হজ ফ্লাইট ও বাড়ি ভাড়া বিড়ম্বনা dailyinqilab : 23.08.2014

লিখেছেন লিখেছেন মুহাম্মদ আবদুল কাহহার নেছারী ২৩ আগস্ট, ২০১৪, ১২:১৯:১২ রাত



মুহাম্মদ আবদুল কাহহার নেছারী

২৭ আগস্ট থেকে হজের প্রথম ফ্লাইট শুরু হয়ে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৪ অক্টোবর পবিত্র হজ পালিত হবে এবং ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে ৮ অক্টোবর, শেষ হবে ৭ নভেম্বর। সরকারি তথ্যমতে ৮৩৫টি হজ এজেন্সির মাধ্যমে এ বছর হজ যাত্রীর সংখ্যা ৯৮ হাজার ৭৬২ জন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাবেন মাত্র ১ হাজার ৪৯৭ জন। তাদের জন্য ৩৭ জন গাইডও যাচ্ছেন। আর এ উপলক্ষে হজযাত্রীদের প্রস্তুতি এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে। অনেকেই সারাজীবনের শ্রম-শক্তি ব্যয় করে পারিবারিক বোঝা টেনে মাস শেষে অল্প অল্প করে অর্থ সঞ্চয় করেন হজে যাওয়ার জন্য। এভাবে করে হজে যাওয়ার সম্পূর্ণ টাকা সংগ্রহ করতে কেটে যায় জীবনের বেশিরভাগ সময়। খুব কম লোকই পাওয়া যাবে যাদের ক্ষেত্রে এমন কষ্ট করতে হয় না। অথচ প্রতিবছরই দেখা যায় যে, প্রশাসনের যথেষ্ট তদারকি না থাকায় সেই কষ্টার্জিত হজের টাকাও হাতিয়ে নেয় কোন না কোন এজেন্সির প্রতারক চক্র। জুলুমের শিকার হন সম্মানীত হজযাত্রীরা। হজের প্রস্তুতি নিয়ে ঢাকায় আসার পরে যদি হজে যেতে না পারেন, এর চেয়ে বর কষ্টের কারণ আর কি হতে পারে। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যেহেতু বেশিরভাগ হজযাত্রীদের হজে যেতে হয়, তাই এ সেক্টরে অনেক ভালো এবং বিশ্বস্ত এজেন্সি আছে। যারা প্রতিবছর সুনামের সাথে হজ ব্যবস্থাপনা করে আসছেন। কিন্তু সাধারণ মানুষ তো সবাই আর সেসব প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানে না। তাই তারা হাতের কাছে যেসব প্রতিষ্ঠান পান কিংবা যেসব প্রতিষ্ঠানের লোকজন তাদের কাছে গিয়ে নিজেদের এজেন্সির কথা ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে বলেন সাধারণ মানুষ তাদের হাতে হজের টাকা দিয়েই বিপাকে পড়েন। প্রতারণার ঘটনা আজ নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে কেন জানি, এদের কোনো সরকারের সময়েই কঠোর হস্তে দমন করা হয় না। তাই দেখা যায়, প্রতারকরা নিত্যনতুন কৌশল অবলম্বন করে প্রতারণা করেই চলছে।

বিগত দিনে গণমাধ্যমের অনুসন্ধানে দেখা গেছে এই প্রতারণার সাথে জড়িত থাকে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে কর্মরত লেবাসওয়ালা, নামধারী শাহ সাহেবরাসহ ক্ষমাতাসীন দলের প্রভাবশালী ব্যক্তিরাও। যার কারণে তাদের বিরুদ্ধে তেমন কোন শাস্তি আরোপ করা হয় না। গত বছর প্রতারণার ফাঁদে পরে তিন শতাধিক হজযাত্রী হজ পালনে ব্যর্থ হয়েছিলেন। হজযাত্রীরা রাজনৈতিক কর্মসূচির মতো প্রতিবাদেও ভাষা হিসেবে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেই শেষ পর্যন্ত বাড়ি যেতে বাধ্য হয়েছিলেন। এ বছরও যে সেরকম কোনো ঘটনা ঘটবে না তা বলা যায় না।

হজযাত্রীদের যতগুলো সমস্যা মোকাবিলা করতে হয় তার মধ্যে পুলিশ ভেরিফিকেশন ছাড়পত্র পাওয়া একটি। সৌদি সরকারের নতুন নীতিমালার কারণে স্বাভাবিকভাবেই ট্রাভেলস মালিকগণ ও হজযাত্রীরা যথাসময়ে বারকোড পাবেন কিনা সে বিষয়ে চিন্তায় অস্থির। এমতাবস্থায় বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫০ বছরের কম বয়সী হজযাত্রীদের নতুন করে পুলিশ ভেরিফিকেশন ছাড়পত্র বিষয়ে সার্কুলার জারি করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এর ফলে যথাসময়ে সকলে ছাড়পত্র পেয়ে হজে যেতে পারবেন কি-না তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। জনমনে প্রশ্ন হলো, পাসপোর্ট থাকার পরেও কেন আবার নতুন করে পুলিশ ভেরিফিকেশনের প্রয়োজন হলো? হাব নেতারা বলছেন, ‘পুলিশ ভেরিফিকেশন ছাড়পত্রের ভিত্তিতেই পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়েছে। এখন নতুন করে কেন পুলিশের এ ছাড়পত্রের প্রয়োজন দেখা দিল।’ নতুন করে পুলিশ ভেরিফিকেশন ছাড়পত্র ইস্যুর পেছনে রাজনৈতিক কোনো কারণ থাকতে পারে। পাসপোর্ট ইস্যু করার পরে হয়তো অনেকের নামে রাজনৈতিক মামলা নোট করা হয়েছে, তারা হয়তো হজের সুযোগে দেশ ত্যাগ করতে পারে-এমন চিন্তা থেকেই তাদের চিহ্নিত করতে পুনরায় পুলিশ ভেরিফিকেশনের নতুন সার্কুলার জারি করা হয়েছে। তবে এই নিয়মের ফলে অনেক হজযাত্রী নতুন করে পুলিশের নীরব চাঁদাবাজির শিকার হবেন। কেউবা হজে যাওয়ার সুযোগই পাবেন না। গতবছর পুলিশ ভেরিফিকেশনে ছাড়পত্র না পাওয়ায় প্রায় দেড় হাজার লোক হজে যেতে পারেননি। এ বছরে সেই সংখ্যাটা দ্বিগুণ হতে পারে বলা আশংকা করা হচ্ছে।

সকল প্রকার প্রতারণা কমাতে ও এজেন্সি কর্তৃপক্ষকে নিয়মের মধ্যে আনার পদক্ষেপ হিসেবে সউদী আরব সরকার অনলাইনে হজযাত্রীদের খাবারের টাকা ও বাড়ি ভাড়াসহ এজেন্সির নামে ব্যাংক হিসাব খোলাসহ যাবতীয় লেনদেন ব্যাংকিং ধারায় করা বাধ্যতামূলক করেছে। গত ৩০ মে বাংলাদেশ সরকারকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি দেয় সউদী সরকার। সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে প্রত্যেক হজ এজেন্সিকে ১২ জুলাইয়ের মধ্যে সউদী আরবে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের নামে হিসাব খোলার নির্দেশ দেয়া হয়। সরকারের একটি প্রতিনিধি দল ব্যালটি হাজীদের জন্য বাড়ি ভাড়া সম্পন্ন করে গত ১৪ আগস্ট দেশে ফিরলেও নন ব্যালটি হাজীদের বারকোড পেতে লেগে যাবে আরো কয়েকদিন। সউদী আরবের কোন ব্যাংকই বাংলাদেশি ট্রাভেলস-এর নামে হিসাব খুলতে না চাওয়ায় ট্রাভেলস মালিকরা দীর্ঘ একটি মাস চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। বাড়ি ভাড়া করার ক্ষেত্রে বিলম্ব, ব্যাংক হিসাব খোলা নিয়ে জটিলতা, নির্ধারিত সময়ে হজ এজেন্সি মালিকদের সউদী আরবে গমন না করা এবং আশকোনা হজ অফিসের সার্ভারে ত্রুটি দেখা দেয়ায় ভিসা দিতে বিলম্ব হওয়াই এই জটিলতার কারণ। এ সকল প্রক্রিয়ায় স্বাভাবিকভাবেই একটু বেশি সময় প্রয়োজন। এক্ষেত্রে ট্রাভেলস কর্তৃপক্ষের দাবি অনুযায়ী যথেষ্ট সময় না পাওয়ায় বিপাকে পড়তে হচ্ছে অনেক প্রতিষ্ঠানকে। কিছু কিছু ট্রাভেলস কর্তৃপক্ষ নিজেরাই নিজেদের বিপদ ডেকে আনছেন।

গত ১৮ আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশি ২৭টি হজ এজেন্সির মালিক বাড়ি ভাড়া করতে সউদী আরব যাননি। যদিও তাদেরকে ১৬ আগস্টের মধ্যে সউদী আরবে যাওয়ার ব্যাপারে চিঠি দেয়া হয়েছে। কিন্তু সেটা তারা আমলে নেননি। ট্রাভেলস এজেন্সির কারণে যদি কোন যাত্রী হজে যেতে না পারেন, সে ট্রাভেলস মালিককে কঠোর হস্তে দমন করা সরকারের দায়িত্ব। দীর্ঘ এক মাস পর হজ যাত্রীদের কথা বিবেচনা করে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধির অনুরোধে ব্যাংক হিসাব খোলার বাধ্যবাধকতা সম্পর্কিত আইনটি এবছরের জন্য শিথিল করায় গত ১৬ আগস্ট থেকে পূর্বের নিয়মে বাড়ি ভাড়া করতে পারায় সবার মাঝে কিঞ্চিত সস্তি ফিরে আসলেও পুরোপুরি স্বস্তিত্মতে নেই হজযাত্রীদের পরিবার-পরিজন। বাড়ি ভাড়ার চুক্তিপত্র অনুযায়ী সউদী আরবের মোয়াচ্চাছা অফিস থেকে বারকোড দেয়া হবে। হজ এজেন্সি মালিকরা সেই বারকোড বাংলাদেশের সউদী দূতাবাসে জমা দেয়ার পর দূতাবাস ভিসা দেয়া শুরু করবেন। ১৮ আগস্ট পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশি হাজীদের পাসপোর্টেই হজ ভিসা লাগেনি। ভিসা পাওয়ার পরেই ফ্লাইটের তারিখ নির্ধারিত হবে। খুব দ্রুত গতিতে এ কাজগুলো সম্পন্ন করতে না পারলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে হজযাত্রী, ট্রাভেলস এজেন্সি ও বিমান সংস্থাগুলো। যত তাড়াতাড়ি এ কাজটি সম্পন্ন করতে পারবেন তত আগেই হজযাত্রীরা তাদের ভিসা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারবেন। তবে এ প্রক্রিয়ায় সপ্তাহ খানেকের চেয়ে বেশি লেগে গেলে অনেকেই হজ ফ্লাইট নিয়ে দুর্ভোগে পড়ে যেতে পারে। ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় যে সকল হজ এজেন্সির নাম রয়েছে তাদের বিষয়ে সরকার দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে অনেকের হজে যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।

অনেকেরই প্রশ্ন হজ ব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি আগের তুলনায় কমেছে কি-না? এ প্রশ্নের সরাসরি উত্তর এখনই পাওয়া যাবে না। এজন্য আরো কিছুকাল অপেক্ষা করতে হবে। ধর্ম সচিব মোটাদাগে ঘোষণা করেছেন, হজ ব্যবস্থাপনায় কোন ধরনের ত্রুটি নেই, যে সব ত্রুটি ছিল তা ইতোমধ্যে সমাধান করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে তার ভিন্ন চিত্র লক্ষণীয়। হজযাত্রীরা অধিকাংশ সময় ট্রাভেলস মালিক ও তাদের কর্মচারীদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েন। টাকা নেয়ার পূর্বে এক ধরনের চিত্র, আর টাকা নেয়ার পর আরেক ধরনের চিত্র দেখা যায়। যথা সময়ে বিমানের টিকিট সরবরাহ না করা, মক্কা ও মদীনার খুব কাছের বাড়িতে ভালো মানের বাসায় রাখা হবে, খাবারের মান ভালো হবে এভাবে কথা পাকাপাকি হলেও অনেক দূরের বাড়িতে এবং ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি লোক থাকতে বাধ্য করা হয়। চুক্তি থাকার পরেও ব্যক্তিগত অর্থ খরচ করাতে ফন্দি করা হয়। ব্যক্তিগত যোগাযোগে গাফলতিসহ নানাভাবে হাজীদের কষ্ট দেয়া হয়। যা পরিহার করা ঈমানের দাবি। হজযাত্রীদের প্রতারণার দায়ে ট্রাভেলসকে জরিমানা করা হয় ৫/১০ লাখ টাকার মতো। অপরদিকে প্রতারণা করে সেই ট্রাভেলস হাতিয়ে নেয় ৬০/৭০ লাখ টাকারও বেশি। এটা যে কি ধরনের বিচার তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

সেবার মান বাড়ানোর জন্যই উভয় দেশের প্রশাসন নতুন করে ‘অ্যাপ’ ও ‘আইভিআর’ নামে প্রযুক্তির ব্যবহার করে সেবা দেয়ার বিষয়টি স্পষ্ট করলেও সে সেবাটি কীভাবে হাজীরা পেতে পারেন সে বিষয়টির তেমন উল্লেখ নেই। এ ব্যাপারে গণমাধ্যমে নেই তেমন প্রচার। হাজীদের নেই প্রশিক্ষণের যথেষ্ট ব্যবস্থা। যদিও সরকার বলেছে হাজীদের সব শেষ তথ্য ভয়েস মেসেজের মাধ্যমে সরবরাহের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ঢাকা থেকে ফ্লাইট ছাড়ার পর ফ্লাইটের অবস্থান এবং অবতরণ করামাত্র ফিরতি এসএমএস-এ হাজীর স্বজনদের জানিয়ে দেয়া হবে। মিনায় সব তাঁবু এক রকম হওয়ায় বিপাক এড়াতে অ্যাপে জিপিএস লোকেশন সিস্টেমটি ইন্টিগ্রেট করা হয়েছে। হাজীরা তাদের আইডি নম্বর দিয়েই সেখানে পৌঁছতে পারবেন। এছাড়া কোন হাজী অসুস্থ হলে, মৃত্যুবরণ করলে কিংবা কোন বিপজ্জনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে গ্রামীণফোন, রবি ও সিটিসেল থেকে ১৬২২০ নম্বরে ফোন করে জানতে পারবেন। হাজীরা যাতে প্রতারিত না হন সে জন্য অনলাইন সেবা ও প্রতারক চক্রের শাস্তি কার্যকর করার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার পদ্ধতি চালু হওয়া প্রয়োজন। বিগত দিনে দেখা গেছে প্রতারণার ফাঁদে পড়ে কোনো যাত্রী হজে যেতে না পারলে সেই ট্রাভেলস এর নামে পুরনো আমলের প্রথানুযায়ী মামলা করা হয়। মামলাগুলো মাসের পর মাস, বছরের পর বছর চলতে থাকে। এভাবে মামলা চলতে থাকলে হজযাত্রীদের বোকা বনে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত গঠন করে তাৎক্ষণিক শাস্তির ব্যবস্থা করলেও হাজীদের সাথে যারা প্রতারণা করে তাদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেয়ার ব্যাপারে সরকারের উদাসীনতার অভাব নেই।

হজ যাত্রীরা অবশ্যই মার্কস ভাইরাস প্রতিরোধে ঢাকার ৮টি কেন্দ্রসহ সারাদেশে টিকাদান কেন্দ্র থেকে টিকা গ্রহণ করে নিতে পারবেন। ইতোমধ্যে সউদী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ইবোলা ভাইরাসের কারণে আফ্রিকার সিয়েরালিওন, গুনিয়া এবং লাইবেরিয়ায় অবস্থানরত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে হজ ও ওমরাহ পালনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে আফ্রিকার এ দেশগুলোতে কোটি টাকার ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী পাঠানোর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে। ভাইরাসে আক্রান্ত দেশগুলোর মধ্যে লাইবেরিয়ায় ৫১৫ ও মালিতে ১৫০০ জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরত আছেন। এমুহূর্তে সহযোগিতা নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ানো খুবই জরুরি। তেমনিভাবে হজযাত্রীদের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া বাধ্যতামূলক করার পাশাপাশি তাদের সেবায় এগিয়ে যাওয়া মানবিক দায়িত্ব। এছাড়াও বাংলাদেশ হজ মিশনের উদ্যোগে হজ মৌসুমের জন্য পবিত্র মক্কার মেসফালায় আল হিজরা রোডে অবস্থিত ১৬০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ১৮০ জন স্বাস্থ্যকর্মী সেবা প্রদান করবেন। হাজীরা সেখান থেকেও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা নিতে পারবেন। আশা করি সকল গণমাধ্যম হজ সংক্রান্ত জরুরি বিষয়গুলো জনস্বার্থে বারবার প্রচার করতে সচেষ্ট থাকবেন।

লেখক : কলামিস্ট



http://www.dailyinqilab.com/2014/08/23/200456.php

বিষয়: বিবিধ

১১৮২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File