মেঘ পাহাড়ের শিলং (দ্বিতীয় পর্ব)

লিখেছেন লিখেছেন মোঃ ওহিদুল ইসলাম ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০৯:৫৮:০৪ সকাল

ডাউকি হতে শিলং রুটের শেষ ২০ - ২৫ কিমি পথ দারুণ ভয় জাগানিয়া। সেই সাথে অসাধারণ সুন্দর। মাঝে মাঝেই ইংরেজি ডব্লিউ বর্ণের আকৃতির পাহাড়ী বাঁক, কোথাও সাঁই করে উপরে উঠে যাচ্ছে পথ, আবার কোথাও ঢালু হয়ে একটু নেমেই আবার বিপদজনক বাঁক। এলোমেলো পাহাড়ের মাঝে গভীর গিরিপথ। সেই গিরিপথ বেয়ে নামছে সুন্দর সুন্দর ঝর্না। আর মেঘ পাহাড়ের মিতালীতো আছেই। পেজা তুলার মতো মেঘগুলি উড়ছে, পাহাড়ের গায়ে দিয়ে যাচ্ছে ভালোবাসার চুমু। পাহাড়েরও নানা রং, নানা ডিজাইন। কোনো কোনো পাহাড় শুধুই পাথরের।







ছোট বড় হরেক রকমের পাহাড়। কোনো কোনো পাথর দেখতে দৈত্যাকৃতির। কোথাও আবার সাদাবালির পাহাড় যে বালি দেয় তৈরি হয় কাঁচ। মাঝে মাঝে খাসিয়া পল্লী, লাল গির্জা, ছোট ছোট কিন্তু সুন্দর ছিমছাম বাড়িঘর। উপমা দিতে গিয়ে অনেকে বলে - ছবির মতো সুন্দর। প্রকৃতপক্ষে পৃথিবীর কোনো চিত্রকরের পক্ষেই এই সৌন্দর্যের শতভাগের একভাগও ফুটিয়ে তোলা সম্ভব নয় তিনি লিউনার্দো দ্যা ভিঞ্চিই হোন আর পাবলো পিকাসোই হন না কেন। সরাসরি না গেলে এই সৌন্দর্যের চিত্রটা অনুধাবন সম্ভব নয় কোনো ভাবেই। এই অসাধারণ সুন্দর দৃশ্যগুলির কারণেই সকল ভয় কাটিয়ে শুধু মুগ্ধ নয়নে দেখতে ইচ্ছে করবে।







শিলং শহর ঢুকার বেশ আগেই রাস্তার বামে চোখে পড়বে ভারতীয় বিমান বাহিনীর বিশাল সংরক্ষিত নিরাপদ এলাকা। এখানে যুদ্ধবিমান উঠানামার জন্য বিমানবাহিনীর এয়ারপোর্ট আছে। তার কিছু পরে একটি চা বাগান পড়ে। শহরে প্রবেশের আগে আগে চোখে পড়ে ক্যান্টনমেন্ট। ভারতীয় উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের সশ্রস্ত্র বাহিনীর হেডকোয়ার্টার এখানে। শহরে প্রবেশের পূর্বে টুকটাক যানজট। এমটিসি বাস কাউন্টারে এসে থামলো আমাদের বাস। নেমে ট্রলি লাগেজ নিয়ে সপরিবারে হাঁটা দিলাম অন্যদের দেখাদেখি। পাহাড়ী অঞ্চল হওয়ায় এখানে রিক্সার চল নেই। হোটেল যে দূরত্ত্বে তার জন্য ট্যাক্সি নেয়াও বিলাসিতা। ৪০০ মিটার মতো হেঁটে চলে এলাম কাঙ্খিত হোটেলে - ইডেন রেসিডেন্সি। মুসলিম হোটেল, ম্যানেজার অবশ্য হিন্দু। দরকষাকষি করে ২০% ডিসকাউন্ট বাগালাম। ডিসকাউন্ট বাদ দিয়ে ট্যাক্সসহ প্রতিদিনকার ভাড়া ১,৬৮০ রুপি। ফ্রেশ হয়ে হোটেল লাগোয়া ইডেন রেঁস্তোরায় (একই মালিকানা) খেতে গেলাম। খাবারের দাম একটু বেশিই মনে হলো। হোটেলে ফিরে বিশ্রাম নিতে নিতে হারিয়ে গেলাম ঘুমের রাজ্যে।

(চলবে---------)

বিষয়: সাহিত্য

১০৯০ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

384774
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ সকাল ১০:৫৮
আবু নাইম লিখেছেন : ভালো লাগলো..। .অনেক ধন্যবাদ
১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ সকাল ০৯:১২
317342
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
384776
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ রাত ০৯:০২
আবু জারীর লিখেছেন : আপনার বর্ণ্না শুনে আমারও যে যেতে মন চাচ্ছে।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ সকাল ০৯:১১
317341
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : ঘুরে আসুন নানীকে আর মেয়েদেরকে নিয়ে। ভালো লাগবে অবশ্যই।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File