খবরটি আতঙ্কিত করার মত !!!!

লিখেছেন লিখেছেন আমি মুসাফির ২৬ আগস্ট, ২০১৪, ০৪:৩৯:৫৬ বিকাল



যেদিন তুরষ্কের নির্বাচনে এরদোগান প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন সেদিন আমি মুসলিম বিশ্ব নিয়ে এবং এর নেতৃত্ব নিয়ে অনেকক্ষন ধরে চিন্তা করছিলাম অতীত বর্তমান ভবিষ্যত নিয়ে ।

ভাবনার জগতে অনেক ঘটনার অবতারনা হয়। শেষে চিন্তা করলাম অতীতে এবং সম্প্রতি যেখানে যেখানে মুসলমানদের উথ্যান ঘটেছে সেখানেই ইসলাম বিরোধীরা এবং ইসলামের নামে নিজেদের মুসলমান পরিচয়ধারী মুনাফিকরা চরম বিরোধীতায় সামিল হয়েছিল। যার জন্য মুসলমানদের সুন্দর সুচনা গুলো নানান চক্রান্তে ভেস্তে গেছে ।

আমাদের দেশে দেখলাম এমন এক খেলা শুরা হয়েছে যা সত্যিই অামাদেরকে ভাবিয়ে তুলে। প্রশাসনের সবখানে যখন হিন্দু দেরকে প্রধান্য দেয়া হয় তখনি এই ষঢ়যন্ত্রের সুদুর প্রসারী পরিকল্পনার ছক বুঝতে অসুবিধা হয় না।

দেখলাম এই সরকারের আমলে অনেক গুলো হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে তাতে মনে হয়েছে এসব অমুসলিমদের দিয়ে এই সব অপারেশন চালানো হায়েছে যা অত্যন্ত বর্বর ও নির্মম। আবার ক্ষমতার হাত বদল হলে তখন যদি এই সব হিন্দুদেরকে অপসারন করা হয় এই আওয়ামী লীগ সারা দুনিয়ায় শোর গোল লাগিয়ে দিবে যে বাংলাদেশে হিন্দুদেরকে প্রশাসন থেকে উৎখাত করা হছ্চে । তখন দেশের ক্ষমতাসীনদের এবং বাংলাদেশের মানুষদেরকে এক বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হবে।

এমন এক সুন্দর সাজানো তথ্যভিত্তিক লেখা উপহার দিয়েছেন শামীম রেজা ভাই । তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ কি হিন্দু প্রশাসন শাসিত মুসলিম দেশে পরিণত হচ্ছে? নিচের লেখাটি পড়লে বুঝবেন আসল ঘটনাটি কি?

বছর চারেক আগের কথা, ব্যক্তিগত প্রয়োজনে রাজশাহী গিয়েছিলাম। ফেরার পথে শ্যামলী পরিবহনের টিকেট নিলাম। ভালোই চলছিলো রাতের জার্নি, বাসের স্টাফরা পরস্পরের নাম ধরে সম্বোধন করায় বুঝতে পারছিলাম সবাই হিন্দু ধর্মের অনুসারী, এমনকি যে কাউন্টারে টিকেট করেছি তারাও হিন্দু।

সুন্দর ছিম ছাম একটি হোটেলে যাত্রা বিরতী দেয়া হলো। সবাই রাতের খাবার খাওয়ার পরে আবার গন্তব্য পথে ছুটবে গাড়ি। বিড়ানীর অর্ডার দিলাম, সাথে কোল্ড ড্রিংকস।খাওয়ার পরে বাসে উঠেই কেমন যেনো মাথা ঘুড়াচ্ছিলো, সাথে বমি বমি ভাব। জার্নিতে অনেকেরই এমন হয় সেটা জানি, কিন্তু প্রচুর জার্নির অভ্যাস থাকাতে আমার এই প্রব্লেমটা নেই। কেমন যেনো একটা সন্দেহ হলো।

পরের স্টপেজে গাড়ি ঢুকলো একটি পেট্রোল পাম্পে, বাস থেকে নেমে পেট্রোল পাম্প ঘুড়ে ঘুড়ে দেখলাম, পাম্পের বিভিন্ন স্থানে হিন্দুদের নানা রকমের দেব দেবীর ছবি টানানো। বুঝতে অসুবিধা হলোনা, শ্যামলী পরিবহনের মালিক কর্মচারী সবাই হিন্দু, এমনকি তারা যে রেষ্ট্রুরেন্টে গাড়ি থামায় সেটাও হিন্দু মালিকের, যে পেট্রোল পাম্প থেকে তেল নেয় সেটাও হিন্দু। তার মানে হারাম পন্থায় জবাই করা পশুর মাংস দিয়ে রান্না করা বিড়ানী খাওয়ায় অসুস্থ বোধ করছিলাম!

পরে দেখেছি শ্যামলী পরিবহনের সুপার ভাইজারের কাছে যে যাত্রী তালিকা থাকে তার শিরোনামে লেখা থাকে, “বাবা লোকনাথের নামে চলিলাম!”

সেদিন ফেসবুকে কার যেনো একটা লেখা দেখেছিলাম সম্ভবত ‘ফারিজা বিনতে বুলবুল’ আপার লেখা। হিন্দুদের যে ইউনিটি সেটার কথা উল্লেখ করতে গিয়ে তিনি সি.পি ফুডের কথা উল্লেখ করেছেন, এই প্রতিষ্ঠানের মালিক থেকে শুরু করে সকল কর্মচারী হিন্দু! আচ্ছা, ‘সি.পি. ফুডে’র কর্মীদের হাতে জবাই করা মুরগী কি হালাল? তারা কি আল্লাহর নামে জবাই করে, নাকি ভগবানের নামে মাথা কাটা মুরগী দিয়েই সুস্বাদু সব আইটেম তৈরী করে?!চট্টগ্রামের গোল পাহাড় থেকে শুরু করে আন্দরকিল্লা এবং জামাল খানে বেশ কিছু ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ক্লিনিক রয়েছে। এর ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে সকল ডাক্তার এমনকি চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী পর্যন্ত সবাই হিন্দু। কি চমৎকার ঐক্য তাদের মাঝে।

ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে এতোক্ষণ কথা বললাম, এবার আসি সরকারী এবং সামাজিক প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে। সমগ্র বাংলাদেশের কথা জানিনা, চট্টগ্রামের স্কুল গুলোতে ব্যাপক হারে হিন্দু শিক্ষক নিয়োগ প্রদান করা হচ্ছে। একজন, দুইজন, তিনজন বাড়ছেই, প্রতি নিয়তই বাড়ছে। কি মনে হচ্ছে, হিন্দুরা অত্যান্ত মেধাবী তাই চাহিবা মাত্রই চাকরী হয়ে যাচ্ছে!?সেদিন আমার রুমমেট প্রশ্ন করলো, আচ্ছা বিদ্যুৎ বিভাগ কি হিন্দু প্রতিষ্ঠানের কাছে লিজ দেয়া হয়েছে? আমি আসলে জানিনা কেনো, কিন্তু ব্যাপারটা সত্যি, ‘পাওয়ার গ্রিড কোম্পানী অব বাংলাদেশ’ খুলশী এড়িয়ার অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারী হিন্দু!

পুলিশের এস.আই নিয়োগ দেয়া হবে, বিভিন্ন ইউনিভার্সিটির ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা দৌড় ঝাপ শুরু করলো। রেজাল্টের দিন দেখা গেলো দারুণ দৃশ্য। ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা কেউ চাকরী পেলো, কেউ পেলোনা! কিন্তু অমুসলীম হলের সিংহভাগ ছাত্রই চাকরী পেয়ে উল্লাসে ফেটে পড়লো। এটা আমার কথা না, ঢাকা ভার্সিটির এক ছাত্রলীগের নেতাই ক্ষোভ প্রকাশ করে ফেসবুকে স্টাটাস দিয়েছেন।

সম্প্রতি পুলিশের এ.আই.জি প্রলয় কুমারের মহা প্রলয়তো আমরা দেখলামই। কিভাবে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগ উত্থাপন করে ইনকিলাবের নির্বাহী সম্পাদককে রিমান্ডে নেয়া হলো। তিনি নাকি প্রকাশ্যেই পুলিশের মধ্যে হিন্দু পুলিশ লীগ গঠন করেছেন, এবং পুলিশ হেড কোয়ার্টারে বসে বসে ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে গালা-গালি করছেন। এই প্রলয় কুমার ঘুশের টাকায় কিংবা ‘র’(RAW) এর টাকায় উত্তরাতে ১২তলা ভবন নির্মান করছেন। আরো দেখলাম ঢাকাতে হিন্দু পুলিশ কর্মকর্তা কর্তৃক মসজিদে তালা দেয়ার হুমকির ঘটনা। বাংলাদেশের সবগুলো থানাতে এখন হিন্দু পুলিশ অফিসারদের জয় জয়কার। প্রচন্ড দাপটশালী এই পুলিশ কর্মকর্তারা।

কিছুদিন পূর্বে এক ভাই সম্ভবত বরিশাল শিক্ষাবোর্ড ঘুড়ে এসে ফেসবুকে লিখেছেন, তিনি অবাক হয়ে গিয়েছেন, এটা কি বাংলাদেশের শিক্ষাবোর্ড, নাকি ভুলে ভারতে ঢুকে পড়েছেন। সিরিয়ালি যতজন কর্মকর্তা বসে আছেন তাদের অধিকাংশরই রুমের সামনে নেমপ্লেটে হিন্দু নাম লেখা।

সুরঙ্গ ব্যাংক নামে পরিচিত সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে বসানো হয়েছে দুইজন হিন্দু পরিচালক। সরকারী ব্যাংকগুলোতে গণহারে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে হিন্দু কর্মকর্তা।

বিগত অবৈধ নির্বাচনের পূর্বে একটা নিউজ দেখেছিলাম, জানিনা কতটুকু সত্য সেখানে বলা হয়েছিলো ৬৪টি জেলার মধ্যে ৪০টির জেলা প্রশাসক হচ্ছেন হিন্দু।

বেশ কিছুদিন পূর্বে একটি প্রগ্রামে গিয়েছিলাম, সেখানে একজন বক্তা বলছিলেন, সেনাবাহিনীর উর্ধতন কর্মকর্তাদের প্রমোশনের পূর্বে ভারতে গিয়ে ছয় মাসের একটি প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করার নিয়ম চালু করা হয়েছে। সেখানে প্রশিক্ষনের নামে বাংলাদেশী সেনা কর্মকর্তাদের মদ, নারী ইত্যাদি অফার করা হয়। যারা সহজেই এগুলো গ্রহণ করে তারা পজেটিভ হিসেবে বিবেচিত হন এবং তাদের প্রমোশন দেয়া হয়। আর যারা মদ, নারী এড়িয়ে চলেন তারা মৌলবাদী বলে বিবেচিত হন, সামরিক বাহিনীতে তাদেরকে ব্যাপকভাবে কোনঠাসা করে রাখা হয় এবং সুযোগ বুঝে ঠুনকো অভিযোগে বহিস্কার কিংবা বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়।

সবচাইতে যেটা ভয়াবহ সেটা হচ্ছে, যেসব কর্মকর্তা সেখানে গিয়ে মদ, নারীতে আসক্ত হয়ে পড়েন তাদের গোপন মূহুর্তগুলোর প্রমাণ ধরে রাখা হয় পরবর্তীতে ব্লাক মেইল করে বিভিন্ন সুবিধা আদায় করার জ??ƨ্য।

একটা সময় ভারতীয় উপামহাদেশ ছিলো শত শত ছোট ছোট রাজ্যে বিভক্ত, জুলুম ছিলো সেসব রাজ্য শাসনের স্বাভাবিক নীতি। উচ্চ বংশের হিন্দুরা নিম্ন বংশের হিন্দুদেরকে এবং বৌদ্ধদেরকে চরম পর্যায়ে নির্যাতন চালাতো। এক পর্যায়ে ভারত বর্ষে মুসলিমদের আগমন হলো, তারা সমগ্র ভারতের রাজ্যগুলো দখল করে একটি বিশাল সাম্রাজ্য গঠন করলেন এবং সাম্য ও ন্যায় ভিত্তিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করলেন। ইসলামে সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে দলে দলে হিন্দু এবং বৌদ্ধরা ইসলাম গ্রহণ করলো।

এক পর্যায়ে ব্রিটিশরা এ অঞ্চল দখল করলো, মুসলিমদেরকে ক্ষমতা থেকে হটিয়ে প্রশাসনের সর্বস্তরে বসিয়ে দিলো এদেশীয় দালাল হিন্দুদেরকে। ক্ষুব্ধ মুসলিমরা প্রতিবাদ জানালো, ফলাফল হলো ভয়াবহ। মুসলমানদের জমি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সব কেড়ে নিয়ে তাবেদার হিন্দুদের নেতৃত্বে জমিদারী প্রদান করা হলো। মুসলিমরা রাজা থেকে পরিণত হলো গোলামে, এমনকি হিন্দু জমিদারদের বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় মুসলিম প্রজারা বাধ্য হয়ে জুতা খুলে বগলে নিতো, নইলে জমিদারের অবমাননা হবে!ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সময় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মুসলিমদের গালি দিয়ে বলেছিলো, “চাষার ছেলেরা যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে তবে ক্ষেতে খামারে কাজ করবে কারা?”

বর্তমানে অবৈধভাবে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের শাসন দেখে বারবারই কেবল মনে হচ্ছে, আমরা কি বৃটিশ শাসনাধীন ভারতের অবস্থায় পতিত হচ্ছি, যেখানে হিন্দুরা শাসন করবে মুসলিমদেরকে! আওয়ামীলীগের ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার লক্ষে প্রশাসনের প্রতিটি স্তরে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে বিপুল সংখ্যক সংখ্যালঘু হিন্দু কর্মকর্তা এবং দেয়া হচ্ছে অপরিসীম ক্ষমতা।

Click this link

বিষয়: বিবিধ

১৭৫৫ বার পঠিত, ১৯ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

258462
২৬ আগস্ট ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০১
আবু সাইফ লিখেছেন : বাংলাদেশে হিন্দুশাসন পূর্ণশক্তিতেই প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে-

এ ব্যাপারে যদি কারো মনে সন্দেহ থাকে তবে তিনি দেশের অবস্থা জানেন না বা বোঝেন না!!
২৬ আগস্ট ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২৮
202153
আমি মুসাফির লিখেছেন : আপনার সাথে একমত কারণ অনেক আগে এক পরিসংখ্যানে এক সাংবাদিক বলেছিল অনেক হিন্দু বিভিন্ন পোষ্টে ভাল পজিশনে চাকরিতে অছে এখন তোন অনেক সময় গড়িয়েছে। খুব কষ্ট লাগে এত মুসলমান থাকা সত্তেও আমরা কিছই করতে পারছি না।
258487
২৬ আগস্ট ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০৩
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ১৯৯৬-২০০০ সালের আওয়ামি সরকারের সময় পার্লামেন্ট এ সালাউদ্দিন কাদের চেীধুরি প্রমান সহকারে বলেছিলেন চট্টগ্রামের ৭০% প্রাইমারি শিক্ষক হিন্দু। মাঝখানে অবস্থার উন্নতি হলেও এখন আবার এ্কই অবস্থা। নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের বেশিরভাগই মুক্তিযোদ্ধা কোটায়। এটা ঠিক নয় যে তারা মেধায় বেশি অগ্রনি।
২৬ আগস্ট ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২৯
202154
আমি মুসাফির লিখেছেন : এত কিছু জানা সত্বেও আমরা যেন মুখে কুলুপ এটে বসে আছি । এটা আমার কাছে ভয়ঙ্কর লাগছে।
২৬ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৯:৫৫
202194

A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined offset: 7228

Filename: views/blogdetailpage.php

Line Number: 917

"> ফুয়াদ পাশা লিখেছেন : খুব বেশি না, আজ থেকে ৬০ বছর আগেও মুসলিম পূর্ববাংলায় এমন একটি স্কুল কলেজ ছিল না যেখানে আমাদের মুসলমানদের সামান্যতম অবদান ছিল। মুসলিম শিক্ষক তো দুরের কথা। তখন কিন্তু আওয়ামী লীগ ছিল না। এ অঞ্চলের হিন্দুরাই মুসলিমদের শিক্ষার আলো দিয়েছে। এটি আমাদের জন্য জন্য লজ্জাজনক হলেও অস্বীকার করার উপায় নেই।
২৬ আগস্ট ২০১৪ রাত ১০:১৫
202197
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : কথাটা সর্বৈব মিথ্যা।চট্টগ্রাম,সিলেট,টাঙ্গাইল,হুগলি,ঢাকা যে সকল স্থানে কিছু মুসলিম অভিজাত ও ধনি শ্রেনি ছিল সেখানেই মুসলিম দের প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত স্কুল ছিল। বরং দেশের মানুষের ট্যাক্স এর টাকায় নির্মিত সরকারি হিন্দু কলেজ বা সংস্কৃত কলেজ এ মুসলিমদের প্রবেশাধিকার ছিলনা। হুগলি কলেজের জন্য মুহসিন ফান্ড থেকে বাৎসরিক যে ৫০০০০ টাকা বরাদ্দ ছিল সেটা অদ্ভুত ভাবে হিন্দু দের জন্য ব্যায় করা হতো!সাহিত্যিক বন্কিম চন্দ্র চট্যোপাধ্যায় মুহসিন ফান্ড এর টাকায় শিক্ষা লাভ করেছিলেন। নওয়াব আবদুল লতিফ এর উদ্যোগে ১৮৬৩ সালে এই টাকা মুসলিম শিক্ষার জন্য ব্যবহার শুরু হয়। খান বাহাদুর আহসান,স্যার এএফ রহমান, শামসুল উলামা কামালউদ্দিন,স্যার আবদুর রহিম,মাস্টার আবদুর রহমান এর মত শিক্ষাবিদরা তখনও ছিলেন। বাংলাদেশে কিছু পুরাতন স্কুল দেখা যায় যেগুলি হিন্দু জমিদারদের নির্মিত। সেগুলিকে তাদের অবদান বলে চালন হয়। কিন্তু এটা বলা হয়না যে মুসলিম প্রজাদের করের টাকাতেই সেগুলি চলত। আর মুসলিমরা সবসময় মাদ্রাসা শিক্ষার পৃষ্টপোষকতা করে এসেছে। শিক্ষার অর্থ কেবল ডিগ্রি অর্জন নয়। সব শেষে একটি ব্যাক্তিগত কথা বলতে চাই। আমার মায়ের দাদা খানবাহাদুর আবদুল হক দোভাষ নিজ উদ্যোগে ফিরিঙ্গি বাজারে একটি বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন করেন। এই সময় তার বন্ধু কংগ্রেস নেতা দেশপ্রিয় যতিন্দ্রমোহন সেন মৃত্যবরন করেন। তিনি নিজের প্রতিষ্ঠিত স্কুলকে বন্ধুর নামে নামকরন করেন। অদ্ভুত ঘটনা হচ্ছে বর্তমানে স্কুল টিকে জেএম সেন এর প্রতিষ্ঠিত নামে চালান হচ্ছে। একই ভাবে খুলনা বিএল বা বজ্রলাল কলেন এর সংলগ্ন মন্দির এর তিন বিঘা জমি ছাড়া অবশিষ্ট জমির মালিক ছিল মুহসিন এস্টেট। কিন্তু এখন কলেজের কৃতিত্ব শুধু বজ্রলাল এর হাতে চলে গিয়েছে!!!
২৬ আগস্ট ২০১৪ রাত ১০:৩৮
202205

A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined offset: 7228

Filename: views/blogdetailpage.php

Line Number: 917

"> ফুয়াদ পাশা লিখেছেন : সংখ্যা গরিষ্ঠ মুসলিম পূর্ববাংলায় ৯৯ জন হিন্দু শিক্ষাব্রতীর বিপরিতে একজন হাজী মহসিন কে কতবার দেখাবেন। আমি যদি এখন হিন্দুদের নাম ধরে বলতে থাকি আপনি লজ্জায় ডুবে যাবেন, বরং সত্য স্বীকার করে ইতিহাস থেকে নেয়া বিজ্ঞের কাজ। ধন্যবাদ।
২৬ আগস্ট ২০১৪ রাত ১১:৪৪
202255
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : লজ্জায় ডুবার কোন কারন নাই। জবাব টা ভাল করে পড়লেই আপনি অনেক মুসলিম শিক্ষাব্রতির নাম জানতে পারতেন। সেই সঙ্গে এটাও জানা থাকা দরকার মুসলিমরা অনেক মাদ্রাসাও প্রতিষ্ঠা করেছিল। এবং সেগুলি থেকে মাওলানা আবুল কালাম আযাদ এর মত মনিষি বের হয়েছেন যিনি ভারতের প্রথম শিক্ষামন্ত্রি ছিলেন।
২৭ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০১:৩৬
202410
প্রেসিডেন্ট লিখেছেন : প্রিয় সবুজ ভাই, ছুপা হিন্দুদের সাথে বিতর্ক অর্থহীন। এরা যুক্তি প্রমাণ মানে না, গালিগালাজ আর বিদ্বেষ এ এদের পোস্ট মন্তব্য ভরা।
258508
২৬ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৮:০৪
শেখের পোলা লিখেছেন : আমাদের বিজ্ঞ মুক্তিযোদ্ধারা হয়ত এমনটিই চেয়েেছিলেন আর তাই আমরা মুসলীম পরিচয় ফেলে বাঙ্গাী বনেছি৷ ওপারে আজও বাঙ্গালী বললে হিন্দুদেরই বোঝায়৷ এখন আমাদের তাই পূর্ণাঙ্গ হিন্দু বানানোর মিশন শুরু হয়েছে৷
কোনদিন হয়ত শেরে বাংলার মরোনোত্তর ট্রাইবুনালে বিচার হবে বাংলাদেশকে মুসলীম দেশ বানাবার অপরাধে৷
২৭ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ১২:৪৪
202386
আমি মুসাফির লিখেছেন : আমি বুঝি না যখন মুক্তি যোদ্ধাদের চেতনা নিয়ে কথা বলে আওয়ামী বা অন্যরা তখন সত্য মিথ্যা যাচাই করার জন্য যে মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করেছিল তারা কেন তাদের সত্য কথাটি টকশো বা লেখার মাধ্যমে সবার কাছে বলে না ?
মুক্তযোদ্ধাদের চেতনা একমাত্র তারাই ভাল জানে।
তারা কি হিন্দু রাষ্ট্র বানানোর চক্রান্ত দেখছে না ?
258574
২৬ আগস্ট ২০১৪ রাত ১১:২০
সায়িদ মাহমুদ লিখেছেন : এটা পুরুটাইতো দেখছি শামিম রেজা ভাইয়ের ফেসবুক ষ্ট্যটাস কপি পেষ্ট করেছেন, ব্লগে এটা মোটেই ঠিক না, অত কষ্ট করে ওনি লিখেছেন আর তার পুরুটাই আপনি মেরে দিয়েছেন এটা কেমন হলো হে ?
২৭ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ১২:৪৬
202388
আমি মুসাফির লিখেছেন : আমি তো প্রথমেই শামিম রেজা ভায়ের লেখাটাই পড়ার জন্য তার লেখাটা দিলাম ব্লগে । ফেসবুকে থাক ব্লগের সবাইও পড়ুক এবং জানুক।
258579
২৬ আগস্ট ২০১৪ রাত ১১:২৬
সায়িদ মাহমুদ লিখেছেন : মুসাফির সাহেব আপনি যেটা বলছেন সেটা ১৭০০ সালের পরের কথা, তার আগের এতিহাস ঐতিহ্যা কিছু জানা শুনার চেষ্টা করুন, আমি শিউর তারপর আপনি আপনার এইসব মন্তব্য এডিট করার চেষ্টা করবেন।
২৭ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ১২:৪৭
202389
আমি মুসাফির লিখেছেন : আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ পরামর্শের জন্য।
258670
২৭ আগস্ট ২০১৪ সকাল ১০:৩০
প্রেসিডেন্ট লিখেছেন : খুবই আশঙ্কার বিষয়। নিজেরা সংখ্যালঘুতে পরিণত হওয়ার পূর্বে আমাদের চৈতন্য হবে বলে মনে হয় না।
২৭ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ১২:৪৮
202390
আমি মুসাফির লিখেছেন : চৈতন্য না হলে সব মেনে নিয়েই এরই মধ্যে বেচে থাকতে হবে।
258767
২৭ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০২:৪৮
কাহাফ লিখেছেন : এখনো চৈতন্য ফিরে না আসলে কপালে দুর্ভুগ আছে জনতার,হিন্দুয়ানীর বিষাক্ত ছোবলে দংশিত হতে হবে অহিন্দু সকল কেই।
২৭ আগস্ট ২০১৪ বিকাল ০৪:০৫
202454
আমি মুসাফির লিখেছেন : সঠিক কথাটা বলার জন্য ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File