চিয়া নামের এক যাদুকরী শস্যদানা

লিখেছেন লিখেছেন তিমির মুস্তাফা ২৪ মার্চ, ২০১৭, ০৭:২৩:৩০ সকাল



Size doesn’t matter- চিয়া বীজের ক্ষেত্রে এ কথাটি অক্ষরে অক্ষরে খাটে। ক্ষুদ্র দানাকৃতির এই বীজ আসলেই - এক পাওয়ার হাউস; পুষ্টি ও শক্তির উৎস। চিয়া – অর্থ শক্তি!

মেক্সিকোর অ্যাজটেক এবং মধ্য আমেরিকার মায়ান সভ্যতা পৃথিবীর পুরাতন সভ্যতা গুলোর মধ্যে অন্যতম। খৃষ্টের জন্মের প্রায় সাড়ে তিন হাজার বছর আগে দক্ষিন আমেরিকায় এই সভ্যতার হদিস পাওয়া যায়। এই সময় থেকেই তারা দানাদার এক শস্যকে ‘ঈশ্বরের আশীর্বাদ- হিসেবে গুরুত্ব দিত! এই দানা শস্যের নামই ‘চিয়া। এক যাদুকরী দানা !

অ্যাজটেকদের মুল খাবার ছিল এই চিয়া বীজ। এমনকি তাদের প্রার্থনা/ উৎসর্গেও এই বীজের ব্যবহার হত। খৃষ্টপূর্ব ৩৫০০ বছর আগে থেকে এই বীজের ব্যবহার এর উল্লেখ পাওয়া গেছে । খৃষ্টপূর্ব ১৫০০ থেকে ৯০০ সালের মধ্যে মেক্সিকোর টিওতিহুয়াকান ও টোলটেক জাতির লোকেরা এর চাষ করত। স্প্যানিশ দখলদার এবং পরে আমেরিকান আগ্রাসনে এই সভ্যতার ‘অবশেষটুকু ও প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে, ১৫২১ সাল ও তার পরে !



চিয়া বীজ থেকে আটা তৈরি করে খেতো সাধারন মানুষ- কিন্তু অ্যাজটেক যোদ্ধারা এই দানা সরাসরি ব্যবহার করত। পরিবহন, রক্ষনাবেক্ষন ও ব্যবহারের সুবিধার্থে। পানিতে ভেজালেই এই বীজ ফুলে উঠে পানিটাকে ঘন ‘জেল বানিয়ে ফেলে; সহজে খেয়ে নেয়া যায়! প্রাচীন যোদ্ধারা তাদের পুষ্টি ও শক্তির জন্য এই শস্যদানার উপরে নির্ভরশীল ছিল। কে না জানে সৈনিকদের শক্তির উপরেই যুদ্ধের জয় পরাজয় নির্ভর করে! আজকের দিনেও মেক্সিকোতে ‘তারাহুমারা উপজাতি তাদের দৌড়বিদদের নৈপুণ্যের জন্য বিখ্যাত! দুরপাল্লার দৌড়ে স্ট্যামিনা মূল বিষয়! এখনো মেক্সিকোর এই উপজাতির লোকেরা বিশেষ করে তাদের দৌড়বিদরা এই বীজ আর লেবু মেশানো শরবৎ খেয়ে নেয় – এরপর তারা নাকি শত মাইল দৌড়াতে সক্ষম! শিকার আর দৌড়ের জন্য তাদের স্টামিনা আসে এখান থেকেই – এমন বিশ্বাস রয়েছে! (শক্তির উৎস এই chia মেশানো শরবৎ এর নাম Istiake!)



স্প্যানিশ দুর্বৃত্তরা ( ইংরেজি বা স্প্যানিশে এদেরকে ‘এক্সপ্লোরার বা অভিযাত্রী বলা হলেও, এরা মূলতঃ দুর্বৃত্ত, দখলদার,পরাস্ব-অপহরণকারী- এর বেশী কিছু নয়) অ্যাজটেক যোদ্ধাদের ‘শক্তির উৎস ধ্বংস করতে, আইন করে এই- চিয়া দানার চাষবাস নিষিদ্ধ করে দিয়েছিল। বদলে গম যবের মত বিদেশী দানা শস্য চাষের আদেশ দিয়েছিল। চিয়া অ্যাজটেকদের জন্য শুধু শক্তির উৎস নয়, এর চাইতেও বেশী কিছু ছিল! তাই দখলদার শক্তির জন্য অ্যাজটেকদের মনোবল ভেঙ্গে ফেলতে চিয়া বীজ নিষিদ্ধ করেছিল। এমন ‘কৌশল শয়তান দখলদার শক্তিদের জন্য খুব স্বাভাবিক। আমাদের দেশেও মসলিন উৎপাদন বন্ধে এমন ‘আইন করা হয়েছিল-যা শুধু মসলিন নয়, বাংলার তাঁতি ও বস্ত্র শিল্প উভয়ই ধ্বংস করেছে- এর ফলে বাংলা মুলুক ব্রিটিশ বস্ত্রশিল্পের উপর পুরো নির্ভরশীল হয়ে পড়ে! বাংলাদেশকে পরনির্ভরশীল করতে এ চক্রান্ত মূলক ‘আইন এর ভুমিকা এখন আর কারো অজানা নেই!

মেক্সিকান আদিবাসীদের ভুট্টা, শিম, আমার্যা ন্থ খুব গুরুত্ব পেয়েছে; আমাদের আধুনিক সভ্যতায় অতি গুরুত্ববহ মরিচ, স্কোয়াশ, এভোকাডো, -– এর উৎসও এই মধ্য আমেরিকান সভ্যতা! ০স্প্যানিশদের আইন ‘প্রতিরোধ করে এই দানাদার শস্যটি দুয়েকটা এলাকায় কোনক্রমে টিকে গেছে এবং অল্পদিন আগে এর ‘গুণাবলী কেবল ‘সভ্য মানুষের নজরে এসেছে! এর উৎস হচ্ছে এক মরুজ উদ্ভিদ- নাম Salvia hispanica!

Chia- অর্থ ‘শক্তি –তা আগেই উল্লেখ করা হয়েছে । লোককথা অনুসারে – এই আদিম সভ্যতার মানুষগুলো চিয়ার সাদা ও কাল দানাগুলোকে শক্তির উৎস ’ হিসেবে ব্যবহার করত! এতদিনে এর সত্যতাও প্রমান হয়েছে- কারন এখন আমরা জানি এই ক্ষুদ্র বীজে রয়েছে উচ্চ মাত্রার পুষ্টিগুন সম্পন্ন ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড, কার্বোহাইড্রেটস, প্রোটিন, আঁশ, এন্টি অক্সিডেন্ট এবং ক্যালসিয়াম!

চিয়া বীজের বিশেষত্ব হল এর পুষ্টিমান। প্রক্রিয়াজাত না হয়েও- সরাসরি শরীরে তা শোষিত হতে পারে! এক আউন্স বা প্রায় ২ চামচ বীজে প্রায় ১৩৯ ক্যালরি, ৪ গ্রাম প্রোটিন, ৯ গ্রাম ফ্যাট, ১২ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ১১ গ্রাম আঁশ, এর সাথে ভিটামিন ও খনিজ উপাদান!

Antioxidants

প্রচুর এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে চিয়া বীজে। দুই বছর পর্যন্ত ফ্রিজে না রাখলেও খোলা বাতাসে এই বীজ ভাল থাকে! আর এর এন্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের ফ্রি রেডিক্যালস –বার্ধক্য আর ক্যান্সার এর বিরুদ্ধে অতি কার্যকর এক বস্তু! চিয়া বীজের পুষ্টিগুণ দানাদার শস্য বা তেলবীজ গুলোর মধ্যে সেরা !

খনিজ উপাদানঃ

দুই টেবিল চামচ চিয়া বীজে প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় (Daily required intake - DRI) ক্যালসিয়ামের প্রায় ১৮ ভাগ, ফসফরাসের ৩৫ ভাগ, ম্যাগনেসিয়ামের ২৪ ভাগ, ম্যাঙ্গানিজের প্রায় ৫০ ভাগ চলে আসে। ডি এন এ সংশ্লেষণ এবং বিপাকের প্রয়োজনীয় পুষ্টির ঘাটতি পূরনে এই বীজ আমাদের ডায়েটে এক দারুন সংযোজন হতে পারে এই চিয়া বীজ।

পরিতৃপ্তিঃ সাধারণত পুষ্টিকর সুস্বাদু খাদ্য গ্রহণের পরে আমাদের মনে এক ধরনের পরিতৃপ্তি আর সন্তুষ্টি আসে। এমন তৃপ্তিদায়ী এক ভোজনের পর মাঝখানে বার বার খাওয়ার ইচ্ছা জাগে না; প্রোটিন, ফাইবার আর জেলীর মত উপাদানের কারনে তরলের সাথে মিশে চিয়া মানসিক পরিতৃপ্তির কারন হয়; এটা শারীরিক পুষ্টি ও মানসিক প্রশান্তির যোগান দেয়! এছাড়া গ্লুটিন মুক্ত হওয়ায় যাদের শরীরে গ্লুটিন হজম হয় না, তাদের জন্য চিয়া বীজ এক আশীর্বাদ ।

তিষিতেও পর্যাপ্ত ওমেগা ৩ রয়েছে; তবে– এই উপাদান গুলো পেতে তিষির মত চিয়া বীজকে গুঁড়া করতে হয়না। এক ব্রিটিশ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে- চিয়া বীজ কলেস্টেরল আর ট্রাইগ্লিসারাইডের পরিমাণ কমিয়ে দিতে পারে-। এটা এইচ ডি এল বা ‘ভাল কলেস্টেরল এর পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় । সে হিসেবে কলেস্টেরল এর রোগীদের জন্য চিয়া বীজ ভাল পথ্য হতে পারে!

রক্তে ইনসুলিন এর পরিমাণ নিয়ন্ত্রনে চিয়া বীজ ভাল ভূমিকা রাখে। রক্তে ইনসুলিন - প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে এবং অস্বাভাবিক ইনসুলিনের পরিমাণ হ্রাস করে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রনে চিয়া বীজ ভূমিকা রাখতে পারে।

এই দানা অন্যান্য খাদ্যের বা পানিয়ের সাথে সহজেই মিশিয়ে নিয়ে খাওয়া যায়! চিয়া পুডিং বেশ বাজার পেয়েছে ! সিরিয়াল, সস, সব্জি, এমনকি ইউগার্ট এর উপরে ছিটিয়ে দিয়ে খাওয়া যায়। খৈ এর মত ভেজেও খাওয়া যায়! সবচেয়ে সহজ হল- ষ্টীম করে নিয়ে সালাদ এর সাথে যোগ করা!

ওজন নিয়ন্ত্রন এবং চিয়াঃ

এই শস্য দানাকে ওজন কমাতে সহায়ক মনে করা হয়! সত্যিই এটা তেমন কাজের কিনা তা পরের কথা – তবে বাজারজাতকারীদের প্রচারনা কৌশলে এর মূল্য এখন গগনচুম্বী হয়ে গেছে! ১০০ -১৫০ গ্রামের এক প্যাকেট চিয়া বীজ বিক্রয় হচ্ছে – ৬-৭ ডলারে; তার অর্থ প্রতি কেজি ৬০- ৭০ ডলার! ( আর কোন দানা শস্য এত দামে বিক্রি হয় বলে আমার জানা নেই)। সত্যি কি এটা ওজন কমায়? এর পেছনে সত্যতা কতটুকু তা তলিয়ে দেখার প্রয়োজন হয়নি। তাত্বিকভাবে, এটা মানুষের পেটে ঢুকলে তা ফুলে উঠার কথা- এবং ‘পেটভর্তি হয়ে গেছে এমন অনুভূতি জন্ম দেয়ার কথা। তাহলে মানুষ কম খাবে! অ্যাজটেকরা বেশ লম্বা ও স্লিম এবং শক্তিশালী –ছিল; তারা দীর্ঘ সময় কর্মক্ষম থাকত। প্রচারনায় এমন ধারনা আরও জোরদার হয়েছে- এই বীজ খেলেই এমনটা হওয়া সম্ভব! আমরা ভাবছি না, চাকার ব্যবহার জানত না অ্যাজটেকরা, শত শত মাইল তারা হেঁটে বা দৌড়ে অতিক্রম করত! এমন কায়িক শ্রমে অতি ‘মোটা একজন মানুষও ‘স্লিম হয়ে যাবে- কোন সন্দেহ নেই! শক্তি ও পুষ্টি সরবরাহ করে যে শস্য দানা – তা মানুষকে ওজন কমিয়ে ‘স্লিম করবে কিভাবে - ? যদি এর কোন স্পেশাল ক্ষমতা থাকে তা গবেষণা করে প্রমান করা দরকার! বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাটা জানা দরকার!

১২ সপ্তাহের এক ট্রায়ালে – প্রতি দিন ৫০ গ্রাম কিয়া বীজ খাইয়ে দেখা গেছে- ওজন হ্রাস বা ক্ষুধা কমার তেমন তারতম্য ধরা পড়েনি! নর্থ ক্যারোলাইনার আপ্পালেসিয়ান ইউনিভার্সিটির ডঃ ডেভিড নিউম্যান জানিয়েছেন! "Our study showed no reduction in body weight, body fat and no improvement in traditional cardiovascular markers from 50 grams of chia per day.” তিনি জানিয়েছেন!

"Use chia seeds in foods, not as a supplement, but as an alternative to processed grains like white bread because it is a much healthier whole grain that is great-tasting in foods like muffins," ডাঃ মেহমেত অজ – আমেরিকার এক সেলিব্রেটি হার্ট সার্জন লিখেছেন।

ডাঃ অজ এবং সহকর্মী ডাঃ রয়জেন এর লেখা এই বইতে তারা পরামর্শ দিয়েছেন- প্রতিদিন দুইবার ২০ গ্রাম করে খাওয়ার একটা ‘ডোজ। তারা অবশ্য মনে করিয়ে দিয়েছেন এই শস্য দানায় এন্টিঅক্সিডেন্ট এর পরিমাণ খুব উঁচুমাত্রার – এমনকি ব্লু বেরির থেকেও বেশি!

হৃৎপিন্ডের স্বাস্থ্য আর শরীরের ওজনের উপরে চিয়া’র প্রভাব নিয়ে দুটো মাত্র ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হয়েছে- । হার্ট এর কিছু উপকার নিশ্চিত হয়- দেখা গেলেও ওজন কমার বিষয়টি প্রমাণিত হয়নি; বলেছেন এক গবেষক Catherine Ulbricht, PharmD। স্থির সিদ্ধান্তে আসতে হলে আরও অনেক গবেষণা প্রয়োজন, বলেছেন মিস উলব্রিখট।

আমাদের দেশের চিনা (Panicum millaceum) বা কাউন বীজ (setaria italica ) এর সাথে এর সাদৃশ্য রয়েছে, এদের পুষ্টিমাত্রা নিয়ে চিয়া বীজের সাথে তুলনামূলক গবেষণা হয়েছে কিনা আমার জানা নেই! যদিও চিয়া

উদ্ভিদ পরিচিতি ও চাষবাসঃ

Chia (Salvia hispanica), মিন্ট পরিবার বা Lamiaceae র সদস্য। মেক্সিকো গুয়াতেমালার আদি অধিবাসী হলেও, এর বর্তমান চাহিদা বৃদ্ধির কারনে এখন অনেক দেশেই বানিজ্যিক ভাবে এর চাষ হচ্ছে! আরজেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, বিলিভিয়া পেরু এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে! চিয়া বর্ষজীবী, ওষধি তৈলবীজ- তিল বা তিষির মত। এক মিটার পর্যন্ত লম্বা হয় । পাতা প্রতিপন্ন, দন্তর । ফুল স্পাইকে সজ্জিত, নীল, বেগুনী বা সাদা রং এর হতে পারে। দুটো বর্ধিত ঠোঁটের মত ফুল- যা মিন্ট পরিবারের বৈশিষ্ট! উচ্চ মাত্রায় স্ব- পরাগী। গোল বা উপবৃত্তাকার – বাদামি থেকে ধূসর – সাদা বা ধূসর-সাদা রঙের বীজ হয়! পানিতে ভিজিয়ে রাখলে পানি জমে যায়- অনেকটা ইসবগুলা ভুষির মত, তবে এই ভুষি হল প্রক্রিয়াজাত, আর চিয়া বীজ এই কাজ করে সরাসরি- এটাই পার্থক্য! স্প্যানিশদের প্রতিবন্ধকতার আইনের কারনে এটা অন্ধকারে ছিল দীর্ঘদিন, তারা চিয়ার বদলে গম যব এর চাষকে উৎসাহিত করেছে এখানে! ৮০র দশকে কেবল আমেরিকান গবেষণায় এটা আমাদের নজরে এসেছে! ‘ওয়েন কোটস’ নামের এক এগ্রি ইঞ্জিনিয়ার- নব্বই এর দশকে এর প্রচারনা শুরু করেন; এবং এরপরেই চিয়া, দানা শস্য ও হেলথ ফূড হিসেবে প্রথমে আমেরিকায় এবং সে সাথে সাড়া দুনিয়ায় ‘গ্রহণযোগ্যতা পায়!

আগেই উল্লেখ করা হয়েছে- পুষ্টিমানের দিক থেকে চিয়া বীজ হল- প্রকৃতিতে অধিক মাত্রার আলফা লিনোলিনিক এসিড বা ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিডের উদ্ভিজ্জ জাত উৎস হিসেবে অন্যতম!

Salvia hispanica মরুজ উদ্ভিদ জন্য খুব কম পানি সরবরাহে চিয়া বীজের চাষ করা যায়। বাংলাদেশে বিশেষ করে শুষ্ক মৌসুমে ‘পানি শুন্যতা দেখা দিচ্ছে যে অঞ্চল গুলোতে – সেখানে পরীক্ষামূলক ভাবে এর চাষ করা যেতে পারে – দেশের কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ ভেবে দেখতে পারেন। এখনকার বাজারে এত দামের ফসল হিসেবে চিয়া বীজ কৃষকদেরকেও আর্থিকভাবে লাভবান করবে, সন্দেহ নেই।

বিষয়: বিবিধ

৩১১১ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

382408
২৪ মার্চ ২০১৭ বিকাল ০৪:০৭
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : চমৎকার পোষ্টটির জন্য ধন্যবাদ। প্রথম জানলাম এমন একটি শস্যের কথা। তবে ল্যাটিন আমেরিকা নিয়ে লিখা অনেক উপন্যাস এ পড়েছি তাদের এমন একটি খাদ্য ছিল যেটা অনেকটা আধুনিক প্রোটিন বারের মত কাজ করত। বিভুতিভূষন "আরণ্যক" বইতে পড়েছি চিনা ঘাষের দানা মানে মিলেট খেয়ে বিহার এর বনাঞ্চল এর মানুষেরা প্রচুর পরিশ্রম করে। সম্ভবত একই প্রজাতি।
382412
২৫ মার্চ ২০১৭ সকাল ০৮:২০
তিমির মুস্তাফা লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ। না - এক জাতের নয়।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File