.'''...'''..বিশ্বকাপের বুড়োরা ..'''..'''

লিখেছেন লিখেছেন ২০১৪ বিশ্বকাপ ফুটবল ব্রাজিল ২৯ এপ্রিল, ২০১৪, ০৫:৪৪:৫০ বিকাল



বিশ্বকাপ, দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থের পর্দা ওঠার আর মাত্র ৪৪ দিন বাকি। দুরু দুরু বুকে ফুটবলপ্রেমীরা ক্ষণগণনা শুরু করে দিয়েছেন নিশ্চয়ই। শুরু হয়েছে 2014 FIFA World Cup Brazil ফেসবুক পেজেরও ‘কাউন্ট ডাউন’। প্রতিদিন ধারাবাহিকভাবে ক্ষণগণনা নিয়ে একটি বিশেষ রচনা থাকবে। আজ থাকবে ‘৪৬’ সংখ্যাটি নিয়ে—

৩০-৩২ বছর পেরিয়ে গেলেই সাধারণত অবসর-ভাবনা শুরু করে দেন ফুটবলাররা। কিন্তু এমন খেলোয়াড়ও আছেন, যিনি আন্তর্জাতিক ফুটবলে পা-ই রেখেছিলেন ৪০ বছরের পর! বিশ্বকাপের ইতিহাসে ৪৬ সংখ্যাটা স্মরণীয় হয়ে আছে সেই বুড়ো ফুটবলারটির জন্যই।



বলা হচ্ছে ভার্জিন আইল্যান্ডের ডিফেন্ডার ম্যাকডোনাল্ড টেলরের কথা। ২০০৪ সালে তিনি যখন বাছাইপর্বের ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন, তাঁর বয়স ছিল ৪৬ বছর। এটাই সবচেয়ে বেশি বয়সে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে অংশ নেওয়ার রেকর্ড। আর আন্তর্জাতিক ফুটবলে টেলরের অভিষেক হয়েছিল ২০০০ সালে, ৪২ বছর বয়সে। চারটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে অবশ্য একটিতেও জিততে পারেননি এই বুড়ো ফুটবলার। তা না পারুন, একটা রেকর্ড তো হয়েই গেছে। যে রেকর্ড আদৌ ভাঙবে কি না, কে জানে।

তবে বুড়ো হাড়ের ভেলকি সত্যিই দেখিয়েছিলেন রজার মিলা। ৪২ বছর বয়সে অংশ নিয়েছিলেন বিশ্বকাপের মূল পর্বে। ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপে রাশিয়ার বিপক্ষে একটি গোলও করেছিলেন ক্যামেরুনের এই স্ট্রাইকার। এটাই এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি বয়সে গোল করার রেকর্ড। সেই আসরে ক্যামেরুনের সবচেয়ে কমবয়সী খেলোয়াড় ছিলেন রিগোবার্ট সং। মিলার সঙ্গে তাঁর বয়সের পার্থক্য ছিল ২৪ বছর ৪২ দিন!

সবচেয়ে বেশি বয়সে বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলেছেন ইতালির দিনো জফ। ৪০ বছর বয়সী এই ইতালিয়ান গোলরক্ষকের নেতৃত্বেই ১৯৮২ বিশ্বকাপ জিতেছিল ইতালি। সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কারও জিতেছিলেন জফ। প্রমাণ করে দিয়েছিলেন, বয়স স্রেফ একটা সংখ্যাই।

লিংক : https://www.facebook.com/WorldCup2014.TeamSpain.FanPage

বিষয়: বিবিধ

১১৯০ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

215091
২৯ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১০:১৮
হতভাগা লিখেছেন : ১৯৯০ তে ২য় রাউন্ডে কলাম্বিয়ার সাথে খেলায় ক্যামেরুন জেতে ২-১ গোলে । মিলা সম্ভবত গোল দুটোই দেন ।

ষেই সময়ের কলাম্বিয়ার গোল রক্ষক রেনে হিগুটিয়া ছিলেন আজিব এক গোলকিপার । গোলকিপার হলেও তিনি নিয়মিত গোল করতেন । খুব ভাল গোলরক্ষক ছিল সে এবং সেই সঙ্গে ছিল খুব বেশী কনফিডেন্ট ।

এটাই তার এবং তার দলের জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায় ।

বল ধরে সে এগিয়ে নিজেদের হাফ পর্যন্ত চলে এসেছিলেন ।

মিলা ছোঁ মেরে তার কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে একেবারে ফাঁকা পোস্টে বল টেনে নিয়ে যায় । পিছন থেকে দৌড়ে এসে ল্যাঙ্গ মারার চেষ্টা করেও পারেন নি মিলার গতির কাছে ।
২৯ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১১:৩০
163347
২০১৪ বিশ্বকাপ ফুটবল ব্রাজিল লিখেছেন : ওয়াও আপনি তো অনেক পুরোনো মানুষ । ধন্যবাদ সঙ্গ দেওয়ার জন্য। এই ব্লগে কি খেলা প্রেমী মানুষ আর নাই?Surprised

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File