কাশ্মীর সংকটঃ নীরব বিশ্ব মোড়লরা

লিখেছেন লিখেছেন আব্দুল্লাহ আল রাহাত ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১১:০৮:৩১ রাত

দীর্ঘকালের কাশ্মীর সংকটে বিশ্ব মোড়ল দেশগুলো কোন উচ্চবাচ্য করে না। কাশ্মীরে ভারতীয় দখলদার সেনাবাহিনীর গুম, খুন ও ধর্ষণসহ নানা অমানবিক নিপীড়ন দেখেও না দেখার ভান করে আছে তারা। খোদ জাতিসংঘই নীরব দর্শকের ভুমিকায়। এর মূল কারণ তারা স্বাধীন কোন মুসলিম ভূখণ্ড সৃষ্টি হউক তা চায় না। এমনকি যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ নামক মুসলিম রাষ্ট্র সৃষ্টির বিরোধিতা করেছিল। মুসলিম বিশ্ব শান্তিতে থাকুক তা তাদের কাম্য নয়, যদিও তারা মানবাধিকারের নানা বুলি আওড়িয়ে থাকেন। যেমন ফিলিস্তিনে ইজরাইলি দখলদারি ও নির্যাতনকে নানা ভাবে মদদ দিয়ে আসছে পশ্চিমারা। গাজা ভুখন্ডের উপর ইসরাইলের অমানবিক অবরোধে পশ্চিমাদের চোখে পানি আনতে পারে না। ফিলিস্তিনি যুবকদের ইটের টুকরার বিনিময়ে ইজরাইলের বুলেট প্রয়োগকে ইসরাইলের আত্তরক্ষা হিসাবে দেখা হচ্ছে। সস্প্রতি ইজরাইলকে যুক্তরাষ্ট্র ৩৮ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা দেওয়ার চুক্তি সাক্ষর করেছে। ইসরাইল এই সামরিক সহযোগিতা ফিলিস্তিনসহ মধ্যপ্রাচ্য মুসলিম দেশগুলোতে অস্থিতিশীল করে তুলতে ব্যবহার করবে।

পশ্চিমা দেশগুলো আরব ভুমিগুলোতে শয়তানের ভুমিকা পালন করছে। আফগানিস্তান, সিরিয়া , ইরাক , লিবিয়ায় আগুন জ্বালিয়ে দিয়ে নিজেরা সরে গেছে, দূর থেকে তামাশা দেখছে। মুসলমানকে মুসলমানদের বিরুদ্ধে অনন্ত যুদ্ধে লাগিয়ে দেওয়াই ছিল তাদের কাজ। এতে তারা সফল। এর মধ্য যুদ্ধের কোন পরিনিতি দেখলে তারা দূর্বল পক্ষকে সহায়তা দিয়ে যুদ্ধ জিইয়ে রাখছে। যা সিরিয়া যুদ্ধে লক্ষ্যনীয়।

মুসলিমদের স্বার্থ রক্ষায় মুসলিম দেশগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। মুসলিম ভুখণ্ডে পশ্চিমাদের নাক গলানো সুযোগ দেওয়া যাবে না। তুরষ্কের ব্যর্থ সামরিক ক্যু এর পিছনে যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত থাকার বিষয়টি এখন ওপেন সিক্রেট। পশ্চিমাদের চক্রান্ত থেকে এবারের মত তুর্কিরা রক্ষা পেল। সাথে নিপীড়িত মুসলিম গোষ্ঠিও। বিশ্বের যেকোন জায়গায় নিপীড়িত মুসলিম জনগোষ্ঠির কণ্ঠস্বর এরদোগান। পশ্চিমাদের ডাবল স্টান্ডার্ডের কঠোর সমালোচক তিনি। তাই এরদোগানকে সরানোর হীন চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে এখন এরদোগানের পায়ে তেল মর্দন শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তুরষ্কে ব্যর্থ ক্যু এর মধ্য দিয়ে পশ্চিমাদের হিপোক্রসির যে চেহারা প্রকাশ পেয়েছে তা মুসলিম অন্যান্য দেশগুলোর জন্য শিক্ষা নেওয়ার অনেক কিছু আছে। সাম্প্রতিক সময়ে সৌদি-তুর্কি নেতৃত্বে যে ইসলামী সামরিক জোটের সৃষ্টি করা হয়েছে তাকে ন্যাটোর আদলে একটি শক্তিশালী সামরিক শক্তিতে পরিনত করা উচিত যাতে মুসলিম বিশ্বে বিদ্যমান সংকট নিজেরা সামাধানের পথ খোঁজে বের করে আনতে পারে।

বিষয়: বিবিধ

৭৮০ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

377820
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ রাত ১২:১১
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : কাশ্মির এর মানুষ যে মুসলিম। আর এই সংকট থাকা মানে ভারত-পাকিস্তান উভয় দেশ হতে ফায়দা নেওয়া।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File