আমেরিকা বিশ্ববাসীর কাছে যেভাবে উপস্থাপন করতে চায় মুসলমানরা সন্ত্রাসী

লিখেছেন লিখেছেন স্বাধীন ভাষী ২৮ এপ্রিল, ২০১৪, ১০:০৬:৪৯ রাত



একটা ইংলিশ মুভি দেখলাম (Act of Valor)

মুভিটাতে কিছু সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আমেরিকান সৈন্যদের অভিযান তুলে ধরা হয়েছে।

কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো যে, ঐ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে মুসলিম হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

কিন্তু বাস্তবতা:

ইসলাম অবশ্যই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ঘৃণা করে। কোনভাবেই সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ইসলাম সাপোর্ট করে না। এই মুভিতে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যে অভিযান সেটাকে আমি সাধুবাদ জানােই এবং এটা হওয়া বিশেষ প্রয়োজন বলে একজন মুসলিম হিসেবে আমি মনে করি।

কিন্তু এই মুভিতে ঐ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর অভিনেতাদের দ্বারা নামাজ পড়া, আল্লাহু আকবর ধ্বনি উচ্চারণ করা ও মুসলিম দেশগুলোকে বাচানো সংক্রান্ত কিছু উক্তি উচ্চারণ করিয়ে বিশ্ববাসীর কাছে উপস্থাপন করার চেষ্টা করা হয়েছে যে, ঐ সন্ত্রাসীরা মুসলমান এবং মুসলমানরা সন্ত্রাসী।

পক্ষান্তরে এখানে যদি অন্য সম্প্রদায়ের ঐতিহ্য তুলে ধরা হতো তাহলে বিশ্ববাসী তখন জানতে যে, অমুক সম্প্রদায় সন্ত্রাসী (সেটা হোক আর নাই বা হোক)।

কিন্তু এখানে শুধু মুসলিমদেরকে তুলে ধরা কেন?

আসলে এটাই আমেরিকানদের ধারণা। না সবার ধারণা সেটা না। যারা তাদের রাষ্ট্র চালাচ্ছে তারা জানে মুসলমানরা এটা করে না। কিন্তু তারা এটাও জানে মুসলমানদেরকে যেকোন একটা ইস্যুতে অপবাদ দিয়ে চাপিয়ে না রাখলে আমেরিকানদের দাপট পৃথিবীতে থাকবে না। কারণ তারাও জানে মহান আল্লাহর কিতাবের উপর কোন কিতাবে দুনিয়া এবং পরকালের ফায়সালা সঠিক নয়। পরিপূর্ণ নয়। কিন্তু তাদের এ দাপট তারা অত সহজে ছাড়তে রাজী নয়।

তাদের প্রয়োজন মুসলমানদের বিরুদ্ধে এমন কিছু ইস্যু দাড় করানো যার দ্বারা মুসলমানদের দমিয়ে রাখা যায় এবং আমেরিকার সাধারণ মানুষের মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিরুপ ধারণা তৈরী করে নিজেদের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠিত করা যায়।

একের পর এক ইংলিশ মুভিতে এভাবেই তুলে ধরা হয় সেজন্য.

বিষয়: বিবিধ

১৭২৬ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

214583
২৮ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১০:২০
খেলাঘর বাধঁতে এসেছি লিখেছেন : কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো যে, ঐ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে মুসলিম হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

দুঃখ পাওয়ার কি আছ? মুসলিম ছাড়া আর কেউ সন্ত্রাসীকর্ম করে কি?। মরলেই ৭২ বেশ্যার স্বর্গসুখ।
২৮ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১০:৩৩
162858
স্বাধীন ভাষী লিখেছেন : ভাই, আপনার ধারণা ভুল আছে। আরো কিছু জানার দরকার।

সন্ত্রাসী গোষ্ঠী অধকাংশই মুসলিম বিদ্বেষী। কিন্তু সেটাকে মুসলমানদের উপর চাপানো হয় শুধুমাত্র মুসলমানদেরকে চাপে রাখার জন্য।
২৮ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১১:০৬
162872
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন :
মুসলিম ছাড়া আর কেউ সন্ত্রাসীকর্ম করে কি?


ইতিহাসের পাতা ওল্টালেই দেখা যায় আপনাদের আদর্শবাদী(!) ঠাকুরদের সুকীর্তি, চীনের মাও সেতুং- কমিউনিস্টদের ঠাকুর ও উচ্চ পর্যায়ের নাস্তিক। তার আমলে ১৯৫৮-৬১ ও ১৯৬৬-১৯৬৯ মেয়াদে চীনে এবং ১৯৪৯-৫০ মেয়াদে তিব্বতে সর্বমোট ৪,৯০,০০,০০০ মতান্তরে ৭,৮০,০০,০০০ লোক গনহ্ত্যার শিকার হয়েছে। পাশাপাশি কমবেশী ৩০,০০,০০০ লোক জেল-জুলুম ইত্যাদির শিকার হয়েছে। আরেক ঠাকুর জোসেফ স্টালিন ১৯৩২-৩৯ সালে তৎকালীন USSR-এ প্রায় ৭০,০০,০০০ মানুষকে হত্যা করে। তার পূর্বে স্টালিনের গুরু ঠাকুর ভি.আই.লেলিন ১৯১৭-২০ মেয়াদে হত্যা করে ৩০,০০০ মানুষকে। এবং এই হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছিলো শুধু তাদের উপর, যারা কমিউনিজমের মতো একটি উত্তম আদর্শ(!)কে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানাতো।
কম্বোডিয়ার পল পট (Pol Pot)১৯৭৫-৭৯ সালে হত্যা করে ১৭,০০,০০০ মানুষ। উত্তর কোরিয়ার কিম সাং ২ ১৯৪৮-৯৪ মেয়াদে হত্যা করে ১.৬ মিলিয়ন মানুষকে। সবচেয়ে মজার তথ্য হলো হো চি মিন, যাকে এই জাতে কুপমুন্ডকেরা শান্তির প্রতীক হিসেবে ঢোল বাজিয়ে বেড়ায়, তার আমলে ১৯৫৩-৫৬ সালে ভিয়েতনামে প্রায় ২,০০,০০০ লোক গনহত্যার স্বীকার হয়। এরা সকলেই আদর্শে কমিউনিস্ট ও সোসিয়ালিস্ট এবং বিশ্বাসে খাঁটি নাস্তিক ছিলো। এমন আরো অনেক নাস্তিকের সুকর্মের ইতিহাস রয়েছে। যা উইকিপিডিয়া সার্চ করলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে, বইযের নাম দিতে গেলে আলাদা ব্লগই লিখতে হবে। তারপরও এই কুপমুন্ডকগুলার দাবি পৃথিবীর ইতিহাসে নাস্তিকরা কারো ক্ষতি করেছে এর নজির নেই।

এবার আসুন চ্যালেঞ্জে, বের করুন ইতিহাস। এমন একজন আদর্শ মুসলমান দেখান, যে কিনা উল্লেখিত মহামানবদের(!) সমান, অথবা অর্ধেক, অথবা এক চতুর্থাংশ সূকীর্তি করে গেছে। আবারো বলছি,
আদর্শবাদী মুসলমান শাসক
অর্থা, যিনি শাসনকার্যে প্রকৃতভাবেই ইসলামের প্রতিটি অনুশাসনের পালন করে গেছেন, যেমন হযরত উমর (রাযি.), সুলতান সালাহউদ্দিন আইয়্যুবি (রহ.), নামে মুসলমানদের বস্তাপচা কাহীনি নিয়ে আসবেন না।
২৮ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১১:২৮
162880
খেলাঘর বাধঁতে এসেছি লিখেছেন : তো কি হইসে??????


খাইবর, বানুকুরাইজা যুদ্ধে মোহাম্মদ নিজ হাতে কত হাজার খুন করেছে @ বিদ্রহী ভাই?

Narrated Atiyyah al-Qurazi: I was among the captives of Banu Qurayza. They (the Companions) examined us, and those who had begun to grow hair (pubes) were killed, and those who had not were not killed. I was among those who had not grown hair.Sunan Abu Dawood, 38:4390
214603
২৮ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১১:০১
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : মুসলমানদের কে সন্ত্রাসী প্রমান করতে যেমনটা অমুসলিম ইসলাম বিদ্ধেষী কাজ করতেছে ঠিক নামদারী মুসলমানরা ও করে যাচ্ছে।
১৫ মে ২০১৪ দুপুর ০৩:০৬
169229
স্বাধীন ভাষী লিখেছেন : নামধারীরা তো নামধারীই। প্রকৃত মুসলমান কখনো নামধারী হয়ে থাকে না।
214611
২৮ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১১:২৫
খেলাঘর বাধঁতে এসেছি লিখেছেন : তো কি হইসে??????

খাইবর, বানুকুরাইজা যুদ্ধে মোহাম্মদ নিজ হাতে কত হাজার খুন করেছে @ বিদ্রহী ভাই?

Narrated Atiyyah al-Qurazi: I was among the captives of Banu Qurayza. They (the Companions) examined us, and those who had begun to grow hair (pubes) were killed, and those who had not were not killed. I was among those who had not grown hair.Sunan Abu Dawood, 38:4390
214616
২৮ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১১:৩৬
বিন হারুন লিখেছেন : ইসলামের স্বর্ণ যুগে মুসলিমরা কারো সাথে গায়ে পড়ে যুদ্ধ করে নি. বরং কাফিরদের অত্যাচারের মোকাবেলা করেছিল.
২৯ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০১:১৮
162903
খেলাঘর বাধঁতে এসেছি লিখেছেন : আল কোরআন, ৯:২৯- তোমরা যুদ্ধ কর আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না, আল্লাহ ও তাঁর রসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য ধর্ম, যতক্ষণ না করজোড়ে তারা জিযিয়া প্রদান করে
২৯ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১০:৩৭
162980
বিন হারুন লিখেছেন : এসব পুতুল পুজারি গুলোইতো অন্যায় ভাবে মুসলিমদের হত্যা করত, অত্যাচার করত নারীদের উপর লুঠ করত মানুষের সম্পদ. তাদের সাথে যুদ্ধ ছাড়া আর কি পথ ছিল?
214622
২৯ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১২:০১
শুভ্র আহমেদ লিখেছেন : @খেলা ঘর


মুসলিম ছাড়া আর কেউ
সন্ত্রাসীকর্ম করে কি?। মরলেই ৭২ বেশ্যার
স্বর্গসুখ।



সুলতানি আমল থেকেই ঠগী নামক
একটি গোষ্ঠী ভারতে ছিল। ঠগীরা ছিল
ভারতীয় খুনি কাল্ট (Cult); ঠগীরা যত মানুষ
হত্যা করেছিল পৃথিবীর কোনও সংগঠিত
খুনি কাল্ট এত নিরীহ মানুষ হত্যা করেনি।
কেবল ১৮৩০ সালেই ঠগীরা প্রায় ৩০,০০০ মানুষ
কে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে; তারপর সেইসব
মৃতদেহ ঠগীরা উৎসর্গ করত তাদের
দেবী কালীকে। ঠগীরা ছিল আদিম
কালী উপাসক গোষ্ঠী। বাংলায়
ঠগীরা কালীকে ভবানী বলে ডাকত।
ঠগীরা কেবল সনাতন ধর্মেরই অনুসরন করত।
ঠগীরা বংশপরম্পরায় খুন ও দস্যুবৃত্তি করত।
ছোটবেলা থেকেই
ঠগী পিতা ছেলেকে শিখাত
কীভাবে শ্বাসরোধ করে ফাঁস দিয়ে মানুষ
হত্যা করতে হয়। ঠগী বালকের শিক্ষা শুরু হত দশ
বছর বয়েসে । তখন সে লুকিয়ে হত্যাকান্ড
দেখত । বয়স ১৮ হলে সে মানুষ হত্যার
অনুমতি পেত। সাধারণত শক্ত কাপড়ের
তৈরি হলুদ রঙের রুমাল গলায় ফাঁস
লাগিয়ে পেঁচিয়ে মানুষ হত্যা করা হত।
হলদে রুমাল থাকত ঠগীদের কোমড়ে । কেন
ফাঁস দিয়ে হত্যা? কেননা, কালীর
আদেশে রক্তপাত নিষিদ্ধ ! ঠগীদের
আদি পিতাই নাকি কালীর
কাছে শিখেছিল ফাঁস দিয়ে হত্যার
রক্তপাতহীন পদ্ধতি ! মৃতদেহ উৎসর্গ করা হত
কালীকে, কেবল লুঠের মাল ভাগ করে নিত
ঠগীরা। এজন্যই তারা ছিল বিশেষ
একটি কাল্ট বা উপাসক সম্প্রদায়। অন্য ধর্ম
থেকেও কেউ এই ঠগী গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত
হতে পারত। তবে তখন তাকে হিন্দু
ধর্মে দীক্ষিত হয়ে প্রথমেই মা কালীর
পূজা করতে হত। তারপর
সে ঠগীগিরী বা দস্যুবৃত্তি শুরু করতে পারত।
১২৯০ সাল থেকে শুরু করে ১৮৪০ সাল পর্যন্ত এই
ঠগীরা প্রায় ২০ লক্ষ মানুষ কে হত্যা করেছিল
যারা সবাই ছিল পথচারী। দুঃখজনক হলেও সত্য
এই ২০ লাখ মানুষ কে হত্যা করা হয়েছিল
মা কালীর নামে। এই চরম বর্বর নিষ্ঠুর সম্প্রদায়
ছিল একনিষ্ঠ মা কালীর উপাসক।
ঠগীরা নিজেদের কে মা কালীর সন্তান
বলে পরিচয় দিত। ভারতবর্ষের
কালী সাধকদের একটি বিরাট অংশই
কালীসাধনার তান্ত্রিক ব্যাখ্যার বশেই
খুনি হয়ে উঠছিল। আর তারাই ছিল ঠগী।
ঠগীরা ব্যবসায়ী তীর্থযাত্রীর
ছদ্মবেশে ভ্রমন করত। এদেরই লোকজন
গোপনে বাজার
কিংবা সরাইখানা থেকে পথযাত্রীদের
সম্বন্ধে খুঁটিনাটি তথ্য যোগার করত।
তারপরে যাত্রীদের সঙ্গে মিশে যেত।
যাত্রাবিরতিতে রাতের বেলায়
তারা হত্যাকান্ড ঘটাত। যদি ছোট ছোট
ছেলে মেয়েদের কে তারা পেত
তাইলে তারা তাদের কে মা কালীর
সামনে নিয়ে এসে নরবলী দিত। অর্থ্যাৎ
বীভৎস এক অবস্থা।
সুলতানী আমলেই ঠগীদের নির্মূল
করতে মুসলমান শাসকরা চেষ্টা করেন। ১৩৫৬
সালে ঐতিহাসিক জিয়াউদ্দীন
বারানি “ফিরোজ শাহর ইতিহাস”
গ্রন্থে লিখেছেন: ‘...উক্ত সুলতানের
শাসনামলে (১২৯০) কয়েকজন
ঠগীকে দিল্লিতে আনীত হইয়াছিল এবং উক্ত
ভ্রাতৃসংঘের একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ
করিয়া আরও সহস্র ঠগীকে আটক করা হয়। সুলতান
তাহাদের হত্যার নির্দেশ দেন। তবে ঠগীদের
ব্যাপারটা যেহেতু হিন্দু ধর্মের সাথে সম্পৃক্ত
ছিল তাই মুসলমান শাসকরা ঠগীদের কে ধর্মীয়
কারনে পুরাপুরি নিবৃত্ত করতে পারেন নি।
ঠিক যেমনটি বাদশাহ হুমায়ন সতীদাহ
প্রথা বন্ধ করতে চাইলেও শুধুমাত্র ধর্মীয়
কারনে পারেন নি।
যাই হোক ব্রিটিশ সরকার ঠগীদের নিমূর্ল
করার উদ্যোগ গ্রহন করে। উইলিয়াম শ্লিমান
কে ব্রিটিশ সরকার ঠগীদের নিমূর্ল করার
দায়িত্ব দেয়। ১৮২২ সালে উইলিয়াম শ্লিমান
বেঙ্গল আর্মির অফিসার ছিলেন।
পরে তিনি সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন;
তাকেই গর্ভনর জেনারেল লর্ড বেনটিংক
শ্বাসরুদ্ধকারী ঠগীদের নির্মূল করার নির্দেশ
দেন। উইলিয়াম শ্লিমান অত্যন্ত বিচক্ষণ
ব্যাক্তি ছিলেন। চারটি ভারতীয়
ভাষা জানতেন তিনি। উইলিয়াম শ্লিমানই
সর্বপ্রথম ঠগীদের কার্যপ্রনালী সম্বন্ধে আঁচ
করতে পারেন। তিনি জানতেন ঠগীদের দমন
করা সহজ না। কেননা, অন্যান্য
দুস্কৃতিকারীদের থেকে ঠগীদের
আলাদা করা যাচ্ছিল না।
তাছাড়া ঠগীরা সুকৌশলে তাদের অপরাধ
ঢেকে রাখছিল। ঠগী মানেই তো ঠগ;
তারা নিপুন ছলনাকারী। উইলিয়াম শ্লিমান
ঠগীদের কাজকর্ম জানতে গুপ্ত চর নিয়োগ
করেন, গঠন করেন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ পুলিশ ফোর্স
(সম্ভবত র্যাব এর মত), বিশেষ ট্রাইবুনাল ও দ্রুত
বিচার আদালত গঠন করেন।
ঠগী সর্দার বেহরাম ছিল ক্রমিক
খুনি (সিরিয়াল কিলার); সে ১৭৯০
থেকে ১৮৩০ সাল এর মধ্যে ৯৩১ টি খুন করে!
তাকে গ্রেফতার করার পর জিজ্ঞেস
করা হয়েছিল এতগুলি মানুষ খুন করার জন্য তার
অনুশোচনা হয় কি না ? উত্তরে বেহরাম
নির্বিকার কন্ঠে বলেছিল, মা কালীর
নির্দেশে মানুষ হত্যা করতাম, তাই কিসের
আবার আক্ষেপ !
হলিউডি মুভি ‘ইন্ডিয়ানা জোনস অ্যান্ড
দি টেমপল অভ ডুমস’ এ ১৮ শতকের কালী উপাসক
ঠগীদের দেখানো হয়েছে।
ছবিটি সে কারণে সাময়িকভাবে ভারতে নিষিদ্ধও
করা হয়েছিল। বলিউঠের ওমরেশ
পুরি সেখানে মূল ঠগী চরিত্রে অভিনয়
করেছিলেন। যারা ঠগীদের
সম্পর্কে পড়াশুনা করতে চান
তারা উইকিপিডিয়ায় ঠগীদের কে নিয়ে এই
নিবন্ধটা পড়তে পারেন http://en.wikipedia.org/
wiki/Thuggee তাছাড়া Google এ Thuggee
লিখে Search দিলেও আপনারা ঠগীদের
সম্পর্কে প্রচুর তথ্য পাবেন।
214635
২৯ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০১:২৪
খেলাঘর বাধঁতে এসেছি লিখেছেন : কিসের ঠগি-বগি!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
214820
২৯ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০২:৩৪
শুভ্র আহমেদ লিখেছেন : @খেলা ঘর

ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলার আগে নিজের ধর্ম সম্পর্কে জানবা, কালির নামে ২০ লক্ষ মানুষ হইছে। যাদের মারা হইছে, তারা নিস্পাপ ছিল, কিন্তু মুসলমানরা অন্যায় ভাবে কাউকে মারে নাই। তারা হাজার হাজার মানুষকে মুক্ত করে দিয়েছিল । যারা এর পরেও আক্রমন করতো, তাদের মেরে ফেলা হত।
214917
২৯ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৫:১১
স্বাধীন ভাষী লিখেছেন : ভিন্নমত অবলম্বনকারীদের উদ্দেশ্যে বলছি, ওরকম উদ্ভট কিছু বই যে কেউই লিখতে পারে। আর মহান আল-কোরআনের কোন ব্যাখ্যা দেয়ার আগে তার তরজমা ভালো করে জানতে হয়। শাব্দিক অ ের্থ যদি তার তাৎপর্য খুজতে যান এবং সে অনুযায়ী ফায়সালা করতে যান তাহলে আপনার মুর্খতাই প্রমাণিত হবে। কারণ মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আপনার মত এত ক্ষুদ্র জ্ঞানী নয়। তিনি মহাজ্ঞানী। তার একটা আয়াতের বিশ্লেশন আপনার এ ক্ষুদ্র মাথা দিয়ে যেভাবে বিশ্লেশন করছেন সেটাই যদি আল্লাহর বিশ্লেশন হতো তবে এই পৃথিবী হয়তো আরো আগেই ধ্বংস হয়ে যেতো।

চরিপাশে এত স্বয়ংক্রিয় বিষয় দেখেও যাদের মাথা খুলে না, তাদের মাথা কিভাবে খুলবে বা খুলবে কিনা তা একমাত্র আল্লাহ তায়ালাই ভালো জানেন..।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File