের কী করতে আদেশ করেন?

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তখন বললেন, তোমরা একজনের পর একজনের বা’য়াত পূর্ণ করবে,তাদের হক আদায় করবে। অবশ্যই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’য়ালা তাদেরকে তাদের উপর অর্পিত দায়িত্বের ব্যাপারে প্রশ্ন করবেন।” [বুখারী ও মুসলিম ]

## হাদীসের ফলাফলঃ- এই হাদিসে সিয়াসাত শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। আরবীতে সিয়াসাত শব্দের অর্থ হল রাজনীতি বা উম্মতের দেখাশুনা করা। নবুয়্যতের পর মুসলিম উম্মাহকে দেখাশুনা করার দায়িত্ব হচ্ছে একমাত্র খলিফার। আর আল্লাহ কি মুসলিম উম্মাহকে ১৯২৪ সালের পর থেকে ইমাম মেহেদীর আগমনের পূর্ব পর্যন্ত বাতিলের মাধ্যমে শাস্তি দিবেন ? আমাদের মাঝে কি কোনো মুমিন দল নেই ? অবশ্যই আছে। আল্লাহ বলেছেন, "তোমরাই বিজয়ী হবে যদি তোমরা মুমিন হও"। এছাড়াও উল্লেখিত হাদিসে"শীঘ্রই অনেক সংখ্যক খলিফা আসবেন" বলে হাদীসে ইঙ্গিত করা হয়েছে।

{২}আবু হুরায়রা রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে আল-আরাজও সেই সূত্রে ইমাম মুসলিম বর্ণনা করেন যে, “রাসূল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “নিশ্চয়ই, ইমাম হচ্ছেন ঢাল স্বরূপ যার পেছনে থেকে জনগণ যুদ্ধ করে এবং যার মাধ্যমে জনগণ নিজেদেরকে রক্ষা করে।” [মুসলিম]

{৩}ইমাম মেহেদী সম্পর্কে মেশকাত শরীফের কিয়ামতের নিদর্শন সমূহ এই অধায়্যের ৫২২২ নং যে হাদীস টি আছে আমরা যদি এখন ঐ হাদীসের প্রতি দৃষ্টিপাত করি তাহলে সেখানে লেখা আছে যে - “উম্মুল মুমিনীন হযরত উম্মে সালামা রাযিয়াল্লাহু আনহা কর্তৃক হতে বর্নিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন , “শেষ যুগে খলিফার মৃত্যুর পর নেতৃস্থানীয় লোকদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিবে পরবর্তী খলিফা কে হবে তা নিয়ে। তখন মদীনা থেকে একব্যাক্তি বের হয়ে মক্কার দিকে ছুটে পালাবে। এ সময় মক্কাবাসীগণ তার নিকট এসে তাকে জোরপূর্বক বের করে আনবে। কিন্তু সে তা পছন্দ করবে না। প্রকৃতপক্ষে এই ব্যক্তিই ইমাম মেহেদী।অতঃপর হাযারে আসওয়াদ ও মাকামে ইবরাহীমের মধ্যবর্তী স্থানে লোকেরা তার কাছে বায়াত গ্রহণ করবে। এরপর সিরিয়া থেকে একটি সেনাবাহীনি তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য পাঠানো হবে। কিন্তু মক্কা ও মদীনার মধ্যবর্তী বাইদা নামক স্থানে তাদেরকে ভূগর্ভে পুঁতে ফেলা হবে। তারপর যখন চারদিকে এই খবর ছড়িয়ে পড়বে এবং লোকেরা চাক্ষুষভাবে এই অবস্থা দেখবে তখন শামের (বর্তমান সিরিয়া )আবদাল গন এবং ইরাকের এক বিরাট দল তার কাছে আসবে ও তার কাছে বায়াত গ্রহণ করবে। এরপর কোরাইশদের এক ব্যাক্তি যার মাতুল বংশ হবে বনু কালব , সেও ইমামের বিরুদ্ধে একদল সৈন্য পাঠাবে। ইমামের সেনাবাহীনি তাদের উপর বিজয়ী হবে। এটাই কালবের উত্থান। ইমাম মানুষের মধ্যে নবীর আদর্শ মোতাবেক কাজ কর্ম পরিচালনা করবেন এবং তার শাসনামলে ইসলাম সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়বে। তিনি সাত বছর অবস্থান করবেন। তারপর ইন্তেকাল করবেন এবং মুসলমানগণ তার জানাযা পড়বে”। ( আবু দাঊদ)

##হাদীসদ্বয়ের(২,৩)ফলাফলঃ- ইসলামী শরীয়াতে ইমামত ও খিলাফত এবং ইমাম ও খলিফা একই অর্থে ব্যবহৃত হয়।তাই ইমাম মেহেদী সম্পর্কে আমাদের মাঝে একটি ভুল ধারণা আছে। আর তা হল আমরা অনেকেই ধারণা করি যে ইমাম মেহেদী আসার পর আবার খিলাফত শুরু হবে। আসলে এই ধারণাটা মনে হয় হাদীসের দৃষ্টিকোণ থেকে ভুল। তাফসীরে মা আরেফুল কোরানে ইমাম মেহেদীকে সর্বশেষ খলিফা বলা হয়েছে। মূলত ইমাম মেহেদীর আগমনের পর খিলাফতের সমাপ্তি ঘটবে। তাই ইমাম মেহেদী এসে খিলাফত প্রতিষ্ঠা করবেন এটা সম্পূর্ণ একটা ভুল ধারণা।

{৪}খিলাফত যে আবার আসবে এই ব্যাপারে মুসনাদে আহমদে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের একটি প্রসিদ্ধ হাদিস রয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে- " তোমাদের মধ্যে নব্যুয়ত থাকবে যতক্ষণ আল্লাহ সুবহানাতায়ালা ইচ্ছা করেন; তারপর তিনি তার সমাপ্তি ঘটাবেন; তারপর প্রতিষ্ঠা হবে নব্যুয়তের আদলে খিলাফত। তা তোমাদের মধ্যে থাকবে যতক্ষণ আল্লাহ সুবহানাতায়ালা ইচ্ছা করেন; তারপর তিনি তার সমাপ্তি ঘটাবেন; তারপর প্রতিষ্ঠা হবে বংশীয় শাসন। এরপর আল্লাহর ইচ্ছায় এরও সমাপ্তি হবে। তারপর প্রতিষ্ঠিত হবে জুলুমের রাজত্ব এবং তা তোমাদের উপর থাকবে যতদিন আল্লাহ ইচ্ছা করেন। এরপর আবার আসবে নব্যুয়তের আদলে খিলাফত। "

##হাদিসের ফলাফলঃ- উল্লেখিত হাদীসে ৫টি পর্যায়ের কথা বর্ণিত হয়েছে । যথাঃ-১>নবুয়্যত ২>খিলাফত ৩>দুষ্ট রাজতন্ত্র ৪>জুলুমতন্ত্র বা স্বৈরতন্ত্র ৫>পুনরায় খিলাফত।সুতরাং এই হাদীস অনুসারে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সকল ভবিষ্যত বাণীই বাস্তবে সংঘঠিত হয়ে গেছে। যেমনঃ এখন আমরা আছি জুলুমের রাজত্বে বা স্বৈরতন্ত্রে এবং আশা করছি এই জুলুম-রাজত্বের পর অতিশীঘ্রই আমাদের মাঝে নবুয়্যতের আদলে খিলাফত ব্যবস্থা ফিরে আসবে(আল্লাহ ভালো জানেন)।

{৫}শুধু তাই নয় খিলাফত যে আবার আসবে এ নিয়ে আরো হাদীস রয়েছে। যেমন

ইবনে আসাকির-এর “দামেস্কের ইতিহাস” গ্রন্থে ইউনুস ইবনে মায়সারা ইবনে হালবাস হতে বর্ণিত, রাসূল (সা) বলেন, এই শাসন ব্যবস্থা (খিলাফত ) আমার পর থাকবে মদীনায়, তারপর আল-শামে, তারপর আরব উপদ্বীপে, তারপর ইরাকে, তারপর (হীরাকলের ) শহরে, তারপর বায়তুল মাকদিসে (আল-কুদুস) এবং যখন আল-কুদুসে প্রতিষ্ঠিত হবে তখন সেটাই হবে তার স্থান। এরপর লোকেরা (কেউ )তা কখনো বের (পরিবর্তন ) করে দিতে পারবে না এবং তা চিরকালের জন্য তাদের কাছে ফিরে আসবে।

##হাদিসের ফলাফলঃ- পূর্ববর্তী খলীফাদের সময়ে এই উম্মাহ্ খিলাফতের রাজধানী দেখেছে মদীনায়, আল-শামে, ইরাকে ও (হীরাকলের) শহরে অর্থাৎ তুরস্কের ইস্তাম্বুলে। ইনশাল্লাহ আবার যখন খিলাফত ফিরে আসবে তখন তার রাজধানী হবে আল-কুদুস অর্থ্যাৎ জেরুজালেম শহরে।

{৬}ইবনে সাদ ও কানজুল উম্মাল ১৪/২৫২ এর গ্রন্থকার উভয়ে আবু উমায়রা আল মাযানী হতে বর্ণনা করেন, রাসূল (সাঃ) বলেছেন, বায়তুল মাকদিসে একটি হেদায়েতপূর্ণ আনুগত্যের শপথ নেয়া হবে।

{৭}ইমাম আহমদ তাঁর মুসনাদ (৫/২৮৮), আবু দাউদ তাঁর সুনান (নং ২৫৩৫) এবং হাকিম তাঁর আল-মুসতাদরাক গ্রন্থে বর্ণিত হাদীসে বলেন, রাসূল (সা )বলেছেন, হে ইবন হাওয়ালা, যখন তুমি দেখবে খিলাফত পবিত্র ভূমিতে (আল-কুদুস ) ফেরত এসেছে তখন ভূমিকম্প, দুর্যোগ ও এরূপ বিশাল ঘটনা অনিবার্য হয়ে পড়বে। আর তখন কিয়ামত মানুষের ততটুকু কাছে চলে আসবে আমার এই হাত থেকে তোমার মাথার দুরত্ব যতটুকু।

{৮}ইমাম আহমদ তাঁর মুসনাদে (২/১৭৬), আল দারিমি তাঁর মুসনাদে (অধ্যায় ১, পৃষ্ঠা ১২৬) ও আল হাকিম তাঁর আল মুসতাদরাক (৩/৪২২) এ আবু কাবিল হতে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করল, “কোন শহরটি আগে জয় করা হবে, কনস্ট্যানটিনোপোল নাকি রোম?” রাসূল (সাঃ) বললেন, ‘হীরাকলের নগরী প্রথম জয় করা হবে’ অর্থাৎ কনস্ট্যানটিনোপোল।

##হাদীস সমূহের(৬,৭,৮)ফলাফলঃ- হাদীসে উল্লেখিত প্রথম বিজয়টি ইতিমধ্যে অর্জিত হয়েছে। কনস্ট্যানটিনোপোল অর্থ্যাৎ তুরস্কের ইস্তাম্বুল ইসলামের অধীনে এসেছে উসমানীয় সুলতান মুহাম্মদ আল ফাতেহ-এর আমলে ১৪৫৩ সালে। রাসূল (সাঃ)-এর ভবিষ্যৎবাণীর ৮০০ বছর পর এ বিজয় অর্জিত হয়। আল্লাহর ইচ্ছায় পরবর্তী খিলাফত ইতালির রাজধানী রোমও বিজয় করবে সেটাও বেশি দূরে নয়। সার্বিক আলোচনায় এটা স্পষ্ট যে, খিলাফত পুনঃপ্রতিষ্ঠার বিষয়টি মুতাওয়াতির বিল মা’না [বহু সংখ্যক শুদ্ধ বর্ণনা] হাদীস দ্বারা নিশ্চিতভাবে প্রমাণিত।

এ হিসেবে দেখা যায় যে, খিলাফত পুনঃপ্রতিষ্ঠাসংক্রান্ত হাদীসসমূহ অন্তত ২৫ জন সাহাবী, ৩৯ জন তাবেয়ী ও ৬২ জন তাবে-তাবেয়ী দ্বারা বর্ণিত হয়েছে। তাই খিলাফতের পুনরাগমন শরীয়াতের অকাট্য দলিল দিয়ে প্রমাণিত বিষয়।

আল-কোরান কি বলে ?

(In my opinion:আমার ভুলও হতে পারে, কারণ আমি ভুলের ঊর্দ্ধে নই)

দেখুন,খিলাফতের সমাপ্তিটা ছিলো ১৯২৪ সালে। তাই ১৯২৪ সাল থেকে ইমাম মেহেদী আসার পূর্ব পর্যন্ত সময়টা কিন্তু বেশ লম্বা সময় এবং কোনো ইসলামী পণ্ডিতও এই সময়টার পরিধি নির্ধারণ করতে পারেননি। তবে অধিকাংশ মুহাদ্দিসদের ভাষ্যমতে সময়টা অনেক অনেক দীর্ঘ। Suppose আমরা ধরে নিলাম সময়টা ৫০০-৬০০ বছর। আর এ দীর্ঘ সময় যদি আল্লাহ মুসলমানদেরকে বাতিলের মাধ্যমে শাস্তি দিতে থাকেন তাহলে ইসলাম ও মুসলমানদের অস্তিত্বও থাকবেনা (আল্লাহ ভালো জানেন)।

সুতরাং আমি দৃঢ় বিশ্বাস করি যে, ইসলাম যে বিজয়ী হবে তা নিয়ে কারো সন্দেহ করা উচিত নয় এবং এটা হচ্ছে আল্লাহর কৃত ওয়াদা যে-আল্লাহ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, "তোমাদের মধ্য থেকে যারা ঈমান আনবে ও সৎ কাজ করবে তাদেরকে তিনি পৃথিবীতে ঠিক তেমনিভাবে খিলাফত দান করবেন যেমনিভাবে তাদের পূর্বে অতিক্রান্ত লোকদেরকে দান করেছিলেন" ৷(সূরা নূরঃ ৫৫)

“তোমার আসার আগেও আমরা নির্যাতিত হয়েছি এবং এখন তোমার আসার পরেও নির্যাতিত হচ্ছি।” সে জবাব দিলঃ “শীঘ্রই তোমাদের রব তোমাদের শত্রুকে ধ্বংস করে দেবেন এবং পৃথিবীতে তোমাদেরকে খলীফা করবেন, তারপর তোমরা কেমন কাজ করো তা তিনি দেখবেন।”(সূরা আরাফঃ ১২৯)

উপসংহারঃ- মাক্কী ও মাদানী জীবনে সকল সাহাবী খুব কষ্ট করে চললেও উনারা কিন্তু ঠিকই ইসলামের ভবিষ্যত বিজয় সম্পর্কে পুরোপুরি আস্থাশীল ছিলেন। ঠিক তেমনি মুসলমানদেরকে ভবিষ্যতে খিলাফত আসার ব্যাপারে এবং সামনে মুসলমানদের আবার ভাল সময় আসবে এই ব্যাপারে আশা রাখা উচিত। আল্লাহ সুবহানাতায়ালা কখনই মুসলমানদের কে দীর্ঘ সময়ে কষ্টে রাখবেন না। তাই আবার যে খিলাফত আসবে এবং আমরা মুসলমানরা আবার একসাথে কেন্দ্রীয় ভাবে একজন খলিফার অধীনে থাকবো এতে কোন সন্দেহ নাই।

বিষয়: বিবিধ

৩৫৬৬ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

169421
২৯ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:২৫
আবু আশফাক লিখেছেন : আশায় রইলাম।
169449
২৯ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:৪৫
গৃহস্থের কইন্যা লিখেছেন : মারহাবা!! ইসলামী খেলাফতের ঊষালগ্নে- চার খলিফার টিন জনই নিজেদের অবিশ্বাস ষড়যন্ত্রের অপঘাতে করুন মৃত্যু বরন করেন। নবীর বিধবা স্ত্রী আইশার সাথে নবীর আপন চাচাত ভাই আলীর কাইজ্যা ফেস্যাদে বার হাজার মুসলমানের রক্ত ঝড়েছে। আলী-মোয়াবিয়া খেলাফত কামড়া কামড়ি যুদ্ধে মরুভূমির বালি মুসলমানদের রক্তে রঞ্জিত হয়েছে, এরপর কারবালা যুদ্ধে পানিপানি চিৎকার করে নবীর বংশ নিঃবংশ হয়েছে। আর, এগুলো সবই হয়েছে মুসলমান-মুসলমানে। মাত্র ৩০ বছরেই ভেংগে যায় মুসলমানদের তথাকথিত খেলাফতের স্বর্ণযুগ(!!)

এর পরের ইতিহাস- অমুসলিম হত্যার ইতিহাস, উপনিবেশবাদী ইতিহাস, মুসলিমদের আভ্যন্তরিন রক্তক্ষয়ের ইতিহাস। পরিনিতি যা হবার তাই হয়েছে। স্পেন থেকে দখলদার মুসলিমদের ঝাটামেরে বিদায় করা হয়। মুসলামানের হা্তে মুসলমানের রক্ত ঝড়েছে, বাবর-ইব্রাহিমলোদী, হুমায়ুন-শেরশাহ যুদ্ধে মুঘুল সম্রাজ্যের গোড়াপত্তন এবং ওরাঙ্গজেবের ভ্রাত্রি হত্যাযজ্ঞে তার বিনাশ ঘটে। আতপর দুর্নীতিগ্রস্থ অটমানদের লক্ষ-লক্ষ আর্মেনিয়ান গনহত্যাযজ্ঞের সালতানাত কে নব-তুরস্কের কামাল আতাতুর্ক পৃথিবী থেকে চিরদিনের মত যাদুঘড়ে নিক্ষেপ করে।

এরপরো নবী মহাম্মদের কুখ্যাত খেলাফতের দিবাস্বপ্ন??
169472
২৯ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:০৪
বাংলার দামাল সন্তান লিখেছেন : কোন একদিন এদেশের আকাশে কালেমার পতাকা উড়বেই। সেই দিনের প্রতিক্ষায় রইলাম।
169479
২৯ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:০৭
প্রিন্সিপাল লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File