সুযোগ থাকলে হুড়কোটা লাগিয়ে দিন

লিখেছেন লিখেছেন স্বপ্নচারী মাঝি ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ০৫:২৬:০৫ সকাল



ছোটবেলায় বাংলা সাহিত্যের বইতে এক দুষ্টু বাঘের গল্প পড়েছিলাম বলে মনে আছে। তবে কোন ক্লাসের বই তা পুরোপুরি মনে নেই। তবে গল্পের সারাংশটা হলো- কোন এক রাস্তার ধারে একটি খাঁচায় একটি বাঘকে বন্দী করে রাখা হয়েছিল। বাঘটি বেশ ক্ষুধায় কাতর হয়ে পড়েছিল। ওই রাস্তা ধরে যাচ্ছিলেন এক গ্রাম্য লোক। সে বাঘের খাঁচার নিকটবর্তী হওয়ার সাথে সাথেই বাঘ অনুনয় বিনয় করে খাঁচার দরজাটা খুলে দেয়ার আবেদন করে। লোকটা দরজা খুলতে চায়নি। ক্ষুধার্ত শীর্ণ বাঘের করুণ আকুতি সহ্য করতে না পেরে সরল মনে দরজা খুলে দিতে বাধ্য হয়।

কিন্তু বিধি বাম! দরজা খুলে দেয়ার সাথে সাথে বাইরে বের হয়েই বাঘ তার ওই উপকারী লোকটিকে খাওয়ার খায়েশ প্রকাশ করে। বিপাকে পড়ে যায় গ্রাম্য সহজ-সরল লোকটি। ঠিক এমন সময় ঐ রাস্তা ধরে যাচ্ছিল চতুর শেয়াল পন্ডিত। বাঘ আর লোকটির মধ্যে বিবাদ দেখে এগিয়ে আসে। জানতে চায় পুরো ঘটনা। গ্রাম্য লোকের বিবরণ শুনে শেয়াল বুঝে যায় ঘটনাটা। কিন্তু সে বার বার না বুঝতে পারার ভান করতে থাকে। তাই ঘটনা বোঝানোর জন্য এক পর্যায়ে বাঘ ক্ষিপ্ত হয়ে সেই খাঁচায় প্রবেশ করে। আর বলতে থাকে, ‘এইবার দেখে নে বোকা শেয়াল, আমি এইভাবে খাঁচায় বন্দী ছিলাম। আর লোকটা রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল।’

এ কথা বলতেই দরজার কাছে এগিয়ে যায় শেয়াল। দরজার হুড়কোটা লাগাতে লাগাতে বলে- ‘এইবার বুঝেছি ব্যাপারটা। এইভাবে তোমার খাঁচার দরজার হুড়কোটাও লাগানো ছিল, তাই না?” শেয়ালকে বুঝাতে পেরে বাঘ তো বেজায় খুশি। কিন্তু পরক্ষনেই সে বুঝতে পারে তার লোভের ফল সে পেতে শুরু করেছে। এরপর সে গর্জন ছেড়ে বারবার দরজাটা খুলে দিতে বললেও কেউ দরজাটা খোলেনি। উপরন্তু গ্রাম্য লোকটিকে শাসিয়ে শেয়াল পন্ডিত বলে দেয়- ‘আর কখনো দুষ্টু বাঘের কাছেও এসো না।’

দিনে-দুপুরে বাংলাদেশের ১ নম্বর ব্যাংক বলে স্বীকৃত ইসলামী ব্যাংক দখল করলো কতিপয় আওয়ামী পান্ডা। জবর-দখল কাকে বলে তা দেশবাসী অবাক নয়নে নির্বাক হয়ে দেখেছে। দেখেছে কিভাবে মাত্র কয়েক ঘন্টায় নিজেদের পছন্দের গুন্ডাদের বিনা পরীক্ষায় যাচাই বাছাই ছাড়াই এ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানটিতে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। মিথ্যাচার করা হয়েছে এ ব্যাংকের লেনদেন ও সামাজিক কর্মকান্ড নিয়ে। ছাটাই করা হয়েছে বেশকিছু দক্ষ সিনিয়র কর্মকর্তাকে। বিশাল তালিকা করা হয়েছে ছাটাই করার জন্য, অভিযোগ কোন একটি রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পর্ক আছে।

এরকম চর দখলের মত জবরদখল যখন বেশ জোরেশোরে চলছিল, ব্যাংকের বিদেশী শেয়ারহোল্ডাররা আপত্তি জানালেন তাদের কর্মকান্ডে। দখলবাজি নিয়ে তুললেন প্রশ্ন। নৈতিকতার কাছে পরাজিত দখলদার হালাকু খান (আরাস্তু খান) তখন ধূর্ত বাঘের মতেই বলে উঠল- “একসঙ্গে এত সৎ মানুষ জীবনে কখনো দেখিনি” !!!

বাহ! কত মধুর করে বললেন গো আরাস্তু দা...! বলি কি- এতগুলো সৎ মানুষের প্রতিষ্ঠান কোন লজ্জায় অসৎভাবে দখল করলেন গো দাদা? হঠাৎ করে কোথা থেকে এলো এত মিষ্টি বাণী? ক’দিন আগে তো খুব জোরেশোরে এই সৎ মানুষদেরই তালিকা করেছিলেন ছাটাই করার জন্য!

আমি জানি না আমার এই লেখা ইসলামী ব্যাংকের উঁচু স্তরের কর্মকর্তাদের দৃষ্টিগোচর হবে কিনা। তবুও বলছি। আমার ধারণা মতে আরাস্তু সাহেব বিদেশী বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্তাদের দেখানোর জন্য খাঁচায় ঢুকে পড়েছে। এখন কাজ শুধু হুড়কোটা লাগিয়ে দেয়ার। সুযোগ যদি সত্যিই থাকে তবে হুড়কোটা লাগিয়ে দিন। কিন্তু তা না করে যদি দুষ্টু আরাস্তু’র মিষ্টি কথায় মজে যান, তবে প্রস্তুত থাকুন গাদ্দারীর ফল ভোগ করার জন্য। আরাস্তুর মত হালাকুরা মাথা কাটতে শিখেছে, ফুল দিতে শেখেনি...ছোটবেলায় বাংলা সাহিত্যের বইতে এক দুষ্টু বাঘের গল্প পড়েছিলাম বলে মনে আছে। তবে কোন ক্লাসের বই তা পুরোপুরি মনে নেই। তবে গল্পের সারাংশটা হলো- কোন এক রাস্তার ধারে একটি খাঁচায় একটি বাঘকে বন্দী করে রাখা হয়েছিল। বাঘটি বেশ ক্ষুধায় কাতর হয়ে পড়েছিল। ওই রাস্তা ধরে যাচ্ছিলেন এক গ্রাম্য লোক। সে বাঘের খাঁচার নিকটবর্তী হওয়ার সাথে সাথেই বাঘ অনুনয় বিনয় করে খাঁচার দরজাটা খুলে দেয়ার আবেদন করে। লোকটা দরজা খুলতে চায়নি। ক্ষুধার্ত শীর্ণ বাঘের করুণ আকুতি সহ্য করতে না পেরে সরল মনে দরজা খুলে দিতে বাধ্য হয়।

কিন্তু বিধি বাম! দরজা খুলে দেয়ার সাথে সাথে বাইরে বের হয়েই বাঘ তার ওই উপকারী লোকটিকে খাওয়ার খায়েশ প্রকাশ করে। বিপাকে পড়ে যায় গ্রাম্য সহজ-সরল লোকটি। ঠিক এমন সময় ঐ রাস্তা ধরে যাচ্ছিল চতুর শেয়াল পন্ডিত। বাঘ আর লোকটির মধ্যে বিবাদ দেখে এগিয়ে আসে। জানতে চায় পুরো ঘটনা। গ্রাম্য লোকের বিবরণ শুনে শেয়াল বুঝে যায় ঘটনাটা। কিন্তু সে বার বার না বুঝতে পারার ভান করতে থাকে। তাই ঘটনা বোঝানোর জন্য এক পর্যায়ে বাঘ ক্ষিপ্ত হয়ে সেই খাঁচায় প্রবেশ করে। আর বলতে থাকে, ‘এইবার দেখে নে বোকা শেয়াল, আমি এইভাবে খাঁচায় বন্দী ছিলাম। আর লোকটা রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল।’

এ কথা বলতেই দরজার কাছে এগিয়ে যায় শেয়াল। দরজার হুড়কোটা লাগাতে লাগাতে বলে- ‘এইবার বুঝেছি ব্যাপারটা। এইভাবে তোমার খাঁচার দরজার হুড়কোটাও লাগানো ছিল, তাই না?” শেয়ালকে বুঝাতে পেরে বাঘ তো বেজায় খুশি। কিন্তু পরক্ষনেই সে বুঝতে পারে তার লোভের ফল সে পেতে শুরু করেছে। এরপর সে গর্জন ছেড়ে বারবার দরজাটা খুলে দিতে বললেও কেউ দরজাটা খোলেনি। উপরন্তু গ্রাম্য লোকটিকে শাসিয়ে শেয়াল পন্ডিত বলে দেয়- ‘আর কখনো দুষ্টু বাঘের কাছেও এসো না।’

দিনে-দুপুরে বাংলাদেশের ১ নম্বর ব্যাংক বলে স্বীকৃত ইসলামী ব্যাংক দখল করলো কতিপয় আওয়ামী পান্ডা। জবর-দখল কাকে বলে তা দেশবাসী অবাক নয়নে নির্বাক হয়ে দেখেছে। দেখেছে কিভাবে মাত্র কয়েক ঘন্টায় নিজেদের পছন্দের গুন্ডাদের বিনা পরীক্ষায় যাচাই বাছাই ছাড়াই এ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানটিতে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। মিথ্যাচার করা হয়েছে এ ব্যাংকের লেনদেন ও সামাজিক কর্মকান্ড নিয়ে। ছাটাই করা হয়েছে বেশকিছু দক্ষ সিনিয়র কর্মকর্তাকে। বিশাল তালিকা করা হয়েছে ছাটাই করার জন্য, অভিযোগ কোন একটি রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পর্ক আছে।

এরকম চর দখলের মত জবরদখল যখন বেশ জোরেশোরে চলছিল, ব্যাংকের বিদেশী শেয়ারহোল্ডাররা আপত্তি জানালেন তাদের কর্মকান্ডে। দখলবাজি নিয়ে তুললেন প্রশ্ন। নৈতিকতার কাছে পরাজিত দখলদার হালাকু খান (আরাস্তু খান) তখন ধূর্ত বাঘের মতেই বলে উঠল- “একসঙ্গে এত সৎ মানুষ জীবনে কখনো দেখিনি” !!!

বাহ! কত মধুর করে বললেন গো আরাস্তু দা...! বলি কি- এতগুলো সৎ মানুষের প্রতিষ্ঠান কোন লজ্জায় অসৎভাবে দখল করলেন গো দাদা? হঠাৎ করে কোথা থেকে এলো এত মিষ্টি বাণী? ক’দিন আগে তো খুব জোরেশোরে এই সৎ মানুষদেরই তালিকা করেছিলেন ছাটাই করার জন্য!

আমি জানি না আমার এই লেখা ইসলামী ব্যাংকের উঁচু স্তরের কর্মকর্তাদের দৃষ্টিগোচর হবে কিনা। তবুও বলছি। আমার ধারণা মতে আরাস্তু সাহেব বিদেশী বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্তাদের দেখানোর জন্য খাঁচায় ঢুকে পড়েছে। এখন কাজ শুধু হুড়কোটা লাগিয়ে দেয়ার। সুযোগ যদি সত্যিই থাকে তবে হুড়কোটা লাগিয়ে দিন। কিন্তু তা না করে যদি দুষ্টু আরাস্তু’র মিষ্টি কথায় মজে যান, তবে প্রস্তুত থাকুন গাদ্দারীর ফল ভোগ করার জন্য। আরাস্তুর মত হালাকুরা মাথা কাটতে শিখেছে, ফুল দিতে শেখেনি...

বিষয়: রাজনীতি

১১৫৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File