৯০ কোটির লাখো কন্ঠে সোনার বাংলা

লিখেছেন লিখেছেন হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ০ ২৬ মার্চ, ২০১৪, ০৭:০৩:১২ সকাল

কাল রাতে বেশ কিছু বন্ধু আমাকে জিজ্ঞেস করে লাখো কন্ঠে সোনার বাংলা অনুষ্ঠানে যাব কিনা। বললাম না যাবনা। আমি পালটা জিজ্ঞেস করি, আচ্ছা সেখানে কি হবে, আর এই সব ঘটা করে অনুষ্ঠান করে অনুষ্ঠান করার কি দরকার আছে এতো টাকা খরচ করে?

উত্তর- সারা বিশ্ব বাংলাদেশ কে চিনবে, জানবে, বাংলাদেশের পরিচিতি বাড়বে।

বললাম, ১৯৭১ সালে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ সংগঠিত হওয়ার পর , ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস নোবেল পুরুষ্কার পাওয়ার পর, দুর্নীতির সূচকে বারবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর, পদ্মা সেতু নিয়ে বিশ্ব ব্যাংকের সাথে বাজাবাজির পর এবং সব ছেয়ে কম ভোটারের দ্বাড়া ক্ষমতা গ্রহনের পরেও কি বাংলাদেশের পরিচিতি বহির্বিশ্বের কাছে পরিচিত হওয়ার বাকি আছে?

আসলে সত্যি কষ্ট লাগে যখন এই সব গাজাখুরি অনুষ্ঠান করার জন্য বস্তা বস্তা টাকা ঢালা হয়, আর যারা দেশের জন্য ৯মাস জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করে শহোদ হয়েছে, গাজী হয়েছে, তারা না খেয়ে না পড়ে মানবেতর দিন যাপন করতেছে, এই টাকা গুলো যদি মুক্তি যোদ্ধাদের পরিবারকে দেয়া হত, তাহলে আমার কোন অভিযোগ আপত্তি থাকতনা।

মুক্তি যুদ্ধের চেতনার কথিত ধারক ও বাহকদের কল্যানে কিছু দুষ্ট লোক জোচ্চুর মুক্তি যোদ্ধা সেজে সকল সুবিধা আদায় করে নিচ্ছে, আর প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা সব সম উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে। 'চুরিও চুরি শিনাও জুড়ি' ঠকবাজ মিত্থুক মুক্তি যোদ্ধাদের লেবাসধারীদের দাপটে পকৃত মুক্তিযোদ্ধারা বলার সাহস পর্যন্ত পাচ্ছেনা, আমরা মুক্তিযোদ্ধা! সাথে সাথেই গলা টিপে মেরে ফেলবে।

স্বাধীনতা অর্জনের চাইতে স্বাধীনতা রক্ষ করা অনেক কঠিন, তাই মুক্তি যোদ্ধারা বসে বসে এই মুল্যবান কথাটার সাথে নিজেদের আজকের ভুমিকা মিলানোর চেষ্টা করে স্পষ্টই দেখতে পাচ্ছে, তাদের হাত ধরে আসা স্বাধীন বাংলাদেশকে তারা আজ পরাধীনতার হাত থেকে রক্ষা করতে পারছেনা। আক্ষেপ তাদের , এমন যদি হবে, তবে কেন যুদ্ধ করলাম!

আজ আমরা এতোটাই স্বাধীন যে, আমাদের তাজা তাজা জীবন গুলো সিমান্তের পাড়ে সামান্য চুরির অভিযোগে রক্তমাখা নিথর দেহ নিয়ে ফিরে আসছে, আমরা তার কোন প্রতিবাদ করতে পারছিনা, করার সাহস পাচ্ছিনা, যত দোষ নন্দ ঘোষ, আমরা মার খাই, মরি, তবু অপরাধী আমরাই।

হায় স্বাধীনতা আমাদের অক্ষমতাকে ক্ষমা কর ( তোমায় রক্ষা করতে পারিনা বলে)

বিষয়: বিবিধ

১১৭৬ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

198097
২৬ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৭:৫৫
হতভাগা লিখেছেন : ফালতু কাজে টাকা উড়ানো বাংলাদেশীদের মজ্জাগত ।

১০০ কোটি টাকা নাকি ব্যয় হচ্ছে এই নাটক বানাতে । সত্যিকারের দেশপ্রেম যদি থাকতো তাহলে সবাই এতে বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করতো । এক পয়সাও তো লাগার কথা না ।

দেশ প্রেম দেখানোর একটা চরম সুযোগ ছিল টি২০ কনসার্টে । বাংলাদেশরীরা কি চমতকার ভাবেই না সে সুযোগটা কাজে লাগিয়েছে !

এইসব পতাকা , গান দিয়ে বিশ্ব রেকর্ড করে দেশের পরিচয় তুলে ধরা যদি কোন গুড আইডিয়া হয় তাহলে কয়েকদিন পর শত্রুদেশ পাকিস্তান এই রেকর্ড ভেঙ্গে ফেলবে । কারণ তাদের জনসংখ্যা বাংলাদেশের চেয়ে বেশী ।

কাদের মাথায় যে এসব উদ্ভট চিন্তা মাথায় আসে !

ঠিক ১৬ই ডিসেম্বর ও ২৬ শে মার্চ এসব কাহিনী করা হচ্ছে । অথচ অন্যান্য সময় এই দিন গুলোতে সেনাবাহিনীর কুচকাওয়াজ হত ।

আমাদের সমর শক্তি সম্পর্কে আমরা ধারণা পেতাম ।

অরক্ষিত স্বাধীনতাই পরাধীনতা , পরনির্ভরশীলতা পরাধীনতার চেয়েও লজ্জাজনক।
198100
২৬ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৮:১৬
জাগ্রত চৌরঙ্গী লিখেছেন : হতভাগা লিখেছেন : ফালতু কাজে টাকা উড়ানো বাংলাদেশীদের মজ্জাগত ।

১০০ কোটি টাকা নাকি ব্যয় হচ্ছে এই নাটক বানাতে । সত্যিকারের দেশপ্রেম যদি থাকতো তাহলে সবাই এতে বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করতো । এক পয়সাও তো লাগার কথা না ।
198109
২৬ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৯:২৫
শেখের পোলা লিখেছেন : কূঁজো হয়েছি তাতে কি চিৎ হয়ে শুয়ে দেখাবো আমিও পারি৷

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File