বিড়ালটি ইঁদুর ধরবে তো

লিখেছেন লিখেছেন উড়ন্ত মন ১৯ নভেম্বর, ২০১৩, ০৬:৪৯:০১ সন্ধ্যা

সোমবার বিকেলে বঙ্গভবনে কজন নতুন মন্ত্রীর শপথ নেওয়ার মধ্য দিয়ে যে মন্ত্রিসভাটি রূপ নিতে যাচ্ছে সেটি না সর্বদলীয়, না নির্দলীয়। অর্থাৎ নির্বাচনকালে দৈনন্দিন শাসনকাজ চালানোর জন্য যে মন্ত্রিসভাটি থাকবে তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধী দলের নেতা বেগম খালেদা জিয়া কারও প্রস্তাবমতো হতে পারল না। তবে কর্তৃত্বটি প্রধানমন্ত্রীর হাতেই থাকছে। বলা যায়, তাঁর ইচ্ছা অনুসারেই কার্য চলছে।

প্রধান বিরোধী দল বিএনপি না থাকলে সে মন্ত্রিসভাকে ‘সর্বদলীয়’ বলা গায়ের জোরে সম্ভব, কিন্তু তা ব্যাকরণসম্মত ও বাস্তবসম্মত হয় না। নতুন মন্ত্রীরা শপথ নেওয়ার আগে মহাজোট মন্ত্রিসভায় যে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও জাসদ ছিল সেখানে ওয়ার্কার্স পার্টি যুক্ত হল মাত্র। এঁরা সবাই মহাজোটের শরিক।

সংসদে প্রতিনিধিত্ব আছে এমন দল হিসেবে ১৮ দলীয় জোটভুক্ত বিএনপি, জামায়াত ও এলডিপি এবং বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি বাদ রইল। অর্থাৎ নির্বাচনকালীন নতুন মন্ত্রিসভাটি কলেবরে ছোট, দলগত কিঞ্চিৎ বিস্তৃত হয়ে চরিত্রগতভাবে মহাজোট মন্ত্রিসভাই রয়ে গেল। অথবা খানিক রদবদলসহ মন্ত্রিসভা পুনর্গঠিত হল।

মন্ত্রিসভাকে যে নামেই ডাকি, চীনা প্রবাদ স্মরণে প্রশ্ন করা যায়, ‘‘সাদা-কালো যা-ই হোক, অতঃপর বিড়ালটি ইঁদুর ধরতে পারবে তো?’’ অর্থাৎ মন্ত্রিসভাটি ‘নির্বাচনকালীন সরকার’ হিসেবে প্রশাসন তত্ত্বাবধানের কাজটি ঠিকমতো করতে পারবে তো? প্রধান বিরোধী দল অংশগ্রহণ না করলেও হয়তো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে; তবে তাতে ভোটার অংশগ্রহণ সন্তোষজনক হবে কি? অবাধ, নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য বলে নির্বাচনটি গৃহীত হবে কি?

বঙ্গভবনে নতুন মন্ত্রীদের শপথ পড়াচ্ছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ

বঙ্গভবনে নতুন মন্ত্রীদের শপথ পড়াচ্ছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ

প্রশ্নটি এভাবে উত্থাপন করার অর্থ হল, বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে সব দিক থেকে উত্তম। কিন্তু শুধু তারা অংশ না নিলেই নির্বাচন ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে ধরে নেওয়ার যুক্তি নেই। যে কোনো দলেরই তার নিজস্ব রাজনৈতিক বিবেচনায় নির্বাচনে না দাঁড়ানোর অধিকার আছে। এখানে বিএনপি না এলে নির্বাচনটি ‘প্রতিযোগিতামূলক হল না’ বলা চলে। তাতে নির্বাচনের একটি ভালো উপাদান অনুপস্থিত।

পরবর্তী সময়ে দেশে শান্ত পরিস্থিতি ও স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। কিন্তু উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভোটার যদি নিরাপদে কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে নিজের ইচ্ছায় স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারে, যদি প্রার্থীদের সম্পর্কে ভোটারদের যথেষ্ট তথ্য জানানো হয়, প্রশাসন যদি প্রভাব বিস্তারমূলক হস্তক্ষেপ না করে, নির্বাচনকালীন সরকারে

বিষয়: বিবিধ

৯৭৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File